চীনের জে-৩৫: পাকিস্তানের সামরিক ক্ষমতার নতুন হাতিয়ার

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৯ ১২:৫৮:১৯
চীনের জে-৩৫: পাকিস্তানের সামরিক ক্ষমতার নতুন হাতিয়ার

পাকিস্তানে শীঘ্রই আসছে চীনের আধুনিক ফিফথ জেনারেশন ফাইটার জেট শেনায়াং জে-৩৫ এ, যা তার সামরিক ক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি আনবে। পাকিস্তানি পাইলটরা ইতোমধ্যে চীনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, যা পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে নেওয়া পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তান ঘোষণা দেয় তারা চীন থেকে ৪০টি জে-৩৫ ফাইটার জেট কিনতে যাচ্ছে। একই ঘোষণা দেয় চায়না ন্যাশনাল এরো টেকনোলজি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনও, যা গত জুনে ফ্রান্সের প্যারিস এয়ার শোতে পাকিস্তানের কাছে ৪০টি জে-৩৫ বিক্রির কথা প্রকাশ করে।

শেনায়াং জে-৩৫ ২০২৩ সালে প্রথম উড়োজাহাজ হিসেবে আকাশে উঠেছে এবং এটি চীনের অন্যতম আধুনিক ফিফথ জেনারেশন ফাইটার, যা মার্কিন এফ-৩৫ এর সঙ্গে তুলনীয় প্রযুক্তি ও সক্ষমতা প্রদর্শন করে। প্যারিস এয়ার শোতে চীন প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে এই বিমানটির মডেল প্রদর্শন করে, যা চীনের বহিঃবাণিজ্য এবং রপ্তানি পরিকল্পনার একটি বড় অংশ।

চীন বিশেষভাবে সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের কাছে বিপুলসংখ্যক জে-৩৫ বিক্রি করতে চাইছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফাইটার জেট কেনার ক্ষেত্রে নানা শর্তাবলী এবং রাজনৈতিক বাধা বিভিন্ন দেশকে শঙ্কিত করেছে। উদাহরণস্বরূপ, সংযুক্ত আরব আমিরাত যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফ-৩৫ কিনতে চাইলেও কঠোর শর্তে বাধ্য হয়, যার ফলে তারা ফ্রান্সের রাফালে ফাইটার জেট কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। তাছাড়া, সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফ-৩৫ বিক্রির বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হয়নি কারণ ওয়াশিংটন ইসরাইলের নিরাপত্তার প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

চীনের আরেকটি নিজস্ব তৈরি ফিফথ জেনারেশন ফাইটার জেট হল চেংদৃু জে-২০, যা দেশটির নিজের ব্যবহারেই সীমাবদ্ধ। তবে আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য চীন বিশেষভাবে জে-৩৫ তৈরি করেছে যা শক্তিশালী প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্ববাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম।

ভারতীয় বিমান বাহিনী সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংঘটিত সামরিক অভিযানে চীনের তৈরি চেংদু জে-১০ ফাইটার জেটের কাছে পরাজিত হয়েছে, যা পাকিস্তানের কাছ থেকে নতুন ফিফথ জেনারেশন ফাইটার জেট সংগ্রহের খবরের পর ভারতের মধ্যে উদ্বেগ ও কাপুনি তৈরি করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, জে-৩৫ বিমানটি পাকিস্তানের জন্য একটি বড় কৌশলগত সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ