ওআইসি সম্মেলন ২০২৫

ওআইসি সম্মেলনে ইসরায়েলের আগ্রাসন, রোহিঙ্গা সংকট ও উন্নয়ন অগ্রাধিকারে বাংলাদেশের শক্ত বার্তা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২২ ১০:২১:২১
ওআইসি সম্মেলনে ইসরায়েলের আগ্রাসন, রোহিঙ্গা সংকট ও উন্নয়ন অগ্রাধিকারে বাংলাদেশের শক্ত বার্তা

ইস্তাম্বুলে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের ৫১তম অধিবেশনে বাংলাদেশ সরকারের বিদেশবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন স্পষ্ট ভাষায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ইরানে হামলা ও গাজায় চলমান আগ্রাসনকে অবৈধ ও অমানবিক আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানান। একইসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তেলআবিবের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এই ধরনের উস্কানিমূলক হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানায় ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে ও কূটনৈতিকভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করতে।”

তিনি ইরানে হামলাকে “আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন” হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “এ ধরনের বেপরোয়া কার্যকলাপ গোটা অঞ্চল ও বিশ্বশান্তিকে হুমকির মুখে ফেলে।”

গাজায় গণহত্যা ও দখলদারির নিন্দা

গাজায় ইসরায়েলি হামলার কথা তুলে ধরে তৌহিদ হোসেন বলেন, “গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ৬০০ দিনের বেশি সময় ধরে চলমান। এটি একটি গণহত্যার উদাহরণ।” তিনি বলেন, এই আগ্রাসনে নিরীহ মানুষের মৃত্যু, বেসামরিক স্থাপনা ধ্বংস এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে।

তিনি দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক টেকসই সমাধানের পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং পূর্ব জেরুজালেমকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।

রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান জরুরি

উপদেষ্টা বলেন, “রোহিঙ্গা সংকট আর সহনীয় নয়। এটি একটি নিরাপত্তা হুমকির উৎস হতে পারে।” তিনি রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই এই সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব বলে মত দেন।

তিনি মিয়ানমারের ওপর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি আইসিজে-তে মামলায় ওআইসি দেশগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও দায়িত্ব ভাগাভাগির আহ্বান জানান।

ইসলামভীতি, জলবায়ু সংকট ও উন্নয়নেও বাংলাদেশের আহ্বান

তিনি জাতিসংঘ কর্তৃক ১৫ মার্চকে ইসলামভীতি প্রতিরোধ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় স্বাগত জানান এবং বলেন, “ওআইসি’র উচিত যৌথ আইনি, শিক্ষাগত ও গণমাধ্যমভিত্তিক কৌশলে ঘৃণা প্রতিরোধে নেতৃত্ব দেওয়া।”

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে তিনি ‘OIC Climate Resilience Initiative’ চালু করার প্রস্তাব দেন এবং তরুণদের সম্পৃক্ত করতে একটি ‘OIC Innovation Network’ গঠনের আহ্বান জানান।

তিনি চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদ, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, ডিজিটাল অর্থনীতি ও কর্মদক্ষতা উন্নয়নে যৌথ বিনিয়োগে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ওআইসি সম্পর্ক

তিনি জানান, বাংলাদেশ এখন একটি শান্তিপূর্ণ ও জনগণকেন্দ্রিক রাজনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে নেতৃত্বে আছেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এই রূপান্তরে ওআইসি সদস্যদের সহমর্মিতা ও সংহতি কামনা করেন।

তিনি বাংলাদেশের ওআইসি দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশনে স্বাক্ষর, শ্রম কেন্দ্র সংবিধানে অংশগ্রহণ ও ওআইসিতে স্থায়ী মিশন স্থাপনের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

শেষে তৌহিদ হোসেন বলেন, “ওআইসি যেন শুধু নীতির সংগঠন না হয়ে একটি কার্যকর, ন্যায়ভিত্তিক ও ঐক্যবদ্ধ বৈশ্বিক শক্তি হয়ে উঠতে পারে, এটাই আমাদের চাওয়া।”

ইমরান হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক


ভারত–চীনের সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনরায় চালুর পথে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১০:৪১:২৯
ভারত–চীনের সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনরায় চালুর পথে
ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও চীনের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনঃচালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এবং আগামী মাস থেকেই এই বহুল প্রত্যাশিত পরিষেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ ভারতের প্রভাবশালী সরকারি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ভারতের সিভিল এভিয়েশন বিভাগ ইতিমধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগোকে খুব স্বল্প নোটিশে রুটে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সামিটের সময় বা তার কাছাকাছি সময়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

এটি শুধু একটি পরিবহন সুবিধার পুনঃপ্রবর্তন নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের শীতল কূটনৈতিক সম্পর্কের বরফ গলানোর সূক্ষ্ম ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০২০ সালের মে মাসে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে কৈলাস–মানস সরোবর যাত্রা ও সরাসরি বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। তার এক মাস পর পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই দেশের সম্পর্ক গভীর সংকটে পড়ে। এই ঘটনার পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন অচলাবস্থায় ছিল।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ভারত ও চীন নীতিগতভাবে বিমান যোগাযোগ পুনঃস্থাপনে সম্মত হয় এবং একই বছরের জুন মাসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তা দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ভ্রমণ ভিসা সহজীকরণ এবং কৈলাস–মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় চালুর উদ্যোগ দুই দেশের সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণের আরেকটি দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

-রফিক


টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বিতর্কে নতুন মোড়

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ০৯:০১:০২
টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বিতর্কে নতুন মোড়
শেখ হাসিনার ভাগনি ও যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনার ভাগনি ও যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন, টিউলিপ প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছেন এবং ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। এই তথ্য টিউলিপের দীর্ঘদিনের দাবি তিনি বাংলাদেশি নাগরিক নন এর সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ জানান, টিউলিপের একাধিক পাসপোর্ট, ভোটার আইডি এবং বাংলাদেশে নিবন্ধিত ঠিকানা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, “এসব নথি আমরা আদালতে যথাসময়ে উপস্থাপন করব।” ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তর এই নথিগুলোর অনুলিপি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

অন্যদিকে, টিউলিপ সিদ্দিক এসব অভিযোগ ও নথির সত্যতা অস্বীকার করেছেন। তার আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্টিফেনসন হারউড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, টিউলিপের কখনো বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি ছিল না এবং শিশু বয়স থেকে তিনি কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট গ্রহণ করেননি। তারা নথিগুলোকে ‘জাল’ আখ্যা দিয়েছে। টিউলিপ এই বিচার প্রক্রিয়াকে “হয়রানি ও প্রহসন” বলে উল্লেখ করেছেন এবং দাবি করেছেন, মামলার বিষয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, নাগরিকত্বের প্রশ্নটি সরাসরি এই মামলার বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত নাও করতে পারে, তবে আদালতে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আগে এ ধরনের বিতর্ক আসা অভিযুক্তের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। বর্তমানে টিউলিপ অনুপস্থিতিতেই ঢাকার একটি আদালতে তার বিচার চলছে।

দুদকের মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, টিউলিপ সিদ্দিক তার খালা শেখ হাসিনা, মা এবং দুই ভাইবোনের সঙ্গে মিলে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে বেআইনিভাবে সরকারি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্লট পাওয়ার যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বরাদ্দ আদায় করেছেন।

এই মামলার পটভূমিতে রয়েছে শেখ হাসিনার পতনের পর দুর্নীতির নতুন তদন্তের প্রক্রিয়া। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে তার বিরুদ্ধে কর্তৃত্ববাদ, নির্বাচন কারসাজি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ছিল। ছাত্রনেতৃত্বাধীন দেশব্যাপী বিক্ষোভের মুখে তিনি গত বছরের আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। তার বিদায়ের পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে।

টিউলিপ সিদ্দিক এর আগে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন সিটি মিনিস্টারের (ইকোনমিক সেক্রেটারি) দায়িত্বে ছিলেন, যেখানে তিনি আর্থিক খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্ব পালন করতেন। তবে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এ আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পদ থেকে তিনি সুবিধা নিয়েছেন এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর রাজনৈতিক চাপে পদত্যাগ করেন।

টিউলিপের দাবি, তিনি কোনো ধরনের অনিয়ম করেননি এবং এই মামলার মাধ্যমে অধ্যাপক ইউনূসের সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করছে, যার শিকার তিনি। তবে দুদক বলছে, তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে এবং নোটিশ যথাযথভাবে প্রদান করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করেছে যে, টিউলিপ সিদ্দিকের একটি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, যদিও সেটি সরাসরি নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে না।

-রফিক


কৃষিঋণ নিয়ে সুখবর দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ০৮:১২:০২
কৃষিঋণ নিয়ে সুখবর দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন ও ফসলের বৈচিত্র্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১০টি নতুন ফসলকে কৃষিঋণের আওতায় এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় খিরা, কচুর লতি, কাঁঠাল, বিটরুট, কালোজিরা, বস্তায় আদা, রসুন, হলুদ এবং খেজুরের গুড় চাষে ঋণসুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীতে নতুন অর্থবছরের নীতিমালা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এ সময় কৃষি ঋণ বিভাগের পরিচালকসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, এসব নতুন ফসল চাষে ঋণ চালু হলে কৃষকের আয় বাড়বে, গ্রামীণ অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানির নতুন সুযোগ তৈরি হবে। এর ফলে কিছু কৃষিপণ্যে আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কৃষকদের সহায়তা বাড়ানো জরুরি। এজন্য তাদের ঋণপ্রাপ্তি সহজ করতে হবে, কারণ অনেক কৃষকের ব্যাংক ঋণে প্রবেশাধিকার নেই। প্রকৃত কৃষকের হাতে ঋণ পৌঁছানো নিশ্চিত করতে দালালচক্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেন তিনি।

২০২৫-২৬ অর্থবছরে কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের ৩৮ হাজার কোটি টাকার তুলনায় ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। তবে গত অর্থবছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি ব্যাংকগুলো।

গভর্নরের মতে, কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা আরও উচ্চাভিলাষী হওয়া উচিত এবং বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করলে ঋণপ্রবাহ ও কৃষি খাতের প্রসার ছোট লক্ষ্য পূরণের তুলনায় বেশি কার্যকর হবে। তিনি ক্ষুদ্র কৃষি উদ্যোক্তাদের কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান এবং বড় উদ্যোক্তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে না পড়তে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনে মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

-রফিক


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশের ৩৩১টি সংগঠন নিবন্ধিত

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ২১:২৬:৫১
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশের ৩৩১টি সংগঠন নিবন্ধিত
নির্বাচন ভবন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দেশজুড়ে মোট ৩৩১টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন করেছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ আবেদন নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে করা হয়েছে। তবে সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে ১৩টি সংস্থা অতিরিক্ত আবেদন করলেও তাদের আবেদন নথিভুক্ত করা হলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের সহকারী জনসংযোগ পরিচালক মো. আশাদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়সীমা ১০ আগস্ট বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধনের জন্য ৩১৮টি আবেদন জমা পড়েছিল। পরে আরও ১৩টি সংস্থা আবেদন করলেও তা সময়সীমার বাইরে হওয়ায় গ্রহণযোগ্য নয় এবং শুধুমাত্র নথিভুক্ত করা হবে।

এ ছাড়াও, নির্বাচন কমিশন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া ও তাদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সতর্ক নজর রাখছে।

/আশিক


মালয়েশিয়া ও অন্যান্য আঞ্চলিক দেশ মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মিশন ও রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা  পাঠাবে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ২০:১৩:৪৩
মালয়েশিয়া ও অন্যান্য আঞ্চলিক দেশ মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মিশন ও রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা  পাঠাবে
ছবি: রয়টার্স

মালয়েশিয়া ও অন্যান্য আঞ্চলিক দেশ মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে যৌথ প্রতিনিধিদল পাঠাবে। আজ মঙ্গলবার পুত্রজায়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই মিশন পাঠানো হতে পারে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি তিন দিনের সফরে মালয়েশিয়ায় আছেন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দমন-পীড়নের কারণে সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলো বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই বাস্তবতা তুলে ধরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি এবং দুর্যোগে থাকা শরণার্থী ও ভূমিকম্প-প্রভাবিতদের জন্য মানবিক সহায়তা দ্রুত করতে হবে।

মালয়েশিয়া বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংগঠন আসিয়ানের সভাপতিত্ব করছে। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার মিশনের সমন্বয় করবেন ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে। মালয়েশিয়া আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশের উপর রোহিঙ্গাদের ভার অনেক বেশি চাপাচ্ছে।

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গারা মূলত মুসলিম। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ১৮ মাসে পরিকল্পিত সহিংসতা ও সংঘাতের কারণে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মালয়েশিয়া সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এছাড়া উচ্চশিক্ষা, কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ ও হালাল ইকোসিস্টেম নিয়ে তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ স্বাক্ষরিত হয়।

গত সোমবার কুয়ালালামপুরে পৌঁছানোর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল বিমানবন্দরে অধ্যাপক ইউনূসকে অভ্যর্থনা জানান এবং তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়।

/আশিক


মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১৭:৪৪:১৭
মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশকে ব্যবসাবান্ধব করতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। অতীতে বাংলাদেশের ব্যবসা পরিবেশ অনেকটাই বাধাগ্রস্ত ছিল, কিন্তু এখন নতুন বাংলাদেশে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্ভাব্য সব উপায়ে ব্যবসাবান্ধব হওয়ার চেষ্টা করছে এবং আমি এখানে অসীম সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।’

কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ফোরামে প্রফেসর ইউনূস বলেন, প্রবাসী তরুণ বাংলাদেশিরা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী এবং তারা সৃজনশীল। তিনি বিনিয়োগকারীদেরও তরুণদের এই সৃজনশীলতা কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা এবং শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কমানোর সরকারি প্রচেষ্টার উপর একটি উপস্থাপনা করেন।

রবির আজিয়াটা গ্রুপের সিইও বিবেক সুদ বাংলাদেশের ২৮ বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অংশীদারিত্বমূলক সফলতা তুলে ধরেন। পেট্রোলিয়াম ন্যাশনাল বেরহাদের প্রেসিডেন্ট টেংকু মুহাম্মদ তৌফিক, সার্বভৌম সম্পদ তহবিল খাজানাহ ন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল ফয়সাল ওয়ান জহিরসহ মালয়েশিয়ার বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রোটন, টপ গ্লোভ করপোরেশনসহ অন্যান্য কোম্পানির প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

এর আগে পুত্রজায়ায় ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অব মালয়েশিয়া (এনসিসিআইএম) এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।

/আশিক


তরুণরা হবে দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক: আসিফ মাহমুদ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১৬:৪৯:৪৬
তরুণরা হবে দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক: আসিফ মাহমুদ
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব

স্থানীয় সরকার ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে প্রযুক্তিনির্ভর ও উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে তরুণরাই নতুন বাংলাদেশের প্রধান চালিকাশক্তি হবেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৩ শতাংশই ৩৫ বছরের নিচে। এই বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীই দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাই তাদের প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থানে এগিয়ে এসে দেশের উন্নয়নের নেতৃত্ব নিতে হবে।

উপদেষ্টা জানান, সরকার ইতোমধ্যে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এবং ইন্টারনেট খরচ কমানোর মতো আধুনিক প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি ই-স্পোর্টসকেও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ৭৪ লাখের বেশি যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করেছেন এবং বিভিন্ন ঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে ১১ লাখেরও বেশি যুবক ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ঋণ পেয়েছেন। এছাড়া ২৪ লাখের বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক আত্মকর্মসংস্থানে যুক্ত হয়েছেন।

তরুণদের যুব নীতি প্রণয়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আগামী অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ইয়ুথ সামিটের আয়োজন করা হবে। একই সঙ্গে দেশের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিসি কম্পিটিশনের আয়োজনের কথা জানানো হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১৬ জন কৃতিত্বপূর্ণ যুব ও যুব সংগঠককে জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান করা হয়।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যেমন তরুণরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত করেছে, তেমনি তারা দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথপ্রদর্শকও হবেন।’

অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলমের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়) শেখ মইনউদ্দিন এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. গাজী সাইফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

/আশিক


যে শর্ত না মানলে কেটে যাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১৫:৫৭:৫৬
যে শর্ত না মানলে কেটে যাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ
ছবিঃ সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর নির্দেশিকায় করদাতাদের জন্য আসছে নতুন শাস্তিমূলক বিধান। এবার থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল না করলে শুধু আর্থিক জরিমানা নয়, বরং গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অপরিহার্য পরিষেবার সংযোগও বিচ্ছিন্ন করার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে কর কর্মকর্তাদের হাতে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মতে, দীর্ঘদিন ধরে রিটার্ন না দেওয়ার প্রবণতা রোধ এবং রাজস্ব আয় বাড়াতে এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যাদের করযোগ্য আয় রয়েছে বা আইন অনুযায়ী রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক, অথচ তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা দেননি, তাদের বাসাবাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য পরিষেবার লাইন কেটে দেওয়া যেতে পারে।

রিটার্ন না দিলে সম্ভাব্য শাস্তি

নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী রিটার্ন দাখিল না করার ফলে করদাতাদের যে শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে

১. আয়কর আইনের ২৬৬ ধারা অনুযায়ী জরিমানা।২. ১৭৪ ধারা অনুসারে কর অব্যাহতির সুবিধা সীমিত হয়ে যাওয়া।৩. মাসিক ২ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর গুনতে হওয়া।৪. গ্যাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি পরিষেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া।৫. বেতন-ভাতা প্রাপ্তিতে জটিলতা সৃষ্টি।

কারা রিটার্ন দাখিল করবেন

আইন অনুযায়ী, দুই শ্রেণির টিআইএনধারীদের রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। প্রথমত, যাদের বার্ষিক করযোগ্য আয় সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি। দ্বিতীয়ত, যাদের জন্য আইনগতভাবে রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক, যেমন নির্দিষ্ট পেশা বা দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা।

বর্তমানে দেশে ১ কোটি ১২ লাখ টিআইএনধারী আছেন, কিন্তু বছরে প্রায় ৪০ লাখ রিটার্ন জমা দেন। গত অর্থবছরে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন প্রায় ১৭ লাখ করদাতা, যার মধ্যে ৭০ শতাংশ কোনো কর পরিশোধ করেননি। এই পরিস্থিতিই এনবিআরকে কঠোর নীতি গ্রহণে প্রণোদিত করেছে।

-রফিক


ড. ইউনূস–আনোয়ার বৈঠকে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া নতুন চুক্তি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১১:০০:০৩
ড. ইউনূস–আনোয়ার বৈঠকে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া নতুন চুক্তি
ছবিঃ সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আন্তরিক কূটনৈতিক পরিবেশে দেশটির প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে সফরের দ্বিতীয় দিনে পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক ইউনূস পুত্রজায়ায় পৌঁছালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দিয়ে স্বাগত জানান। পরে দুই নেতা একান্ত বৈঠকে মিলিত হন এবং পরবর্তী সময়ে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠক শেষে উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, অভিবাসন নীতি ও শিক্ষা খাতে পারস্পরিক অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। পাশাপাশি সই হয় তিনটি ‘নোট অব এক্সচেঞ্জ’, যা নির্দিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন ও নীতিগত সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বৈঠকের আগে প্রধান উপদেষ্টা পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। আনোয়ার ইব্রাহিম তাকে কূটনীতিক এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।

তিন দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরে অধ্যাপক ইউনূস সোমবার (১১ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর পৌঁছান। বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান এবং লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এই সফরে অভিবাসন, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যসংক্রান্ত বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার শীর্ষ ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী সম্মেলনেও যোগ দেবেন।

সফরের শেষ দিন, বুধবার, মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি কেবাংসান (ইউকেএম) অধ্যাপক ইউনূসকে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করবে। অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও উপস্থিত থাকতে পারেন। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।

-রাফসান

পাঠকের মতামত: