কাশ্মীর হামলায় তিনজনই পাকিস্তানি? তদন্তকারীদের চাঞ্চল্যকর দাবি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৪ ১৬:১১:৫৩
কাশ্মীর হামলায় তিনজনই পাকিস্তানি? তদন্তকারীদের চাঞ্চল্যকর দাবি

কাশ্মীরের পেহেলগাম শহরের কাছে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজন হামলাকারীর সবাই পাকিস্তানি নাগরিক বলে দাবি করেছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)। সংস্থাটির মতে, অভিযুক্তরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার সক্রিয় সদস্য। ঘটনায় জড়িতদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি দুজন কাশ্মীরি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হামলার পর ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। মামলাটি দ্রুত কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএর কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী হামলার পর পেহেলগাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েক হাজার স্থানীয় বাসিন্দাকে আটক করা হয়, যদিও মূল অভিযুক্তদের কেউ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।

প্রসঙ্গত, এই হামলা সংঘটিত হয় কাশ্মীরের বৈসারান নামের একটি জনপ্রিয় পাহাড়ি পর্যটন এলাকায়। এনআইএর দাবি, গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি হামলার আগে তিনজন অস্ত্রধারীকে একটি ঝুপড়িতে জেনেশুনেই আশ্রয় দিয়েছিল। তবে ঠিক কবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তি (১৯৭২) থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়। দুই দেশই পারস্পরিক চুক্তি লঙ্ঘনের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গভীর সংকটে পড়ে।

চুক্তিগুলো বাতিলের কিছুদিন পর, ৭ মে ভারত বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে, যার মধ্যে পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরও অন্তর্ভুক্ত। ভারত দাবি করে, হামলাগুলো তথাকথিত ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামোর’ বিরুদ্ধে পরিচালিত।

জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালায় এবং সীমান্তে ড্রোন মোতায়েন করে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে দুদেশের মধ্যে বেশ কয়েক দফা গোলাগুলি ও ক্ষেপণাস্ত্র বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হস্তক্ষেপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর মধ্যস্থতায় ১০ মে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়, যার মাধ্যমে সাময়িকভাবে হলেও যুদ্ধের মেঘ কেটে যায়।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাশ্মীর ইস্যুতে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের এই বিরোধ এখন আর শুধু সীমান্তে সীমাবদ্ধ নেই; এটি ক্রমেই আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও কূটনীতির জটিল ইস্যুতে পরিণত হচ্ছে।

—সত্য নিউজ/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

আমেরযত কাহিনি

আমেরযত কাহিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ ‘আম’ শুধু একটি ফল নয়, বরং এটি ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে গভীরভাবে প্রোথিত এক... বিস্তারিত