সংস্কার বিএনপি তিন বছর আগেই শুরু করেছে: ড. মঈন খান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৭ ১৯:০৫:২০
সংস্কার বিএনপি তিন বছর আগেই শুরু করেছে: ড. মঈন খান
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, “আজকে অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কারের কথা বলছে, তা বিএনপি তিন বছর আগেই শুরু করেছে।” তিনি বলেন, “বিএনপিকে কেউ সংস্কার শিখাতে হবে না।”

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে নরসিংদীর পলাশ উপজেলা মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সংস্কার ও আওয়ামী লীগের পতন

ঐক্যমত্য: ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, দেশের গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে ৩১ দফার সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং বিএনপি সেই সংস্কারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

দমন-পীড়ন: তিনি অভিযোগ করেন, বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ধ্বংস করতে গিয়ে নিজেরাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখের বেশি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ চেয়েছিল বিরোধী দল নিশ্চিহ্ন করে দিতে। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে।”

স্বৈরাচার ও ১/১১ প্রসঙ্গ

ড. মঈন খান বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে যারা নিরীহ মানুষের ওপর অত্যাচার করে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা চালু করেছিল, তাদের কেউই টিকে থাকতে পারেনি। তাই আওয়ামী লীগও টিকে থাকতে পারেনি।

১/১১ প্রসঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেন, “বাংলাদেশে আর ১/১১ ফিরে আসবে না। কেউ যদি তা ভাবে, সে বোকার স্বর্গে বাস করছে।”


শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৩:৫৯:২৮
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত প্রকারান্তরে জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে। তিনি বলেন, "গণঅভ্যুত্থান প্রশ্নে যতদিন ভারত তার অবস্থান পরিবর্তন না করবে; ততদিন বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক শীতলই থাকবে।"

রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, "যেদিন জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে, সেদিনই জাতীয় অনৈক্যের সূচনা হয়েছে।" তিনি অভিযোগ করেন, কোনো ধরনের বাছবিচার ছাড়াই সনদে স্বাক্ষর করে তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে; তবে এখনো ঐক্যের সুযোগ আছে।

তিনি অভিযোগ করেন, একদল সংস্কারকে ভেস্তে দিচ্ছে; আরেক দল নির্বাচন পেছাতে চায়। তার মতে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি রচিত হলে গণভোট নির্বাচনের দিন হলেও কোনো সমস্যা নেই।

নাহিদ ইসলাম বলেন, গণভোট নির্বাচনের আগে না পরে হবে, সেটা প্রধান সংকট নয়; তবে জুলাই সনদ অবশ্যই ড. ইউনূসকে জারি করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, "প্রেসিডেন্ট যদি এতে স্বাক্ষর দেন, তা সংস্কারের কফিনে পেরেক মারা হবে।"

তিনি আরও বলেন, সংস্কারের পক্ষে যদি কেউ না থাকে, তবে তাদের সঙ্গে জোটে যাওয়া সম্ভব নয়। নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, কোনো একটি দলের চাপে সরকার বারবার সনদের টেক্সট পরিবর্তন করেছে। তিনি জানান, বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়ায় যেভাবে ২৭০ দিন পর সংস্কার প্রস্তাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হওয়ার বিধান ছিল, তারা সেটিকে সমর্থন করেন; এর ব্যত্যয় হলে এনসিপি আদেশ সমর্থন নাও করতে পারে।

নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, ২৭০ দিনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে কোনো ভয় থাকার কিছু নেই; অযথা বিতর্ক ও ভীতি ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, 'শেখ মুজিবকে ফ্যাসিবাদের আইকন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে; তার ছবি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা সংবিধানে থাকা সম্ভব নয়।'

প্রতীক ইস্যুতে নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, নতুন দল হিসেবে সহযোগিতার পরিবর্তে নির্বাচন কমিশন তাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, 'শাপলা কলির যে সিদ্ধান্ত, সেটি তারা এক মাস আগেও দিতে পারত; আমরা শাপলাই চাই।'


"মাঠে নামলে সরকার টিকবে কি?"

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১২:৩৭:৫৬
"মাঠে নামলে সরকার টিকবে কি?"
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রবিবার (২ নভেম্বর) দেশজুড়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে তার দল নীরব প্রতিবাদ অবলম্বন করছে বলে জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, যদি বিএনপি সরাসরি প্রতিবাদে নেমে বা মাঠে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে, তাহলে সরকারের টেকসইতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে, যার ফলে দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

এই মন্তব্য তিনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে করেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।

তিনি আগস্টে শুরু হওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রভাবের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দলের আস্থা রয়েছে। তারা যেন জাতির সামনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপস্থাপন করতে পারে, এ প্রত্যাশা দলের। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “ড. মোহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশে এবং সম্প্রতি দুই দিন আগেও দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন যে, নির্বাচনের সময়সূচি যথাসময়ে কার্যকর হবে।” গয়েশ্বর আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের পূর্বে সরকারের পক্ষ থেকে সকল অমীমাংসিত বিষয় সমাধান করা হবে।

দলের বর্তমান কৌশল ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, তারা যেহেতু সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে চাই, তাই কঠোর প্রতিবাদ থেকে বিরত আছেন। গয়েশ্বর জানান, “যদি আমরা মাঠে নামে বা তীব্র প্রতিবাদ দেখাই, তাহলে সরকারের টেকসইতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিতে পারে। তাই আমরা নীরবভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছি।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং দেশে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য বিএনপি অত্যন্ত ধৈর্যশীলভাবে কাজ করছে। দলের মূল লক্ষ্য হলো এই অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করা।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আশ্বাস দেন, “জনগণ যদি ভোটকেন্দ্রে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত থাকে, তাহলে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল করার কোনো সুযোগ থাকবে না। জনগণ নিজেই এই ভ্রান্তি রোধ করবে।”

-রাফসান


তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলই তৈরি করল সংকট: বিএনপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১১:৫৩:১৬
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলই তৈরি করল সংকট: বিএনপি
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকার (Caretaker Government) ব্যবস্থা বাতিলের রায়ই মূলত দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের সূত্রপাত ঘটিয়েছে বলে আপিল বিভাগের কাছে বিএনপির পক্ষে শুনানি করা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন রোববার (২ নভেম্বর) জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে দেশে অন্তর্ভুক্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি দেশীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে।

রোববার সকাল ৯টা ২০ মিনিট থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির পক্ষে শুনানি করেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আর রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

উল্লেখযোগ্য যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য চলমান আপিলের শুনানি ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলছে। এর আগে, ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দিন ধরে আপিলের শুনানি সম্পন্ন হয়। ২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি সম্পন্ন করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। ২৩ অক্টোবর আদালতে ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী। ২২ অক্টোবর রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে শুনানি শেষ করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংক্রান্ত প্রথম চ্যালেঞ্জ আনা হয় ১৯৯৮ সালে। অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। হাইকোর্ট প্রাথমিক শুনানি শেষে রুল দেন এবং ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিশেষ বেঞ্চ রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে। এরপর সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।

২০০৫ সালে রিট আবেদনকারী পক্ষ আপিল করেন। আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ১০ মে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের মাধ্যমে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় ঘোষণা করে। এই ঘোষণার পর ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাশ হয়, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারা অন্তর্ভুক্ত করে। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়।

এরপর ২০১১ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন। সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। অন্যরা হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

সাম্প্রতিক সময়ে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৬ অক্টোবর আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন। এছাড়া, গত বছরের ২৩ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং নওগাঁর রানীনগরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও রায় পুনর্বিবেচনার জন্য পৃথকভাবে আবেদন করেন।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির পক্ষে শুনানিতে জয়নুল আবেদীন আরও উল্লেখ করেন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বাতিল রায় ও তার পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, এই রায়ের প্রেক্ষিতে দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বিতর্ক বৃদ্ধি পায় এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জনগণের আস্থা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

-রফিক


বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্মের কোনো ছাড় নেই: রিজভী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১১:৩৭:১৯
বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্মের কোনো ছাড় নেই: রিজভী
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শনিবার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে যে কোনো অসত্য সংবাদ ব্যবহার করা হচ্ছে, তা দুঃখজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। রিজভীর মতে, সাম্প্রতিক সময়ে যা কিছু ঘটছে, তার জন্য বিএনপির ওপর দায় চাপানো অনেকের নিত্যস্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা সমাজবিরোধী কাজে লিপ্ত, তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

রিজভী স্পষ্ট করেন, সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর কোনো অংশগ্রহণ নেই। যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্ম চালায়, তাহলে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি গণমাধ্যমকেও সতর্ক করেন যে, সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সত্য এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলা রাজনৈতিক অত্যাচার ও অবিচার থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে, যা জুলাই-আগস্টে দেশের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। জনগণ কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে, তবে এখনও দেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আতঙ্কমুক্ত নয়।

রিজভী বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দেশে নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হচ্ছে এবং সেই সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্ববাজারে গমের দাম কমলেও বাংলাদেশে তা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে। রিজভীর মতে, জনগণকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সরকারের, এবং যদি সরকার এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়, তবে সামাজিক অস্থিরতা এবং সম্ভাব্য দুর্ঘটনা দেখা দিতে পারে।

সংক্ষেপে, রিজভী বিএনপি ও জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, দলটি শান্তিপূর্ণ ও সংবিধানিক পথে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে অটল রয়েছে, কিন্তু দেশের নিরাপত্তা ও ন্যায্য বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা অপরিহার্য।

-রাফসান


ভোলায় বিএনপি-বিজেপি সংঘর্ষ আন্দালিব রহমান পার্থের কঠোর হুঁশিয়ারি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১০:২৯:৪৭
ভোলায় বিএনপি-বিজেপি সংঘর্ষ আন্দালিব রহমান পার্থের কঠোর হুঁশিয়ারি
ছবিঃ সংগৃহীত

ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) নেতাকর্মী এবং দলীয় কার্যালয়ের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে জাতীয়তাবাদী শক্তির সম্মান দেশব্যাপী সাংঘাতিকভাবে ক্ষুণ্ণ হবে।

শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

আন্দালিব রহমান পার্থ লেখেন, "এভাবে চলতে থাকলে জাতীয়তাবাদী শক্তির সম্মান দেশব্যাপী সাংঘাতিকভাবে ক্ষুণ্ণ হবে এবং সমগ্র দেশব্যাপী ভোটে এর প্রভাব পড়বে; ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই।"

সংঘর্ষে আহত নিজ দলের নেতাকর্মীদের ছবি যুক্ত করে তিনি লেখেন, ভোলা সদরে বিজেপির একটি বিশাল নির্বাচনি মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পর অল্পসংখ্যক নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন; ঠিক তখনই "ঈর্ষান্বিত হয়ে ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিএনপির একটি গ্রুপ কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের নিরীহ নেতাকর্মীদের মারধর করে এবং পার্টি অফিস ভাঙচুর করে।" তিনি এই ঘটনাকে দুঃখজনক, হতাশাজনক অভিহিত করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এর আগে শনিবার দুপুরে ভোলা জেলা শহরের নতুন বাজারে অবস্থিত ভোলা জেলা বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি ও বিজেপি নেতাকর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটার আঘাতে সাংবাদিক, পুলিশসহ উভয় দলের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন।


রাজনীতির স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করা হচ্ছে কড়া সমালোচনা সালাহউদ্দিন আহমদের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০১ ২০:২৮:১৬
রাজনীতির স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করা হচ্ছে কড়া সমালোচনা সালাহউদ্দিন আহমদের
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, তারা মওদুদী ইসলামের অনুসারী নন, বরং মদিনার ইসলামের অনুসারী। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামরা যে ইসলামের চর্চা করেছেন, বিএনপি সেই আদর্শে বিশ্বাসী; রাজনীতির স্বার্থে ইসলামকে বিকৃতভাবে ব্যবহার করা কখনো কাম্য নয়।

শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে 'আজমাতে সাহাবা' শীর্ষক এক সমাবেশে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে বলেন, একটি দল রাজনৈতিক স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়; যারা বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য ইসলামকে ব্যবহার করতে চায়, তাদের কাছ থেকে সবাইকে দূরে থাকতে হবে। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের ৯০ থেকে ৯২ ভাগ মানুষ মদিনার ইসলামের অনুসারী; তাই আদর্শিক ও ভালো রাজনীতি করতে হবে।

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে সবসময়, বিশেষ করে নির্বাচনের আগে ইসলামকে রাজনীতিতে ব্যবহার করা এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়; ইদানিং এই প্রবণতা আরও বেশি দেখা যাচ্ছে।

তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকার ইসলামবিদ্বেষী সরকার ছিল; আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছিল অপরাজনীতি এবং আলেম ও ইসলামবিদ্বেষী রাজনীতি। তিনি বলেন, আল্লাহর হুকুমে তারা কীভাবে বিদায় নিয়েছে, সবাই সে ইতিহাসের সাক্ষী। ভালো আদর্শের মধ্য দিয়ে যাতে ফ্যাসিবাদী ও অপরাজনীতির সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়, সেজন্য সবাইকে সঠিক পথে রাজনীতি করতে হবে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। তবে সংগঠনটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান মঞ্চে বক্তব্য রাখেন। হেফাজতে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আমির মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


যুবদল নেতার চাঁদাবাজির টাকা দিয়েই গণভোট সম্ভব: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০১ ২০:১৭:৪১
যুবদল নেতার চাঁদাবাজির টাকা দিয়েই গণভোট সম্ভব: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মন্তব্য করেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের খরচ নিয়ে বিএনপির বক্তব্য 'অযৌক্তিক'। তিনি বলেন, "৫ আগস্টের পরে বিএনপির একজন আসনের প্রার্থী যেই টাকা চাঁদাবাজি করেছে, সেই টাকা দিয়েই একটা গণভোট আয়োজন করা যাবে।"

শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্টনে 'জুলাই সনদ বাস্তবায়নে তরুণ আলেমদের ভাবনা' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ঢাকা মহানগর যুবদল নেতা নয়নের চাঁদাবাজির উদাহরণ দিয়েও একই মন্তব্য করেন।

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক অভিযোগ করেন, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ বোঝাপড়ার কথা তারা শুনতে পাচ্ছেন; যেখানে বিএনপি নোট অব ডিসেন্টের বিষয় থেকে সরে আসবে এবং জামায়াত নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি থেকে সরে আসবে।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, "আমরা সিনিয়র নেতাদের এত দিন জমজমের পানি দিয়ে গোসল করিয়েছি, এখন তাদের বুড়িগঙ্গার পানি দিয়ে গোসল করাব; তাহলে তাদের মাথাটা খুলবে।"

তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন; তবে এই নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই হবে। তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, "আপনি যদি জুলাই সনদের আদেশটা জারি করতে পারেন, তাহলে আপনি জনগণের সরকার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবেন।" তিনি সব রাজনৈতিক দল ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আহ্বান জানান।


সোনার বাংলাদেশ নয় এবার 'খেলাফতের বাংলাদেশ' দেখতে চান মাওলানা মামুনুল হক

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০১ ১৯:৩৫:৫১
সোনার বাংলাদেশ নয় এবার 'খেলাফতের বাংলাদেশ' দেখতে চান মাওলানা মামুনুল হক
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দেশের জনগণ মেনে নেবে না। তাই আগামী নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। তিনি আরও দাবি করেন, সবার আগে সব গণহত্যা ও গুমের বিচার সম্পন্ন করতে হবে; এরপরই কেবল ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা ভাবা যেতে পারে।

শনিবার বিকালে ময়মনসিংহের ফুলপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে খেলাফত মজলিস আয়োজিত এক গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলা শাখা যৌথভাবে এই গণসমাবেশের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, তারা নতুন বাংলাদেশ, সোনার বাংলাদেশ, এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখেছেন; তবে তারা আরেকটি বাংলাদেশ দেখতে চান—সেটি হলো 'ইসলামের বাংলাদেশ' এবং 'খেলাফতের বাংলাদেশ'। তিনি বলেন, খেলাফত ব্যবস্থা হলো আল্লাহ প্রদত্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থার নাম; ইসলাম ছাড়া পৃথিবীর কোনো ধর্মে পরিপূর্ণ রাষ্ট্র শাসনব্যবস্থা নেই।

তিনি আরও দাবি করেন, স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।

খেলাফত মজলিস ফুলপুর শাখার সভাপতি মুফতি আজিমুদ্দিন শাহ জামালীর সভাপতিত্বে এই গণসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে খেলাফত মজলিসের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুফতি মুহাম্মাদুল্লাহ। এ সময় দলটির নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ এবং যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


নির্বাচন কমিশন কেকের মতো ভাগাভাগি হয়ে গেছে: হাসনাত

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০১ ১৯:৩১:০৯
নির্বাচন কমিশন কেকের মতো ভাগাভাগি হয়ে গেছে: হাসনাত
বরগুনায় সমন্বয় সভা শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি : কালবেলা

সম্প্রতি নেওয়া নির্বাচন কমিশনের প্রতীক অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্তকে 'স্বেচ্ছাচারী' বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশন কেকের মতো ভাগাভাগি হয়ে গেছে এবং সেখানে অনেকগুলো পক্ষের শক্তি জড়িত রয়েছে।

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপি আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনের কাঠামো প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্টের পর যখন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়, তখন বিএনপি বলেছিল—তাদের পক্ষ থেকে একজন, জামায়াতের একজন এবং সেনাবাহিনী থেকেও একজন দেওয়া হয়েছে; অর্থাৎ এটিকে কেকের মতো ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়েছে। তার মতে, এখন নির্বাচন কমিশন তাদের সেই উদ্দেশ্যই বাস্তবায়ন করছে।

'শাপলা কলি' প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোনো নীতিমালা নেই; কোন নীতিমালার অধীনে 'শাপলা কলি' প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করেছে, কিংবা কোন নীতিমালায় তা অন্তর্ভুক্ত হবে না, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কোন প্রক্রিয়ায় অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতীক দেওয়া হয়েছে, সেটাও পরিষ্কার নয়; অর্থাৎ এই নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া পুরোপুরি স্বেচ্ছাচারী।

এনসিপির এই প্রভাবশালী নেতা গণমাধ্যমকে জানান, সংস্কার ও প্রতীক ইস্যুতে তারা সবসময়ই এক অবস্থানে ছিলেন এবং এখনো সেই অবস্থানেই আছেন।

এ সময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির বরিশাল বিভাগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন এবং যুগ্ম সদস্য সচিব ও শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্তসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা।

পাঠকের মতামত:

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। নির্বাসনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকাকে... বিস্তারিত