চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো দুই জনের শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের একজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের মধ্যে জ্বর, শরীর ব্যথা ও ফোলাভাবসহ বেশ কিছু উপসর্গ দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। সোমবার নগরের একটি বেসরকারি ল্যাব—এপিক হেলথ কেয়ারে কম্বাইন কিটের মাধ্যমে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়।

চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, “বেসরকারি একটি ল্যাবে পরীক্ষার মাধ্যমে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। মঙ্গলবার থেকে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু হয়েছে এবং আক্রান্তদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

চট্টগ্রাম জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, “একটি কম্বাইন কিটের মাধ্যমে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যা একাধিক ভাইরাস সনাক্তে সক্ষম। চূড়ান্ত নিশ্চিতকরণে আরও কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হবে।”

জানা গেছে, আক্রান্ত পুরুষের জ্বর, তীব্র শরীর ব্যথা ও ত্বকে লালচে ছোপ দেখা গেছে। অন্যদিকে, নারীর জ্বর, হাত-পা ব্যথা ও অস্বাভাবিক ফোলাভাব দেখা গেছে।

জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর তথ্য অনুযায়ী, জিকা ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রামে থাকতে হয় এবং প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। উপসর্গের মধ্যে র‌্যাশ, মাথা ব্যথা, চোখ লাল হওয়া, মাংসপেশি ও গিঁটে ব্যথা দেখা দিতে পারে। তবে আক্রান্তদের প্রায় ৮০ শতাংশের কোনো লক্ষণই প্রকাশ পায় না। সাধারণত সংক্রমণের ৩ থেকে ১২ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয় এবং তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হতে পারে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সতর্কতা ও দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণই এই ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে।

/আশিক