যুদ্ধের পর মুখ খুললেন খামেনি: ইরান নত হয় না, শাস্তি দেয়

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৭ ০০:২১:২১
যুদ্ধের পর মুখ খুললেন খামেনি: ইরান নত হয় না, শাস্তি দেয়

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনব্যাপী সংঘর্ষ থেমে যাওয়ার দু’দিন পর, ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি এক গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও ভাষণে পুরো জাতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ১৩ জুন শুরু হওয়া এই যুদ্ধের পরিণতি এবং এর প্রভাব নিয়ে তিনি সরাসরি কথা বলেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল উভয় শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে ইরানের বিজয়কে তিনি ঈশ্বরপ্রদত্ত সফলতা হিসেবে অভিহিত করেন।

খামেনি তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই সম্প্রতি সংঘর্ষে শহীদ হওয়া ইরানি কমান্ডার, বিজ্ঞানী এবং সৈনিকদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, এইসব শহীদরা কেবল একটি দেশের জন্য জীবন দেননি, তারা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ভবিষ্যৎকে রক্ষা করেছেন। তাদের আত্মত্যাগের জন্য পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে তারা নিশ্চয়ই উত্তম প্রতিদান লাভ করবেন, এই বিশ্বাসই ইরানের জাতীয় চেতনার অংশ।

এরপর তিনি ধাপে ধাপে তুলে ধরেন ইরানের সাফল্যের দিকগুলো। প্রথমত, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই বিজয় ছিল একেবারেই অভাবনীয় ও অচিন্তনীয়। বহুস্তরবিশিষ্ট প্রতিরক্ষা ব্যুহ থাকার পরেও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও উন্নত অস্ত্র প্রযুক্তি ইসরায়েলি শহর ও সামরিক ঘাঁটিগুলোর গভীরে প্রবেশ করে ব্যাপক ধ্বংস চালিয়েছে। খামেনি বলেন, ইসরায়েল এমন আঘাতের সম্ভাবনাও কল্পনা করেনি। অথচ, এই আঘাত বাস্তবে ঘটেছে। তিনি এই সামরিক অর্জনের জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং একইসঙ্গে দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও জনগণের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

এরপর তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রসঙ্গে আসেন। খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে নেমেছে শুধুমাত্র ইসরায়েলের পরাজয় ঠেকাতে। তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে একটি স্বাধীন মামলার বিষয়। কিন্তু তবুও তারা কোন উল্লেখযোগ্য কৌশলগত অর্জন করতে পারেনি। খামেনি স্পষ্ট করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যুদ্ধের পরিস্থিতিকে যেভাবে অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরেছেন, তা কেবল তাদের ব্যর্থতা ঢাকতেই। আমেরিকা কেবল ব্যর্থই হয়নি, বরং ইরান তাদের আঞ্চলিক ঘাঁটি আল-উদেইদে পাল্টা হামলা চালিয়ে প্রমাণ করেছে যে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব—এবং তা আবারও ঘটতে পারে।

বক্তব্যের তৃতীয় অংশে খামেনি ইরানি জাতির অভূতপূর্ব ঐক্যের কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রায় ৯ কোটির এই জাতি রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে এক কণ্ঠে সশস্ত্র বাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভ, সমর্থন, স্লোগান ও জাতীয় সংহতি ইরানকে আরও শক্তিশালী করেছে। এটাই ইরানের প্রকৃত শক্তি "জাতির ঐক্য", যা কোনো বিদেশি শক্তির হাতে পরাজিত হয় না।

বক্তব্যের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অংশে এসে খামেনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন, যেখানে তিনি বলেন, “ইরানকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।” খামেনি বলেন, এই ধরনের বক্তব্য শুধুমাত্র অবাস্তব নয়, বরং ইরানি জাতির সম্মান ও ইতিহাসের প্রতি সরাসরি অবমাননা। একটি সভ্যতা, যার সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পদ আমেরিকার চেয়ে শতগুণ বেশি, সেই জাতিকে আত্মসমর্পণের কথা বলা এটা একটি অবজ্ঞাপূর্ণ এবং বেমানান দাবি।

এই বক্তব্যে খামেনি ইরানি জাতিকে স্মরণ করিয়ে দেন, এই সংঘাত কেবল পারমাণবিক প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং জাতীয় স্বাভিমান রক্ষার প্রশ্ন। তিনি বলেন, ইরানি জাতি একটি সম্মানিত জাতি, যারা কখনো আত্মসমর্পণ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। বরং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় এই জাতি বিজয়ী ছিল, আছে এবং থাকবে।

আয়াতুল্লাহ খামেনির এই বক্তব্য শুধু তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া নয়—এটি ইরানের দীর্ঘমেয়াদী রাষ্ট্রীয় অবস্থান ও ভূরাজনৈতিক বাস্তবতার একটি পরিষ্কার ঘোষণা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্ররা যদি ইরানকে চাপ দিয়ে নতজানু করার স্বপ্ন দেখে, তাহলে তাদের বুঝতে হবে, এই জাতিকে চাপে ফেলে পরাস্ত করা যায় না। বরং, ইতিহাস বলে, চাপ যত বেড়েছে, প্রতিরোধ তত শক্তিশালী হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে ‘ইরানের আত্মসমর্পণ’ বিষয়ক দাবি শুধু অযৌক্তিকই নয়, বরং এমন এক রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার নামান্তর, যার মাটি জুড়ে প্রতিরোধই জাতীয় পরিচয়ের মূল উপাদান। সুতরাং, এই বক্তব্য শুধু এক রাজনৈতিক ঘোষণা নয়, এটি এক সাংস্কৃতিক, কৌশলগত ও অস্তিত্বমূলক প্রত্যাঘাত। এবং ইতিহাস বলছে, এমন প্রত্যাঘাতকে অবমূল্যায়ন করার পরিণতি কখনোই হালকা হয় না।

সূত্রঃ তেহরান টাইমস।


নেতানিয়াহু বনাম সেনা কর্মকর্তারা: গাজা পুনর্দখল নিয়ে ইসরায়েলে তীব্র মতবিরোধ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১৮:৪০:৩৮
নেতানিয়াহু বনাম সেনা কর্মকর্তারা: গাজা পুনর্দখল নিয়ে ইসরায়েলে তীব্র মতবিরোধ
ফাইল ছবি: রয়টার্স

গাজা পুনর্দখল নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এই মতবিরোধের মধ্যেই গাজা উপত্যকার শেষ বড় শহর গাজা সিটি দখল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা উপত্যকার বাকি ১০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে গাজার অবশিষ্ট ১৫ শতাংশ জমিতে সমগ্র ফিলিস্তিনি জনসংখ্যাকে ঠেলে দেওয়া হবে।

গোপন আলোচনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান, গাজা সিটিতে ঢোকার এই পরিকল্পনাটি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আইয়াল জামির ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রস্তাবের চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ও রক্তক্ষয়ী। সেনা কর্মকর্তারা গাজা সিটি ঘিরে রেখে দূর থেকে হামলার প্রস্তাব দিলেও, নেতানিয়াহু ও তার রাজনৈতিক মিত্ররা পুরো গাজা দখলের পক্ষে ছিলেন।

সেনা কর্মকর্তাদের মতে, পুরো গাজা দখলের জন্য সেনাবাহিনীর পাঁচটি ডিভিশন প্রয়োজন। কিন্তু তাদের প্রস্তাবিত পর্যায়ক্রমিক অভিযানে এর অর্ধেকেরও কম ব্যবহার হবে। এই স্থল অভিযান তখনই শুরু হবে, যখন গাজা সিটির প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

সেনা কর্মকর্তাদের এই সিদ্ধান্তটি আসে নেতানিয়াহুর একটি সাক্ষাৎকারের ১২ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে, যেখানে তিনি পুরো গাজা দখলের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন। এ ঘটনায় তার অতি-ডানপন্থী মিত্ররা অসন্তুষ্ট হলেও, এটি প্রমাণ করে যে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা এখনো নেতানিয়াহুর বেসামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে সক্ষম।

নেতানিয়াহু নিজেও প্রকাশ্যে এই দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে বলেন, "আমি আইডিএফ, এর কমান্ডার ও আমাদের সৈনিকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রাখি। কিন্তু আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আইডিএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতের বিপরীতে গিয়ে। আমরা একটি দেশ, যার একটি সেনাবাহিনী আছে; সেনাবাহিনীর একটি দেশ নই।"

অন্যদিকে, জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির সেনাপ্রধানকে সরকারের আদেশ মানার শপথ নিতে বলেন এবং নেতানিয়াহুর ছেলে ইয়ায়ির নেতানিয়াহু সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টার অভিযোগ তোলেন। এর জবাবে সেনাপ্রধান আইয়াল জামির বলেন, "বিতর্কের সংস্কৃতি ইহুদি জনগণের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আইডিএফ নির্ভয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে থাকবে।"

২২ মাস পরও গাজায় ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছেন এবং ইসরায়েলের হামলায় ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মার্চ মাস থেকে ত্রাণ অবরোধের কারণে উপত্যকাটিতে ভয়াবহ মানবিক সংকট আরও গভীর হয়েছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র জার্মানি গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে এমন সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এটি ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।


মিঠুন চক্রবর্তীর হুঁশিয়ারি:১৪০ কোটি মানুষের প্রস্রাবে পাকিস্তান সুনামিতে ভেসে যাবে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১৮:২২:৪২
মিঠুন চক্রবর্তীর হুঁশিয়ারি:১৪০ কোটি মানুষের প্রস্রাবে পাকিস্তান সুনামিতে ভেসে যাবে
মিঠুন চক্রবর্তী/ ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের উদ্দেশে ভারতের বলিউড তারকা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, "এভাবে কথা বলতে থাকলে আর যদি আমাদের মাথা গরম হয়ে যায়, তাহলে একের পর এক ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যাবে। তাতেও যদি না হয়, তাহলে আমরা এমন একটি বাঁধ বানাবো, যেখানে ১৪০ কোটি মানুষ প্রস্রাব করবে। তারপর বাঁধের দরজা খুলে দিলে সুনামি হয়ে যাবে।"

মিঠুনের এই মন্তব্য মূলত পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসেছে। পরে অবশ্য তিনি স্পষ্ট করেন যে, তার এসব কথা শুধু বিলাওয়াল ভুট্টোর উদ্দেশে, পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে নয়।

সোমবার (১১ আগস্ট) সিন্ধু প্রদেশের একটি অনুষ্ঠানে বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছিলেন, ভারত যদি সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখে, তবে পাকিস্তানের হাতে যুদ্ধ ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না। তিনি আরও বলেন, ভারত যদি এই পথে আগাতে থাকে, তাহলে আমরা যুদ্ধ করে ৬টি নদীর অধিকার ফেরত নেওয়ার মতো শক্তিশালী।

এর আগে চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনিরও ভারতের বিরুদ্ধে নতুন করে পারমাণবিক হামলার হুমকি দেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, অস্তিত্বের সংকট দেখা দিলে পাকিস্তান তার পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ব্যবহার করবে। একই সঙ্গে তিনি সিন্ধু নদের পানি প্রবাহ বন্ধ করলে ভারতের অবকাঠামো ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকিও দেন।

অসিম মুনিরের হুমকির জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পাকিস্তানের এই নতুন পারমাণবিক হুমকি দেশটির পারমাণবিক কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন আরও জোরদার করেছে। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ভারত কোনো ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের’ কাছে নতি স্বীকার করবে না।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর এই বিতর্কের সূত্রপাত। ওই ঘটনায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করে। তখন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, এই চুক্তি আর কখনো পুনর্বহাল হবে না।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম:সাবেক ফার্স্ট লেডি কিম কিওন হি গ্রেপ্তার

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১৪:১১:২৫
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম:সাবেক ফার্স্ট লেডি কিম কিওন হি গ্রেপ্তার
সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরের চিত্র। ছবি : কালবেলা

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্ট লেডি কিম কিওন হি মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে কারসাজি, ঘুষ গ্রহণ এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপসহ একাধিক অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি চার ঘণ্টা ধরে চলা আদালতের শুনানিতে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তবে সিউল আদালত প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কায় তাকে রিমান্ডে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিবিসি-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী একই সময়ে কারাগারে বন্দি হলেন। কিমের স্বামী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গত বছর ব্যর্থ সামরিক আইন জারির চেষ্টার অভিযোগে আগেই গ্রেপ্তার হন। এই ঘটনাটি দেশে ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করে, যার ফলস্বরূপ ইউন সুক ইওল ক্ষমতা হারান।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, কিম ডয়েচ মোটর্স নামের একটি বিএমডব্লিউ ডিলারের শেয়ারমূল্য কারসাজির মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪০ মার্কিন ডলার অবৈধভাবে লাভ করেছেন। এই অভিযোগগুলো তার স্বামীর প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগের সময়ের হলেও, দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে তার স্বামীর সরকার প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।

আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চ থেকে ব্যবসায়িক সুবিধা পাওয়ার বিনিময়ে দুটি শ্যানেল ব্যাগ এবং একটি হীরার নেকলেস ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেন। এছাড়াও, তিনি ২০২২ সালের সংসদীয় উপনির্বাচন এবং গত বছরের সাধারণ নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

আদালতে কালো স্যুট ও স্কার্ট পরে হাজির হয়ে কিম কিওন হি সাংবাদিকদের বলেন, "আমি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নই, তবুও সমস্যার সৃষ্টি করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।"

প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ইউন সুক ইওল তার বিরুদ্ধে আনা বিশেষ কাউন্সেল বিল তিনবার ভেটো দিয়েছিলেন। সর্বশেষ ভেটোটি তিনি দেন গত বছরের নভেম্বরে, যা সামরিক আইন জারির ঘোষণার এক সপ্তাহ আগে। ইউন সুক ইওলের প্রতিদ্বন্দ্বী লি জে মিয়ং চলতি বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সেই বিশেষ কাউন্সেল গঠন করা হয়।


মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর!

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১১:৫৪:৩১
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর!
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতকোত্তর পাসের পর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ভিসা চালুর সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়েছে। এই নীতি কার্যকর হলে হাজার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ার ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে উচ্চ-দক্ষতা সম্পন্ন চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিষয়টি কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া-তে দেশটির উচ্চশিক্ষামন্ত্রী জাম্ব্রি আব্দুল কাদিরের সঙ্গে বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করেন। আইন, বিচার ও বৈদেশিক নিয়োগ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী নীতিগতভাবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতকোত্তর পাস ভিসা চালুর বিষয়ে সম্মতি দেন। তবে নীতি কার্যকর হওয়ার আগে উভয় পক্ষকে কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। যদিও অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর শেষে মালয়েশিয়ার চাকরি বাজারে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে থাকে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ থেকে এতদিন বঞ্চিত ছিলেন।

এর আগে সোমবার কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রী ফাদলিনা বিন্তি সিদেকের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি সম্প্রসারণ, মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে শিক্ষাগত সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচি সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি, মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে বাংলাদেশের ডিগ্রির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির আবেদন জানান অধ্যাপক ইউনূস।

মালয়েশিয়ার মন্ত্রী অধ্যাপক ইউনূসের দীর্ঘমেয়াদি থ্রি জিরো অভিযানের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন, যার লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূর করা এবং কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আপনি যদি দারিদ্র্যবিহীন একটি পৃথিবী কল্পনা না করেন, তবে তা কখনও বাস্তবে রূপ নেবে না।” তিনি বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান, এমন একটি মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক সভ্যতা গড়ে তোলার জন্য যৌথভাবে কাজ করার।

শিক্ষা সহযোগিতা জোরদারের অংশ হিসেবে অধ্যাপক ইউনূস মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রীকে ঢাকায় সফরের আমন্ত্রণ জানান।

বৈঠকগুলোতে জ্বালানি উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকি এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদও উপস্থিত ছিলেন, যা এই উদ্যোগের উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।

-শরিফুল


রপ্তানি শুল্ক সংকটের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি 

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১১:৩৭:০৬
রপ্তানি শুল্ক সংকটের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি 
ছবিঃ সংগৃহীত

রপ্তানি শুল্ককে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসন্ন সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, মোদি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করবেন এবং এ সফরের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জোর সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হবে ৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে। ২৩ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন ট্রাম্প, আর ২৬ সেপ্টেম্বর বক্তব্য রাখবেন মোদি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, এই সময়সূচির মধ্যবর্তী সময়ে দু’দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের বর্তমান উত্তেজনার সূত্রপাত ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত উচ্চ রপ্তানি শুল্ক। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল ১৫ শতাংশ। তবে গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের দেড় মাস পর, মার্চে ট্রাম্প তা বাড়িয়ে ২৫ শতাংশে উন্নীত করেন, যা ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়।

পরিস্থিতি আরও জটিল হয় রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রুশ তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যসীমা নির্ধারণ করলেও ভারত তুলনামূলক কম দামে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখে। এ বিষয়ে ট্রাম্প একাধিকবার প্রকাশ্যে আপত্তি জানিয়ে অভিযোগ করেন, ভারত এভাবে রাশিয়াকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করছে। এর জের ধরে গত ৬ আগস্ট ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, ফলে মোট শুল্কহার দাঁড়ায় ৫০ শতাংশে।

নতুন শুল্ক আরোপের নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প স্পষ্ট করে লেখেন, “ভারত সরকার সরাসরি বা পরোক্ষভাবে রুশ ফেডারেশন থেকে তেল আমদানি করছে... আমার বিচারে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর অ্যাড ভ্যালোরেম শুল্ক আরোপ প্রয়োজনীয়।”

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলে, “দেশের অভ্যন্তরীণ জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল রাখা এবং জনগণকে ন্যায্য মূল্যে তেল সরবরাহ করা ভারতের জাতীয় স্বার্থের অন্তর্ভুক্ত। এই স্বার্থ রক্ষায় ভারত সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”

প্রসঙ্গত, এর আগে ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এবার জাতিসংঘ অধিবেশন ঘিরে তার সফর শুধু বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক কার্যক্রম নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র–ভারত সম্পর্কের সাম্প্রতিক অস্থিরতা প্রশমনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

-রাফসান


সিন্ধু নদ ইস্যুতে ভারতকে পাকিস্তানের কড়া হুঁশিয়ারি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১১:২৮:১৯
সিন্ধু নদ ইস্যুতে ভারতকে পাকিস্তানের কড়া হুঁশিয়ারি
ছবিঃ সংগৃহীত

সিন্ধু নদ ও পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতকে তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ইসলামাবাদে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, যদি ভারত সিন্ধু নদীর পানি আটকে রাখার চেষ্টা করে, তবে পাকিস্তান কঠোর জবাব দেবে। তার ভাষায়, “আমরা আমাদের পানির এক ফোঁটাও কাউকে নিতে দেব না। যদি কেউ এমন পরিকল্পনা করে, তবে তাকে এমন শিক্ষা দেওয়া হবে, যা সারাজীবন মনে থাকবে।”

প্রধানমন্ত্রীর এই সতর্কবার্তা আসে জম্মু–কাশ্মিরের পেহেলগামে সম্প্রতি সংঘটিত এক জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে, যেখানে ২৫ জন ভারতীয় ও একজন নেপালি নাগরিক নিহত হন। হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানভিত্তিক গোষ্ঠী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। এ ঘটনার পর ভারত তাৎক্ষণিকভাবে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে, যার ফলে পাকিস্তানে প্রবাহিত সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর পানির প্রবাহে বিঘ্ন ঘটে এবং দেশটির কৃষি খাত বড় ধরনের সংকটে পড়ে।

পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সালিশ আদালতে মামলা করে। ৮ আগস্ট আদালত রায় দেন, যেখানে ভারতকে চুক্তিতে ফিরতে এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পসহ যেকোনো বাঁধ নির্মাণ চুক্তির শর্ত মেনে করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাকিস্তান রায়কে স্বাগত জানালেও ভারত এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে ভারতকে চুক্তিতে ফিরতে আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সফররত পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির আরও কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ৯ আগস্ট ফ্লোরিডায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ভারত যদি সিন্ধু নদে বাঁধ নির্মাণ করে, তবে তা ধ্বংস করতে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্রই যথেষ্ট। সিন্ধু নদ কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, আর আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারে কোনো ঘাটতি নেই।”

১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি অনুযায়ী, ভারত পূর্বাঞ্চলের ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রু নদীর পানি ব্যবহারের অধিকার পেয়েছে। অপরদিকে, পাকিস্তানকে পশ্চিমাঞ্চলের সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর অধিকাংশ পানি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়। চুক্তিতে একতরফাভাবে বাতিল বা স্থগিতের সুযোগ নেই, তবে বিরোধ নিষ্পত্তির সুস্পষ্ট ধারা বিদ্যমান।

পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু অববাহিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলোর পানি কৃষি, নগর ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার মূলভিত্তি হিসেবে অপরিহার্য। এসব নদীর প্রবাহ ব্যাহত হলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সেচব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা থেকে শুরু করে জ্বালানি উৎপাদন পর্যন্ত জাতীয় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো গভীর সংকটে পড়বে।

-রফিক


হুথিদের ড্রোন আঘাতে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১০:৪৮:২৩
হুথিদের ড্রোন আঘাতে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সমন্বিত ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। হুথিদের জারি করা এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল হাইফা, নেগেভ, উম্মে আল-রাশরাশ এবং বেয়ারশেবা—যা ইসরায়েলের সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত।

হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি নিশ্চিত করেছেন যে, হামলাগুলো গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি আগ্রাসনের সরাসরি প্রতিক্রিয়া হিসেবে পরিচালিত হয় এবং সবগুলো হামলাই “লক্ষ্য অর্জনে সফল” হয়েছে। তিনি আরও স্পষ্ট করেছেন, ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া এবং গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান এখন প্রায় দুই বছরের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। এই সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনি জনগণ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৬১ হাজার ৫৯৯ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮ জন। কেবল গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন প্রাণ হারিয়েছেন ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধজনিত দুর্ভিক্ষে এবং খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ অবস্থায় গোলাবর্ষণে মারা গেছেন আরও ১৯ জন।

গাজার পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলেও গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডাসহ ২৬টি দেশ যৌথভাবে বিবৃতি দিয়ে চলমান অবরোধ ও হামলাকে ‘অকল্পনীয় মাত্রার ভোগান্তি ও দুর্ভিক্ষ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ এবং দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

-শরিফুল


লুকিয়ে ইসরাইলের জন্য অস্ত্র পরিবহন বিতর্কে সৌদি জাহাজ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ০৮:১৮:৫৬
লুকিয়ে ইসরাইলের জন্য অস্ত্র পরিবহন বিতর্কে সৌদি জাহাজ
ছবি: সংগৃহীত

ইতালির জেনোয়া বন্দরে দখলদার ইসরাইলের জন্য অস্ত্র পরিবহনের অভিযোগে সৌদি আরবের জাতীয় জাহাজ পরিবহন সংস্থা ‘বাহরি’-এর একটি জাহাজ আটকে দিয়েছেন স্থানীয় শ্রমিকরা। ৮ আগস্ট ‘বাহরি ইয়ানবু’ নামের জাহাজটি জেনোয়া বন্দরে নোঙর করলে ঘটনাটি ঘটে। দ্য ক্রাডল ও মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাহাজটির পরিকল্পনা ছিল জেনোয়া থেকে অস্ত্র বোঝাই করে আবুধাবিতে পাঠানোর। তবে বন্দরকর্মীরা খবর পান, জাহাজটিতে আগে থেকেই অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে, যা ইসরাইলে পাঠানোর কথা। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রায় ৪০ জন বন্দরশ্রমিক জাহাজে প্রবেশ করে অস্ত্রের উপস্থিতি খুঁজে পান। তদন্তে আরও জানা যায়, ইতালিতে আসার আগে জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে গিয়েছিল এবং সেখান থেকেই অস্ত্র এনেছে।

জেনোয়ার ‘অটোনোমাস কালেক্টিভ অব পোর্ট ওয়ার্কার্স অ্যান্ড ইউনিয়ন’-এর প্রতিনিধি জোসে নিভোই বলেন, তারা যুদ্ধের জন্য কাজ করেন না। এই ঘটনার পর জেনোয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধে স্থায়ী পর্যবেক্ষণ দল গঠনের আশ্বাস দিয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালেও একই বন্দরকর্মীরা একটি অস্ত্রবাহী জাহাজ আটকাতে সক্ষম হয়েছিলেন।

অন্যদিকে, সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাহরি এক বিবৃতিতে অভিযোগগুলোকে “সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। সোমবার কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, তারা কখনও ইসরাইলে কোনো পণ্য বা চালান পরিবহন করেনি এবং এমন কোনো অভিযানে জড়িতও ছিল না। কোম্পানিটি ফিলিস্তিনি স্বার্থে সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের নীতি এবং আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বাহরি আরও জানিয়েছে, তাদের সব কার্যক্রম কঠোর তদারকি ও স্পষ্ট পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং প্রযোজ্য সব আইন ও বিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা হয়। তারা সতর্ক করেছে, যে কোনো মিথ্যা দাবি বা বিভ্রান্তিকর তথ্য তাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অব্যাহতভাবে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইল। এই বর্বরতা ঠেকাতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বন্দরকর্মীরা অস্ত্র পরিবহন বন্ধে সক্রিয় হয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে গত ৪ জুন ফ্রান্সের ফোস-মার্সেই বন্দরের শ্রমিকরা ইসরাইলের জন্য আনা অস্ত্র উপকরণ জাহাজে তুলতে অস্বীকৃতি জানান, ফলে জাহাজটি খালি হাতে ফিরে যায়।

-রাফসান


গাজায় তুরস্কের সর্বাত্মক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন এরদোগান

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১৭:০৭:১১
গাজায় তুরস্কের সর্বাত্মক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন এরদোগান
ছবি: সংগৃহীত

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, গাজায় সাহায্যের জন্য তারা সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি জানান, দেশের সমস্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও কূটনৈতিক সক্ষমতা কাজে লাগানো হচ্ছে। সোমবার আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এই বক্তব্য দেন তিনি। এরদোগান বলেন, তারা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার সঙ্গে থাকা খুনি চক্রকে তাদের রাজনৈতিক জীবন দীর্ঘায়িত করার জন্য নিজেদের অঞ্চলে আরও বড় সংকট সৃষ্টি করতে দিতে চান না।

গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান গাজায় প্রায় ৬১ হাজার ৫০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটিয়েছে। এই যুদ্ধ উপত্যকাকে ধ্বংসপ্রাপ্ত করেছে এবং ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি করেছে, যেখানে অনাহার, রোগব্যাধি এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির মতো দুর্ভোগ চলছে।

গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এছাড়া ইসরায়েল বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলার মুখোমুখি রয়েছে।

এরদোগানের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে গাজার প্রতি তুরস্কের সমর্থন ও সহযোগিতার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সূত্র: ইয়েনিসাফাক

পাঠকের মতামত: