“পারমাণবিক বিদ্যুৎ যুগে পা রাখছে বাংলাদেশ, রূপপুর প্রায় প্রস্তুত”

পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের প্রথম ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের চূড়ান্ত প্রস্তুতির পথে রয়েছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রটির প্রধান ও সহায়ক ট্রান্সফর্মারগুলোর কমিশনিং কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে করে কেন্দ্রটি শিগগিরই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার উপযোগী হয়ে উঠেছে—বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে।
শনিবার বিকেলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি সংস্থা রসাটম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই অগ্রগতির কথা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশল বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কমিশনিংয়ের কাজ শেষ হওয়ায় ইউনিটটি পরীক্ষামূলক উৎপাদনের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্পে নিযুক্ত এতমস্ত্রয় এক্সপোর্টের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সি ডেইরি বলেন,
“সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমন্বিত প্রয়াস ও কঠোর পরিশ্রমে এই সফলতা অর্জিত হয়েছে। কঠিন লজিস্টিকস ও বৈরী জলবায়ু সত্ত্বেও সবার নিষ্ঠাবান কাজ প্রকল্পের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতার এক মাইলফলক হয়ে থাকবে।”
প্রধান ট্রান্সফর্মারগুলোর কাজ মূলত টার্বাইন জেনারেটরে উৎপাদিত ২৪ কেভি বিদ্যুৎকে ৪০০ কেভিতে রূপান্তর করা—যা জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালনের জন্য অপরিহার্য। প্রতিটি ট্রান্সফর্মারের ধারণক্ষমতা প্রায় ১,৫৯৯ মেগাওয়াট, যা প্রথম ইউনিটের উৎপাদনক্ষমতা ১,২০০ মেগাওয়াটের চেয়েও বেশি। ফলে কেন্দ্রটি জাতীয় গ্রিডে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
প্রতিটি ট্রান্সফর্মার ফেজের ওজন প্রায় ৪০০ টন এবং সংযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে ১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কেবল। পাশাপাশি, ইউনিটের অভ্যন্তরীণ সিস্টেমেও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়ক ট্রান্সফর্মারগুলোর কমিশনিং সম্পন্ন হয়েছে। দ্বৈত মোডে পরিচালিত এসব ট্রান্সফর্মার জাতীয় গ্রিড ও জেনারেটর উভয় উৎস থেকে বিদ্যুৎ গ্রহণে সক্ষম।
নিরাপত্তা পরীক্ষার আগাম বার্তা
রসাটম আরও জানায়, পরবর্তী ধাপে ইউনিটটিতে ‘হট মিডিয়া টেস্ট’ সহ একাধিক নিরাপত্তা পরীক্ষা চালানো হবে। এসব পরীক্ষার সময় কিছু শব্দ বা বাষ্প নির্গমন স্থানীয় জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। তবে প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত করেছে, এসব পরীক্ষা পূর্বপরিকল্পিত এবং এতে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।
রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন এই মেগা প্রকল্পে স্থাপিত হয়েছে দুটি ভিভিইআর-১২০০ চুল্লি—যাদের প্রত্যেকটির উৎপাদন ক্ষমতা ১,২০০ মেগাওয়াট। রসাটমের প্রকৌশল বিভাগ সর্বমোট ২,৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেনারেল কন্ট্রাকটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, এরপর কোনো পদে থাকব না: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেসারেট নিউজে নিবন্ধ লিখেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যেখানে তিনি গত বছর বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান, অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে তার দায়িত্ব গ্রহণ এবং বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) প্রকাশিত এই নিবন্ধে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং এর পর তিনি আর কোনো নির্বাচিত বা নিযুক্ত পদে থাকবেন না।
ড. ইউনূস লিখেছেন, “আমি স্পষ্ট করেছি: জাতীয় নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতে হবে। এরপর যে সরকার আসবে সেখানে নির্বাচিত বা নিযুক্ত করা কোনো পদে আমি থাকব না।”
তিনি তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হিসেবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমাদের মিশন হলো, সব বৈধ ভোটার যেন তাদের ভোট দিতে পারে, যারা প্রবাসে আছেন তারাও। এটি একটি বড় কাজ। কিন্তু আমরা কাজটি সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
নিবন্ধে ড. ইউনূস বলেন, গত বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী এবং সমাজের অগণিত মানুষের সমর্থনে বাংলাদেশে একটি অন্ধকার অধ্যায়ের অবসান ঘটে। আন্দোলনের মাধ্যমে ৫ আগস্ট একজন স্বৈরাচার দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। এই ঘটনার পর সৃষ্ট ক্ষমতার শূন্যতায় ছাত্রনেতারা তাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানান। তরুণদের জীবন উৎসর্গের কথা ভেবে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট সুশীল সমাজের নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি উপদেষ্টা পরিষেদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
এই গণআন্দোলনকে তিনি বিশ্বের প্রথম ‘জেনারেশন জেড’ বিপ্লব হিসেবে উল্লেখ করেন, যা দেখিয়েছে কীভাবে তরুণরা মানবজাতির বড় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে পারে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, দ্য ইকোনমিস্ট সাময়িকী বাংলাদেশকে তাদের ‘২০২৪ সালের সেরা দেশ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ড. ইউনূস তার সরকারের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার কথা বলেন। একই সঙ্গে বিগত সরকারের লুট করা অর্থ উদ্ধারেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক সরকার বছরে ১০ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছে এবং এই অর্থ পুনরুদ্ধার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি অব্যবস্থাপনার মাত্রা দেখে হতবাক হয়েছিলেন। পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করছিল না, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছিল এবং অর্থনীতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। ধীরে ধীরে তারা পুনর্গঠন শুরু করেছেন এবং যারা স্বৈরাচারের প্রতিরোধ করেছিল, সেসব রাজনৈতিক দলসহ নতুন দলগুলো নতুন ধারণা ও শক্তি নিয়ে এগিয়ে এসেছে। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন, যারা ৫ আগস্ট গণহত্যা চালাতে দেয়নি এবং আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে।
পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশী এবং বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিশ্বব্যাংক গোষ্ঠী এবং জাতিসংঘের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সর্বশেষে তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি একটি সাংবিধানিক সংশোধনী আনার পরিকল্পনা রয়েছে, যা এমন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে যাতে বাংলাদেশ আর কখনো স্বৈরাচারী শাসনে ফিরে না যায়। তিনি মনে করেন, এই মুহূর্তে যারা তাদের সঙ্গে আছেন, তাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে এবং তারাই বাংলাদেশের জন্য সর্বোত্তম আশা।
সূত্র: ডেসারেট
বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা চুক্তির মাধ্যমে পেয়েছিল অবৈধ সুবিধা
বিগত সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে পাওয়ার প্ল্যান্ট ক্যাপাসিটি চুক্তির মাধ্যমে তাদের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের অবৈধ সুবিধা দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি মন্তব্য করেন, এসব চুক্তি কার্যত তাদের “চুরির লাইসেন্স” হিসেবে কাজ করেছে এবং এই খাতেই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বর্তমান সরকারের উদ্যোগে গৃহীত বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
প্রেস সচিব জানান, সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই নানা খাতে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এর মধ্যে সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন ব্যতীত বাকি ১০টি কমিশনের ৩৬৭টি সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়িতও হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সংস্কার কার্যক্রম শুধু কমিশনের সুপারিশের ওপর নির্ভর করে নেই। প্রতিটি মন্ত্রণালয় নিজস্বভাবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রায় প্রতিটি মন্ত্রণালয়ই কয়েক শতাধিক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে এবং সেগুলোর অনেকগুলোই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ফলে কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বসে থাকার মনোভাব দেখা যায়নি।
আইন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের (Special Power Act) মাধ্যমে সর্বাধিক দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। এ আইনের সুযোগ নিয়ে বিগত সরকার তাদের পছন্দের ব্যবসায়ীদের জন্য অনিয়মের পথ খুলে দিয়েছিল এবং তাদের হাতে প্রকৃতপক্ষে “চুরির লাইসেন্স” তুলে দিয়েছিল।
সংস্কার বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম আরও বলেন, বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং প্রধান উপদেষ্টা দ্রুততম সময়ে সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি জানান, এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ে নিয়মিতভাবে তথ্য জানানো হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
-রফিক
এবার ভিসা ছাড়াই যাবেন পাকিস্তানে
বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরা উভয় দেশের মধ্যে আর ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবেন। এ সংক্রান্ত একটি চুক্তির খসড়া চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তির খসড়ায় সম্মতি দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দুই দেশের সরকারি ও কূটনৈতিক পর্যায়ের ভ্রমণ আরও সহজতর হবে।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে এই ভিসামুক্ত চুক্তিটি প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছরের জন্য কার্যকর থাকবে। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ভারতসহ ৩১টি দেশের সঙ্গে একই ধরনের ভিসামুক্ত চুক্তি কার্যকর করেছে। সেই তালিকায় এবার পাকিস্তানও যুক্ত হচ্ছে।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, শুধুমাত্র কূটনৈতিক পাসপোর্ট এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরাই এই সুবিধা পাবেন। ফলে সরকারি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের জন্য আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ আরও স্বচ্ছন্দ হবে।
এ ছাড়া প্রেস সচিব আরও জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে ১০টি সংস্কার কমিশনের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, কমিশনগুলো শুধু প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বসে নেই, বরং বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার কাজ নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
-রাফসান
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় পাকিস্তান
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) কার্যালয়ে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান ও ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের মধ্যে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান তিনি।
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, সংস্কৃতি ও জীবনাচরণের দিক থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে, যা বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বাজারে পাকিস্তানের তৈরি টেক্সটাইল ও জুয়েলারি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাসকীন আহমেদ দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সইয়ের মাধ্যমে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়নে সরাসরি বিমান ও কার্গো যোগাযোগ চালুর ওপর জোর দেন।
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দেশই তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের ওপর নির্ভরশীল। তাই রপ্তানি বহুমুখীকরণ জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে ইউরোপ, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে পুনঃব্যবহারযোগ্য নতুন ডিজাইনের পোশাকের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে দুই দেশের উদ্যোক্তারা যদি যৌথভাবে কাজ করে, তবে আন্তর্জাতিক বাজারে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, পূর্ব আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ার উদীয়মান বাজারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একসঙ্গে কাজ করলে রপ্তানির পরিধি বাড়ানো সম্ভব। এ ছাড়া পাকিস্তান সিমেন্ট, চিনি, পাদুকা ও চামড়াজাত শিল্পে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যেখান থেকে বাংলাদেশ সহজেই পণ্য আমদানি করতে পারে। অপরদিকে, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প পাকিস্তানের বাজারে কার্যকর অবদান রাখতে সক্ষম।
কৃষি খাত প্রসঙ্গে জাম কামাল খান বলেন, নতুন প্রযুক্তি ও মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয়ের রপ্তানি সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। তিনি জানান, শিগগিরই বাংলাদেশে পাকিস্তানের একক প্রদর্শনী (সিঙ্গেল কান্ট্রি এক্সিবিশন) আয়োজন করা হবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পারস্পরিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের জন্য নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান, ডিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এবং পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
-শরিফুল
পিআর পদ্ধতি ভয়ংকর, ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধ এর ফল: ড. বদিউল আলম মজুমদার
সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতি দেশের জন্য ভয়ংকর হতে পারে। তিনি বলেন, ইসরায়েলে যে গাজা যুদ্ধ অব্যাহত আছে, সেটি এই পিআর পদ্ধতির কারণেই হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) কালেরকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক সংবাদে তার এই মন্তব্য উঠে আসে।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি হলো একটি নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবস্থা। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, এতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হবে। সকালে একজন প্রধানমন্ত্রী, বিকেলবেলা আরেকজন প্রধানমন্ত্রী—এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, এই পদ্ধতির কারণে নেপালের মতো অনেক দেশই বর্তমানে সমস্যার মধ্যে আছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই পদ্ধতির সবচেয়ে ভয়ানক উদাহরণ হলো ইসরায়েল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ছোট ছোট ধর্মীয় দলের কাছে জিম্মি হয়ে গেছেন, যার কারণে তারা যুদ্ধ বন্ধ করতে দিচ্ছে না। অর্থাৎ, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে বড় দলগুলো ছোট দলের কাছে জিম্মি হয়ে যেতে পারে।
/আশিক
মব হামলা ইতিহাসের ওপর আক্রমণ: আইনজীবী সারা হোসেন
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন বলেছেন, দেশজুড়ে সম্প্রতি যে জনতা হামলা (মব হামলা) ও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তা সরাসরি ইতিহাসের ওপর আক্রমণ। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, প্রান্তিক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা এবং বিচারহীনতার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক সমকালের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সারা হোসেন আরও জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর তিন দিন দেশে কোনো সরকার ছিল না। সেই সময় পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর অনুপস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছিল, যার ফলে নির্বিচারে গুলিতে শতাধিক মানুষ নিহত ও হাজারাধিক আহত হন। পরে ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। তবে তিনি বলেন, “সেই সময় এবং এখনো অনেকের ওপর প্রতিহিংসামূলক আক্রমণ হয়েছে, যা তদন্ত ও বিচার হওয়া প্রয়োজন।”
সাম্প্রতিক জনতা হামলার উদাহরণ হিসেবে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির ওপর বুলডোজার আনার ঘটনা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “সামাজিক মাধ্যমে উস্কানির কারণে ভয়াবহ জনতা তৈরি হয়েছিল। এটি সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসা উচিত ছিল। ইতিহাসের ওপর এ ধরনের আক্রমণ গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি সাম্প্রদায়িক হামলাসহ মাজার ও মন্দিরে আক্রমণের ঘটনা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকে এসব ঘটনার নজরদারি শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও মাঠে পর্যাপ্ত উপস্থিত নয়।”
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সারা হোসেন বলেন, “যেখানে মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে, সেখানে প্রতিটি ঘটনার তদন্ত জরুরি। দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকের আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”
জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, “যারা এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে, তারা এখনও অনুশোচনা দেখাচ্ছেন না। তাদের বিচারের মাধ্যমে জবাবদিহি নিশ্চিত করা দরকার। স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু প্রক্রিয়া আবশ্যক।”
তিনি মানবাধিকার কমিশনের কার্যকারিতার অভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “মানবাধিকার কমিশন দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর নয়। একটি কার্যকর কমিশন দরকার, যারা সাহস করে সরকারের সমালোচনা করতে দ্বিধা করবে না।”
/আশিক
৫ আগস্টের গণহত্যা ও লাশ পোড়ানোর মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) আশুলিয়ায় গত ৫ আগস্টের গণহত্যা ও লাশ পোড়ানোর মামলায় আসামিপক্ষের অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেবেন।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
গত ৭ আগস্ট প্রসিকিউশন অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ করে। ওইদিন মামলার আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। একই সঙ্গে পলাতক সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ আরও আটজনের হাজির থাকার কথা থাকলেও তারা উপস্থিত হননি। ফলে তাদের পক্ষে সরকারি খরচে দুজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।
মামলার পলাতক আট আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গত ১৬ জুলাই এই আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২।
গত ২ জুলাই এই মামলায় মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে ৫ জন নিহত এবং একজন গুরুতর আহত হন। পরে নিহতদের ৫টি লাশ এবং আহত একজনকে পুলিশ ভ্যানে তুলে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এই ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়। প্রসিকিউশন এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের নাম আসামি হিসেবে উল্লেখ করেছে।
/আশিক
লিবিয়ায় অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার: ১৭৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন
লিবিয়ার বেনগাজির গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৭৫ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে লিবিয়ার বুরাক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
অভিবাসন নিয়ে কাজ করা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ম্যানেজার আল আমিন নয়ন এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, লিবিয়াফেরত এসব ব্যক্তিদের কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে ছেড়ে দেওয়া হবে।
দেশে ফেরার পর আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কর্মকর্তারা তাদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও আইওএম-এর সহযোগিতায় এই বাংলাদেশিরা দেশে ফিরেছেন।
জানা গেছে, ফেরত আসা বেশিরভাগ বাংলাদেশি মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। সেখানে তারা বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
/আশিক
নির্বাচনে অংশ নেব কি না, এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি’: আসিফ মাহমুদ
অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর তাদের ওপর গুরুদায়িত্ব এসেছে। তবে তিনি আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
বুধবার (২০ আগস্ট) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ ‘মাওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “মানুষের জন্য কাজ করব, সেটা রাজনৈতিকভাবেই করব। তবে নির্বাচন করব কিনা বা কোন প্রক্রিয়ায় করব—এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আপাতত সরকারের দায়িত্ব শেষ করার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ এবং রাজনীতিকে জনগণের কল্যাণমুখী ধারায় ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রসঙ্গক্রমে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর বাজার ও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা সদর সড়কে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুর দৈর্ঘ্য ১,৪৯০ মিটার এবং প্রস্থ ৯.৬০ মিটার। এটি বাংলাদেশ সরকার, সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওফিড)-এর আর্থিক সহায়তায় ৯২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।
সেতুটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এবং কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলাকে যুক্ত করেছে। এর ফলে কৃষিজাত ও শিল্পপণ্য পরিবহন সহজ হবে, স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে উন্নয়ন ঘটবে।
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- আগে গণপরিষদ নির্বাচন ও সংবিধান সংশোধন, তারপর জাতীয় নির্বাচন: আখতার হোসেন
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক ধারা: বাড়ল ৫০ মিলিয়ন ডলার
- আমার ছেলেকে ভালোবাসবেন: আরিয়ানের প্রথম কাজ নিয়ে শাহরুখ
- দলের টানা হারে অস্ট্রেলিয়া সফরে টাইগার যুবাদের স্বপ্নভঙ্গ
- ‘বাংলায় কথা বলার’ কারণে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে মারধর, শিকার ভারতীয় নাগরিক!
- জামায়াতের দাবি না মানলে নির্বাচন হবে না’: হামিদুর রহমান আযাদ
- পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত নয়: তারেক রহমান
- পাথর লুটে আমাদের কোনো কর্মীও জড়িত নয়, দুদককে ক্ষমা চাইতে হবে’: জামায়াত
- দুর্নীতির ফাঁদে ইমরান: সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন, তবুও মুক্তি মিলছে না
- একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
- আবারও খোলা হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ গেট, পানিবন্দি ২০ হাজার
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, এরপর কোনো পদে থাকব না: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
- পাথর লুটে জড়িত ৫২ জনের নাম প্রকাশ:তালিকায় রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের নাম
- ক্ষুধার্ত দেশে উপদেষ্টাদের হাঁসের মাংস বিলাস কষ্ট দেয়: বিএনপি নেতা আলাল
- ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে উমামার প্রতিদ্বন্দ্বিতা
- ইউক্রেনে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হামলা
- বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা চুক্তির মাধ্যমে পেয়েছিল অবৈধ সুবিধা
- এবার ভিসা ছাড়াই যাবেন পাকিস্তানে
- মালয়েশিয়ায় অভিযানে ৯৪ অবৈধ অভিবাসী আটক
- বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় পাকিস্তান
- দুদক মামলায় খালাস বিএনপি নেতা সেলিম ভূঁইয়া
- ২১ আগস্ট পর্যন্ত শেয়ারবাজারে সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণ
- ২১ আগস্ট ২০২৫ আজকের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ
- ২১ আগস্ট শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২১ আগস্ট শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার
- অর্ধেক ঋণই ঝুঁকিপূর্ণ: বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের নতুন রিপোর্টে ভয়াবহ চিত্র
- শেয়ারবাজারে বেক্সিমকো ও ইসলামী ব্যাংকের সর্বশেষ দর-বদলের চিত্র
- পিআর পদ্ধতি ভয়ংকর, ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধ এর ফল: ড. বদিউল আলম মজুমদার
- মব হামলা ইতিহাসের ওপর আক্রমণ: আইনজীবী সারা হোসেন
- রহিমা ফুডসের শেয়ার মালিকানা বদল
- আধুনিক দাম্পত্যের জটিলতাকে মজাদার ভঙ্গিতে উপস্থাপন: ‘স্প্লিটসভিল’
- শেয়ারবাজারে আলোচনায় এনসিসি ব্যাংক
- গ্যাস পাম্পে বিস্ফোরণ: নবীগঞ্জে সিএনজি স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- রূপালী ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং ফলাফল প্রকাশ
- নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি: টিসিবির লাইনে এখন মধ্যবিত্ত ও শিক্ষার্থীরা
- আক্রাসিয়া ইফেক্ট: কেন আমরা পরিকল্পনা করেও কাজ করি না
- জীবনে সফল হতে শিখুন কৃতজ্ঞতা: ৭টি পরিস্থিতিতে বলুন “ধন্যবাদ”
- ২১ বছর পর: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার চূড়ান্ত রায় আজ
- ডাকসু নির্বাচন ২০২৫: আটটি প্যানেলের জমজমাট লড়াই শুরু
- বঙ্গোপসাগরের কাছে দেড় টন পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম মিসাইল পরীক্ষা করল ভারত
- খারাপ অভ্যাস থেকে মুক্তি: মনোবিজ্ঞানের পরীক্ষিত তিনটি কৌশল
- কাঁচাবাজারে আগুন: কাঁচামরিচের দাম ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে
- পরিবারে নামাজ প্রতিষ্ঠায় যে দোয়াটি পাঠ করবেন
- ৫ আগস্টের গণহত্যা ও লাশ পোড়ানোর মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ
- আজকের মুদ্রা বাজার: বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে কোন মুদ্রার দাম কত?
- কোরআনের আলোকে অবিশ্বাসীদের অবাধ্যতা ও হঠকারিতা
- ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বল হাতে সাকিবের চমক: জয় পেল অ্যান্টিগা ফ্যালকনস
- কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে: আজই শুরু করুন এই সহজ অভ্যাস
- বঙ্গোপসাগরে মেঘমালা: সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল
- লিবিয়ায় অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার: ১৭৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন
- শেখ মুজিব: দেবতা, ভিলেন নাকি রাজনৈতিক ট্রাজেডির নায়ক?
- ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া: গণতন্ত্রের আপোষহীন কণ্ঠস্বর ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার
- চূড়ান্ত বিপ্লবের পথে: চিন্তার পুনর্গঠন ও আত্মার জাগরণ
- জানে আলম অপুর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে রহস্য, কেন ইশরাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ?
- ইরাকে আলেমের চমক: কোরআনের আয়াতেই মুহূর্তে সুস্থ হচ্ছেন রোগীরা
- বিচার-সংস্কার ছাড়া নির্বাচন পুরোনো সংকট ডেকে আনবে: ইউনূস
- শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- শুটিংয়ে সালমান খানকে কষে চড়!
- শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ঢাকায় বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা
- ডিএমপি কমিশনারের হুঁশিয়ারি: ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে মাঠে নামা যাবে না
- দুই বাংলায় সাড়া ফেলতে আসছে চঞ্চল চৌধুরীর নতুন চমক
- একাদশে ভর্তি: প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ হলো,যেভাবে দেখবেন
- ১৭ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- ফেসবুক পোস্টে রনির বিরুদ্ধে জুলকারনাইন সায়েরের ক্ষোভ
- ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে পুতিনের পুতিনের মনোভাব জানালেন ট্রাম্প