শিক্ষকের ফাঁদে স্কুলছাত্রী, বন্দিদশা থেকে উদ্ধার তিন কিশোরী

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৬ ০৯:১০:০৫
শিক্ষকের ফাঁদে স্কুলছাত্রী, বন্দিদশা থেকে উদ্ধার তিন কিশোরী

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতনের দুটি বিভীষিকাময় ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ফতুল্লায় দরিদ্র পরিবারের চার স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধারাবাহিক ধর্ষণের অভিযোগে পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজান (৪৫)–কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, সিদ্ধিরগঞ্জে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর গণপিটুনির শিকার হয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে তানভীর আহমেদ (২১) নামের এক তরুণ।

ফতুল্লা থানার পুলিশ জানায়, বুধবার (২৫ জুন) সকালে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানকে আটক করা হয়। এ সময় তিনজন ভুক্তভোগী কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়, যারা তার মোহাম্মদপুরের বাসায় বন্দিদশায় ছিল। শিক্ষক মিজান ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাদেক খান রোডে বসবাস করেন এবং প্রতি শুক্রবার পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ে আর্ট ও কম্পিউটারের ক্লাস নিতেন। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণের একটি আগের মামলার তথ্যও পাওয়া গেছে।

তদন্তে উঠে আসে, শিক্ষক মিজান দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের উন্নত ভবিষ্যতের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে ঢাকায় তার বাসায় নিয়ে যেতেন। ৬ জুন দশম শ্রেণির দুই ছাত্রী, ১১ জুন আরেক ছাত্রী এবং ২৩ জুন আরও একজন ছাত্রীকে তিনি ধর্ষণ করেন। ওই কিশোরীদের পরিবারে কেউ ইটভাটার শ্রমিক, কেউ দিনমজুর, কেউবা ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী।

২৪ জুন তাদের একজন কিশোরী সাহস করে পালিয়ে আসে এবং পরিবারকে ঘটনাটি জানায়। এরপর ফতুল্লা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে আরও তিন কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং মিজানকে গ্রেপ্তার করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।

অন্যদিকে, সিদ্ধিরগঞ্জে সোমবার সন্ধ্যায় ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তানভীর আহমেদ (২১) নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে। শিশুটি পাইনাদি নতুন মহল্লার নাজমা উকিলের চারতলা ভবনের নিচতলায় খেলছিল। সেই সময় তানভীর চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে ফাঁদে ফেলে নিজের বাসায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে এবং পরে একটি মাঠে ফেলে পালিয়ে যায়।

শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে সে বিস্তারিত জানায়। পরদিন রাতেই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তানভীরকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

এই দুই ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সমাজে শিশু ও কিশোরীদের প্রতি এমন সহিংসতা প্রতিরোধে দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

আমেরযত কাহিনি

আমেরযত কাহিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ ‘আম’ শুধু একটি ফল নয়, বরং এটি ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে গভীরভাবে প্রোথিত এক... বিস্তারিত