বগুড়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণ: আটক অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নিল স্বজনরা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৮ ১১:৫২:২৫
বগুড়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণ: আটক অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নিল স্বজনরা

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার কোড়াডাঙ্গা গ্রামে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূ (৪০) কে ধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (১৬ মে) রাতের এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এলাকাবাসী আটক করলেও, কিছুক্ষণ পর তার স্বজনরা হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী নারী পরদিন শনিবার সোনাতলা থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে প্রধান নাম দাদন ব্যবসায়ী ইস্রাফিল (৬০), যিনি ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী হিসেবে পরিচিত।

পুলিশ বলছে, চলছে ধরপাকড় অভিযান

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলাদুন্নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার নারীকে চিকিৎসা ও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

এজাহারের বিবরণে ভয়াবহতা ফুটে ওঠে

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগে বলা হয়েছে, তার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত ইস্রাফিল তার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। চিৎকার শুনে স্বজনরা ছুটে এলে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ইস্রাফিলের ছেলে আবদুর রহিম ও তার বন্ধু তাজুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন মিলে হামলা চালিয়ে তাকে জোর করে ছাড়িয়ে নেয়।

অভিযুক্ত পক্ষের দাবি ‘ষড়যন্ত্রমূলক মামলা’

এদিকে অভিযুক্ত ইস্রাফিলের ভাই মঞ্জু মিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, এ মামলা সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা ও সাজানো’। তার দাবি, ইস্রাফিলের বয়স প্রায় ৬০ বছর, এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে পুরোনো পারিবারিক শত্রুতার জেরে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “এটি একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার, যার উদ্দেশ্য ইস্রাফিলকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা।”

সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে উদ্বেগ

স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, একদিকে গৃহবধূর অভিযোগ যেমন উদ্বেগজনক, অন্যদিকে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তারা দাবি করছেন, ঘটনাটি দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে ভীতির পরিবেশ বিরাজ করছে। পুলিশ ও প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের অগ্রগতি অনুযায়ী যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং কোনো ধরনের প্রভাব বা পক্ষপাত ছাড়াই বিচার নিশ্চিত করার চেষ্টা চলবে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত