দিল্লিতে বৃষ্টি পড়লে এদেশে ছাতা ধরার চেষ্টা হচ্ছে: চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম অভিযোগ করেছেন যে, দেশের রাজনীতিতে আবার কেউ কেউ ‘নব্য ফ্যাসিবাদী’ আচরণ করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, এখন আবার কেউ কেউ নব্য ফ্যাসিবাদী আচরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। দিল্লিতে বৃষ্টি পড়লে এদেশে ছাতা ধরার চেষ্টা করছে।” তিনি আরও বলেন, দিল্লি বা বিদেশি প্রেসক্রিপশনে দেশ চালানোর এই অপচেষ্টা দেশের জনগণ মেনে নেবে না এবং যারা এসব ষড়যন্ত্র করছে তাদের রুখে দিতে হবে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধোলাইখাল ট্রাকস্ট্যান্ডে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘ইসলামী শক্তির পক্ষে কাজ করুন’
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, স্বাধীনতার পর যারা দেশ শাসন করেছে, তারা দেশকে বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে এবং গুম ও খুনের রাজ্যে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, এর ফলে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়েছে।
চরমোনাই পীর বলেন, ৫ আগস্টের পর যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে ইসলামী শক্তির পক্ষে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, এখন দেশের মানুষ ইসলামের সৌন্দর্যের ওপর আস্থা রাখতে চায়। এ সময় তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনে হাতপাখার প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
গণসমাবেশে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলমসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ এক হচ্ছে
আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন উঠেছে যে, তরুণদের নেতৃত্বে পরিচালিত দুটি রাজনৈতিক দল—জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হওয়ার পথে হাঁটছে। উভয় দলই কোটাবিরোধী আন্দোলনের ভিত্তি ধরে গড়ে উঠেছে। রাজনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, যদি এই দুই দল একীভূত হয়, তাহলে তা আগামী নির্বাচনে একটি বিকল্প শক্তি হিসেবে বড় প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য তারা একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছে।
‘আলোচনার পর্যায়ে’ রয়েছে ঐক্য প্রক্রিয়া
এনসিপি এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো ঘোষণা আসেনি। এনসিপি নেতারা বলেছেন, বিষয়টি এখনো ‘আলোচনার পর্যায়ে’ আছে। গণঅধিকার পরিষদের একাধিক নেতাও রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নতুন সমীকরণে আগ্রহী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
জানা গেছে, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। তখন থেকেই দুই দলের মধ্যে একীভূত হওয়া নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথাবার্তা শুরু হয়। তবে দুই দলের বেশ কয়েকজন নেতা এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “রাজনীতিতে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা সব সময়ই হয়। আমাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে, কিন্তু একীভূত হওয়ার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক বা আলোচনা হয়নি।” তিনি বলেন, “সংস্কার, বিচার, নির্বাচন ইস্যুতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া আছে, তবে এখনই মন্তব্য করার সময় আসেনি।”
অন্যদিকে, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, “এখনো এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। এটি নিয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি।”
একই প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠা
এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট প্রায় একই রকম। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলন থেকে এনসিপির যাত্রা শুরু হয়। এনসিপির অনেক শীর্ষ নেতার রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন সংগঠন থেকেই। এ কারণে অনেকেই নুরুল হক নুরকে এনসিপির অনেক নেতার ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেও মনে করেন।
গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান একীভূত হওয়ার সম্ভাবনা বাতিল করেননি। তিনি বলেন, “আলোচনা তো অনেক কিছুই হচ্ছে। আমরা তারুণ্যের শক্তিগুলোকে এক করার চেষ্টা করছি। রাজনীতিতে তো অনেক কিছুই সম্ভব।”
ছাত্র সংসদ নির্বাচন আমাদের অর্জন: নাহিদ ইসলাম
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াকে একটি বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে দলের সমন্বয় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
‘ছাত্র সংসদ নির্বাচন আমাদেরই দাবি’
নাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর তারাই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছিলেন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে এবং শিগগিরই আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার মতে, গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া জরুরি।
ব্যর্থতার কারণ খুঁজছে এনসিপি
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এনসিপি সমর্থিত প্যানেলের আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন ছাত্র নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা যে প্যানেলকে সমর্থন করেছিলাম, তারা আশানুরূপ ফল করতে পারেনি।”
তিনি বলেন, এই ব্যর্থতার কারণ খুঁজে দেখতে তারা আত্মমূল্যায়ন করছেন। তিনি স্বীকার করেন, গত এক বছরে সাংগঠনিকভাবে যতটা শক্তিশালী হওয়ার কথা ছিল, দলটি তা অর্জন করতে পারেনি। এই ব্যর্থতার পেছনে নানা ধরনের অস্থিরতা ও পরিস্থিতি দায়ী বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে তিনি মনে করেন, তাদের সমর্থিত ছাত্র সংগঠনগুলো খুব অল্প সময়ের জন্য রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। ভবিষ্যতে একই ভুল যাতে না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, অঙ্গসংগঠনের নেতা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সমন্বয়কারীরা উপস্থিত ছিলেন।
দুদুর হুঁশিয়ারি: নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিহত করবে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হতো, তাহলে আওয়ামী লীগের এমন করুণ পরিণতি হতো না। তিনি বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশায় দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম চলছে, যেখানে অনেক তরুণ প্রাণ ঝরে গেছে এবং লক্ষাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত এক প্রতীকী যুব সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ
শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। তিনি আরও বলেন, “স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে আবারও ষড়যন্ত্র করছেন এবং চোরাগোপ্তা হামলার পরিকল্পনা করছেন।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি তারা আবার ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, তাহলে জনগণ সম্মিলিতভাবে তাদের প্রতিহত করবে।
‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে’
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে যদি নির্বাচনের ঘোষণা আসে, তবে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে এবং জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে আবারও ক্ষমতায় আনবে। তিনি বলেন, আগামী দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসবেন এবং জনগণের ওপর নির্ভর করে দেশকে এগিয়ে নেবেন। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
সাবেক এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বহুবার দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই দাবি উপেক্ষা করেছে, যার কারণে তাদের এমন করুণ পরিণতি হয়েছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহসহ অন্যান্য নেতারা।
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতেই হবে: ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, দেশে প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। তিনি বলেন, পূর্বের মতো ‘জগাখিচুড়ি’ নির্বাচন হলে দখলবাজি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির রাজত্ব আবারও কায়েম হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডেমরার কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত এক গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
‘ইসলামী সরকার দেখতে চাই’
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, বর্তমানে একটি দল এ দেশকে দখলবাজি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “ওই দল যদি বলে নির্বাচন হলে ৯৫ শতাংশ ভোট তারাই পাবে, তাহলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে আসতে এত ভয় কেন?”
তিনি বলেন, পূর্বের মতো নির্বাচন হলে “যেই লাউ সেই কদু” হবে। তাই তিনি এবার ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে একটি ইসলামী সরকার দেখতে চান। তার মতে, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে আর ধনী-গরিবের ব্যবধান থাকবে না এবং কোনো মানুষ না খেয়ে বা বিনা চিকিৎসায় কষ্ট করবে না।
‘জুলাই অভ্যুত্থানের খুনিদের বিচার চাই’
ফয়জুল করীম বলেন, অভাব না থাকলে দেশে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই কমে যাবে এবং মানুষ নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। এই লক্ষ্য পূরণে অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। এর আগে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের খুনিদের দৃশ্যমান বিচার দাবি করেন তিনি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি ও ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এম এইচ মোস্তফার সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকীসহ অন্যান্য নেতারা। সমাবেশে কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নুরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জরুরি বার্তা
হামলায় গুরুতর আহত গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে কমপক্ষে চার থেকে ছয় সপ্তাহ পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ৫২ মিনিটে নুরের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে এক জরুরি বার্তায় তার বর্তমান শারীরিক অবস্থার কথা জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, মাথায়, নাকে ও মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাতের কারণে চিকিৎসকরা নুরকে এই দীর্ঘ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। নাক ও চোয়ালে আঘাত থাকায় তাকে শক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে এবং কম কথা বলতে বলা হয়েছে। যদিও রাজনীতির মানুষ হওয়ায় মনের জোরে তিনি ইতোমধ্যে অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং কথা বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার দ্রুত আরোগ্য নিশ্চিত করতে আপাতত সব ধরনের সাক্ষাৎ ও কথা বলা বন্ধ করা হয়েছে। তার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়াও চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান নুরুল হক নুর। রাজধানীর কাকরাইলে হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার পর থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় তিনি জানিয়েছিলেন, পুরোপুরি সুস্থ নন এবং বাসায় ফিরে অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন।
বাউফলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক, ছাড়াতে থানায় হাজির জামায়াত নেতা
পটুয়াখালীর বাউফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এক নাটকীয় ঘটনা। সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ, আর তাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় হাজির হয়েছেন স্থানীয় এক জামায়াত নেতা। বিষয়টি স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে।
আটক যুবক মাইনুল ইসলাম মমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আব্দুস সালাম সিকদারের ছেলে এবং কেশবপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ মাইনুলকে নিজ গ্রাম থেকে আটক করে।
আটকের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাইনুলের কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। সেসব ছবিতে তাকে আওয়ামী লীগের কিছু নেতার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। ফলে তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে এলাকায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, ২০২৪ সালের কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় মাইনুল ও তার ভাই আমিনুল নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এনামুল হক ওরফে অপুর সমর্থকদের পক্ষে ভাঙচুর ও সংঘর্ষে অংশ নিয়েছিলেন। এনামুল হক হলেন সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের শ্যালক এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
তবে বৃহস্পতিবার মাইনুল আটক হওয়ার পর ঘটনাটি ভিন্ন মোড় নেয়। তাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় যান কেশবপুর ইউনিয়ন যুব জামায়াতের সভাপতি গোলাম আবু সাঈদ। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাঈদ দাবি করেন, মাইনুল এখন আর ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত নন। বরং তিনি বর্তমানে ইউনিয়ন জামায়াতের যুব কমিটির অর্থ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার ভাষায়, “যেহেতু তিনি আমাদের কমিটির পদে আছেন, তাই আমি স্বাভাবিকভাবেই থানায় গিয়েছিলাম।”
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরুজ্জামান সরকার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “মাইনুলকে ছাড়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন।”
-রাফসান
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করবে না: মেজর হাফিজ
বিএনপি ক্ষমতায় এলে কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাস করবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে লালমোহন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির আয়োজনে একটি ওলামায়ে কেরাম সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
‘ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখা হবে’
মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি সবসময় দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের যথাযথ মূল্যায়ন করে। তিনি বলেন, “বিগত সময়ে বিএনপি চারবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছিল। তখনও আমরা আলেম-ওলামা ও ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে চেয়েছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি যদি আগামীতে দেশের জনগণের ভোটে জাতীয় সংসদে যেতে পারে, তাহলে আমাদের দল কখনই কোরআন ও সুন্নাহ’র আদর্শের বিরুদ্ধে কোনো আইন পাশ করবে না। অতীতেও আমরা আলেম-ওলামাদের সম্মান দিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করব।”
‘ইসলামের জাগরণ হয়েছে’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ একটি বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। এখানে ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো আইন পাস করে কোনো শাসকের স্থান ভবিষ্যতে আর হবে না। তিনি বলেন, “বিশেষ করে, শেখ হাসিনার এই পরিণতি দেখার পরে সকল রাজনৈতিক দল এখন সাবধান এবং এ দেশে ইসলামের জাগরণ হয়েছে।”
লালমোহন করিম রোড জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন লালমোহন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা এবং বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও আলেম-ওলামারা।
আলোচনার সময় কর্মসূচি দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আলোচনার সময় কর্মসূচি দিয়ে অহেতুক চাপ সৃষ্টি করা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। রাজপথে নেমে সমস্যার সমাধান হবে না, বরং আলোচনার মাধ্যমেই তা সম্ভব। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বিএনপি কোনো ইস্যুতে আন্দোলনে যায়নি। তিনি আরও জানান, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়।
তিনি বলেন, আগামীতে তিনি জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেবেন, তবে এজেন্ডা নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আমীর খসরু: নির্বাচিত সরকার ছাড়া অস্থিতিশীলতা কাটবে না
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশে রাজনৈতিক সরকার না থাকায় জবাবদিহিতা ও স্থিতিশীলতার অভাব তৈরি হয়েছে। তার মতে, নির্বাচিত সরকার ছাড়া রাষ্ট্রের সব অঙ্গকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তাই দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে গণতান্ত্রিক ধারায় প্রত্যাবর্তন জরুরি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ঢাকা মহানগরীর হাতিরঝিলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরকে দেখতে যান। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা একটি স্থিতিশীল অবস্থা চাই, যেখানে দেশের মানুষ নিরাপদ জীবনযাপন করতে পারবে। সরকার যদি নির্বাচনের মাধ্যমে আসে এবং জনগণের সমর্থন পায়, তাহলে রাষ্ট্রের সব অঙ্গ রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। তা না হলে অস্থিরতা চলতেই থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, সরকারের শক্তির মূল উৎস জনগণ। নির্বাচিত সরকার ছাড়া রাষ্ট্রের শক্তি টেকসই হয় না। এজন্য দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত একটি সরকার গঠন অপরিহার্য।
নুরুল হক নূরের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে
আলাপচারিতার প্রসঙ্গ টেনে খসরু বলেন, “আমরা যত দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার পাব, যেখানে জনগণের সমর্থন থাকবে, যারা রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হবে—তত দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরবে। জনগণের শক্তির অনুপস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে, বরং ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।”
জবাবদিহিতার সংকট
সংসদের অনুপস্থিতি ও জবাবদিহিতার ঘাটতির প্রসঙ্গ টেনে খসরু বলেন, “সংসদ নেই, এখানে জবাবদিহিতার অনুপস্থিতি স্পষ্ট। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। এর জন্য কাউকে দায়ী করায় লাভ নেই, কারণ নির্বাচিত সরকার না থাকলে দায়বদ্ধতার ঘাটতি থাকবেই।”
ভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবি প্রসঙ্গে
বৃহস্পতিবার ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে, যেখানে জাতীয় নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে করার প্রস্তাব রাখা হয়। এ বিষয়ে বিএনপি নেতা খসরু বলেন, “এটা চাইতেই পারে, এতে কোনো অসুবিধা নেই। আমাদেরও কিছু দাবি আছে। তবে সব দাবিতে ঐক্যমত হবে, তা ভাবার কারণ নেই। বিভিন্ন দর্শন ও চিন্তাধারার কারণে আলাদা দল টিকে আছে। যদি সবার একই দাবি হতো, তাহলে বাকশালের মতো একদলীয় ব্যবস্থা হয়ে যেত। সুতরাং জনগণের কাছে গিয়ে, নির্বাচনের মাধ্যমে ম্যান্ডেট নিয়েই এসব দাবি পূরণ করতে হবে। এটাই গণতন্ত্র।”
গণতন্ত্র না হলে অস্থিতিশীলতা বাড়বে
খসরুর মতে, গণতান্ত্রিক কাঠামোতে জনগণই রাজনৈতিক শক্তির উৎস। জনগণের আস্থা ও ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না। তিনি বলেন, “যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস না করা হয়, তবে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না। বরং এভাবে চলতে থাকলে পরাজিত শক্তির জন্য সুযোগ তৈরি হবে এবং তারা লাভবান হবে।”
নির্বাচনের প্রস্তুতি
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। এ প্রসঙ্গে খসরু বলেন, “দেশ নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। এর জন্যই গত ১৫–১৬ বছর ধরে সবাই ত্যাগ স্বীকার করেছে। নির্বাচনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের দাবি-দাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। দাবি থাকতে পারে, তবে সেগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে, ম্যান্ডেট পেতে হবে, তারপর সংসদে আলোচনা ও বিতর্কের মাধ্যমে অনুমোদন পেতে হবে। এটাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালে কেউ যদি অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করে, তবে তাদের রাজনৈতিকভাবে দায় বহন করতে হবে।”
পাঠকের মতামত:
- দিল্লিতে বৃষ্টি পড়লে এদেশে ছাতা ধরার চেষ্টা হচ্ছে: চরমোনাই পীর
- রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ এক হচ্ছে
- ‘ব্লাড মুন’ এর পর এবার সূর্যগ্রহণ: বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে কি?
- যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ কোটি ডলারের থাড ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করল ইরান
- জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গ আর নেই
- ছাত্র সংসদ নির্বাচন আমাদের অর্জন: নাহিদ ইসলাম
- ঢাকায় পা রাখলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে ওলামা-মাশায়েখদের বিক্ষোভ
- আইফোন ১৭-এর জন্য এমন উন্মাদনা? বিক্রি শুরুর দিনে মারামারি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- সচিবের দুর্নীতি মামলা থেকে মুক্তি দিতে ১৫০ কোটি টাকার ডিলের তথ্য ফাঁস
- এক মাস পর আবারও তেলের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব
- সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ: অনলাইন জুয়া-জালিয়াতিতে কঠোর হচ্ছে সরকার
- দুদুর হুঁশিয়ারি: নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিহত করবে
- প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন: ইউপিইউ’র প্রশাসনিক কাউন্সিলে বাংলাদেশের পুনর্নির্বাচন
- আজ ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না, জেনে নিন কোন কোন এলাকা প্রভাবিত হবে
- মাদক ইস্যুতে এবার ভারতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর পদক্ষেপ
- চিয়া সিড খাচ্ছেন? এই ৫টি খাবার এর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বিপদ!
- ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে
- জুলাই-আগস্টে ৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন হার একেবারেই শূন্য
- চট্টগ্রামের রাউজানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিঃস্ব ১৩ পরিবার
- দেখে নিন সুপার ফোরে বাংলাদেশের টানা তিন ম্যাচের সময়সূচি
- জুমার দিনে মসজিদে কাঁধ ডিঙিয়ে সামনে যাওয়া কেন নিষিদ্ধ?
- নেপালে নির্বাচনের প্রস্তুতি, প্রবাসীরাও পাবেন ভোটের অধিকার
- বরিশালে এনসিপি নেতাদের জন্য ‘লাল কার্ড’ শিক্ষার্থীদের
- কোলেস্টেরল বাড়ছে? মাত্র ১ মাসেই নিয়ন্ত্রণে আনার উপায়
- গাজায় হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত: ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়েও প্রাণহানি
- বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
- পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতেই হবে: ফয়জুল করীম
- দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর: রেমিট্যান্স প্রবাহে আবারও রেকর্ড
- টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে নতুন বিতর্ক, নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন
- শাকিবের বিপরীতে ঢালিউডে অভিষেকের পথে পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
- বিরল ‘মস্তিষ্ক-খেকো’ অ্যামিবার বিস্তার, কেরালায় স্বাস্থ্য সতর্কতা
- নুরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জরুরি বার্তা
- স্মার্টফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? ঘরে বসেই সমাধান করার উপায়
- গাজার পর এবার পূর্ব জেরুজালেমকে ঘিরে ফেলছে ইসরায়েল
- বাউফলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক, ছাড়াতে থানায় হাজির জামায়াত নেতা
- চাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেল ঘোষণা
- মোদি সরকারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
- বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর: আগামী বইমেলার তারিখ ঘোষণা
- অবহেলা নয়: ক্যান্সারের ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ, যা জানা জরুরি
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করবে না: মেজর হাফিজ
- আলোচনার সময় কর্মসূচি দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল
- আমীর খসরু: নির্বাচিত সরকার ছাড়া অস্থিতিশীলতা কাটবে না
- সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আসিফ নজরুলের পোস্ট
- জাতীয় নির্বাচন: ৭০% সরঞ্জাম কেনা শেষ
- সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, নাহিদ ইসলামের জেরা অব্যাহত ট্রাইব্যুনালে
- শুক্রবার রাতে গ্যাস থাকবে না হাজারো গ্রাহকের ঘরে
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানি
- ব্লক মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের দাপট
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ
- তারেক জিয়ার কেন দেশে ফেরা কেন জরুরি?
- ভদ্রতার নিয়ম ভাঙল ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
- শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থ পাচারের অভিযোগে নতুন করে আলোড়ন
- যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ভারতীয় প্রৌঢ় খুন: অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা ট্রাম্পের
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- ১৫ সেপ্টেম্বর শীর্ষ দশ কোম্পানি দর হারাল