স্বাস্থ্য জিজ্ঞাসা
মোটা হলেই কি অসুস্থ? বাস্তবতা, বিজ্ঞান ও ভুল বোঝাবুঝির অনুসন্ধানে

তুমি অনেক মোটা হয়ে গেছো, শরীর খারাপ হচ্ছে না?” — এই প্রশ্নটা আমাদের সমাজে যেন একধরনের স্বাভাবিক বাক্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই কথাটার পেছনে যে কতটা ভুল ধারণা, কতটা কুসংস্কার এবং কতটা অপমান লুকিয়ে থাকে, সেটা কি আমরা ভাবি? মোটা মানুষদের অনেকেই সামাজিকভাবে হেয় হন, অনেকে নিজের শরীর নিয়ে সংকোচে ভোগেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো—অতিরিক্ত মোটা হওয়া কি সবসময়ই অসুস্থতার লক্ষণ?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে চিকিৎসাবিজ্ঞান, স্বাস্থ্যসংস্থার বিশ্লেষণ, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কিছু মানবিক দৃষ্টিকোণের দিকে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষ্য: মোটা হওয়া মানেই রোগ?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), Mayo Clinic এবং যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (CDC)—তিনটি প্রধান প্রতিষ্ঠানই একমত যে স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন এক ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির অবস্থা। তাদের মতে, শরীরে চর্বির মাত্রাতিরিক্ত সঞ্চয় ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ক্যান্সার, জয়েন্টের সমস্যা এবং নিদ্রাজনিত শ্বাসকষ্টসহ বহু জটিল রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
বিশেষ করে Mayo Clinic সতর্ক করে যে স্থূলতা শুধু শরীরের আকার বা সৌন্দর্যের প্রশ্ন নয়—এটি একটি জটিল বিপাকীয় সমস্যা যা পুরো শরীরকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতেই সব মোটা মানুষ একসঙ্গে সব রোগে আক্রান্ত হন না। অনেকে শরীরের ওজন বেশি হলেও, তাদের রক্তচাপ, ব্লাড সুগার এবং কোলেস্টেরল পুরোপুরি স্বাভাবিক থাকে। সুতরাং, মোটা হওয়া মানেই অসুস্থ—এই সরলীকরণ বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক নয়।
কেন বাড়ে শরীরের ওজন? কারণ খুঁজে দেখা যাক
১. অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ ও কম শারীরিক পরিশ্রম
খাবার যতটা খাই, শরীর যদি ততটা খরচ না করে, তাহলে বাড়তি ক্যালরি জমতে জমতে চর্বিতে রূপান্তরিত হয়। বিশেষ করে আধুনিক জীবনে ফাস্টফুড, সফট ড্রিংকস, অতিরিক্ত চিনি, তেল ও পরিমিতির বাইরে খাওয়ার অভ্যাস শরীরের ক্যালরি ভারসাম্য নষ্ট করে। আবার একটানা বসে থাকা, অফিসে দীর্ঘ সময় ডেস্কে কাজ করা, গাড়িতে যাতায়াত—এসব কারণে শরীর পর্যাপ্ত ক্যালরি খরচ করতে পারে না।
২. জেনেটিক বা বংশগত প্রভাব
অনেকে জন্ম থেকেই এমন শারীরবৃত্তীয় কাঠামো নিয়ে জন্মান, যেখানে তাদের মেটাবলিজম কম থাকে। শরীর খাবার ধীরে হজম করে এবং ক্যালরি সঞ্চয় করে বেশি। এমন পরিবারেও দেখা যায়, বাবা-মা মোটা হলে সন্তানরাও সাধারণত একই ধরনের প্রবণতা দেখায়। ফলে বলা যায়, স্থূলতার পেছনে জিনগত কারণও একটি বড় নিয়ামক।
৩. হরমোনগত সমস্যা ও ওষুধের প্রভাব
থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি (Hypothyroidism), কুশিং সিনড্রোম বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের মতো সমস্যা শরীরের বিপাকগত গতি কমিয়ে দেয়। ফলে শরীর সহজেই ওজন বাড়িয়ে ফেলে। এছাড়া বিষণ্নতা, মানসিক রোগ বা দীর্ঘমেয়াদি ব্যথার জন্য ব্যবহৃত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও ওজন বেড়ে যেতে পারে।
৪. মানসিক চাপ ও আবেগের প্রভাব
চাপ বা স্ট্রেস আমাদের হরমোনে প্রভাব ফেলে এবং ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। ফলে আমরা “স্ট্রেস ইটিং”-এর শিকার হই। ঘুমের অভাবও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনকে বিঘ্নিত করে। একইভাবে বিষণ্নতায় ভোগা মানুষরা অনিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে ওজন বাড়িয়ে ফেলতে পারেন।
কী কী রোগের ঝুঁকি বাড়ায় অতিরিক্ত ওজন?
টাইপ-২ ডায়াবেটিস: গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত ওজনের সঙ্গে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। স্থূল ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি সাধারণ মানুষের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বেশি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সামান্য ওজনাধিক্য থাকলেও ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা ৫ গুণ বেড়ে যায়।
হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ: শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমলে হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে। এতে করে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে।
জয়েন্টের ক্ষয় ও ব্যথা: ওজন বেশি হলে হাঁটু, কোমর ও মেরুদণ্ডে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এতে করে অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টের ক্ষয়জনিত ব্যথা দেখা দিতে পারে।
স্লীপ অ্যাপনিয়া ও ঘুমের সমস্যা: গলার চারপাশে ও মুখমণ্ডলে চর্বি জমে গেলে ঘুমের মধ্যে শ্বাস আটকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে, যাকে বলা হয় স্লীপ অ্যাপনিয়া।
ক্যান্সার ও মানসিক স্বাস্থ্য: বিশেষ কিছু ধরনের ক্যান্সার—যেমন স্তন, কোলন, কিডনি—ওজনাধিক্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাছাড়া ওজন নিয়ে হীনম্মন্যতা ও সামাজিক অবহেলা মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ব্যতিক্রম কি আছে? “মোটা কিন্তু সুস্থ” কি সম্ভব?
চিকিৎসা বিজ্ঞানে “Metabolically Healthy Obesity” নামে একটি অবস্থা আছে। এতে কেউ মোটা হলেও তার রক্তচাপ, ব্লাড সুগার, কোলেস্টেরল সবই থাকে স্বাভাবিক। এই ধরনের মানুষদের বলা হয় “সুস্থ মোটা”। তারা দৈনন্দিন কাজ স্বাভাবিকভাবে করতে পারেন, ব্যায়াম করেন এবং সচেতনভাবে খাওয়ার অভ্যাস মেনে চলেন।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, এই সুস্থ মোটা অবস্থাও চিরস্থায়ী নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, শারীরিক কার্যকলাপ কমে গেলে বা হরমোন পরিবর্তনের ফলে, এদের মধ্যেও জটিল রোগের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ সুস্থ মোটা থাকা সম্ভব হলেও তা একটি অস্থায়ী অবস্থা।
BMI কি সত্যি সব বলে?
শরীরের ওজন ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরূপণের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত সূচক হচ্ছে BMI বা বডি মাস ইনডেক্স। একজন ব্যক্তির ওজন ও উচ্চতার অনুপাতে নির্ধারিত এই সংখ্যা থেকে বোঝা যায় তিনি কোন ওজন শ্রেণিতে পড়েন। সাধারণত ১৮.৫ থেকে ২৪.৯ পর্যন্ত BMI স্বাভাবিক ধরা হয়, ২৫ থেকে ২৯.৯ হলে তাকে অতিরিক্ত ওজন এবং ৩০ বা তার উপরে হলে স্থূল বা মোটা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে BMI-এরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এটি শরীরে চর্বি আর পেশির অনুপাত আলাদা করে বোঝাতে পারে না। ফলে কোনো কোনো পেশীবহুল অ্যাথলেটের BMI হয়তো বেশি, কিন্তু শরীরে অতিরিক্ত চর্বি একেবারেই নেই। আবার কারো BMI স্বাভাবিক হলেও তার পেটে যদি অতিরিক্ত চর্বি জমে, তাহলে ঝুঁকি অনেক বেশি হতে পারে। তাই চিকিৎসকেরা এখন কোমরের মাপ, শরীরের চর্বির বণ্টন, ও অন্যান্য ক্লিনিক্যাল পরীক্ষাকে ওজন মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেন।
সমাজ কী ভাবে মোটা মানুষদের?
এটাই সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিক। আমাদের সমাজে মোটা মানুষদের নিয়ে কটাক্ষ, অপমান এবং হাস্যরস তৈরি করা যেন একধরনের বিনোদন হয়ে দাঁড়িয়েছে। "মোটা", "হাতি", "ঢোল", "মামাবাড়ির ভূত"—এই সব ট্যাগ একটি শিশু থেকে শুরু করে পূর্ণবয়স্ক মানুষ পর্যন্ত বহন করতে বাধ্য হন।
বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে শরীরের আকারকে ঘিরে তৈরি হয় সামাজিক চাপ। বিয়ের ক্ষেত্রে, পেশাগত ক্ষেত্রে কিংবা বন্ধুবান্ধবদের মধ্যেও এই ‘শরীর নিয়ে তাচ্ছিল্য’ তাদের আত্মবিশ্বাসকে ভেঙে দেয়। অনেকেই বিষণ্নতায় ভোগেন, আত্মপ্রত্যয় হারিয়ে ফেলেন। এটি এক ধরনের মানসিক সহিংসতা।
তাহলে করণীয় কী?
প্রথমেই দরকার নিজের শরীর সম্পর্কে সঠিকভাবে জানার। শুধুমাত্র ওজন নয়, বরং রক্তচাপ, রক্তে চিনির মাত্রা, কোলেস্টেরল, কোমরের মাপ এবং পারিবারিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। বেশি চিনি, তেল, ফাস্টফুড না খেয়ে সুষম খাবার খেতে হবে, ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তৃতীয়ত, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করা উচিত, অন্তত দিনে ৩০ মিনিট। একটানা বসে না থেকে মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে হাঁটলে শরীর সক্রিয় থাকে। চতুর্থত, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। স্ট্রেস কমাতে হবে, ভালো ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে কাউন্সেলিংয়ের সাহায্য নেওয়া উচিত। এবং অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি থাইরয়েড বা অন্য কোনো হরমোনগত সমস্যা থেকে থাকে।
সবশেষে বলা যায়, অতিরিক্ত মোটা হওয়া সবসময়ই অসুস্থতার লক্ষণ নয়। তবে এটি প্রায়শই শরীরের বিপাক ক্রিয়ার জটিলতা বা ভবিষ্যতের কোনো রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। তাই “মোটা হলেই অসুস্থ” কিংবা “মোটা মানেই অলস”—এই স্টেরিওটাইপ আমাদের ভাঙতে হবে। একইসঙ্গে বুঝে নিতে হবে, স্বাস্থ্যবান থাকতে হলে কেবল ওজন নয়, পুরো জীবনধারাই আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া উচিত শরীর নয়, স্বাস্থ্যের দিকে। কারণ, "স্বাস্থ্য আগে, শরীর পরে।"
কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে: আজই শুরু করুন এই সহজ অভ্যাস
কিডনি মানব শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা শরীরের ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। এটি রক্ত থেকে অপ্রয়োজনীয় টক্সিন ও অতিরিক্ত পানি বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে। তাই কিডনির সুস্থতা বজায় রাখা অপরিহার্য। আধুনিক জীবনযাত্রায় আমরা প্রায়ই এর যত্ন নিতে ভুলে যাই। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায় হলো সকালে খালি পেটে পর্যাপ্ত পানি পান করা।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের শরীর দীর্ঘক্ষণ পানি থেকে বঞ্চিত থাকে। এই সময়ে পানি পান করলে তা কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। সকালে পানি পান করলে কিডনি হাইড্রেটেড থাকে, যা রক্ত পরিস্রাবণের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। এর ফলে কিডনির ওপর চাপ কমে এবং এর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
সকালে খালি পেটে পানি পানের আরেকটি বড় সুবিধা হলো, এটি শরীরের জমে থাকা টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। ঘুমের সময় শরীর যে টক্সিন তৈরি করে, তা সহজেই বেরিয়ে যায়। এতে কিডনির কাজ সহজ হয় এবং এটি দীর্ঘ সময় ধরে সুস্থ থাকে। পর্যাপ্ত পানি পান কিডনিতে পাথর বা স্টোন তৈরি হওয়াও প্রতিরোধ করে।
এটি শুধু কিডনির জন্যই নয়, বরং পুরো শরীরের জন্য উপকারী। এটি রক্তের প্রবাহকে উন্নত করে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত সকালে খালি পেটে পানি পান করেন, তাদের কিডনির সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়। এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং লিভার ও কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
তবে মনে রাখতে হবে, পানি পান করা একটি ধারাবাহিক অভ্যাস হতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম কাজ হওয়া উচিত কমপক্ষে দুই গ্লাস পানি পান করা। পানি ধীরে ধীরে পান করলে হজমে কোনো সমস্যা হয় না। পাশাপাশি, পানি অবশ্যই পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ হতে হবে।
সকালের পানি কেবল কিডনি নয়, পুরো শরীরের জন্যই উপকারী। এটি ত্বককে সতেজ রাখে, মাথা ব্যথা কমায় এবং শরীরের প্রাকৃতিক শক্তি বাড়ায়। তবে, কেবল পানি পানই যথেষ্ট নয়। কিডনিকে সুস্থ রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়ামও সমান গুরুত্বপূর্ণ। প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত লবণ ও চর্বি এড়িয়ে চলা উচিত, এতে কিডনি দীর্ঘ সময় সুস্থ থাকবে।
সকালে খালি পেটে পানি পান করা একটি সহজ কিন্তু শক্তিশালী অভ্যাস, যা কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষা করে, শরীরকে ডিটক্সিফাই করে এবং কিডনি পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই অভ্যাস আমাদের কিডনির জন্য একটি প্রাকৃতিক সুরক্ষা ব্যবস্থা।
/আশিক
ত্বকের কালো দাগ: কোন ধরনের দাগের কী চিকিৎসা?
ত্বকের দাগ অনেক ধরনের হয় এবং সেগুলো সামনাসামনি দেখে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা জরুরি। শুধুমাত্র সীমিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এর সঠিক কারণ বা ধরন নির্ণয় করা কঠিন।
দাগের প্রকারভেদ ও চিকিৎসা পদ্ধতি
বিশেষজ্ঞের মতে, কাটা দাগ বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। যদি আপনার দাগ হাইপারট্রপিক বা কিলয়েড ধরনের হয়, তবে তার জন্য সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। হাইপারট্রপিক দাগ সাধারণত ত্বকের উপরে উঁচু হয়ে থাকে, আর কিলয়েড দাগ আরও বড় ও ছড়িয়ে যায়। আবার কিছু কাটা দাগ গর্তের মতো (অ্যাট্রোফিক স্কারস) হতে পারে, যার চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পূর্ণ আলাদা।
অন্যদিকে, অ্যালার্জি থেকে সৃষ্ট দাগও কয়েক ধরনের হতে পারে। এর মধ্যে একটি প্রধান ধরন হলো ‘পোস্টইনফ্ল্যামেটরি হাইপারপিগমেন্টেশন’। এটি ত্বকের কোনো প্রদাহ বা জ্বালা সেরে যাওয়ার পর সেখানে থেকে যাওয়া গাঢ় রঙের দাগ। এই দাগ ত্বকের কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে কখনো ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়, আবার কখনো লেজার থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।
প্রাথমিক যত্নে করণীয়
বিশেষজ্ঞের মতে, প্রাথমিক পর্যায়ে ত্বকে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার এবং বায়ো অয়েল ব্যবহার করলে কিছুটা উপকার পাওয়া যেতে পারে। তবে এটি সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান নয়।
বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার গুরুত্ব
ত্বক মানব শরীরের অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি অঙ্গ। তাই কোনো ধরনের ভুল চিকিৎসা বা অবহেলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। বিশেষজ্ঞের মতে, এই সমস্যার সম্পূর্ণ পরিত্রাণ পেতে হলে অবশ্যই একজন ডার্মাটোলজিস্ট বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে পরামর্শ নেওয়া উচিত। শুধুমাত্র একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকই আপনার দাগের ধরন সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারবেন এবং আপনার ত্বকের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারবেন।
/আশিক
৬ বছর ধরে চুল খেয়ে পাকস্থলীতে ২ কেজির চুলের গোলা
দীর্ঘ ছয় বছর ধরে চুল খাওয়ার অদ্ভুত অভ্যাসের কারণে এক কিশোরীর পাকস্থলীতে প্রায় ২ কেজি ওজনের বিশাল একটি চুলের পিণ্ড জমেছিল, যা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছে। চীনের হুবেই প্রদেশে সম্প্রতি এ বিরল ঘটনাটি ঘটে।
সাউথ মর্নিং চায়না পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য চীনের হেনান প্রদেশের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী তীব্র পেট ব্যথা ও শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে হুবেই প্রদেশের উহান শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হুবেই ডেইলি জানিয়েছে, ১.৬ মিটার উচ্চতার ওই কিশোরীর ওজন ছিল মাত্র ৩৫ কেজি, যা তার মারাত্মক অপুষ্টির ইঙ্গিত দেয়। গত ছয় মাস ধরে তার ঋতুস্রাবও বন্ধ ছিল এবং সে তীব্র রক্তাল্পতায় ভুগছিল।
চিকিৎসকদের প্রশ্নের উত্তরে মেয়েটির মা জানান, তার মেয়ে প্রায় ছয় বছর ধরে নিজের চুল খাওয়ার অস্বাভাবিক অভ্যাসে আসক্ত। পরে পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখতে পান, কিশোরীর পাকস্থলির ভেতরে চুল ও খাবারের অবশিষ্টাংশে তৈরি এক বিশাল চুলের দলা জমাট বেঁধে আছে। এই চুলের গোলা পুরো পাকস্থলিকে ঢেকে ফেলেছিল এবং স্বাভাবিক আকারের প্রায় দ্বিগুণ করে ফুলিয়ে তুলেছিল।
গত ১৪ জুলাই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই ২ কেজি ওজনের চুলের পিণ্ডটি সফলভাবে অপসারণ করা হয়। অস্ত্রোপচারের পাঁচ দিন পর কিশোরীটি ধীরে ধীরে স্বাভাবিকভাবে খাবার খাওয়া শুরু করে। এরপর তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ৫ আগস্ট ফলোআপ পরীক্ষার জন্য পুনরায় হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, সে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।
একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, যদি কোনো শিশু এক মাসের বেশি সময় ধরে চুল বা কাঁচের মতো অখাদ্য জিনিস খাওয়ার অভ্যাস করে এবং তা থামাতে না পারে, তবে অভিভাবকদের অবশ্যই 'ট্রাইকোফ্যাগিয়া' নামক মানসিক সমস্যা সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে এবং দ্রুত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
/আশিক
নীরব ঘাতক কিডনি ক্যানসার: এই ৫ লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হন
কিডনি ক্যানসারকে বলা হয় ‘নীরব ঘাতক’, কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে এর কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। ফলে দেরিতে ধরা পড়লে চিকিৎসা জটিল হয়ে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু সাধারণ লক্ষণ আছে, যা অবহেলা করা বিপজ্জনক। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ শনাক্ত হলে চিকিৎসার সাফল্যের হার অনেক বেশি থাকে।
সতর্কতা: যেসব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন
চিকিৎসকদের মতে, কিডনি ক্যানসারের কিছু সাধারণ লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো:
প্রস্রাবে রক্ত: প্রস্রাবের রং গোলাপি, লাল বা বাদামি হলে সতর্ক হতে হবে। এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে হেমেচুরিয়া নামে পরিচিত। ব্যথাহীনভাবে এটি ঘটলেও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
পিঠের নিচের দিকে বা পাশে ব্যথা: পিঠের নিচের দিকে বা পাশের অংশে (ফ্ল্যাংক) যদি কোনো আঘাত ছাড়াই স্থায়ী ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, তবে তা কিডনির টিউমারের কারণে হতে পারে।
হঠাৎ ও অকারণে ওজন কমে যাওয়া: কোনো খাদ্যাভ্যাস বা ব্যায়ামের পরিবর্তন ছাড়াই যদি দ্রুত ওজন কমতে থাকে, তবে এটি কিডনি ক্যানসারের একটি লক্ষণ হতে পারে।
কিডনির আশপাশে চাকা বা ফোলাভাব: কিডনির পাশে বা পাঁজরের নিচে চাকা বা ফোলাভাব হলে সতর্ক হতে হবে। ক্যানসার হলে এই চাকা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে।
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি ও দুর্বলতা: কিডনি ক্যানসার রক্তকণিকা উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটালে অ্যানিমিয়া হয়, ফলে রোগী স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
হাঁসের মাংস: কী পরিমাণ এবং কোন পরিস্থিতিতে খাওয়া নিরাপদ?
হাঁসের মাংস সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হওয়ায় শীতকালে এটি একটি জনপ্রিয় খাবার। তবে এই মাংসে ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকায় সবার জন্য এটি উপযুক্ত নয়। পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি জানিয়েছেন, কার জন্য হাঁসের মাংস নিরাপদ এবং কারা এটি এড়িয়ে চলবেন।
হাঁসের মাংসের পুষ্টিগুণ
পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন জানান, হাঁসের মাংস প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলসের একটি ভালো উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম হাঁসের মাংস থেকে প্রায় ৩০০ ক্যালরি পাওয়া যায়, যা শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স (রিবোফ্লাবিন, নিয়াসিন), থায়ামিন, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস এবং ম্যাগনেশিয়াম ভালো পরিমাণে থাকে। রক্তস্বল্পতা এবং শীতকালে যাদের খাবারে অনীহা থাকে, তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী।
কারা হাঁসের মাংস খাবেন, কী পরিমাণে খাবেন?
নিশাত শারমিন বলেন, হাঁসের মাংসে প্রচুর ফ্যাট ও কোলেস্টেরল থাকে, তাই যাদের হৃদরোগ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভার বা ডায়াবেটিস আছে তাদের এই মাংস খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও, যাদের অ্যালার্জি আছে তাদেরও হাঁসের মাংস এড়িয়ে চলা উচিত।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য সাধারণত ৬০-৭০ গ্রাম মাংস খাওয়া নিরাপদ। হাঁসের মাংসের ক্ষেত্রে ৩০ গ্রাম ওজনের দুটি টুকরা খাওয়া যথেষ্ট। রান্নার সময় চামড়া ফেলে দিলে চর্বির পরিমাণ কিছুটা কমানো সম্ভব।
ইনসুলিনের দামে বৈষম্য: বন্ধের মুখে দেশীয় উৎপাদন
বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীদের জীবন রক্ষাকারী অন্যতম ওষুধ ইনসুলিন উৎপাদনে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এক বড় সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ইনসুলিনের দামের তুলনায় বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ইনসুলিনের দাম দ্বিগুণেরও বেশি হওয়ায় দেশীয় কোম্পানিগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে, যার ফলে উৎপাদন প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
ওষুধ কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ২০০৭ সাল থেকে দেশে আন্তর্জাতিক মানের ইনসুলিন তৈরি করে আসছে। বিদেশি ওষুধের তুলনায় দেশীয় ইনসুলিন সাশ্রয়ী হওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের রোগীরা ব্যাপকভাবে এটি ব্যবহার করে।
ওষুধ শিল্প সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ১৪ বছর আগে দেশীয় ইনসুলিনের একটি ডোজের মূল্য ২২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং আজও সেই একই দামে এটি বিক্রি হচ্ছে। অথচ একই সময়ে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ইনসুলিনের দাম ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে ৬৩৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এই অস্বাভাবিক মূল্য বৈষম্যের কারণে দেশীয় উৎপাদনকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে, ইনসুলিন আমদানির জন্য দেশ থেকে প্রচুর ডলার বিদেশে চলে যাচ্ছে।
দেশে প্রায় ১৩ লাখ ডায়াবেটিস রোগী নিয়মিত ইনসুলিন ব্যবহার করেন। এর মধ্যে ৬০ ভাগ দেশীয় ইনসুলিন এবং ৪০ ভাগ আমদানিকৃত ইনসুলিন ব্যবহার করেন। এই ৪০ ভাগ রোগীর পেছনে বছরে প্রায় ৬০ কোটি টাকা খরচ হয়, যেখানে দেশীয় ইনসুলিন ব্যবহারকারী ৬০ ভাগ রোগীর খরচ মাত্র ৩২ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ওষুধ শিল্প সমিতির মতে, দেশে উৎপাদিত ইনসুলিনের গুণগত মান উন্নতমানের। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এটি অনেক দেশে রপ্তানিও করা হচ্ছে। ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব ডা. জাকির হোসেন বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের বৃহত্তর স্বার্থে এই মূল্য বৈষম্য দ্রুত নিরসন করা জরুরি। অন্যদিকে ওষুধ বিক্রেতারা মনে করেন, প্রচুর ডলার বিদেশে যাওয়া বন্ধ করতে চিকিৎসকদের মানসিকতা পরিবর্তন করা এবং দেশীয় ইনসুলিনের ব্যবহার বাড়ানো জরুরি।
তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, জনস্বার্থে ইনসুলিনের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা বর্তমানে সরকারের নেই।
মূত্রের রঙের আড়ালে লুকিয়ে থাকা কিডনি সমস্যার ইঙ্গিত
আপনার মূত্রের রঙ আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত হতে পারে, বিশেষ করে কিডনির কার্যকারিতা সম্পর্কে। সুস্থ কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য ও অতিরিক্ত তরল ছেঁকে মূত্র তৈরি করে, যা সাধারণত হালকা হলুদ থেকে অ্যাম্বার রঙের হয়। কিন্তু যখন কিডনি দুর্বল হতে শুরু করে, তখন মূত্রের রঙ, গন্ধ ও স্বরূপে লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা দেয়। গাঢ় রঙ, ফেনাযুক্ত, লাল বা ঝাপসা মূত্র ক্রনিক কিডনি রোগ কিংবা আকস্মিক কিডনি আঘাতের মতো গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
কিডনি রক্ত থেকে টক্সিন দূর করে, শরীরের পানির মাত্রা, ইলেক্ট্রোলাইট ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। সুস্থ অবস্থায় মূত্র সাধারণত হালকা হলুদ থেকে অ্যাম্বার রঙের হয়ে থাকে, যা শরীরের হাইড্রেশনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। কিন্তু কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বর্জ্য পদার্থ জমে, মূত্রের রঙ ও পরিমাণ পরিবর্তিত হয়।
কিডনি ব্যর্থতার একটি সাধারণ লক্ষণ হলো গাঢ় বাদামী, চায়ের মতো বা কোলা রঙের মূত্র। এর পেছনে মূত্রে রক্তের উপস্থিতি, অতিরিক্ত পেশী ভাঙনের উপাদান, কিংবা কিডনির কার্যকারিতা কমে যাওয়া থাকতে পারে। লাল বা গোলাপি মূত্র মূলত মূত্রে রক্ত থাকার কারণে হয়, যা গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস, পলিসিস্টিক কিডনি রোগ, সংক্রমণ বা আঘাতের কারণে হতে পারে। তবে বিট জাতীয় ফলমূল খাওয়ার পরেও লাল রঙ আসতে পারে; তাই ধারাবাহিক পরিবর্তন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ফেনাযুক্ত মূত্র সাধারণত প্রোটিন (বিশেষ করে অ্যালবুমিন) উপস্থিতির লক্ষণ, যা ক্রনিক কিডনি রোগের প্রাথমিক সংকেত। প্রস্রাবের ফেনা দীর্ঘস্থায়ী হলে ‘প্রোটিনিউরিয়া’ হতে পারে এবং এটি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। ঝাপসা মূত্র সাধারণত ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, কিডনি পাথর বা প্রদাহের সঙ্গে যুক্ত, যা মাঝে মাঝে দুর্গন্ধ বা প্রস্রাবে ব্যথা নিয়ে আসে। যদিও ঝাপসা মূত্র সব সময় কিডনি ব্যর্থতার লক্ষণ নয়, তবে চিকিৎসা না করলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
অত্যন্ত স্বচ্ছ বা রঙহীন মূত্র সাধারণত শরীরের পর্যাপ্ত পানি পান করার ইঙ্গিত। কিন্তু ধারাবাহিক ফ্যাকাশে মূত্র হতে পারে ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস বা ক্রনিক কিডনি রোগের উন্নত পর্যায়ের লক্ষণ। যদিও এটা সরাসরি কিডনি ব্যর্থতা নয়, অন্য কোনো উপসর্গ থাকলে পরীক্ষা করানো উচিত।
মূত্রের রঙ ছাড়াও কিডনি সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে পা বা গোড়ালি ফোলা, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট, দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি, মুখে ধাতব স্বাদ, মনোযোগ কমে যাওয়া এবং মূত্রের পরিমাণ কমে যাওয়া। যদি এ ধরনের উপসর্গ ও অস্বাভাবিক মূত্রের রঙ দেখা দেয়, দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি।
কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করার ক্ষমতা কমে যায়, যার ফলে মূত্রের রঙ ও গন্ধ পরিবর্তিত হয়। এর পেছনে ক্রনিক কিডনি রোগ, আকস্মিক কিডনি আঘাত, গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস, ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন ও কিডনি পাথর অন্যতম কারণ।
হঠাৎ ও অজানা কারণে মূত্রের রঙ পরিবর্তন হলে, গাঢ় বা লাল মূত্র দীর্ঘদিন ধরে থাকলে, ফেনাযুক্ত মূত্র কয়েকদিন বেশি থাকলে, প্রস্রাবে ব্যথা বা অস্বস্তি হলে এবং অন্যান্য কিডনি সমস্যা লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সুস্থ কিডনি রক্ষায় জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরি। পর্যাপ্ত জল পান করা, রক্তচাপ ও রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা, ওভার দ্য কাউন্টার ওষুধ (NSAIDs) কম ব্যবহার করা, লবণ ও অ্যালকোহল সীমিত করা, ধূমপান ত্যাগ করা, উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো সঠিক যত্ন ও চিকিৎসা কিডনি রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর।
প্রথমবারের মতো ৫ কোটি শিশু পাচ্ছে বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা
বাংলাদেশে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) অংশ হিসেবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শিশুদের জন্য টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশু এই টিকা পাবে। গত ১ আগস্ট থেকে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইপিআই প্রগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, যেসব শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই, তারা মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবে।
আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ কার্যদিবস স্কুলগুলোতে ক্যাম্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। স্কুল ক্যাম্প শেষ হলে আরও আট দিন ইপিআই সেন্টারে গিয়ে স্কুলে না যাওয়া শিশুরাও টিকা নিতে পারবে। টিকা পেতে অনলাইনে https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv/ এই ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করার সুবিধা রয়েছে। জন্ম নিবন্ধন সনদসহ নিবন্ধন করলে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড পাওয়া যাবে।
টাইফয়েডের জন্য দেওয়া এই ইনজেকশনের এক ডোজ প্রাপ্ত শিশুকে তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের সহায়তায় এই ভ্যাকসিন এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, টাইফয়েড জ্বর মূলত স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, যা দূষিত খাদ্য বা পানি গ্রহণের মাধ্যমে ছড়ায়। এর উপসর্গের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া থাকে। অনেক সময় এসব লক্ষণ অস্পষ্ট হওয়ায় অন্যান্য জ্বরের সঙ্গে বিভ্রান্তি হতে পারে।
গ্যাভির সিএসও স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘টাইফয়েড ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। বিশ্বব্যাপী শতভাগ নিরাপত্তা নিয়ে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও আগে এটি পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। করোনার আগে টাঙ্গাইলে পাইলট প্রকল্পে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের কাজ সম্পন্ন হয়। এরপর সরকার গ্যাভিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করে। আগে এই ভ্যাকসিন বেসরকারিভাবে পাওয়া যেত, এবার সরকার বিনামূল্যে প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি শিশুকে এই ভ্যাকসিন দেবে।’
/আশিক
হাইপোথাইরয়েডিজম নিয়ন্ত্রণ করে জীবনে ফিরুন প্রাণবন্ততা
হাইপোথাইরয়েডিজম একটি হরমোনজনিত সমস্যা, যেখানে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। এই হরমোন শরীরের বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে—যার মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, হৃদস্পন্দন, হজমসহ গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। হরমোনের ঘাটতি হলে শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
কারণ
হাইপোথাইরয়েডিজমের পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
অটোইমিউন থাইরয়েডাইটিস (হাশিমোটো রোগ): ইমিউন সিস্টেম থাইরয়েড গ্রন্থিকে আক্রমণ করে, ফলে হরমোন উৎপাদন ব্যাহত হয়।
থাইরয়েড অপারেশন বা রেডিওথেরাপি: গ্রন্থি আংশিক বা সম্পূর্ণ অপসারণ কিংবা ক্যানসার ও হাইপারথাইরয়েডিজমের চিকিৎসায় রেডিওঅ্যাকটিভ আয়োডিন ব্যবহার হরমোন উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
আয়োডিনের ঘাটতি বা অতিরিক্ততা: হরমোন তৈরিতে আয়োডিন অপরিহার্য, তবে অতিরিক্ত বা ঘাটতি—দুই অবস্থাই ক্ষতিকর।
ওষুধের প্রভাব: লিথিয়াম বা অ্যামিওডারোনের মতো ওষুধ হরমোন উৎপাদন কমাতে পারে।
জন্মগত কারণ: কিছু শিশু জন্ম থেকেই পর্যাপ্ত হরমোন তৈরি করতে অক্ষম।
লক্ষণ
প্রাথমিক পর্যায়ে উপসর্গ অস্পষ্ট হতে পারে, তবে হরমোন ঘাটতি বাড়লে দেখা দিতে পারে—
অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা
ওজন বৃদ্ধি
ঠান্ডা সহ্য না হওয়া
শুষ্ক ও খসখসে ত্বক
চুল পাতলা হওয়া ও পড়া
কোষ্ঠকাঠিন্য
মুখমণ্ডল ও চোখের নিচে ফোলাভাব
গলায় ফোলাভাব (গয়েটার)
মনোযোগ কমে যাওয়া ও স্মৃতিভ্রংশ
বিষণ্নতা
হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া
মাসিক অনিয়ম বা বন্ধ্যত্ব (নারীদের ক্ষেত্রে)
কর্কশ কণ্ঠস্বর
ঘুম ঘুম ভাব
সব রোগীর ক্ষেত্রে সব লক্ষণ দেখা নাও যেতে পারে; কারও উপসর্গ হালকা, কারও ক্ষেত্রে গুরুতর হতে পারে।
সম্ভাব্য জটিলতা
চিকিৎসা না হলে হাইপোথাইরয়েডিজম থেকে হৃদরোগ, গভীর অবসাদ, বন্ধ্যত্ব, গর্ভাবস্থায় জটিলতা এবং গুরুতর মাইক্সিডিমা (জীবনহানিকর অবস্থা) হতে পারে।
রোগ নির্ণয়
রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ শনাক্ত করা হয়—
TSH বেশি হলে রোগের ইঙ্গিত
Free T4 কম থাকলে নিশ্চিত
Anti-TPO অ্যান্টিবডি পজিটিভ হলে অটোইমিউন কারণ বোঝা যায়
চিকিৎসা
হাইপোথাইরয়েডিজমের চিকিৎসা সাধারণত আজীবন চলে।
হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি: লেভোথাইরক্সিন প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবন।
ডোজ নির্ধারণ: বয়স, ওজন, উপসর্গ ও পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ঠিক করা হয়।
নিয়মিত পর্যবেক্ষণ: প্রতি ৬-৮ সপ্তাহে রক্ত পরীক্ষা করে ডোজ সমন্বয়।
জীবনযাপন পরিবর্তন: স্বাস্থ্যকর খাদ্য, শরীরচর্চা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ।
থাইরক্সিন সেবনের নিয়ম
সকালে খালি পেটে (৬-৮টার মধ্যে) সেবন
খাওয়ার পর অন্তত ৩০-৬০ মিনিট কিছু না খাওয়া
পানি ছাড়া অন্য কিছু না পান করা
আয়রন, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টাসিড ইত্যাদির সঙ্গে অন্তত ৪ ঘণ্টা বিরতি রাখা
প্রতিদিন একই সময়ে ওষুধ খাওয়া
দুধ, কফি, সোয়া খাবার ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার আগে অন্তত আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করা
বিশেষ সতর্কতা
গর্ভবতী বা গর্ভধারণের পরিকল্পনা থাকলে চিকিৎসককে জানানো
ডোজ পরিবর্তনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
অতিরিক্ত ডোজে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, অস্থিরতা, ওজন হ্রাস, অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি হতে পারে—এসব হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হরমোন বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।
পাঠকের মতামত:
- শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে গণমাধ্যমকে সতর্ক করল অন্তর্বর্তী সরকার
- আওয়ামী লীগ থেকে একসঙ্গে ৮ নেতার পদত্যাগ
- সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর জন্য সুখবর!
- ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্বে জয়ী মাহফুজ আলমের বাবা
- বিএসএফের হাতে বিজিবি সদস্য আটক
- বাউফলে এএসপির বাসায় চাঁদাবাজি, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
- রাজধানীর বাজারে সবজির আগুন, খালি হাতে ফিরছেন অনেকে
- জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সম্মেলনের উদ্যোগে ইউনূস
- গাজা শহর দখলের চূড়ান্ত নির্দেশ নেতানিয়াহুর
- আগে গণপরিষদ নির্বাচন ও সংবিধান সংশোধন, তারপর জাতীয় নির্বাচন: আখতার হোসেন
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক ধারা: বাড়ল ৫০ মিলিয়ন ডলার
- আমার ছেলেকে ভালোবাসবেন: আরিয়ানের প্রথম কাজ নিয়ে শাহরুখ
- দলের টানা হারে অস্ট্রেলিয়া সফরে টাইগার যুবাদের স্বপ্নভঙ্গ
- ‘বাংলায় কথা বলার’ কারণে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে মারধর, শিকার ভারতীয় নাগরিক!
- জামায়াতের দাবি না মানলে নির্বাচন হবে না’: হামিদুর রহমান আযাদ
- পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত নয়: তারেক রহমান
- পাথর লুটে আমাদের কোনো কর্মীও জড়িত নয়, দুদককে ক্ষমা চাইতে হবে’: জামায়াত
- দুর্নীতির ফাঁদে ইমরান: সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন, তবুও মুক্তি মিলছে না
- একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
- আবারও খোলা হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ গেট, পানিবন্দি ২০ হাজার
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, এরপর কোনো পদে থাকব না: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
- পাথর লুটে জড়িত ৫২ জনের নাম প্রকাশ:তালিকায় রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের নাম
- ক্ষুধার্ত দেশে উপদেষ্টাদের হাঁসের মাংস বিলাস কষ্ট দেয়: বিএনপি নেতা আলাল
- ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে উমামার প্রতিদ্বন্দ্বিতা
- ইউক্রেনে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হামলা
- বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা চুক্তির মাধ্যমে পেয়েছিল অবৈধ সুবিধা
- এবার ভিসা ছাড়াই যাবেন পাকিস্তানে
- মালয়েশিয়ায় অভিযানে ৯৪ অবৈধ অভিবাসী আটক
- বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় পাকিস্তান
- দুদক মামলায় খালাস বিএনপি নেতা সেলিম ভূঁইয়া
- ২১ আগস্ট পর্যন্ত শেয়ারবাজারে সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণ
- ২১ আগস্ট ২০২৫ আজকের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ
- ২১ আগস্ট শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২১ আগস্ট শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার
- অর্ধেক ঋণই ঝুঁকিপূর্ণ: বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের নতুন রিপোর্টে ভয়াবহ চিত্র
- শেয়ারবাজারে বেক্সিমকো ও ইসলামী ব্যাংকের সর্বশেষ দর-বদলের চিত্র
- পিআর পদ্ধতি ভয়ংকর, ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধ এর ফল: ড. বদিউল আলম মজুমদার
- মব হামলা ইতিহাসের ওপর আক্রমণ: আইনজীবী সারা হোসেন
- রহিমা ফুডসের শেয়ার মালিকানা বদল
- আধুনিক দাম্পত্যের জটিলতাকে মজাদার ভঙ্গিতে উপস্থাপন: ‘স্প্লিটসভিল’
- শেয়ারবাজারে আলোচনায় এনসিসি ব্যাংক
- গ্যাস পাম্পে বিস্ফোরণ: নবীগঞ্জে সিএনজি স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- রূপালী ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং ফলাফল প্রকাশ
- নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি: টিসিবির লাইনে এখন মধ্যবিত্ত ও শিক্ষার্থীরা
- আক্রাসিয়া ইফেক্ট: কেন আমরা পরিকল্পনা করেও কাজ করি না
- জীবনে সফল হতে শিখুন কৃতজ্ঞতা: ৭টি পরিস্থিতিতে বলুন “ধন্যবাদ”
- ২১ বছর পর: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার চূড়ান্ত রায় আজ
- ডাকসু নির্বাচন ২০২৫: আটটি প্যানেলের জমজমাট লড়াই শুরু
- বঙ্গোপসাগরের কাছে দেড় টন পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম মিসাইল পরীক্ষা করল ভারত
- খারাপ অভ্যাস থেকে মুক্তি: মনোবিজ্ঞানের পরীক্ষিত তিনটি কৌশল
- শেখ মুজিব: দেবতা, ভিলেন নাকি রাজনৈতিক ট্রাজেডির নায়ক?
- ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া: গণতন্ত্রের আপোষহীন কণ্ঠস্বর ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার
- ইরাকে আলেমের চমক: কোরআনের আয়াতেই মুহূর্তে সুস্থ হচ্ছেন রোগীরা
- শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ঢাকায় বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা
- ফেসবুক পোস্টে রনির বিরুদ্ধে জুলকারনাইন সায়েরের ক্ষোভ
- দুই বাংলায় সাড়া ফেলতে আসছে চঞ্চল চৌধুরীর নতুন চমক
- একাদশে ভর্তি: প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ হলো,যেভাবে দেখবেন
- ১৭ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- বক্স অফিস রিপোর্ট: ‘কুলি’র বাজিমাত, পিছিয়ে ‘ওয়ার ২’, আর ‘ধূমকেতু’র রেকর্ড
- আল্লাহ আমাকে পাকিস্তানের অভিভাবক বানিয়েছেন,প্রেসিডেন্ট হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নেই: মুনির
- গুজবের পর্দা ফাঁস: তারকাদের টাকার বিনিময়ে মুজিবকে নিয়ে পোস্ট? জানা গেল আসল সত্য
- গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন ইউকে (জিসিএ) এর বার্ষিক পিকনিক প্রাণের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
- আলবার্ট আইনস্টাইনের শেষ মুহূর্ত: এক ছবিতে ধরা পড়ল এক যুগের অবসান
- আখেরি চাহার শোম্বা: সফর মাসের শেষ বুধবারের ইতিহাস ও তাৎপর্য
- দেশের স্বর্ণের বাজার স্থিতিশীল, জানুন ভরি প্রতি দাম