বিএনপি করি বলেই অবিচার: রিনা খান

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৮ ১৮:৪৯:২২
বিএনপি করি বলেই অবিচার: রিনা খান

ঢাকাই চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে একসময় রাজত্ব করা জনপ্রিয় অভিনেত্রী রিনা খান রাজনীতির কারণে নিজে ও নিজের পরিবার যে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তার খোলামেলা বর্ণনা দিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) তিনি দলের নীতিনির্ধারকদের কাছে ছেলের নামে দায়েরকৃত 'মিথ্যা মামলা' প্রত্যাহারের আবেদন জানাতে যান এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

রিনা খান, যার প্রকৃত নাম সেলিমা সুলতানা, জানান এক সময়ের সফল অভিনয়জীবন হঠাৎ থমকে যায় তার রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে। তিনি বলেন, “আমি জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভানেত্রী হিসেবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। শুধুমাত্র বিএনপিকে সমর্থন করি বলেই বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমার ও আমার পরিবারের ওপর একের পর এক নিপীড়ন এসেছে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “২০০৯ সালে আমার বড় ছেলে জার্মানিতে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধেও একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এমনকি সেই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছিল। আমি নিজেও তখন কোনো টিভি অনুষ্ঠান বা সরকারি আয়োজনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেতাম না। ছোট ছেলের পেছনেও পুলিশ লাগানো হয়েছিল। ঘরে বসে থাকাটাই ছিল চ্যালেঞ্জ।”

রিনা খান তার ছেলের বিরুদ্ধে থাকা মামলার বিষয়ে দলের নীতিনির্ধারকদের সহানুভূতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “সালাহউদ্দিন সাহেবসহ দলের নেতাকর্মীরা আমার পাশে থেকেছেন। আমি অনেক কষ্ট নিয়ে আজ এখানে এসেছি, কারণ এটি শুধু আমার সন্তানের নয়, একজন মায়ের বিচার পাওয়ার আকুতি।”

গত বছরের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি নিজেকে কিছুটা স্বস্তিতে মনে করছেন বলেও জানান। আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “এই ফ্যাসিস্ট সরকার যাওয়ার পর আমরা যেন নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। আজ আমি অনেক খুশি। খুশিতে কান্না পাচ্ছে। আমি চাই, ভবিষ্যতে আর কোনো মা যেন এমন নির্যাতনের শিকার না হন।”

১৯৮২ সালে 'সোহাগ মিলন' সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন রিনা খান। ইতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তার খল চরিত্রগুলোও দর্শকমহলে সমাদৃত হয়েছে। বর্তমানে তিনি জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে দায়িত্ব পালন করছেন।

-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত