“এস্তোনিয়ার আকাশে রুশ মিগ-৩১: ন্যাটোর জরুরি বৈঠক ডাকার ঘোষণা”

বাল্টিক অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এস্তোনিয়া অভিযোগ করেছে, শুক্রবার তিনটি রুশ মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান অনুমতি ছাড়াই তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। ঘটনাটি ঘটে ভায়ন্দলো দ্বীপের কাছে এবং বিমানগুলো প্রায় ১২ মিনিট এস্তোনিয়ার আকাশে ছিল। এসময় তাদের ট্রান্সপন্ডার বন্ধ ছিল এবং এস্তোনিয়ার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না।
ঘটনার পর ন্যাটোর অংশ হিসেবে বাল্টিক অঞ্চলে অবস্থান করা ইতালির এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দ্রুত উড়ে যায় এবং রুশ বিমানগুলোকে সরে যেতে সতর্ক করে। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে এই পদক্ষেপকে “দ্রুত ও দৃঢ় প্রতিক্রিয়া” বলে প্রশংসা করেছেন। সুইডেন ও ফিনল্যান্ডও তাদের যুদ্ধবিমান উড়িয়ে পরিস্থিতি সামলায়।
এস্তোনিয়া এই ঘটনার পর ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে জরুরি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে। ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৪ অনুযায়ী, কোনো সদস্য রাষ্ট্র যদি মনে করে তার নিরাপত্তা বা সীমান্ত হুমকির মুখে, তবে সে জরুরি বৈঠক ডাকতে পারে। এর আগে পোল্যান্ড একই অভিযোগে ন্যাটোর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছিল।
রাশিয়া অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, মিগ-৩১ বিমানগুলো কারেলিয়া অঞ্চল থেকে ক্যালিনিনগ্রাদে যাচ্ছিল এবং তারা এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি। মন্ত্রণালয় বলেছে, বিমানগুলো বাল্টিক সাগরের নিরপেক্ষ আকাশসীমায় ছিল এবং দ্বীপ থেকে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরে উড়েছে।
এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গুস ছাখনা বলেছেন, রাশিয়া এ বছর চারবার এস্তোনিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি মনে করেন, রাশিয়ার এই বাড়তে থাকা উসকানি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়ে মোকাবিলা করতে হবে।
উক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া ইচ্ছে করে ইউরোপীয় দেশগুলোর আকাশসীমায় ঢুকে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেছেন, “হুমকি যত বাড়বে, চাপও তত বাড়বে।” তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন।
ন্যাটোর বাল্টিক এয়ার পুলিশিং মিশনের নেতৃত্ব এখন ইতালির হাতে, যারা এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিয়ে আকাশ নজরদারি করছে। সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সও পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে।
-নাজমুল হাসান
পাকিস্তানের পারমাণবিক সুরক্ষায় সৌদি আরব, চুক্তিতে কী আছে?
ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে নিজেদের নিরাপত্তা জোরদার করতে সৌদি আরব ও পাকিস্তান একটি কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করেছে। বুধবার সই হওয়া এই চুক্তির ফলে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা সমীকরণে পাকিস্তানের পারমাণবিক সক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষমতা আর পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তিধর সামরিক বাহিনী এক সুতোয় বাঁধা পড়েছে।
সৌদি আরবের লক্ষ্য কি পারমাণবিক সুরক্ষা?
চুক্তির বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ না হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব পরোক্ষভাবে পারমাণবিক সুরক্ষা পেতে চাইছে। পাকিস্তান বরাবরই বলে এসেছে, তাদের পারমাণবিক অস্ত্রগুলো শুধু তাদের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই চুক্তির ওপর মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র ইসরায়েল কড়া নজর রাখছে।
পাকিস্তানের অবস্থান
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ রয়টার্সকে বলেছেন, চুক্তিতে পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়টি ‘চিন্তাভাবনার মধ্যে নেই’। তবে এটি অন্যান্য উপসাগরীয় দেশের জন্যও সম্প্রসারিত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, এই চুক্তিকে কোনো আগ্রাসনের জন্য ব্যবহার করার উদ্দেশ্য নেই, কিন্তু চুক্তির কোনো পক্ষ হুমকির মুখে পড়লে এই ব্যবস্থা সক্রিয় হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আস্থার অভাব
উপসাগরীয় দেশগুলো মনে করে, কাতার ও অন্যান্য আরব দেশের ওপর ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলা প্রমাণ করে, তারা এখন সরাসরি হুমকির মুখে আছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর আস্থার অভাবকে আরও স্পষ্ট করেছে। লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষক হাসান আল হাসান বলেন, “সৌদি আরবের দৃষ্টিকোণ থেকে, পারমাণবিক শক্তিধর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কৌশলগত ও প্রচলিত প্রতিরোধে যে ঘাটতি রয়েছে, এই চুক্তি তা পূরণের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।”
পাকিস্তানের সামরিক ও অর্থনৈতিক লাভ
এই চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানও বেশ কিছু সুবিধা পাবে। ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাজেট সাত গুণ কম। তাই সৌদি আরবের অর্থনৈতিক সহায়তা পাকিস্তানকে প্রতিরক্ষা খাতে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। এই চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় ভারত জানিয়েছে, তারা এই চুক্তির প্রভাব তাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর কীভাবে পড়তে পারে, তা খতিয়ে দেখবে।
ইউরোপের আরেক দেশ এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, আগামী রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এই ঘোষণা জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনের আগেই এসেছে।
ইউরোপের অন্যান্য দেশের অবস্থান
পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো র্যাঙ্গেল চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্য সফরের সময় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, তার দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। গত বছর মে মাসে প্রতিবেশী দেশ স্পেন আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ের সঙ্গে একযোগে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সে সময় স্পেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশগুলোকেও একই পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানালেও পর্তুগাল তখন সতর্ক অবস্থান বজায় রেখেছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত অল্প কয়েকটি দেশই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কিছু সাবেক কমিউনিস্ট দেশ, সুইডেন এবং সাইপ্রাস।
এদিকে, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, বেলজিয়াম এবং লুক্সেমবার্গও আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
সূত্র : রয়টার্স
বিনা খরচে চাঁদে নাম পাঠানোর সুযোগ দিচ্ছে নাসা
নাসা তাদের পরবর্তী চন্দ্রাভিযান আর্টেমিস-২-এ সাধারণ মানুষের নাম চাঁদে পাঠানোর সুযোগ দিচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে যে কেউ কোনো ধরনের খরচ ছাড়াই মহাকাশ ভ্রমণের অংশ হতে পারবেন। যদিও সশরীরে চাঁদে যাওয়া সম্ভব নয়, তবে আপনার নাম একটি ডিজিটাল চিপে সংরক্ষণ করে মহাকাশযানে করে চাঁদের কাছাকাছি পাঠানো হবে। প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর চাঁদে প্রথম মানববাহী অভিযান পরিচালনা করতে যাচ্ছে নাসা।
যেভাবে নাম পাঠানো যাবে
আর্টেমিস-২ মিশনে নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া খুবই সহজ। আগ্রহী যে কেউ নাসার নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নাম, ই-মেইল ঠিকানা এবং পছন্দের ভাষা (ইংরেজি বা স্প্যানিশ) লিখে ফরম জমা দিতে পারেন। ফরম জমা দেওয়ার পর একটি স্বতন্ত্র ডিজিটাল বোর্ডিং পাস পাওয়া যাবে, যা ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে হবে। নিবন্ধিত নামটি একটি মেমোরি কার্ডে সংরক্ষণ করা হবে, যা নভোচারীরা চাঁদে নিয়ে যাবেন। ২০২৬ সালের ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই নিবন্ধন করা যাবে।
আর্টেমিস-২ মিশন
নাসার তথ্যমতে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে ‘ওরিয়ন’ মহাকাশযানটি চাঁদে পাঠানো হবে। এই অভিযানে চারজন নভোচারীর সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের নাম সংবলিত মেমোরি কার্ডও পাঠানো হবে। মহাকাশযানটি চন্দ্রপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীতে ফিরে আসবে। এই মিশনটি আর্টেমিস-৩ মিশনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে, কারণ আর্টেমিস-৩ মিশনেই নভোচারীদের চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা রয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো দেশের এবং যেকোনো বয়সের মানুষ নাসার চন্দ্রাভিযানের অংশ হতে পারবে।
দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য কঠিন হলো যুক্তরাষ্ট্র, এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়লো
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন এক প্রোক্লেমেশন জারি করে এইচ-১বি কর্মী ভিসার ফি বছরে ১ লাখ ডলারে উন্নীত করেছেন। শুক্রবার সই হওয়া এই নির্দেশনার ফলে বিদেশি দক্ষ কর্মী নিয়োগে সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাত বড় ধরনের ধাক্কা খেতে পারে। বিশেষ করে ভারত ও চীনের নাগরিকরা এই ভিসার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার আইটি পেশাজীবীদের ওপর এর সরাসরি প্রভাব পড়বে।
‘সব বড় কোম্পানি রাজি’
মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক জানিয়েছেন, দেশের বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এই পরিকল্পনায় রাজি আছে। তার মতে, আগে প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি কর্মী এনে প্রশিক্ষণ দিত, এখন থেকে তারা বাধ্য হয়ে দেশীয় তরুণদের প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ দেবে। হোয়াইট হাউসের স্টাফ সেক্রেটারি উইল শার্ফ বলেছেন, এই পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে যে কোম্পানিগুলো কেবলমাত্র সেই সব বিদেশি কর্মীকে আনতে পারবে যারা অত্যন্ত দক্ষ এবং মার্কিন কর্মীদের দ্বারা প্রতিস্থাপনযোগ্য নয়। তিনি অভিযোগ করেন, এইচ-১বি হলো সবচেয়ে বেশি অপব্যবহৃত ভিসা ব্যবস্থাগুলোর একটি।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, কিছু কোম্পানি এই ভিসাকে ব্যবহার করে মার্কিন কর্মীদের মজুরি কমিয়ে দিচ্ছিল। নির্বাহী আদেশে উল্লেখ করা হয়, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত (স্টেম) খাতের কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ২৫ লাখে দাঁড়িয়েছে, অথচ ওই সময়ে সামগ্রিক স্টেম কর্মসংস্থান বেড়েছে মাত্র ৪৪ শতাংশ।
সমালোচকদের উদ্বেগ
সমালোচকরা বলছেন, এত বিপুল ফি চাপিয়ে দিলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সেরা মেধা আকর্ষণে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম মেনলো ভেঞ্চার্সের পার্টনার ডিডি দাস সতর্ক করে বলেছেন, “এটি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।” বিশ্লেষকরা মনে করেন, বড় কোম্পানির পক্ষে এই খরচ সামলানো সম্ভব হলেও ছোট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও স্টার্টআপগুলো সমস্যায় পড়বে এবং তারা কিছু কাজ বিদেশে সরিয়ে নিতে বাধ্য হতে পারে।
ইমার্কেটার বিশ্লেষক জেরেমি গোল্ডম্যানের মতে, স্বল্পমেয়াদে ওয়াশিংটন বিপুল রাজস্ব আদায় করলেও দীর্ঘমেয়াদে এই নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে দেবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে তাদের অবস্থান দুর্বল করতে পারে।
ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতীয় ও চীনা কর্মীরা
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর অনুমোদিত এইচ-১বি ভিসাধারীদের মধ্যে ভারতের অংশ ছিল ৭১ শতাংশ, আর চীনের ১১ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে শুধু অ্যামাজন ও এর ক্লাউড ইউনিট এডব্লিউএস পেয়েছে ১২ হাজারের বেশি এইচ-১বি ভিসা অনুমোদন। মাইক্রোসফট ও মেটা পেয়েছে ৫ হাজারের বেশি করে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের নেতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যেই বাজারে দেখা গেছে। আইটি সেবা নির্ভর প্রতিষ্ঠান কগনিজ্যান্টের শেয়ার ৫ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তালিকাভুক্ত ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইনফোসিস ও উইপ্রোর শেয়ারের দাম ২ থেকে ৫ শতাংশ কমে গেছে।
আইনগত বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন
এই সিদ্ধান্তের আইনগত বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের নীতিনির্দেশক অ্যারন রাইকলিন-মেলনিক বলেন, "কংগ্রেস সরকারকে শুধুমাত্র আবেদন প্রক্রিয়ার খরচ উদ্ধারের জন্য ফি নির্ধারণের অনুমতি দিয়েছে, এর বাইরে ফি চাপানো আইনসঙ্গত নয়।" বর্তমানে প্রতি বছর ৬৫ হাজার এইচ-১বি ভিসা দেওয়া হয়, সঙ্গে উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ হাজার ভিসা। সব ফি কোম্পানিকেই বহন করতে হয়।
একই দিনে ট্রাম্প আরও একটি নির্বাহী আদেশে ‘গোল্ড কার্ড’ চালু করেছেন। এর আওতায় ১০ লাখ ডলার পরিশোধ করে যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে পারবেন।
বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করল কানাডা
কানাডা সরকার তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কানাডার সরকারি ওয়েবসাইটে ‘ভ্রমণ’ বিভাগে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে পুরো বাংলাদেশের জন্য হলুদ চিহ্ন অর্থাৎ ‘উচ্চমাত্রায় সতর্ক থাকার’ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পার্বত্য তিন জেলায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে লাল চিহ্ন অর্থাৎ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন এই সতর্কতা?
কানাডা সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সম্ভাব্য বিক্ষোভ, সংঘর্ষ এবং দেশজুড়ে হরতাল-অবরোধের কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতির যেকোনো মুহূর্তে অবনতি ঘটতে পারে, যার আগাম সংকেত নাও পাওয়া যেতে পারে। তাই কানাডীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
পার্বত্য তিন জেলায় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংসতা, অপহরণ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘাতের কথা মাথায় রেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে হবে।
পাকিস্তান-সৌদি চুক্তি: নীরব সতর্কতা জারি করল ভারত
পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে ভারত। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ভারত আশা করে রিয়াদ পারস্পরিক স্বার্থ ও সংবেদনশীলতাগুলো মনে রাখবে।
চুক্তির প্রভাব বিবেচনা করছে ভারত
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সৌদি আরবের সঙ্গে তাদের কৌশলগত অংশীদারত্বের কথা তুলে ধরে বলেছে, এই সম্পর্ক গত কয়েক বছরে গভীর হয়েছে। রণধীর জয়সওয়াল বলেন, "আমরা সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি সইয়ের খবর দেখেছি। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য এই চুক্তির প্রভাবগুলো বিবেচনা করা হবে।"
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার সব পদক্ষেপ নেবে।
ঐতিহাসিক চুক্তি
গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো একটি দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে “উভয় দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন” হিসেবে গণ্য করা হবে এবং উভয় দেশ একসঙ্গে এর মোকাবিলা করবে।
এই চুক্তি এমন এক সময় স্বাক্ষরিত হলো, যখন কাতারে হামাস নেতৃত্বের ওপর ইসরায়েলি হামলার ঘটনা ঘটে। এটি দুই দেশের প্রায় আট দশকের দীর্ঘ ঐতিহাসিক অংশীদারত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ কোটি ডলারের থাড ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করল ইরান
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাত শেষে অবশেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এই সংঘাতে উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে এটিকে শুধু ইসরায়েলের পরাজয় হিসেবে নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পরাজয় হিসেবেও দেখা হচ্ছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র তাদের মিত্র ইসরায়েলকে সহায়তা দিতে গিয়ে উন্নত মানের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র (থাড) হারিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ক্ষয়ক্ষতি
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মেহের নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রকাশিত নথি থেকে জানা যায়, ইসরায়েলকে সহায়তা দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৫০ কোটি ডলারের উন্নত মানের থাড ক্ষেপণাস্ত্র হারিয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ও দ্য ওয়ার জোন, বিজনেস ইনসাইডারের মতো মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনেও এই তথ্য উঠে এসেছে।
পেন্টাগনের নথি ও ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা
পেন্টাগনের সদ্য প্রকাশিত বাজেট নথিতে দেখা গেছে, গত জুনে ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে প্রায় ৫০ কোটি ডলার মূল্যের ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতিস্থাপনের জন্য পেন্টাগন ৪৯৮ দশমিক ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের জরুরি তহবিল চেয়েছে।
নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েলকে সমর্থন দিতে যুক্তরাষ্ট্র ‘১০০ থেকে ১৫০টি থাড ক্ষেপণাস্ত্র’ নিক্ষেপ করেছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতিস্থাপনের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।
সূত্র : মেহের নিউজ এজেন্সি
আইফোন ১৭-এর জন্য এমন উন্মাদনা? বিক্রি শুরুর দিনে মারামারি
বিশ্বব্যাপী নতুন আইফোন ১৭ সিরিজের বিক্রি শুরু হয়েছে। নতুন এই ফোনের প্রতি ক্রেতাদের উন্মাদনা এতটাই বেশি যে, ভারতের মুম্বাইয়ের একটি অ্যাপল স্টোরে এটি কিনতে গিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শুধু মুম্বাই নয়, দিল্লি ও বেঙ্গালুরুর অ্যাপল স্টোরগুলোতেও ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এনডিটিভি-র এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, মুম্বাইয়ের অ্যাপল স্টোরের সামনে অসংখ্য ক্রেতা ঠেলাঠেলি করছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেললে হঠাৎ একে অপরকে থাপ্পড় ও ঘুষি মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে এক ব্যক্তিকে নিরাপত্তাকর্মীরা টেনে বের করার চেষ্টা করলে তিনি তাদের একজনকে আঘাত করার চেষ্টা করেন।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ভিড় সামলাতে নিরাপত্তাকর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন। ক্রেতাদের মারামারি শুরু হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। এরপর সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মীদের হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায়।
মুম্বাইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে অবস্থিত অ্যাপলের স্টোরে এই ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন ক্রেতা জানান, তারা ভোর ৫টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু পরে কিছু লোক মাঝখান দিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব এবং কর্তৃপক্ষের দায়সারা আচরণেও পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
আইফোন ১৭ সিরিজের আইফোন ১৭ প্রো এবং আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স মডেল দুটি অ্যালুমিনিয়ামের বডি, বড় ব্যাটারি ও নতুন ফুল-উইডথ ক্যামেরা প্ল্যাটোর জন্য ক্রেতাদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
আফগানিস্তানের তালেবান সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যক্রম থেকে নারী লেখকদের লেখা বই এবং ১৮টি নির্দিষ্ট বিষয় নিষিদ্ধ করেছে। নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশটিতে মানবধিকার ও যৌন হয়রানির মতো বিষয়গুলোও পড়ানো যাবে না। এটি তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর নারী ও মেয়েদের শিক্ষার ওপর জারি করা কঠোরতম বিধিনিষেধগুলোর একটি।
‘শরিয়া’ ও তালেবান নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক
বিবিসি আফগান-এর কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, ৬৭০টি বইকে ‘শরিয়া ও তালেবান নীতির’ পরিপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে নারী লেখকদের লেখা ১৪০টি বইও রয়েছে। এর মধ্যে ‘সেফটি ইন দ্য কেমিক্যাল ল্যাবরেটরি’-এর মতো বিজ্ঞান বিষয়ক বইও আছে।
তালেবান সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৮টি বিষয়ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে কারণ সেগুলো ‘শরিয়া ও ব্যবস্থার নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক’। এর মধ্যে ছয়টি বিষয় সরাসরি নারী বিষয়ক, যেমন: ‘জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’, ‘দ্য রোল অব উইমেন ইন কমিউনিকেশন’, এবং ‘উইমেন’স সোসিওলজি’।
‘শিক্ষায় বিশাল শূন্যতা তৈরি হবে’
তালেবানের ক্ষমতা দখলের আগে সাবেক বিচার উপমন্ত্রী এবং নিষিদ্ধ হওয়া বইয়ের একজন লেখক জাকিয়া আদেলি বলেন, “তালেবানের নারীবিদ্বেষী মানসিকতা ও নীতির কারণে যখন নারীদের নিজেদেরই পড়াশোনা করার অনুমতি নেই, তখন তাদের চিন্তাভাবনা ও লেখালেখিও দমন করা হবে, এটা স্বাভাবিক।”
তালেবান সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি একাডেমিক ডিরেক্টর জিয়াউর রহমান আরয়ুবির একটি চিঠি বিবিসি আফগান-এর হাতে এসেছে। চিঠিতে তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ ও পণ্ডিতদের একটি প্যানেল’ এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার কারণে শিক্ষাবিদদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। একজন অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেন, ‘ইরানি লেখক ও অনুবাদকদের বইগুলো আফগান বিশ্ববিদ্যালয় এবং বৈশ্বিক একাডেমিক কমিউনিটির মধ্যে প্রাথমিক যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে। এগুলো সরিয়ে দিলে উচ্চশিক্ষায় একটি বিশাল শূন্যতা তৈরি হবে, যা পূরণ করা প্রায় অসম্ভব।’
ইরানবিরোধী অবস্থান
নিষিদ্ধ বইয়ের ৫০ পৃষ্ঠার তালিকায় ৬৭৯টি বই রয়েছে, যার মধ্যে ৩১০টি বই ইরানের লেখক ও প্রকাশকদের। বই পর্যালোচনা কমিটির এক সদস্য বিবিসিকে বলেন, এই পদক্ষেপটি আফগান পাঠ্যক্রমে ‘ইরানি বিষয়বস্তুর অনুপ্রবেশ’ ঠেকানোর জন্য নেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যে পানি অধিকারের মতো বিষয়গুলো নিয়ে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। ইরান সম্প্রতি ১৫ লাখেরও বেশি আফগানকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে, যা দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন তৈরি করেছে।
/আশিক
সূত্র: বিবিসি
পাঠকের মতামত:
- “এস্তোনিয়ার আকাশে রুশ মিগ-৩১: ন্যাটোর জরুরি বৈঠক ডাকার ঘোষণা”
- “জলবায়ু বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব: COP30-এর আগে গুতেরেসের হুঁশিয়ারি”
- পাকিস্তানের পারমাণবিক সুরক্ষায় সৌদি আরব, চুক্তিতে কী আছে?
- ভারতে গ্রেফতার হলেন ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের হোসেন
- ইউরোপের আরেক দেশ এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে
- ঢাকায় শুটিং ও একাধিক অনুষ্ঠানে হানিয়া আমির, জেনে নিন তার সূচি
- বিনা খরচে চাঁদে নাম পাঠানোর সুযোগ দিচ্ছে নাসা
- কৃষি খাতে নীরব দুর্ভিক্ষ: সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে পচছে শত শত টন ফসল
- এশিয়া কাপ থেকে প্রিমিয়ার লিগ, দেখে নিন আজকের খেলার সূচি
- দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য কঠিন হলো যুক্তরাষ্ট্র, এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়লো
- আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াবো, জোট নিয়ে নাহিদ ইসলামের স্পষ্ট বার্তা
- বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করল কানাডা
- পাকিস্তান-সৌদি চুক্তি: নীরব সতর্কতা জারি করল ভারত
- মির্জা ফখরুল: বিপ্লবী সংগঠন ছাড়া বিপ্লব সম্ভব নয়
- দিল্লিতে বৃষ্টি পড়লে এদেশে ছাতা ধরার চেষ্টা হচ্ছে: চরমোনাই পীর
- রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ এক হচ্ছে
- ‘ব্লাড মুন’ এর পর এবার সূর্যগ্রহণ: বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে কি?
- যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ কোটি ডলারের থাড ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করল ইরান
- জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গ আর নেই
- ছাত্র সংসদ নির্বাচন আমাদের অর্জন: নাহিদ ইসলাম
- ঢাকায় পা রাখলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে ওলামা-মাশায়েখদের বিক্ষোভ
- আইফোন ১৭-এর জন্য এমন উন্মাদনা? বিক্রি শুরুর দিনে মারামারি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- সচিবের দুর্নীতি মামলা থেকে মুক্তি দিতে ১৫০ কোটি টাকার ডিলের তথ্য ফাঁস
- এক মাস পর আবারও তেলের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব
- সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ: অনলাইন জুয়া-জালিয়াতিতে কঠোর হচ্ছে সরকার
- দুদুর হুঁশিয়ারি: নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিহত করবে
- প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন: ইউপিইউ’র প্রশাসনিক কাউন্সিলে বাংলাদেশের পুনর্নির্বাচন
- আজ ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না, জেনে নিন কোন কোন এলাকা প্রভাবিত হবে
- মাদক ইস্যুতে এবার ভারতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর পদক্ষেপ
- চিয়া সিড খাচ্ছেন? এই ৫টি খাবার এর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বিপদ!
- ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে
- জুলাই-আগস্টে ৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন হার একেবারেই শূন্য
- চট্টগ্রামের রাউজানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিঃস্ব ১৩ পরিবার
- দেখে নিন সুপার ফোরে বাংলাদেশের টানা তিন ম্যাচের সময়সূচি
- জুমার দিনে মসজিদে কাঁধ ডিঙিয়ে সামনে যাওয়া কেন নিষিদ্ধ?
- নেপালে নির্বাচনের প্রস্তুতি, প্রবাসীরাও পাবেন ভোটের অধিকার
- বরিশালে এনসিপি নেতাদের জন্য ‘লাল কার্ড’ শিক্ষার্থীদের
- কোলেস্টেরল বাড়ছে? মাত্র ১ মাসেই নিয়ন্ত্রণে আনার উপায়
- গাজায় হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত: ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়েও প্রাণহানি
- বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
- পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতেই হবে: ফয়জুল করীম
- দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর: রেমিট্যান্স প্রবাহে আবারও রেকর্ড
- টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে নতুন বিতর্ক, নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন
- শাকিবের বিপরীতে ঢালিউডে অভিষেকের পথে পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
- বিরল ‘মস্তিষ্ক-খেকো’ অ্যামিবার বিস্তার, কেরালায় স্বাস্থ্য সতর্কতা
- নুরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জরুরি বার্তা
- স্মার্টফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? ঘরে বসেই সমাধান করার উপায়
- গাজার পর এবার পূর্ব জেরুজালেমকে ঘিরে ফেলছে ইসরায়েল
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ
- তারেক জিয়ার কেন দেশে ফেরা কেন জরুরি?
- ভদ্রতার নিয়ম ভাঙল ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থ পাচারের অভিযোগে নতুন করে আলোড়ন
- যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ভারতীয় প্রৌঢ় খুন: অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা ট্রাম্পের
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ১৫ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার