দুই দিনের ব্যবধানে গ্রেপ্তার দুই সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৫ ১৭:৫৫:২৫
দুই দিনের ব্যবধানে গ্রেপ্তার দুই সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার

রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে আজ বিকেলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে। জাতীয় নির্বাচন কারচুপির অভিযোগে দায়ের করা এক মামলার প্রেক্ষিতে তাঁর এই গ্রেপ্তার হয়, যা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ঘিরে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিডিয়া ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, দুপুর ২টার দিকে মগবাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। এর দুই দিন আগেই একই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আরেক সাবেক সিইসি, কে এম নুরুল হুদা।

নুরুল হুদাকে গত ২২ জুন সন্ধ্যায় উত্তরা এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২৩ জুন আদালত তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, সাবেক সিইসি নুরুল হুদার অধীনে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে হয় ২০২৪ সালের নির্বাচন। বিতর্কিত ফল, বিরোধীদলীয় অংশগ্রহণ না থাকা এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে এই দুই নির্বাচনই দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

এই ঘটনায় গত রোববার (২৩ জুন) বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান ক্ষমতা থেকে অপসারিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনজন সাবেক সিইসি, চারজন সাবেক আইজিপি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং গোয়েন্দা সংস্থা NSI, SB ও DGFI-এর সাবেক প্রধান কর্মকর্তারা।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘সরকারি যন্ত্র ব্যবহার করে একপাক্ষিকভাবে নিয়ন্ত্রণ ও কারচুপি করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে।’ অভিযোগে আরও বলা হয়, সুশাসন ধ্বংস ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অবৈধভাবে দীর্ঘায়িত করার জন্য একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হয়েছে।

এই মামলার তদন্ত ও গ্রেপ্তার নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে প্রশাসন ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে জনমনে আবারও প্রশ্ন উঠেছে—নির্বাচন কি সত্যিই জনগণের রায়ের প্রতিফলন?

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের বিষয়েও তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

আমেরযত কাহিনি

আমেরযত কাহিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ ‘আম’ শুধু একটি ফল নয়, বরং এটি ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে গভীরভাবে প্রোথিত এক... বিস্তারিত