‘অপসারিত’ থেকে ‘পলাতক’, ভারতের সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনার পরিবর্তিত পরিচয়

বাংলাদেশে গত জুলাই বিপ্লবের পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে ঢাকা বিষয়ক আগ্রহ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যেখানে বাংলাদেশের খবর প্রায় সীমিত ছিল গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও রাজনৈতিক ভাষ্য পর্যন্ত, এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। ৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম শত শত প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।
তবে এসব প্রতিবেদনের স্বরূপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতীয় গণমাধ্যম কিভাবে উপস্থাপন করছে, তা নিয়ে নজর ছিল সকলের।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস উইংয়ের প্রধান ফয়সাল মাহমুদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে উল্লেখ করেছেন, গত পাঁচ মাসে ভারতীয় প্রধান সংবাদপত্রগুলোতে শেখ হাসিনার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে।
তিনি জানান, আগের মতো ভারতের গণমাধ্যম শেখ হাসিনাকে ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী’ বলে উল্লেখ করত। পরবর্তীতে ‘অপসারিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে বর্ণনা শুরু হয়। কিন্তু বর্তমানে ভারতের শীর্ষ চারটি সংবাদপত্র — টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও হিন্দুস্তান টাইমস — ধীরে ধীরে ‘পলাতক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করছে তাকে।
ফয়সাল মাহমুদ পোস্টের শেষাংশে উল্লেখ করেন, এই পরিবর্তনের ধারাটি নেতিবাচক নয়।
বঙ্গোপসাগরের কাছে দেড় টন পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম মিসাইল পরীক্ষা করল ভারত
ভারত বুধবার (২০ আগস্ট) ওড়িশার চান্দিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (আইটিআর) থেকে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘অগ্নি-৫’ সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মিসাইলটির কার্যক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত মানদণ্ড যাচাই করা হয়েছে।
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) নির্মিত এই মিসাইলটি ৫ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এবং এটি ১.৫ টনের পারমাণবিক বোমা বহন করতে সক্ষম। হালকা পদার্থ ব্যবহার করার কারণে মিসাইলটির নির্ভরযোগ্যতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
অগ্নি-৫ মিসাইলটি মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকল (এমআইআরভি) প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ, যা একটি মিসাইলকে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা দেয়। এটি লক্ষ্যভেদের জন্য রিং লেজার জাইরোস্কোপ-ভিত্তিক ইনার্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (আরএলজি-আইএনএস) এবং মাইক্রো-ইনার্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (এমআইএনজিএস) ব্যবহার করে। এছাড়া, ভারতের নিজস্ব ন্যাভিক স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম এবং আমেরিকার জিপিএস সিস্টেমের সমন্বয়ে এর সঠিকতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিন ধাপের কঠিন জ্বালানি চালিত প্রপালশন সিস্টেম ব্যবহার করা এই মিসাইলটি ক্যানিস্টারাইজড প্ল্যাটফর্ম থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়, যা দ্রুত মোতায়েন, সহজ সংরক্ষণ এবং উচ্চ গতিশীলতা নিশ্চিত করে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
বেকার হয়ে ভারতে পলাতক সাবেক এমপি: হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে নতুন জীবন শুরু
গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক সংসদ সদস্য ভারতে পালিয়ে যান। তাদের কয়েকজনের বর্তমান জীবনযাত্রা নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট গত মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ঢাকার এক তরুণ সাবেক এমপির অভিজ্ঞতা। তিনি জানিয়েছেন, দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি হঠাৎ করেই ‘বেকার’ হয়ে পড়েছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি কলকাতায় গিয়ে নিউটাউনের একটি দুই বেডরুমের ফ্ল্যাটে একাই বসবাস শুরু করেন।
কোনো কাজ না থাকায় এ বছরের জানুয়ারিতে তিনি দিল্লিতে গিয়ে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করিয়েছেন। দ্য প্রিন্টের কাছে তিনি বলেন, “ঢাকা থেকে পালিয়ে আসার সময় আমার মাথার সামনের চুল অনেকটাই পড়ে গিয়েছিল। আমার স্ত্রী অনেক দিন ধরেই বলছিলেন হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাতে। কিন্তু আমি প্রথমবার এমপি হওয়ায় সময় পাইনি। অবশেষে সুযোগ পেলাম।”
দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে ওই তরুণ এমপি ছাড়াও সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বর্তমান অবস্থা ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা কেউই জানেন না আবার কখনো দেশে ফিরতে পারবেন কি না। কেউ কেউ ফেরার অপেক্ষায় আছেন, আবার কেউ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে অতীত ভেবে নতুন জীবনযাত্রার পরিকল্পনা করছেন।
/আশিক
বাসভবনে ঢুকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তাকে চড় মারলেন
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা তার বাসভবনে সাপ্তাহিক ‘জনশুনানি’ কর্মসূচি পরিচালনা করছিলেন। এ সময় একজন যুবক কাগজ দেওয়ার অজুহাতে হঠাৎ তার উপর আক্রমণ চালায়। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, হামলার পরপরই রেখা গুপ্তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর নয়।
গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালে ওই যুবক সাধারণ দর্শনার্থীর ছদ্মবেশে বাসভবনে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে চড় মারেন। মন্ত্রীর নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হামলাকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বর্তমানে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই দাবি করেছে, হামলাকারী প্রথমে পাথর নিক্ষেপ করেন এবং পরে মুখ্যমন্ত্রীর চুল ধরে টেনে চড় মারেন। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, এই হামলায় রেখা গুপ্তার মাথায় আঘাত লেগেছে। যদিও তার অবস্থা গুরুতর নয়। এ ঘটনার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে নিন্দার ঝড় বইছে।
বিজেপি নেতা হরিশ খুরানা এ ঘটনাকে ‘নিন্দনীয়’ উল্লেখ করে বলেছেন, জনশুনানিতে অংশ নিতে আসা এক যুবকই হামলা চালিয়েছে। তবে এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরদিকে দিল্লির মন্ত্রী মঞ্জিন্দর সিং সিরসা জানিয়েছেন, হামলার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র থাকার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে এবং এ বিষয়ে গভীর তদন্ত করা হবে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেক নাগরিকের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলছিলেন। সেই সময় ওই যুবক নিজের কথা বলতে গিয়ে হঠাৎ তাকে চড় মারেন। এতে উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে যান।
এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে কংগ্রেস। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী নিজেই যদি নিরাপদ না থাকেন, তবে সাধারণ নারীরা কতটা নিরাপদ—এই প্রশ্ন আজ সবার মনে। কংগ্রেস নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ জনশুনানিতে উপস্থিত সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। হামলাকারী একাই এসেছিলেন নাকি অন্য কারও সঙ্গে যোগসাজশে এসেছিলেন, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
-শরিফুল
পারমাণবিক ব্ল্যাকমেল আর নয়: পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি মোদির
ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা প্রাঙ্গণ থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানানো হয়েছে, এই ভাষণে তিনি সরাসরি পাকিস্তানকে উদ্দেশ করে কঠোর সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন, বিশেষত পারমাণবিক অস্ত্রকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের ‘ব্ল্যাকমেল’ আর বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানান।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, বহু বছর ধরে ভারতের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি ব্যবহার করে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। কিন্তু ভারত এখন সেই কৌশলকে চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি শত্রুরা এমন আচরণ অব্যাহত রাখে, তবে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী তাদের নিজের শর্ত অনুযায়ী, নিজের সময় বেছে, নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে জবাব দেবে। “আমরা উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত”—এ কথার মাধ্যমে তিনি দৃঢ়তার বার্তা দেন।
মোদির এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট হিসেবে রয়েছে সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের বিতর্কিত বক্তব্য। যুক্তরাষ্ট্র সফরে মুনির বলেছিলেন, যদি ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে পাকিস্তান অস্তিত্বের সংকটে পড়ে, তবে তারা “অর্ধেক বিশ্বকে সঙ্গে নিয়ে ধ্বংস হবে”। মোদির কড়া প্রতিক্রিয়া মূলত এই ঘোষণারই জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুরের’ সাফল্যের জন্য ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেন। তিনি জানান, এই অভিযানে ভারত পাকিস্তানের ভূখণ্ডের গভীরে প্রবেশ করে শত্রুপক্ষকে এমন একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে যা কল্পনার অতীত। “আমাদের সাহসী সেনাদের বীরত্বকে আমি স্যালুট জানাই। অপারেশন সিঁদুরে আমাদের সেনারা শত্রুদের এমনভাবে জবাব দিয়েছেন যা তারা কখনো কল্পনাও করতে পারেনি”—বলেন মোদি।
তিনি মনে করিয়ে দেন, গত ২২ এপ্রিল সীমান্ত পেরিয়ে আসা সন্ত্রাসীরা নিরীহ সাধারণ মানুষকে ধর্ম জিজ্ঞাসা করে টার্গেট করে হত্যা করেছিল। এ ঘটনা গোটা ভারতজুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার করে। তার পরপরই সরকার সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়, যাতে তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক জবাব দিতে পারে।
মোদি আরও দাবি করেন, পাকিস্তানে এই অভিযানের ধ্বংসযজ্ঞ এতই ব্যাপক ছিল যে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে, যা ভারতের সামরিক সক্ষমতার স্পষ্ট প্রমাণ।
শুধু সামরিক সতর্কবার্তাই নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি নিয়েও কড়া অবস্থান নেন মোদি। তিনি বলেন, “ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রক্ত এবং পানি একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।” এই মন্তব্য পাকিস্তানের প্রতি একটি কৌশলগত জলনীতি হুঁশিয়ারি হিসেবেই দেখা হচ্ছে, যা দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ গতিপথে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
-শরিফুল
মিঠুন চক্রবর্তীর হুঁশিয়ারি:১৪০ কোটি মানুষের প্রস্রাবে পাকিস্তান সুনামিতে ভেসে যাবে
পাকিস্তানের উদ্দেশে ভারতের বলিউড তারকা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, "এভাবে কথা বলতে থাকলে আর যদি আমাদের মাথা গরম হয়ে যায়, তাহলে একের পর এক ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যাবে। তাতেও যদি না হয়, তাহলে আমরা এমন একটি বাঁধ বানাবো, যেখানে ১৪০ কোটি মানুষ প্রস্রাব করবে। তারপর বাঁধের দরজা খুলে দিলে সুনামি হয়ে যাবে।"
মিঠুনের এই মন্তব্য মূলত পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসেছে। পরে অবশ্য তিনি স্পষ্ট করেন যে, তার এসব কথা শুধু বিলাওয়াল ভুট্টোর উদ্দেশে, পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে নয়।
সোমবার (১১ আগস্ট) সিন্ধু প্রদেশের একটি অনুষ্ঠানে বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছিলেন, ভারত যদি সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখে, তবে পাকিস্তানের হাতে যুদ্ধ ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না। তিনি আরও বলেন, ভারত যদি এই পথে আগাতে থাকে, তাহলে আমরা যুদ্ধ করে ৬টি নদীর অধিকার ফেরত নেওয়ার মতো শক্তিশালী।
এর আগে চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনিরও ভারতের বিরুদ্ধে নতুন করে পারমাণবিক হামলার হুমকি দেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, অস্তিত্বের সংকট দেখা দিলে পাকিস্তান তার পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ব্যবহার করবে। একই সঙ্গে তিনি সিন্ধু নদের পানি প্রবাহ বন্ধ করলে ভারতের অবকাঠামো ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকিও দেন।
অসিম মুনিরের হুমকির জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পাকিস্তানের এই নতুন পারমাণবিক হুমকি দেশটির পারমাণবিক কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন আরও জোরদার করেছে। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ভারত কোনো ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের’ কাছে নতি স্বীকার করবে না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর এই বিতর্কের সূত্রপাত। ওই ঘটনায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করে। তখন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, এই চুক্তি আর কখনো পুনর্বহাল হবে না।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
মার্কিন পণ্যের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে বয়কট আন্দোলন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত অতিরিক্ত শুল্কের প্রতিবাদে ভারতজুড়ে শুরু হয়েছে মার্কিন পণ্য বর্জনের আন্দোলন। ম্যাকডোনাল্ডস, কোকা-কোলা, অ্যামাজন, অ্যাপলসহ একাধিক মার্কিন ব্র্যান্ড সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। এই বয়কটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির ব্যবসায়ী সমাজ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ সমর্থকরা। তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতির বিরোধিতা করে দেশীয় পণ্যের প্রতি সমর্থন জানাতে জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড দ্রুত বাজার দখল করেছে। বহু ভারতীয়র কাছে এসব ব্র্যান্ড আধুনিকতা ও উন্নয়নের প্রতীক। বর্তমানে মেটার হোয়াটসঅ্যাপের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে ভারতে, আর রেস্তোরাঁ সংখ্যায় ডমিনোজের অবস্থান শীর্ষে। পেপসি ও কোকা-কোলা প্রায় প্রতিটি দোকানের তাকজুড়ে জায়গা করে নিয়েছে। অ্যাপল স্টোর বা স্টারবাকসের অফারেও নিয়মিত দেখা যায় ভিড়।
শুল্কবিরোধী বয়কটের আহ্বান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও জনপরিসর ছাড়িয়ে এখন অর্থনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিন কোম্পানিগুলোর বিক্রিতে প্রভাব পড়েনি, তবে মার্কিন পণ্যের বিকল্প ব্যবহারের আলোচনা জোরদার হচ্ছে। এ বিষয়ে ম্যাকডোনাল্ডস, কোকা-কোলা, অ্যামাজন ও অ্যাপল কোনো মন্তব্য দেয়নি।
স্থানীয় উদ্যোক্তারা এ আন্দোলনে সরব ভূমিকা রাখছেন। ওয়াও স্কিন সায়েন্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মনীশ চৌধুরী সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় দেশীয় কৃষক ও উদ্যোক্তাদের সমর্থনে আহ্বান জানান এবং ভারতীয় পণ্যের বিশ্বায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। ড্রাইভার সার্ভিস ‘ড্রাইভ ইউ’-এর সিইও রাহম শাস্ত্রী লিংকডইনে লেখেন, ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম থাকা উচিত, যেমন চীনের টুইটার, ইউটিউব বা গুগল রয়েছে।
বয়কটের ডাক চলার মধ্যেই সোমবার টেসলা নয়াদিল্লিতে তাদের দ্বিতীয় শোরুম উদ্বোধন করেছে। অনুষ্ঠানে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। একই দিনে বেঙ্গালুরুতে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীকে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভারতীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করছে এবং দেশে তৈরি পণ্য অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। যদিও তিনি কোনো কোম্পানির নাম উল্লেখ করেননি।
বিজেপি-সমর্থিত স্বদেশি জাগরণ মঞ্চও দেশজুড়ে সভা-সমাবেশ ও প্রচারের মাধ্যমে মার্কিন পণ্য বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছে। সংগঠনের নেতা অশ্বিনী মহাজন বলেন, এই আন্দোলন জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। সংগঠনটি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিদেশি পণ্যের বিকল্প দেশীয় ব্র্যান্ডের তালিকাও বিতরণ করছে।
/আশিক
দিল্লিতে বিক্ষোভে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আটক
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নে বিক্ষোভ চলাকালে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র এবং একাধিক বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গণমাধ্যমের ফুটেজে দেখা যায়, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী সড়কে বসে স্লোগান দিচ্ছেন, হাতে ব্যানার ও পতাকা নেড়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। অনেককে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে ধাক্কাধাক্কি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গেছে।
আটকের সময় রাহুল গান্ধী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে পারি না—এটাই বাস্তবতা। সত্য আজ জাতির সামনে এসেছে। এই লড়াই রাজনৈতিক নয়, এটি সংবিধান রক্ষার সংগ্রাম। এক ব্যক্তি, এক ভোটের অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা একটি সঠিক ও নির্ভুল ভোটার তালিকা চাই।”
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও একই সময়ে আটক করা হয়। আটক হওয়ার আগে তিনি বলেন, “ওরা ভীত। সরকার কাপুরুষ।” জানা যায়, বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) ও নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগ ঘিরে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের দিকে পদযাত্রা করছিলেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে পার্লামেন্টের ‘মকর দ্বার’ থেকে পদযাত্রা শুরু হয় এবং নির্বাচন সদনের দিকে এগোতে থাকেন তারা। কিন্তু কিছুদূর যেতে না যেতেই পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে মিছিল থামিয়ে দেয়। এ সময় তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র ও সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেসহ কয়েকজন নেতা ঘটনাস্থলেই বসে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন।
পুলিশের দাবি, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন এড়ানোর জন্যই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা অভিযোগ করেন, বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে এবং নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রভাবে কাজ করছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, দ্য হিন্দু
মাত্র ১৯ দিন হাতে, অর্থনৈতিক আঘাত এড়ানোর উপায় খুঁজছে ভারত
রাশিয়া থেকে তেল কেনার জেরে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (৬ আগস্ট) ঘোষিত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ২৭ আগস্ট থেকে। এর আগে তিন সপ্তাহ আগে ট্রাম্প ২৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। ফলে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়াবে ৫০ শতাংশ।
ভারত সরকার এ পদক্ষেপকে ‘অন্যায়’ ও ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়েছে। রপ্তানিকারকদের মতে, এত উচ্চ হারে শুল্ক বৃদ্ধিতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। বেশির ভাগ রপ্তানিকারক জানান, তারা সর্বোচ্চ ১০-১৫ শতাংশ শুল্কবৃদ্ধি সহ্য করতে পারেন, কিন্তু ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি ‘পথে বসার’ সমান।
রপ্তানি ও অর্থনীতিতে সম্ভাব্য প্রভাববিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের রপ্তানি খাতে এটাই সবচেয়ে বড় ধাক্কা। বর্তমানে ভারত বছরে প্রায় ৮৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে, যা দেশের মোট রপ্তানির ১৮ শতাংশ। এ থেকে ভারতের জিডিপির প্রায় ২.২ শতাংশ আয় হয়। আগে ২৫ শতাংশ শুল্কে জিডিপি ০.২ থেকে ০.৪ শতাংশ হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা ছিল, কিন্তু ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হলে ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়বে।
যদিও ইলেকট্রনিকস ও ফার্মাসিউটিক্যালস আপাতত শুল্কমুক্ত থাকছে, তবে টেক্সটাইল ও গয়নার মতো শ্রমনিবিড় খাতগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তামিলনাডুর তিরুপুর ও গুজরাটের সুরাটের বহু কারখানায় কর্মসংস্থান হুমকিতে পড়তে পারে।
কৌশলগত পরিবর্তনের সম্ভাবনাকিছু পর্যবেক্ষক মনে করছেন, এই পরিস্থিতি ভারতের জন্য কৌশলগত অংশীদারিত্ব পুনর্বিবেচনার সুযোগ তৈরি করেছে। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের অজয় শ্রীবাস্তব মনে করেন, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলনে যোগদানকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কিন্তু কিছু বিশ্লেষকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ মোকাবিলায় ভারত হয়তো রাশিয়ার সঙ্গে তেল বাণিজ্যে ধীরে ধীরে সীমিতকরণে যাবে। যদিও মোদি-পুতিন টেলিফোন আলাপে দুই দেশের ‘বিশেষ সম্পর্ক’ বজায় রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়েছে এবং পুতিনের ভারত সফরের প্রস্তুতিও চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি অনিশ্চিতশুল্কবৃদ্ধির মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়নি। এ মাসের শেষ দিকে মার্কিন প্রতিনিধিদল দিল্লি সফর করবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে চুক্তি টিকিয়ে রাখতে হলে ভারতকে দক্ষ কূটনীতির পরিচয় দিতে হবে। কৃষি ও দুগ্ধখাত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকারের দাবিই মূল জটিলতা তৈরি করছে।
পাল্টা শুল্কের সম্ভাবনাকিছু রাজনৈতিক নেতা ও বিশ্লেষক যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের পরামর্শ দিচ্ছেন। শশী থারুরের মতে, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন দেশ হিসেবে ভারতেরও সমপরিমাণ শুল্ক বসানো উচিত। যদিও বার্কলেস রিসার্চ মনে করে, ভারতের এমন পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা কম, তবে একেবারে অসম্ভব নয়।
ভারতের রপ্তানিকারকরা এখন সরকারের কাছ থেকে জরুরি প্রণোদনা ও সহায়তার আশায় আছে। নোমুরা বলছে, এত দিন যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা এখন যথেষ্ট নয়।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
মাছ না থাকায় মাকে মারধর, পরে অনুতপ্ত হয়ে ছেলের আত্মহত্যা
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। দুপুরে মাছ না পেয়ে মায়ের ওপর রাগ করে হামলা করেন এক তরুণ। এরপর অনুতপ্ত হয়ে নিজের জীবনই শেষ করে দেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের নওদা থানার ঝাউবনা এলাকায়। আত্মহত্যা করা তরুণের নাম রানা বিশ্বাস, বয়স ১৭ বছর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে খাবার সময় মাকে মাছ রান্না করতে বলেন রানা। কিন্তু অভাবের সংসারে মাছ না পেয়ে রানার মা রমলা বিশ্বাস ডিম ভাজা ও আলু সেদ্ধ দিয়েই খেতে বলেন। এতে রাগান্বিত হয়ে মাকে মারধর করেন রানা।
মাকে মারার পরপরই অনুতাপে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। তখন তারা রানার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
নিহত তরুণের মা বলেন, “আমাদের অভাবের সংসার। ছেলেকে দুপুরে মাছ দিতে পারিনি। বলেছিলাম, রাতে রান্না করব। কিন্তু ও রাগ করে আমাকে মারে। পরে ও আত্মহত্যা করে।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নওদা থানার পুলিশ। তারা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, এ ঘটনা শুধু পারিবারিক নয়, সামাজিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতাকেও নতুন করে ভাবনার সুযোগ করে দিয়েছে।
আনন্দবাজার
পাঠকের মতামত:
- আওয়ামী লীগ থেকে একসঙ্গে ৮ নেতার পদত্যাগ
- সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর জন্য সুখবর!
- ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্বে জয়ী মাহফুজ আলমের বাবা
- বিএসএফের হাতে বিজিবি সদস্য আটক
- বাউফলে এএসপির বাসায় চাঁদাবাজি, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
- রাজধানীর বাজারে সবজির আগুন, খালি হাতে ফিরছেন অনেকে
- জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সম্মেলনের উদ্যোগে ইউনূস
- গাজা শহর দখলের চূড়ান্ত নির্দেশ নেতানিয়াহুর
- আগে গণপরিষদ নির্বাচন ও সংবিধান সংশোধন, তারপর জাতীয় নির্বাচন: আখতার হোসেন
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক ধারা: বাড়ল ৫০ মিলিয়ন ডলার
- আমার ছেলেকে ভালোবাসবেন: আরিয়ানের প্রথম কাজ নিয়ে শাহরুখ
- দলের টানা হারে অস্ট্রেলিয়া সফরে টাইগার যুবাদের স্বপ্নভঙ্গ
- ‘বাংলায় কথা বলার’ কারণে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে মারধর, শিকার ভারতীয় নাগরিক!
- জামায়াতের দাবি না মানলে নির্বাচন হবে না’: হামিদুর রহমান আযাদ
- পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত নয়: তারেক রহমান
- পাথর লুটে আমাদের কোনো কর্মীও জড়িত নয়, দুদককে ক্ষমা চাইতে হবে’: জামায়াত
- দুর্নীতির ফাঁদে ইমরান: সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন, তবুও মুক্তি মিলছে না
- একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
- আবারও খোলা হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ গেট, পানিবন্দি ২০ হাজার
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, এরপর কোনো পদে থাকব না: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
- পাথর লুটে জড়িত ৫২ জনের নাম প্রকাশ:তালিকায় রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের নাম
- ক্ষুধার্ত দেশে উপদেষ্টাদের হাঁসের মাংস বিলাস কষ্ট দেয়: বিএনপি নেতা আলাল
- ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে উমামার প্রতিদ্বন্দ্বিতা
- ইউক্রেনে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হামলা
- বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা চুক্তির মাধ্যমে পেয়েছিল অবৈধ সুবিধা
- এবার ভিসা ছাড়াই যাবেন পাকিস্তানে
- মালয়েশিয়ায় অভিযানে ৯৪ অবৈধ অভিবাসী আটক
- বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় পাকিস্তান
- দুদক মামলায় খালাস বিএনপি নেতা সেলিম ভূঁইয়া
- ২১ আগস্ট পর্যন্ত শেয়ারবাজারে সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণ
- ২১ আগস্ট ২০২৫ আজকের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ
- ২১ আগস্ট শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২১ আগস্ট শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার
- অর্ধেক ঋণই ঝুঁকিপূর্ণ: বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের নতুন রিপোর্টে ভয়াবহ চিত্র
- শেয়ারবাজারে বেক্সিমকো ও ইসলামী ব্যাংকের সর্বশেষ দর-বদলের চিত্র
- পিআর পদ্ধতি ভয়ংকর, ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধ এর ফল: ড. বদিউল আলম মজুমদার
- মব হামলা ইতিহাসের ওপর আক্রমণ: আইনজীবী সারা হোসেন
- রহিমা ফুডসের শেয়ার মালিকানা বদল
- আধুনিক দাম্পত্যের জটিলতাকে মজাদার ভঙ্গিতে উপস্থাপন: ‘স্প্লিটসভিল’
- শেয়ারবাজারে আলোচনায় এনসিসি ব্যাংক
- গ্যাস পাম্পে বিস্ফোরণ: নবীগঞ্জে সিএনজি স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- রূপালী ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং ফলাফল প্রকাশ
- নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি: টিসিবির লাইনে এখন মধ্যবিত্ত ও শিক্ষার্থীরা
- আক্রাসিয়া ইফেক্ট: কেন আমরা পরিকল্পনা করেও কাজ করি না
- জীবনে সফল হতে শিখুন কৃতজ্ঞতা: ৭টি পরিস্থিতিতে বলুন “ধন্যবাদ”
- ২১ বছর পর: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার চূড়ান্ত রায় আজ
- ডাকসু নির্বাচন ২০২৫: আটটি প্যানেলের জমজমাট লড়াই শুরু
- বঙ্গোপসাগরের কাছে দেড় টন পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম মিসাইল পরীক্ষা করল ভারত
- খারাপ অভ্যাস থেকে মুক্তি: মনোবিজ্ঞানের পরীক্ষিত তিনটি কৌশল
- কাঁচাবাজারে আগুন: কাঁচামরিচের দাম ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে
- শেখ মুজিব: দেবতা, ভিলেন নাকি রাজনৈতিক ট্রাজেডির নায়ক?
- ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া: গণতন্ত্রের আপোষহীন কণ্ঠস্বর ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার
- ইরাকে আলেমের চমক: কোরআনের আয়াতেই মুহূর্তে সুস্থ হচ্ছেন রোগীরা
- বিচার-সংস্কার ছাড়া নির্বাচন পুরোনো সংকট ডেকে আনবে: ইউনূস
- শুটিংয়ে সালমান খানকে কষে চড়!
- শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ঢাকায় বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা
- ফেসবুক পোস্টে রনির বিরুদ্ধে জুলকারনাইন সায়েরের ক্ষোভ
- একাদশে ভর্তি: প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ হলো,যেভাবে দেখবেন
- দুই বাংলায় সাড়া ফেলতে আসছে চঞ্চল চৌধুরীর নতুন চমক
- ১৭ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে পুতিনের পুতিনের মনোভাব জানালেন ট্রাম্প
- বক্স অফিস রিপোর্ট: ‘কুলি’র বাজিমাত, পিছিয়ে ‘ওয়ার ২’, আর ‘ধূমকেতু’র রেকর্ড
- গুজবের পর্দা ফাঁস: তারকাদের টাকার বিনিময়ে মুজিবকে নিয়ে পোস্ট? জানা গেল আসল সত্য
- গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন ইউকে (জিসিএ) এর বার্ষিক পিকনিক প্রাণের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত