বাংলাদেশি পণ্যে ফের ভারতীয় নিষেধাজ্ঞা

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৭ ২৩:২৩:১৯
বাংলাদেশি পণ্যে ফের ভারতীয় নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশ থেকে পাট, সুতা ও বোনা কাপড়সহ বেশ কয়েকটি পণ্য ভারতের যেকোনো স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এক সরকারি বিবৃতির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দেশটির অন্যতম গণমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর নিশ্চিত করেছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ থেকে একক পাট সুতা, একাধিক ভাঁজের বোনা কাপড়, ব্লিচ না করা পাটের বোনা কাপড় ও পাটজাত পণ্য সীমান্তের কোনো স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধুমাত্র মুম্বাইয়ের নহাভা শেভা বন্দর (JNPT) ব্যবহার করে এসব পণ্য আমদানি করা যাবে। তবে নেপাল ও ভুটানের জন্য বাংলাদেশের পণ্য পরিবহন এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না, যদিও সেসব পণ্য পুনরায় রপ্তানিও করা যাবে না।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য এক ধরনের বাণিজ্যিক চাপ হিসেবে কাজ করতে পারে। কারণ, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাট উৎপাদনকারী এবং পাটজাত পণ্যের শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ। অন্যদিকে, ভারত পাট উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষে থাকলেও রপ্তানিতে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ভারত বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রেও একই রকম নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। ওই সময় জানানো হয়েছিল, স্থলবন্দর নয়, শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের নহাভা শেভা ও কলকাতা বন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে বাংলাদেশি পোশাক। এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি খাতকে প্রভাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ধারাবাহিকভাবে স্থলপথে নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই প্রবণতা শুধু দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ভারসাম্যকেই প্রভাবিত করছে না, বরং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।


ভারতীয় ভিসা নিয়ে সুখবর, বিক্রম মিশ্রির কণ্ঠে স্বস্তির বার্তা

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ২১:৪৭:৩২
ভারতীয় ভিসা নিয়ে সুখবর, বিক্রম মিশ্রির কণ্ঠে স্বস্তির বার্তা
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে আগের চেয়ে ভারতীয় ভিসা ইস্যু বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে এই হার আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। সোমবার (৬ অক্টোবর) নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে ‘ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ—ডিকাব’-এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই তথ্য জানান।

ভিসা কার্যক্রমে নতুন গতি

বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা ইস্যু নিয়ে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, “বাংলাদেশে আমাদের একটি খুব বড় ভিসা কার্যক্রম রয়েছে। এটি গত বছরের জুলাই এবং আগস্টের ঘটনার আগে যে স্তরে ছিল, এখন সেই স্তরে নেই।” তবে তিনি যোগ করেন, আজও বাংলাদেশে যে ভিসা ইস্যুর সংখ্যা রয়েছে, তা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় আমাদের বৃহত্তম ভিসা কার্যক্রমগুলোর মধ্যে একটি।

তিনি বলেন, “আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি সামনের দিকে তাকানো, পেছনে তাকানো নয়।” বিক্রম মিশ্রি উল্লেখ করেন যে, ৫ আগস্টের ঘটনা ঘিরে তখন সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রভাবিত হয়েছিল, যার ফলে ভিসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য তাদের লোকসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, “এখন আমাদের ভিসা কার্যক্রম আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। আগামী দিনেও এই কার্যক্রম বাড়বে।”

সীমান্ত ও পানি চুক্তি

গঙ্গার পানি চুক্তি ও তিস্তা প্রকল্প নিয়ে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, “এ দুটি বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে যৌথ কর্মপ্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”

সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিক্রম মিশ্রি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চার হাজার কিলোমিটারের মতো সীমান্ত রয়েছে। নিরাপত্তা, মাদক চোরাচালান, অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ভারতীয় সীমানায় এমন ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী নিজের ভূখণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে।

বাংলাদেশে ‘পুশ-ইন’ (Push-in) বেড়েছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রম মিশ্রি বলেন, পুশ-ইন যথাযথ প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত। এটি একটি আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল, ডিকাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুন।


বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রত্যাশা কী, জানালেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব 

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১৪:০৬:৩০
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রত্যাশা কী, জানালেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব 
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, বাংলাদেশে জনগণের ভোটে যে সরকারই গঠিত হোক না কেন, সেই সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী নয়াদিল্লি। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের নির্বাচন জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলকভাবে অনুষ্ঠিত হোক—এটাই ভারতের প্রত্যাশা।”

সোমবার (৬ অক্টোবর) নয়াদিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাবের (DICAB) সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

এ সময় তিনি উভয় দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, “সম্পর্ক ঠিক রাখতে উভয় পক্ষেরই প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য এড়িয়ে চলা উচিত।”


ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করতে বললেন আদালত, না হলে ব্যবস্থা

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০১ ১৭:৪৯:২৯
ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করতে বললেন আদালত, না হলে ব্যবস্থা
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান যুগে কম্পিউটার ও কী-বোর্ড ব্যবহার করে লেখালেখির প্রচলন বাড়লেও, হাতের লেখার গুরুত্ব কমেনি—বিশেষ করে যদি লেখক একজন চিকিৎসক হন। ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সম্প্রতি এক আদেশে বলেছেন, পাঠযোগ্য মেডিকেল প্রেসক্রিপশন একটি মৌলিক অধিকার। আদালতের মতে, অস্পষ্ট লেখার কারণে রোগী ভুল ওষুধ সেবন করতে পারেন, যা জীবন-মৃত্যুর পার্থক্য তৈরি করতে পারে।

অস্পষ্ট হাতের লেখা ও মামলার প্রেক্ষাপট

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও অনেক চিকিৎসকের হাতের লেখা অস্পষ্ট, যা প্রায়শই ফার্মাসিস্টদেরও বুঝতে অসুবিধা তৈরি করে। তবে এই সমস্যাটি শুধু হাস্যরসের বিষয় নয়, বরং রোগীর সুরক্ষার জন্য তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতের আদালত এই আদেশটি দেন ধর্ষণ, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগসংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে। বিচারকরা বাদী নারীর চিকিৎসাসংক্রান্ত প্রতিবেদন দেখেন, যার অনেক অংশই অস্পষ্ট হাতের লেখার কারণে বোঝা যাচ্ছিল না। আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, “একটি শব্দ বা অক্ষরও স্পষ্টভাবে পড়া যায়নি।”

হাইকোর্ট নির্দেশ দেন:

পাঠ্যক্রমে হাতের লেখা: এখন থেকে মেডিকেল কলেজের পাঠ্যক্রমে হাতের লেখা উন্নত করার পাঠ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন: দুই বছরের মধ্যে ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন চালু করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বড় হাতের অক্ষর: ওই সময় পর্যন্ত সকল চিকিৎসককে বড় হাতের অক্ষরে স্পষ্টভাবে প্রেসক্রিপশন লিখতে হবে।

ভারতীয় মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) সভাপতি দিলীপ ভানুশালী জানিয়েছেন, শহর ও বড় শহরগুলোতে অনেক চিকিৎসক ইতোমধ্যেই ডিজিটাল প্রেসক্রিপশনে চলে গেছেন। তিনি বলেন, “তবে আমরা আমাদের সদস্যদের পরামর্শ দিয়েছি, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বড় অক্ষরে প্রেসক্রিপশন লেখা উচিত, যাতে রোগী ও কেমিস্ট উভয়ই পড়তে পারেন।”

সূত্র: বিবিসি


থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে প্রাণহানির ঘটনায় পুলিশের মামলা

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৯:৩৫:৩৫
থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে প্রাণহানির ঘটনায় পুলিশের মামলা
ছবি: সংগৃহীত

তামিলনাড়ুতে অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া থালাপতি বিজয়ের রাজনৈতিক জনসমাবেশে পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় মামলা করেছে ভারতীয় পুলিশ। বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেত্রি কাজাগামের (টিভিকে) দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এই মামলায়।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তামিলনাড়ুর কারুর জেলায় থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে বিপুল লোকসমাগম হয়। একপর্যায়ে অতিরিক্ত গরম ও হুড়োহুড়িতে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় পদদলিত হয়ে ১৬ নারী ও ৬ শিশুসহ ৩৯ জন মারা যান এবং প্রায় ১০০ জন আহত হন। এই ঘটনায় টিভিকের সাধারণ সম্পাদক এন আনন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সি টি নির্মল কুমারসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসামিদের বিরুদ্ধে মানুষের জীবনঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে—এমন উদাসীন কাজ ও সরকারি কর্মকর্তাদের আদেশ অমান্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ু পাবলিক প্রপার্টি (ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ) আইনেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

টিভিকের একজন আইনজীবী জোর দিয়ে বলেছেন, সমাবেশে দলটি পুলিশের সব নির্দেশনা মেনে চলেছে। তিনি বলেন, মর্মান্তিক এ ঘটনা বিজয়কে গভীরভাবে শোকাহত করেছে।

ক্ষতিপূরণ ও তদন্ত

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন গতকাল রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আহতদের দেওয়া হবে ১ লাখ রুপি করে। এ ছাড়া, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরুণা জগদেশনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।

থালাপতি বিজয়ও মৃত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবারকে দলের পক্ষ থেকে ২০ লাখ রুপি এবং আহত প্রায় ১০০ জনের প্রত্যেককে ২ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, “আমার হৃদয়ে যে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।” ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় থেকে জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকেও মৃত ব্যক্তিদের পরিবারপ্রতি ২ লাখ রুপি ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা এসেছে।


থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে পদদলন: ভয়াবহ ঘটনার নেপথ্যে কী?

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১১:২৮:১৭
থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে পদদলন: ভয়াবহ ঘটনার নেপথ্যে কী?
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের তামিলনাড়ুতে অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেত্রি কাজাগামের (টিভিকে) জনসমাবেশে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে নয়জন শিশুও রয়েছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

তামিলনাড়ুর পুলিশ প্রধান জি. ভেঙ্কটরামন জানান, শুরুতে ১০ হাজার মানুষের অনুমতি নেওয়া হলেও, মাঠে ভিড় হয় প্রায় ২৭ হাজার মানুষের। এত বড় সমাগম সামলানোর মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা বা পরিকাঠামো ছিল না। মাত্র ৫০০ পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিলেন।

যেভাবে ঘটল ভয়াবহ পদদলন

সমাবেশ শুরুর কথা ছিল বিকেল ৩টায়, কিন্তু বিজয় পৌঁছান সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। এর মধ্যে হাজার হাজার মানুষ প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছিলেন। দীর্ঘ অপেক্ষায় ক্লান্ত ভিড়ের মধ্যে খাবার ও পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না।

সন্ধ্যায় বিজয় যখন প্রচারণার গাড়ি থেকে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ধাক্কাধাক্কির মধ্যে অনেকে পদদলিত হন। এই সময় বিজয় বক্তব্য থামিয়ে নিজ হাতে বোতলের পানি ছুড়ে দেন অসুস্থদের দিকে এবং পুলিশকে সাহায্যের আহ্বান জানান।

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৭ জন নারী, ৪ ছেলে শিশু ও ৫ মেয়ে শিশু রয়েছে। আরও ৫১ জন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।

তদন্ত ও রাজনৈতিক চাপ

দুর্ঘটনার পর রাজ্য সরকার নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছে। একইসঙ্গে এক সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের শাসক দল ডিএমকে দাবি করেছে, অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার জন্য বিজয়কে গ্রেফতার করা উচিত।

অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ বিজয় তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গভীর শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, “আমার হৃদয় ভেঙে গেছে; আমি অসহনীয় বেদনায় আছি। প্রাণ হারানো পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


জাতিসংঘে আবারও মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, কূটনৈতিক বাগ্‌যুদ্ধ তুঙ্গে

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১১:২১:৪৮
জাতিসংঘে আবারও মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, কূটনৈতিক বাগ্‌যুদ্ধ তুঙ্গে
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। ছবি : সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা এবার গড়াল জাতিসংঘের কূটনৈতিক অঙ্গনেও। জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে আবারও মুখোমুখি হলো এই দুই প্রতিবেশী দেশ। একে অন্যের ওপর দোষ চাপানো, অভিযোগ এবং বিজয় দাবির মধ্য দিয়ে এই কূটনৈতিক বাগ্‌যুদ্ধ তুঙ্গে উঠেছে।

পাকিস্তানের বিজয় দাবি ও আলোচনার আহ্বান

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দাবি করেন, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরে’ পাকিস্তান বিজয়ী হয়েছে। তার ভাষায়, “ভারত দম্ভভরে হামলা চালালেও ইসলামাবাদ তাদের লজ্জিত করে ফিরিয়ে দিয়েছে।”

তবে একই সঙ্গে তিনি আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে সব অমীমাংসিত বিষয়ে যৌক্তিক ও ফলপ্রসূ সংলাপে প্রস্তুত। তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ যুদ্ধ এড়াতে মধ্যস্থতা করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন। শেহবাজ বলেন, “যদি ট্রাম্প সময়মতো দৃঢ়ভাবে হস্তক্ষেপ না করতেন, তবে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের পরিণতি হতো ভয়াবহ।”

ভারতের পাল্টা জবাব ও অভিযোগ

শেহবাজের বক্তব্যের পরপরই অধিবেশনে উপস্থিত ভারতীয় কূটনীতিবিদ পেতাল গাহলট পাল্টা মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “বিমানঘাঁটির পোড়া হ্যাঙ্গার আর ধ্বংস হওয়া রানওয়ে যদি পাকিস্তানের চোখে ‘বিজয়’ হয়, তবে সেই জয় তাদেরই ভোগ করতে দেওয়া হোক।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, পাকিস্তান সন্ত্রাস মোকাবিলার বদলে জাতিসংঘে সন্ত্রাসীদের রক্ষায় ভেটো দিয়েছে।

শনিবার অধিবেশনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সরাসরি পাকিস্তানকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসের কেন্দ্রবিন্দু’ আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান। পেহেলগামের হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মোদি সরকার সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি করেছে। জয়শঙ্কর আরও বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে ভারত এই হুমকির মুখে আছে, কারণ আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র একটি বৈশ্বিক সন্ত্রাসের আস্তানা।” একই সঙ্গে তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যপদ বিস্তারের দাবি তোলেন।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন এবার কার্যত ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের কূটনৈতিক মঞ্চে রূপ নিয়েছে। দুই দেশের প্রকাশ্য মুখোমুখি অবস্থান বৈশ্বিক পরিসরেও নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।


 ভারতের লাদাখে বিক্ষোভের নেপথ্যে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান?

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৯:১১:১২
 ভারতের লাদাখে বিক্ষোভের নেপথ্যে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান?
কারফিউয়ের কারণে প্রায় জনশূন্য সড়ক। বৃহস্পতিবার লেহ’তে। ছবি: এএফপি

নেপাল ও বাংলাদেশের পর এবার ভারত দেখল ‘জেন-জি’দের বিক্ষোভ। দেশটির কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল লাদাখে গত বুধবার ছাত্র-জনতা বিক্ষোভে অংশ নেয়। এতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে ৫ জন নিহত হন এবং ৭০ জনের বেশি মানুষ আহত হন। স্থানীয় রাজনীতিবিদদের মতে, এই বিক্ষোভের অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে ঢাকা ও কাঠমান্ডুর আন্দোলন থেকে।

নেপাল ও বাংলাদেশের মতো লাদাখের বিক্ষোভেও মূল দাবি ছিল বেকারত্ব এবং চাকরির অভাব। বিক্ষোভকারীরা চাকরির সংকট নিরসনের জন্যই লাদাখকে আলাদা রাজ্য করার দাবি তুলেছেন।

আন্দোলনের নেপথ্যে কে?

বিক্ষোভের ইন্ধনদাতা হিসেবে অ্যাক্টিভিস্ট সোনম ওয়াংচুকের নাম উল্লেখ করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতারা। সেই ওয়াংচুকও একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, বেকারত্ব ও আঞ্চলিক সুরক্ষা না থাকাটাই মানুষের ক্ষোভের ‘রেসিপি’। তবে তিনি বিক্ষোভকারীদের সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, ওয়াংচুক আরব বসন্ত ও নেপালের আন্দোলন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তরুণদের উসকানি দিয়েছেন। তবে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রার অভিযোগ, লাদাখের ঘটনার পেছনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও মার্কিন প্রভাবশালী বিনিয়োগকারী জর্জ সোরসের ষড়যন্ত্র আছে।

আন্দোলনকারীদের জেন-জি বলা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের সাংবাদিক স্যমন্তক ঘোষ। তিনি বলেন, অনশনরত দুজন অসুস্থ হয়ে পড়লে জেন-জি’র একাংশ ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসে।

কেন আলাদা রাজ্যের দাবি?

লাদাখ ২০১৯ সালের আগস্টে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের অংশ ছিল। কিন্তু ওই বছর লাদাখকে আলাদা করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়, যার ফলে চাকরির সংকট দেখা দেয়। লাদাখের সাক্ষরতার হার ৯৭ শতাংশ হলেও, ২০২৩ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে, সেখানকার স্নাতকদের ২৬.৫ শতাংশই বেকার। এর ফলে তরুণদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

লাদাখের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পাকিস্তান ও চীন উভয় প্রতিবেশীর সঙ্গেই ভারতের দ্বন্দ্ব আছে। এ কারণে অঞ্চলটিতে বিক্ষোভ ও সহিংসতা হলে অভ্যন্তরীণ এবং ভূরাজনৈতিকভাবে চাপের মুখে পড়বে নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজা উপহার: ভারতে গেল সুগন্ধি চাল

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৬:২১:১১
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজা উপহার: ভারতে গেল সুগন্ধি চাল
ছবি: সংগৃহীত

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে উপহার হিসেবে বিতরণের জন্য ৫০০ কেজি সুগন্ধি চিনিগুড়া চাল পাঠিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চালভর্তি একটি পিকআপ ভ্যান ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরে প্রবেশ করে।

দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে বিতরণ

‘চাষী’ ব্র্যান্ডের এসব চাল ভারতের দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে বিতরণ করা হবে। বন্দর থেকে চালের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের দায়িত্বে থাকা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রাজীব ভূইয়া জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের জন্য ৫০০ কেজি সুগন্ধি চিনিগুড়া চাল পাঠানো হয়েছে। চালগুলো বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপহার হিসেবে দেওয়া হবে।


ভারতের আসল শত্রু বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা: নরেন্দ্র মোদি

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৬:৪৫:৪৩
ভারতের আসল শত্রু বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা: নরেন্দ্র মোদি
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তার দেশের আসল শত্রু অন্য কোনো জাতি নয়, বরং বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা। গুজরাটে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের সামুদ্রিক প্রকল্প উদ্বোধনকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ভারত ‘বিশ্বব্যাপী বন্ধু হওয়ার অনুভূতি নিয়ে এগিয়ে চলছে’ এবং দেশের কোনো বড় প্রতিপক্ষ নেই।

‘স্বনির্ভর হতে হবে ভারতকে’

নরেন্দ্র মোদি বলেন, “প্রকৃত অর্থে যদি আমাদের কোনো শত্রু থাকে, তা হলো অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভরতা।” সমৃদ্ধি অর্জন এবং ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ নিশ্চিত করার জন্য ভারতকে অবশ্যই স্বনির্ভর হতে হবে বলে তিনি জোর দেন। তিনি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ‘বহিরাগতদের’ ওপর নির্ভরতা হ্রাস করার আহ্বান জানান।

মোদি বলেন, “আমরা যদি অন্যের করুণার ওপর নির্ভরশীল থাকি, তাহলে আমাদের আত্মসম্মানও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্যদের ওপর (নির্ভরশীল করে) ঝুঁকি নিতে পারি না।”

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য উত্তেজনা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির এসব মন্তব্য এলো। গত মাসে ওয়াশিংটন রাশিয়ার তেল কেনায় ভারতীয় আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করে।

হোয়াইট হাউস এইচ-১বি ভিসা আবেদনের ওপর নতুন করে ১০০০০০ ডলার বার্ষিক ফি ঘোষণা করেছে। আইটি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন ন্যাসকম জানিয়েছে, এটি দক্ষ ভারতীয় কর্মীদের ক্ষতি করবে।

পাঠকের মতামত: