অবশেষে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৭ ১৭:৩১:২৩
অবশেষে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া

ভারতের জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া শর্মা সম্প্রতি স্বামী নীল ভাট-এর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের গুঞ্জন ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া মিথ্যা তথ্য ও জল্পনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেওয়া একটি স্পষ্ট বার্তায় তিনি এই গুজবকে ভিত্তিহীন, অপ্রমাণিত এবং অনৈতিক ‘কনটেন্ট শিকারি’ কর্মকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ঐশ্বরিয়া তার পোস্টে লেখেন, “আমি অনেক দিন ধরে চুপ করে আছি, এর মানে এই নয় যে আমি দুর্বল। আমি শুধু শান্তি বজায় রাখছি।”

এই বাক্যে তিনি নীরবতার অপব্যাখ্যার বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তার মতে, কেউ যদি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ না খোলেন, সেটি যেন কল্পনার ভিত্তিতে গল্প তৈরির সুযোগ না হয়।

একের পর এক ইউটিউব চ্যানেল, ইনস্টাগ্রাম পেজ এবং ট্যাবলয়েডগুলোতে ঐশ্বরিয়া-নীলের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে যেসব গুজব ছড়িয়েছে, তা নিয়ে স্পষ্ট ভাষায় তিনি লেখেন,

“আমি কোনো সাক্ষাৎকার দেইনি, কোনো অডিও বা ভিডিও প্রকাশ করিনি। আপনাদের কাছে যদি কোনো সত্যিকারের প্রমাণ থাকে দেখান। না হলে দয়া করে আমার নামে খবর ছড়ানো বন্ধ করুন।”

এ বক্তব্যে সেলিব্রিটি লাইফের প্রতি সাধারণের কৌতূহলের চেহারা যেমন উঠে এসেছে, তেমনি সেটি কীভাবে গুজব ও অনুমানভিত্তিক কনটেন্টে রূপ নেয়, সেটিও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

সবচেয়ে তীব্র প্রতিবাদ ছিল এ বাক্যে: “আমার জীবন আপনাদের কনটেন্ট নয়।”

ঐশ্বরিয়া মনে করিয়ে দেন একজন তারকা হলেও তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করা উচিত, আর সেটি জনসাধারণের কল্পনার খোরাক হয়ে ওঠা অনুচিত।

‘গুম হ্যায় কিসিসে প্যায়ার মে’ সিরিয়ালে একসঙ্গে অভিনয়ের সময় নীল ভাট ও ঐশ্বরিয়া শর্মার প্রেমের শুরু হয়। ২০২১ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তীতে একসঙ্গে ‘বিগ বস ১৭’ শোতেও অংশ নেন, যা তাদের সম্পর্ককে আরও জনপ্রিয় করে তোলে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক মাধ্যমে তাদের একসঙ্গে কম দেখা যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়ে বিচ্ছেদের গুঞ্জন। অনেক অনির্ভরযোগ্য পেজ ও ব্লগ তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন শুরু করে।

ঐশ্বরিয়ার এই পোস্টকে অনেকেই দেখছেন সেলিব্রিটিদের ব্যক্তিগত জীবন ও গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে একটি শক্ত বার্তা হিসেবে। বর্তমানে বিনোদন-ভিত্তিক কনটেন্ট প্রযোজক ও অনলাইন পোর্টালগুলো ভিউ পাওয়ার জন্য কল্পনাকে সত্যের মতো উপস্থাপন করে, যা ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং মানসিক শান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।

ঐশ্বরিয়া শর্মার বক্তব্য শুধু নিজের দাম্পত্য জীবন নিয়ে নয়, এটি একধরনের সামাজিক প্রতিরোধের ভাষা যেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, "কোনো তারকার ব্যক্তিগত নীরবতাকে যেন অনুমান ও গুজবের লাইসেন্স না মনে করা হয়।"

এই ঘটনা নতুন করে মনে করিয়ে দেয়, ডিজিটাল যুগে গুজব প্রতিরোধের চেয়ে গুজব ছড়ানো যেন অনেক সহজ। তবে ঐশ্বরিয়ার মতো স্পষ্টভাষী প্রতিবাদ হয়তো ভবিষ্যতে কিছুটা হলেও ভারসাম্য তৈরি করতে পারবে।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ