গোপালগঞ্জে এনসিপি-সংঘর্ষে নিহতদের লাশ উত্তোলন

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২১ ১৪:৫৩:২৪
গোপালগঞ্জে এনসিপি-সংঘর্ষে নিহতদের লাশ উত্তোলন

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় নিহত তিন ব্যক্তির লাশ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার (২১ জুলাই) সকালে গোপালগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের আদেশ অনুযায়ী এই লাশ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হয়। নিহতরা হলেন রমজান কাজী, সোহেল রানা ও মো. ইমন তালুকদার।

গোপালগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মো. ফারুক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আদালতের আদেশটি আমরা সকালের মধ্যে পেয়েছি এবং সে অনুযায়ী আজই ময়নাতদন্তের লক্ষ্যে লাশ উত্তোলনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।”

এই ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের কাছে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেছিলেন। গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, “তদন্তের স্বার্থে এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে আজ লাশ উত্তোলনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে।”

এদিকে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে গোপালগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, “কোনো কারফিউ কিংবা ১৪৪ ধারা জারি নেই। মানুষজন স্বাভাবিকভাবে কর্মস্থল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাজারে যাতায়াত করছেন।”

উল্লেখ্য, গত বুধবার এনসিপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণহানি ছাড়াও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন এবং ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে গতি আনতে এবং প্রকৃত ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের জন্য পুনরায় ময়নাতদন্ত জরুরি বলে মনে করছে তদন্ত দল।

গত ২৪ ঘণ্টায় এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও সাতজনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষ-পরবর্তী অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট ৩১৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তদন্তে জড়িত থাকার প্রমাণ না থাকায় তাঁদের অনেককেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ