মুরাদনগরে হিন্দু নারী নির্যাতন নিয়ে মির্জা ফখরুলের কঠোর বিবৃতি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৯ ২২:০৮:০৫
মুরাদনগরে হিন্দু নারী নির্যাতন নিয়ে মির্জা ফখরুলের কঠোর বিবৃতি

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় হিন্দুধর্মাবলম্বী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনাকে 'নির্মম, কলঙ্কজনক ও ঘৃণ্য' উল্লেখ করে বলেন, এমন বর্বরোচিত ঘটনার মাধ্যমে দেশের সামাজিক ভারসাম্য, মানবিক মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির ঐতিহ্যে এক গভীর আঘাত হানা হয়েছে।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, মুরাদনগর এলাকায় সরকারের একজন উপদেষ্টা তার ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছেন। তার ছত্রছায়ায় দুষ্কৃতকারীরা উৎসাহিত হয়ে সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে এবং তারা দেশ-বিদেশ থেকে মদদ পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ফখরুল বলেন, উপদেষ্টা যদি জনসেবার বদলে আত্মসেবায় ব্যস্ত থাকেন, তাহলে এলাকায় শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তিনি অভিযোগ করেন, ওই উপদেষ্টা আওয়ামী লীগপন্থী এমপিদের মতো এলাকায় একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার ও আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করছেন, যা ক্ষমতার অপব্যবহারেরই আরেকটি নজির।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, নারী নির্যাতন, বিশেষ করে সংখ্যালঘু নারীর ওপর বর্বরতা—এটি শুধুই একটি অপরাধ নয়; বরং এটি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের অংশ। তিনি দাবি করেন, একটি কুচক্রী মহল এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক বিভ্রান্তি তৈরি করে জনগণকে ভুল পথে চালিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। বরাবরের মতোই সরকারঘনিষ্ঠ গোষ্ঠী নিজেরাই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তা বিএনপির ওপর চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে। তিনি এ ঘটনাকে ‘ফ্যাসিবাদী কৌশলের পুনরাবৃত্তি’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং বলেন, আওয়ামী লীগের নোংরা রাজনীতির আরেকটি নির্মম উদাহরণ এটি।

মির্জা ফখরুল জোর দিয়ে বলেন, নারী নির্যাতনকারীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। তারা সমাজের জন্য অভিশাপ এবং এদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, অর্থবিত্ত ও ক্ষমতার আশীর্বাদে দুর্বৃত্তরা সমাজে দাপটের সঙ্গে সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে, আর সে দায় বিএনপির ঘাড়ে চাপিয়ে দলটির ভাবমূর্তি বিনষ্টের অপচেষ্টা চলছে। এই অপতৎপরতা জনগণের কাছে ধরা পড়ে গেছে এবং জনগণ এখন সত্য ও ন্যায়বিচারের পক্ষে সোচ্চার।

বিবৃতির শেষাংশে মির্জা ফখরুল সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান, যাতে নির্যাতনের শিকার হিন্দু নারীকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায় এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে কোনো গাফিলতি না ঘটে। তিনি বলেন, “সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে রাজনৈতিক স্বার্থে ধ্বংস করা হচ্ছে—এটি আর চলতে দেওয়া যায় না।”

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

প্রেস সচিবের বক্তব্যে বাকস্বাধীনতা, মব কালচার ও সাংবাদিকতার দ্বন্দ্ব: পাঠবিশ্লেষণ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম সম্প্রতি এক দীর্ঘ বক্তব্যে দেশের সাংবাদিকতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সরকারের অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত... বিস্তারিত

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ক্যাশ ফ্লো বিশ্লেষণ:উত্থানে ১২ কোম্পানি, হঠাৎ ধসে ৯টি

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ক্যাশ ফ্লো বিশ্লেষণ:উত্থানে ১২ কোম্পানি, হঠাৎ ধসে ৯টি

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এ তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ২১টি প্রতিষ্ঠান চলতি ২০২৫ অর্থবছরের মার্চ প্রান্তিক (জুলাই... বিস্তারিত