বাংলাদেশের যেসব পণ্যে নতুন করে আমদানি নিষেধাজ্ঞা ভারতের

বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে ভারতের একতরফা নিষেধাজ্ঞায়। ২৭ জুন শুক্রবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর এক নির্দেশনায় জানায়, বাংলাদেশ থেকে পাট, বোনা কাপড় ও সুতার মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আর ভারতের কোনও স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে না। এসব পণ্য এখন থেকে কেবলমাত্র মহারাষ্ট্রের নাহভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চলমান ছোট ও মাঝারি বাণিজ্য কার্যত বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব সরাসরি পড়তে পারে বাংলাদেশের রপ্তানিকারক ও সংশ্লিষ্ট শিল্পখাতে।
যেসব পণ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে
নতুন নির্দেশনায় যেসব বাংলাদেশি পণ্যের ওপর স্থলবন্দর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে
- পাটজাত পণ্য
- একাধিক ভাঁজের বোনা কাপড়
- একক শণ সুতা
- ব্লিচ না করা পাটের বোনা কাপড়
- পাটের একক সুতা
এসব পণ্য এতদিন সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা দিয়ে সরবরাহ হতো। ফলে নতুন নিষেধাজ্ঞা সরাসরি এই অঞ্চলগুলোর বাণিজ্যিক চক্রে আঘাত হানতে পারে।
এর আগেও ভারত একই রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। গত মে মাসে স্থলপথে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটি। তখনও জানানো হয়, এসব পোশাক কেবল নাহভা শেভা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে।
বাংলাদেশ প্রতিবছর ভারতের বাজারে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। স্থলবন্দর নিষিদ্ধ হওয়ায় এই খাতে পরিবহন ব্যয়, সময় ও আমদানি প্রক্রিয়ার জটিলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখযোগ্য যে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন করে অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তি বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনের প্রতি একধরনের কৌশলগত দূরত্ব বজায় রাখছে।
বিশ্লেষকদের মতে, স্থলবন্দর বন্ধের মতো পদক্ষেপ কেবল বাণিজ্যিক নয় বরং রাজনৈতিক বার্তাও বহন করে। এটি অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তারের একটি প্রচেষ্টা।
নতুন আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে নেপাল ও ভুটানের উদ্দেশ্যে যে পণ্য রপ্তানি হয়, তার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। তবে এসব পণ্য পুনরায় অন্য দেশে রপ্তানি করার অনুমতি থাকবে না।
এই ব্যতিক্রম মূলত একটি কৌশলগত বার্তা দেয়। ভারত চায় না যে বাংলাদেশি পণ্য সরাসরি তাদের বাজারে প্রবেশ করুক, তবে তৃতীয় দেশে ট্রানজিটের ক্ষেত্রে তারা নমনীয়তা দেখাতে চায়।
বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে ব্যবসায়ী সংগঠন ও রপ্তানিকারক মহলে গভীর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে পাট ও গার্মেন্টস শিল্পে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। স্থানীয় রপ্তানিকারকরা বলছেন, স্থলবন্দর দিয়ে দ্রুত ও কম খরচে পণ্য পাঠানো সম্ভব হলেও এখন তাদের দীর্ঘ সমুদ্রপথে যেতে হবে, যা সময় ও ব্যয় বাড়িয়ে দেবে।
ভারতের এই সিদ্ধান্ত কেবল বাণিজ্যিক এক নীতি নয় বরং তা কৌশলগত ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিবেচ্য। সীমান্তবর্তী বাণিজ্য বন্ধ করা শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের নিজস্ব ব্যবসায়ী শ্রেণির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ট্রাম্পের সফর ঘিরে মালয়েশিয়ায় উত্তেজনা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন মালয়েশিয়া সফর বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। তারা ‘অপজ ট্রাম্প সেক্রেটারিয়েট’ নামের প্রো–প্যালেস্টাইন ছাত্রজোটের ব্যানারে একত্রিত হয়।
স্লোগান ও স্মারকলিপি
বিক্ষোভকারীরা ড্রাম বাজিয়ে এবং স্লোগান দিতে দিতে ট্রাম্প ও ইসরায়েলবিরোধী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের হাতে থাকা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল—‘ডাম্প ট্রাম্প’, ‘নো ওয়েলকাম ফর ওয়ার ক্রিমিনালস’ এবং ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’।
পরে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করে প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করে। স্মারকলিপিতে তারা ট্রাম্পের আমন্ত্রণ বাতিল, ইসরায়েল–সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগ থেকে সরকারকে বিচ্ছিন্ন করা এবং ফিলিস্তিনের প্রতি মালয়েশিয়ার ঐতিহ্যগত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভের আয়োজকরা জানান, তারা আগামী দিনগুলোতে আরও কর্মসূচি পালন করবেন। ২৬ অক্টোবর আমপাং পার্ক এলাকায় ‘ডাম্প ট্রাম্প’ নামে এক বৃহৎ সমাবেশ আয়োজন করার কথা রয়েছে, যেদিন ট্রাম্পের মালয়েশিয়া সফরের কথা।
ধর্মীয় ও বুদ্ধিজীবী মহলের প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের সফর বাতিলের দাবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও জোরালো হচ্ছে। সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে আসিয়ানের সংলাপ অংশীদার হিসেবে গুরুত্ব দেওয়ার যুক্তি দিলেও, বিষয়টি নিয়ে ধর্মীয় ও বুদ্ধিজীবী মহলে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
ফেডারেল টেরিটোরিজের মুফতি আহমাদ ফাউয়াজ ফাদজিল ট্রাম্পবিরোধী আন্দোলনকে ‘অতি আবেগপ্রবণ ও উগ্র মনোভাবের প্রকাশ’ বলে মন্তব্য করলে মুসলিম সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ইসলামিক রেনেসাঁ ফ্রন্টের (আইআরএফ) পরিচালক ড. আহমাদ ফারুক মুসা ওই মন্তব্যের কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনি গণহত্যার মূল পৃষ্ঠপোষককে স্বাগত জানানো প্যালেস্টাইন ইস্যুর প্রতি সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা।
বুদ্ধিজীবী চন্দ্র মুজাফফরও প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভদ্র ও মর্যাদাপূর্ণ ভাষায় ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাহার’ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চলমান গণহত্যায় ট্রাম্পের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। এই কারণে এমন এক ব্যক্তিকে স্বাগত জানানো মালয়েশিয়ার জনগণের কাছে ঘৃণার কারণ হবে।
মালায়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউএম) একটি প্রো–প্যালেস্টাইন বিক্ষোভ প্রশাসনের বাধার মুখে পড়ায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ আরও তীব্র হয়েছে। সব মিলিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সফর ঘিরে মালয়েশিয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গন ও জনমনে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
যুদ্ধ সমাপ্তি ও সেনা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা চাইল হামাস, আলোচনা চলছে মিসরে
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা এবং এর ওপর আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি চেয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) মিসরের শারম আল শেখ শহরে দ্বিতীয় দিনের মতো ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় বসে হামাস।
জিম্মি মুক্তি ও হামাসের শর্ত
জিম্মি মুক্তি: হামাস কর্মকর্তারা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তাদের দাবি, জিম্মি মুক্তির শেষ ধাপের মধ্যেই উপত্যকা থেকে চূড়ান্তভাবে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করতে হবে।
আস্থার অভাব: মিসরের রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত আল-কাহেরা নিউজের মতে, হামাসের শীর্ষ আলোচক খলিল আল-হায়া বলেছেন, হামাস ‘এক সেকেন্ডের জন্যও দখলদারিত্বের ওপর আস্থা রাখে না’।
স্থায়ী গ্যারান্টি: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আগের দুটি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধ শেষ হবে এবং পুনরায় শুরু হবে না—হামাস এর ‘প্রকৃত গ্যারান্টি’ চায়।
এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের প্রতিনিধিরা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) তৃতীয় দিনের আলোচনায় কাতারের প্রধানমন্ত্রীরও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
নেতানিয়াহুর ‘অস্তিত্বের যুদ্ধ’ এবং ট্রাম্পের আশ্বাসমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জিম্মি মুক্তির পর ‘ইসরায়েল গাজায় পুনরায় হামলা করবে না’ বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কথায় কোনো নিশ্চয়তার আভাস মেলেনি। হামাসের নেতৃত্বাধীন আক্রমণের বার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি এই সংঘাতকে ‘ইসরাইলের অস্তিত্ব এবং ভবিষ্যতের জন্য যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেন। যুদ্ধবিরতি আলোচনার দিকে সরাসরি ইঙ্গিত না করেই নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল ‘সিদ্ধান্তের এক দুর্ভাগ্যজনক দিনে’ প্রবেশ করছে।
নেতানিয়াহুর ভাষায়, ইসরায়েল যুদ্ধের সমস্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে—যার মধ্যে রয়েছে সমস্ত জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা, হামাসের শাসনের অবসান ঘটানো এবং গাজা যাতে আর ইসরায়েলের জন্য হুমকি না হয় তা নিশ্চিত করা।
সূত্র: আল জাজিরা।
বাংলাদেশ কিনছে চীনের জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) আধুনিকীকরণ এবং জাতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২০ কোটি মার্কিন ডলার—যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭,০৬০ কোটি টাকা।
সরকারি নথি অনুযায়ী, যুদ্ধবিমানগুলো কেনা, প্রশিক্ষণ, যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে এই প্রকল্প ২০২৭ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের অর্থ পরিশোধ করা হবে ১০ বছরের কিস্তিতে, যা ২০৩৫-৩৬ অর্থবছর পর্যন্ত চলবে।
জে-১০ সিই: চীনা বিমানবাহিনীর রপ্তানি সংস্করণ
জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান মূলত চীনের বিমানবাহিনীতে ব্যবহৃত জে-১০সি-এর রপ্তানি সংস্করণ। এটি একটি ৪.৫ প্রজন্মের মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট, যা আকাশে থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে স্থল—দুই ধরনের যুদ্ধেই সমান পারদর্শী।
আন্তর্জাতিক আলোচনা: গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘাত চলাকালে পাকিস্তান দাবি করেছিল, তাদের জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান ভারতের রাফায়েল জেট ভূপাতিত করেছে। এরপর থেকেই জে-১০ সিই বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে।
বিশ্লেষকদের মতে, জে-১০ সিই সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী নতুন প্রযুক্তি, উন্নত প্রশিক্ষণ সুবিধা এবং আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় নতুন যুগে প্রবেশ করবে।
চুক্তি ও কাঠামো
এই ক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে জিটুজি (গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট) পদ্ধতিতে চীনের সঙ্গে সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে। এর জন্য ১১ সদস্যের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিমানবাহিনীর প্রধান।
ব্যয়ের হিসাব:
২০টি জেটের মূল্য: প্রায় ১২০ কোটি ডলার (১৪,৬০০ কোটি টাকা)। প্রতিটি জেটের আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ডলার।
অন্যান্য ব্যয়: প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতি, ফ্রেইট কস্ট ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ আরও ৮২ কোটি ডলার।
মোট ব্যয়: বিমা, ভ্যাট, কমিশনসহ সব মিলিয়ে মোট ব্যয় ২২০ কোটি ডলার।
এই কমিটি খসড়া চুক্তিপত্র যাচাইবাছাই, ক্রয়পদ্ধতির উপযোগিতা নির্ধারণ এবং মূল্য নির্ধারণের শর্ত চূড়ান্ত করবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গত মার্চের চীন সফরের পর এই ক্রয় নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছিল।
সূত্র : দ্য বিজনেস স্টান্ডার্ড
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ মার্কিন বিজ্ঞানী
এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিজ্ঞানী জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ ডেভোর এবং জন এম মার্টিনেস। “মাইক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিকাল টানেলিং অ্যান্ড এনার্জি কোয়ান্টাইজেশন ইন আন ইলেকট্রিক সার্কিট”—এ অবদান রাখার জন্য তাদের এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেলে সুইডেনের স্কটহোমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।
আবিষ্কারের তাৎপর্য
নোবেল প্রাইজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিপের ওপর পরিচালিত এই তিন বিজ্ঞানীর পরীক্ষাগুলো কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানের কার্যক্রমকে প্রদর্শন করেছে। পদার্থবিজ্ঞানের একটি বড় প্রশ্ন হলো—কোনো সিস্টেম ঠিক কতটা বড় হলে তা কোয়ান্টাম যান্ত্রিক প্রভাব প্রদর্শন করতে পারে? নোবেল বিজয়ীরা একটি ইলেকট্রিকাল সার্কিট নিয়ে পরীক্ষা করে কোয়ান্টাম মেকানিকাল টানেলিং এবং কোয়ান্টাইজড এনার্জি লেবেল প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছেন।
নোবেল কর্তৃপক্ষ বলছে, এই আবিষ্কার কোয়ান্টাম প্রযুক্তির পরবর্তী প্রজন্মের বিকাশের নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। এর মধ্যে আছে:
কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি
কোয়ান্টাম কম্পিউটারস
কোয়ান্টাম সেন্সর
উল্লেখ্য, গত বছর মেশিন লার্নিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নোবেল পেয়েছিলেন মার্কিন বিজ্ঞানী জন হোপফিল্ড ও ব্রিটিশ ক্যানাডিয়ান বিজ্ঞানী জিওফ্রি হিন্টন।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং-এর পিয়ংইয়ং সফর: নতুন ঘনিষ্ঠতার বার্তা
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং এই সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন বলে বেইজিং মঙ্গলবার জানিয়েছে। দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতেই তাঁর এ সফর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লি চিয়াং ৯ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া সফর করবেন। তিনি একটি দল ও সরকার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে পিয়ংইয়ং যাবেন এবং সেখানে শাসক ওয়ার্কার্স পার্টির ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে অংশ নেবেন।
চীনের শি জিনপিংয়ের পর লি চিয়াং দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা। তাঁর এই সফরকে কেবল সৌজন্য সফর নয়, বরং দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এমন এক সময়ের সফর যখন উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও রাজনৈতিক একঘরে অবস্থার মধ্যেও চীনের সমর্থনের ওপর ক্রমেই নির্ভরশীল হয়ে উঠছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়নহাপ নিউজ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া এ উপলক্ষে একটি বৃহৎ সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করছে। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের প্রতিনিধিদল এই আনুষ্ঠানিক আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক আবারও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গত মাসে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই পিয়ংইয়ং সফর করেন এবং দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার আহ্বান জানান। এর আগে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বেইজিং সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উদযাপন করেন।
চীন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সহযোগী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও খাদ্যঘাটতির সময়েও বেইজিং দেশটির পাশে থেকেছে। অন্যদিকে, পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের কাছ থেকে “হুমকি”র কথা বলে নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে চীনের সমর্থন উত্তর কোরিয়ার জন্য রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্লেষকদের মতে, লি চিয়াংয়ের এই সফর শুধু দুই দেশের বন্ধুত্বকেই তুলে ধরছে না, বরং এটি একটি ভূরাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার প্রেক্ষাপটে চীন এই সফরের মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছে যে, উত্তর-পূর্ব এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্যে তার উপস্থিতি এখনো গুরুত্বপূর্ণ।
চীন ও উত্তর কোরিয়া উভয়ই নিজেদের সম্পর্ককে “পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের” ভিত্তিতে এগিয়ে নিতে চায়। তবে পশ্চিমা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, লি চিয়াংয়ের সফর শুধু সৌজন্য নয়—এটি আঞ্চলিক রাজনীতিতে এক নতুন ঘনিষ্ঠতার সূচনা হতে পারে।
-হাসানুজ্জামান
দুই বছর রক্তপাতের পর শান্তির চেষ্টা: কায়রোতে নতুন আলোচনায় হামাস ও ইসরায়েল
গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মিসরে শুরু হয়েছে হামাস ও ইসরায়েলের পরোক্ষ শান্তি আলোচনা। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে মিসর ও কাতার, আর আলোচনার প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে “হামাস আপসের পথে এসেছে” এবং “একটি বাস্তবসম্মত শান্তি চুক্তি” সম্ভব হতে পারে।
মিসরের সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম আল-কাহেরা নিউজ জানিয়েছে, সোমবার অনুষ্ঠিত প্রথম দফা বৈঠক “ইতিবাচক পরিবেশে” শেষ হয়েছে এবং আলোচনা মঙ্গলবারও চলবে। কঠোর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার মধ্যে কায়রোতে এই বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে মধ্যস্থতাকারীরা দুই পক্ষের মধ্যে বার্তা আদান–প্রদান করছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, কয়েক সপ্তাহ আগেই ইসরায়েল কাতারে হামাসের আলোচক দলের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছিল, যেখান থেকে বেঁচে যান হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া।
বন্দি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অগ্রগতি
প্রথম ধাপের আলোচনায় বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিনিময়, যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা এবং গাজার মানবিক পরিস্থিতি উন্নয়নের বিষয়ে প্রাথমিক সমঝোতার পথ খোঁজা হচ্ছে। আল-কাহেরা নিউজ জানায়, “উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের কার্যকর কাঠামো তৈরি করতে” মিসর ও কাতার একসঙ্গে কাজ করছে।
একই সময়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি প্রায় নিশ্চিত, আমরা একটি চুক্তির কাছাকাছি আছি। হামাস এমন কিছু বিষয়ে সম্মত হয়েছে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” আলোচনার তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনার, যারা শিগগিরই কায়রো পৌঁছাবেন বলে জানা গেছে।
শান্তির পথে কঠিন বাস্তবতা
হামাস ও ইসরায়েল উভয়েই ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার প্রতি প্রাথমিক ইতিবাচক সাড়া দিলেও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রয়ে গেছে বহু জটিলতা। প্রস্তাবে হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত, যা দলটি এখনো মানতে রাজি নয়। অন্যদিকে, পরিকল্পনায় ইসরায়েলি সেনা ধীরে ধীরে গাজা থেকে প্রত্যাহারের কথা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল “গাজার গভীরে সেনা মোতায়েন” রাখবে।
একজন হামাস ঘনিষ্ঠ ফিলিস্তিনি সূত্র জানান, প্রথম ধাপের বন্দি বিনিময় বাস্তবায়নে “মাঠপরিস্থিতি, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও বিমান হামলা স্থগিতের” ওপর নির্ভর করে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজায় আটক ৪৭ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে, এর বিনিময়ে ইসরায়েল মুক্তি দেবে কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে, যাঁদের অনেকেই আজীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত।
গাজার মানবিক বিপর্যয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসরায়েলকে বোমা হামলা বন্ধের আহ্বান জানানোর পরও সোমবার গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত ছিল। গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানিয়েছেন, সর্বশেষ বিমান হামলায় অন্তত সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এএফপি-র প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, গাজার আকাশে ধোঁয়ার মেঘ ও বিস্ফোরণের দৃশ্য, যা যুদ্ধবিরতির আশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
জাতিসংঘ গাজাকে “দুর্ভিক্ষাপন্ন এলাকা” ঘোষণা করেছে। আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি জানিয়েছে, তারা বন্দি বিনিময় ও ত্রাণ তৎপরতায় সহায়তা করতে প্রস্তুত। এক গাজাবাসী মোহাম্মদ আবু সুলতান বলেন, “যুদ্ধ আমার জীবনের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। দুই বছর ধরে আমরা শুধু মৃত্যুর কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।”
রাজনৈতিক রূপরেখা ও প্রশাসনিক ভবিষ্যৎ
ট্রাম্পের প্রস্তাবিত রূপরেখায় বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের পর গাজার প্রশাসন পরিচালনা করবে একটি ‘টেকনোক্র্যাট ট্রানজিশনাল অথরিটি’, যার তত্ত্বাবধানে থাকবেন ট্রাম্প নিজে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, হামাস বা অন্য কোনো সামরিক সংগঠন প্রশাসনে ভূমিকা রাখবে না। তবে হামাস বলেছে, “গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্তে আমাদের অংশগ্রহণ থাকা অপরিহার্য।”
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনিদের একাংশের আশা, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধে চাপ দেবে। আল-মাওয়াসি এলাকার বাসিন্দা আহমদ বারবাখ বলেন, “আমরা চাই বন্দি বিনিময়ের চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন হোক, যাতে ইসরায়েল যুদ্ধ চালানোর অজুহাত না পায়।”
দুই বছর পরও রক্তক্ষয়ী অধ্যায়
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আক্রমণে ১,২১৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছিলেন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। পাল্টা অভিযানে ইসরায়েলের টানা বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার তথ্য হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের, এবং যা জাতিসংঘ ‘বিশ্বাসযোগ্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে কায়রো আলোচনাকে অনেকে এক “শেষ আশার জানালা” হিসেবে দেখছেন। যদিও যুদ্ধবিরতির পথ জটিল ও অনিশ্চিত, তবু কূটনৈতিক মহলে বিশ্বাস—মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এবার হয়তো গাজায় শান্তির সূচনা ঘটতে পারে।
-আলমগীর হোসেন
ভারতীয় ভিসা নিয়ে সুখবর, বিক্রম মিশ্রির কণ্ঠে স্বস্তির বার্তা
বাংলাদেশে আগের চেয়ে ভারতীয় ভিসা ইস্যু বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে এই হার আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। সোমবার (৬ অক্টোবর) নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে ‘ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ—ডিকাব’-এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই তথ্য জানান।
ভিসা কার্যক্রমে নতুন গতি
বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা ইস্যু নিয়ে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, “বাংলাদেশে আমাদের একটি খুব বড় ভিসা কার্যক্রম রয়েছে। এটি গত বছরের জুলাই এবং আগস্টের ঘটনার আগে যে স্তরে ছিল, এখন সেই স্তরে নেই।” তবে তিনি যোগ করেন, আজও বাংলাদেশে যে ভিসা ইস্যুর সংখ্যা রয়েছে, তা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় আমাদের বৃহত্তম ভিসা কার্যক্রমগুলোর মধ্যে একটি।
তিনি বলেন, “আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি সামনের দিকে তাকানো, পেছনে তাকানো নয়।” বিক্রম মিশ্রি উল্লেখ করেন যে, ৫ আগস্টের ঘটনা ঘিরে তখন সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রভাবিত হয়েছিল, যার ফলে ভিসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য তাদের লোকসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, “এখন আমাদের ভিসা কার্যক্রম আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। আগামী দিনেও এই কার্যক্রম বাড়বে।”
সীমান্ত ও পানি চুক্তি
গঙ্গার পানি চুক্তি ও তিস্তা প্রকল্প নিয়ে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, “এ দুটি বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে যৌথ কর্মপ্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”
সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিক্রম মিশ্রি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চার হাজার কিলোমিটারের মতো সীমান্ত রয়েছে। নিরাপত্তা, মাদক চোরাচালান, অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ভারতীয় সীমানায় এমন ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী নিজের ভূখণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে।
বাংলাদেশে ‘পুশ-ইন’ (Push-in) বেড়েছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রম মিশ্রি বলেন, পুশ-ইন যথাযথ প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত। এটি একটি আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল, ডিকাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুন।
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের নতুন পথ
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নিজেদের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ঘোষণা দিয়েছেন, জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ-র সঙ্গে সহযোগিতা এখন আর তেহরানের কাছে ‘প্রাসঙ্গিক নয়’।
রোববার (৫ অক্টোবর) তেহরানে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে আরাগচি বলেন, “কায়রোতে আইএইএ-র সঙ্গে আমাদের যে সহযোগিতা চুক্তি হয়েছিল, তা আর কোনো বাস্তব অর্থ বহন করে না।” তার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিল—পশ্চিমা বিশ্বের চাপ ও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের পর দেশটি এখন নতুন পথে হাঁটছে।
ইউরোপের সমালোচনা ও সম্পর্কের অবনতি
গত মাসে মিসরের রাজধানী কায়রোতে ইরান ও আইএইএ-র মধ্যে পারমাণবিক স্থাপনায় পরিদর্শন ও নজরদারির একটি নতুন কাঠামো নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু জুন মাসে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তেহরান সেই সহযোগিতা স্থগিত করে দেয়।
ইউরোপীয় দেশগুলোর আচরণকে তীব্র সমালোচনা করে আরাগচি বলেন, “তারা ভেবেছিল নিজেদের ক্ষমতা দেখিয়ে ইরানকে কোণঠাসা করবে। এখন তারা সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে এবং ফলাফলও দেখেছে—নিজেদের গুরুত্ব নিজেরাই কমিয়ে ফেলেছে।” তার মতে, ভবিষ্যতে ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির ভূমিকা আগের তুলনায় অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ হবে।
আইএইএ-এর বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ
ইরান আইএইএ-র বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছে। তেহরানের মতে, পরমাণু অস্ত্র বিস্তাররোধ চুক্তি (এনপিটি)-এর অধীনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাটি ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে কোনো নিন্দা জানায়নি, যা তার নিরপেক্ষতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তোলে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে—ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তবে ইরান বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এর আগে স্পষ্ট করেছেন, ইরান এখনই এনপিটি চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার কথা ভাবছে না এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার বজায় রাখবে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, আইএইএ-র সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার এই ঘোষণা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে নতুন এক অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে, যা বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরি ই. ব্রাঙ্কো, ফ্রেড র্যামসডেল এবং জাপানের শিমোন সাকাগুচি। ‘পরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ সম্পর্কিত মৌলিক আবিষ্কারের জন্য সোমবার নোবেল জুরি তাদের এই স্বীকৃতি দিয়েছে।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তাদের এই যুগান্তকারী আবিষ্কার ক্যানসার ও অটোইমিউন রোগের মতো জটিল অসুস্থতার চিকিৎসা উদ্ভাবনে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে এবং নতুন গবেষণাক্ষেত্রের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। এই তিন বিজ্ঞানী একত্রে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি টাকা) পুরস্কারের অর্থ পাবেন।
আবিষ্কারের মূল বিষয়
এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণায় দেখা গেছে, মানবদেহে বিশেষ এক ধরনের প্রতিরোধক কোষ রয়েছে—রেগুলেটরি টি সেলস—যাদের কাজ হলো আমাদের প্রতিরোধক কোষ যেন নিজের শরীরকেই আক্রমণ না করে, তা নিশ্চিত করা।
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ওলে ক্যাম্পে বলেন, “তাদের আবিষ্কার আমাদের ইমিউন সিস্টেম কীভাবে কাজ করে এবং কেন সবাই গুরুতর অটোইমিউন রোগে ভোগে না—তা বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।”
শিমোন সাকাগুচি (১৯৯৫): তিনি প্রথম আবিষ্কার করেন যে, ইমিউন টলারেন্স কেবল ক্ষতিকর কোষ ধ্বংস হওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি নতুন শ্রেণির কোষ আবিষ্কার করেন, যা দেহকে অটোইমিউন রোগ থেকে রক্ষা করে।
ব্রাঙ্কো ও র্যামসডেল (২০০১): তারা আবিষ্কার করেন যে, কিছু বিশেষ ধরনের ইঁদুর সহজে অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হয়, কারণ তাদের ফক্সপি৩ (Foxp3) জিনে ত্রুটি থাকে। মানুষের ক্ষেত্রেও এই জিনে মিউটেশন হলে ভয়াবহ রোগ আইপেক্স হয়।
সাকাগুচি (২০০৩): তিনি প্রমাণ করেন, ফক্সপি৩ জিন নিয়ন্ত্রণ করে রেগুলেটরি টি সেলস-এর বিকাশ, যা অন্য প্রতিরোধক কোষকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রভাব
তাদের এই গবেষণা চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। ক্যানসার ও অটোইমিউন রোগের চিকিৎসা, এমনকি সফল অঙ্গ প্রতিস্থাপনেও এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে এসব চিকিৎসা পরীক্ষামূলকভাবে চলছে।
নোবেল বিজয়ীরা হলেন:
মেরি ই. ব্রাঙ্কো: যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে সিয়াটলে ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজিতে কর্মরত।
ফ্রেড র্যামসডেল: ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি লাভ করেন। বর্তমানে সোনোমা বায়োথেরাপিউটিকস-এর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা।
শিমোন সাকাগুচি: কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমডি এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর হিসেবে কর্মরত।
পাঠকের মতামত:
- ‘আমাকে অপহরণ করা হয়েছে’—ফেসবুক ভিডিওতে শাহিদুল আলমের দাবি
- নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘সেফ এক্সিট’ বিতর্ক
- ট্রাম্পের সফর ঘিরে মালয়েশিয়ায় উত্তেজনা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ
- অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে: শেখ হাসিনার আইনজীবী
- নুরুল হক নুরের বিস্ফোরক মন্তব্য এনসিপি নেতাদের টিভি মালিকানা নিয়ে
- হাটহাজারীতে হেফাজতের অবরোধ: চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ
- যুদ্ধ সমাপ্তি ও সেনা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা চাইল হামাস, আলোচনা চলছে মিসরে
- আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- আমি বাংলাদেশের মেসি নই: তকমা গায়ে মাখতে নারাজ হামজা চৌধুরী
- চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুগান্তকারী সাফল্য: অন্ধদের চোখে ফের আলো!
- কোরআনের ভুল খুঁজতে গিয়েই ইসলাম কবুল: যে গল্প পাল্টে দিল এক প্রফেসরের জীবন
- শিক্ষক মহাসমাবেশে তারেক রহমান দিলেন শিক্ষা সংস্কারের রূপরেখা
- কূটনৈতিক জয়: ৩০-২৭ ভোটে জাপানকে হারিয়ে ইউনেস্কোর সভাপতি বাংলাদেশ
- মেদ কমাতে হিমশিম খাচ্ছেন? খাবারের পর ২ মিনিটের অভ্যাসেই মিলবে সমাধান
- পোষা প্রাণী কি অ্যালার্জি কমায়? গবেষণা যা বলছে
- নখকুনির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি: ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়
- বিসিবি নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ: ‘উপদেষ্টা কাউন্সিলরদের হুমকি দিয়েছেন’
- বাংলাদেশ কিনছে চীনের জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান
- ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে অনড় এনসিপি, ইসি’র তালিকায় নেই কেন?
- বিপ্লব থেকে স্বৈরশাসন? ‘অ্যানিমেল ফার্ম’-এর রাজনৈতিক বার্তা
- উপদেষ্টাদের ‘এক্সিট’ মানসিকতা: তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া সেফ এক্সিট নেই—এনসিপি নেতা
- আজ রাতে দেখা যাবে বছরের প্রথম সুপারমুন ‘হার্ভেস্ট মুন’
- অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার: বিশ্বব্যাংক দিল বাংলাদেশকে সুখবর
- আইসিসি র্যাঙ্কিং: সুখবর পেলেন একাধিক বাংলাদেশি ক্রিকেটার
- বিপদের এলাকা’য় প্রবেশ করতে আর দেরি নেই, জানালেন শহিদুল আলম
- পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ মার্কিন বিজ্ঞানী
- ভাগ্যের চাকা ঘুরলো হারুন সর্দারের: দুবাইয়ে এক দিনেই কোটিপতি বাংলাদেশী ড্রাইভার!
- পৃথিবীর ধ্বংসের সময় ২০৬০ সাল? নিউটনের রহস্যময় ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বজুড়ে তোলপাড়!
- টানা কমছে এলপিজি’র দাম: ১২ কেজি সিলিন্ডারের নতুন মূল্য কত?
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে সূচকে চাপ, দরপতনে প্রাধান্য
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ছবিতে বিড়াল, আসলে কার? তারেক রহমান জানালেন পশুপাখির প্রতি ভালোবাসার সেই গল্প
- অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
- সন্ধ্যার মধ্যে ১১ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার শঙ্কা
- দল হিসেবে আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের’ আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু
- এবারের নির্বাচনকে জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি: সিইসি
- ‘নতুন অবতারে রাশমিকা মন্দানা’: পরিচিত মুখের ভেতরে এক অচেনা বিস্ময়
- ফর্মহীন সালাহ: ‘মিশরের রাজা’র মুকুটে ধুলো পড়ছে?
- চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং-এর পিয়ংইয়ং সফর: নতুন ঘনিষ্ঠতার বার্তা
- নোবেল ঘিরে জল্পনা: কে জিতবেন এ বছরের সাহিত্যর মুকুট?
- “ন্যায়সঙ্গত নির্বাচনই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত”—তারেক রহমান
- দুই বছর রক্তপাতের পর শান্তির চেষ্টা: কায়রোতে নতুন আলোচনায় হামাস ও ইসরায়েল
- সিঙ্গাপুরে প্রধান উপদেষ্টার দূতের ব্যস্ত সফর: বিনিয়োগ ও সহযোগিতায় নতুন গতি
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- আগামীকাল মঙ্গলবার দৈনিক নামাজের ওয়াক্ত ও সূর্যোদয়ের সময়
- ভারতীয় ভিসা নিয়ে সুখবর, বিক্রম মিশ্রির কণ্ঠে স্বস্তির বার্তা
- কোরআনের বিস্ময়কর ভবিষ্যদ্বাণী: আধুনিক যানবাহন ও প্রযুক্তির কথা
- মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল, এক নজরে দেখে নিন সূচি
- স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল মূল্য
- বার্লিন সম্মেলন ১৮৮৪–৮৫: আফ্রিকা বিভাজনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও উত্তরাধিকার
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- “বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- কোরআন অবমাননা: নর্থ সাউথ থেকে শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
- আফ্রিকার হৃদয়ে পাথরের রাজ্য: জিম্বাবুয়ের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও আত্মার গল্প
- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রস্তুতির সার্বিক চিত্র ও টাইমলাইন
- সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী
- গাজা যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় রাজি হামাস, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ
- ইসরায়েলে আটক গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অভিযাত্রীদের অনশন