শেয়ারবাজারে এল বড় সুখবর!

দীর্ঘ সময় ধরে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে যে ধস চলছিল, তা অবশেষে থামতে শুরু করেছে। সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ধারাবাহিক পতনের অবসান ঘটিয়ে গত ১৩ দিনে এই শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব ৫০টি বেড়েছে। এ তথ্য বাজারে এক ধরনের আস্থার পুনরাবৃত্তির ইঙ্গিত দেয়।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬,৩৮৬টি। ২০২৩ সালের শেষ দিকে এই সংখ্যা ছিল ৫৫,৫১২টি, অর্থাৎ গত বছরের অক্টোবর থেকে মে ২০২৪ পর্যন্ত ৯,১২৬টি হিসাব বন্ধ হয়েছে। তবে সর্বশেষ ১৩ দিনে ৫০টি নতুন বিও হিসাব খোলা হয়েছে, যা এই দীর্ঘমেয়াদি পতনের বিপরীতে একটি উল্লেখযোগ্য বাঁক পরিবর্তন নির্দেশ করে।
শেয়ারবাজারে বিও হিসাব ছাড়া কোনো ধরনের লেনদেন করা সম্ভব নয়। ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকে বিনিয়োগকারীদের এই বিও হিসাব খুলতে হয়। হিসাবের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অর্থ—বিনিয়োগকারীরা আবারও বাজারে সক্রিয় হচ্ছেন।
২০২৪ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট বিও হিসাব কমেছে ৮৩,৮৬৮টি। বছরের শুরুতে এই সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫১টি, যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ৬৮৩টিতে। তবে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে (৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর) স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সিডিবিএলের তথ্যমতে, তখন বিও হিসাব ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮টি; বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ৬৮৩টি। অর্থাৎ নতুন করে যুক্ত হয়েছে ২১ হাজার ৬২৫টি বিও হিসাব।
দেশীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ। বর্তমানে তাদের নামে বিও হিসাব ১২ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫৭টি, যা আগের তুলনায় ১৯ হাজার ৪২৩টি বেশি। নারী বিনিয়োগকারীদের হিসাবও কিছুটা বেড়েছে—বর্তমানে ৪ লাখ ৪ হাজার ৪০টি, যা আগের তুলনায় ১ হাজার ৫৬৮টি বেশি।
এছাড়া কোম্পানি ও একক নামে বিও হিসাবের সংখ্যাও বেড়েছে। কোম্পানি বিও হিসাব এখন ১৭,৭৮৬টি, যা আগের তুলনায় ৬৩৪টি বেশি। একক নামে বিও হিসাব ২৪,৯১২টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৮ হাজার ৫৮৯টি। তবে যৌথ নামে বিও হিসাব কমেছে ৩,৯২১টি।
রাজনৈতিক অস্থিরতা, সরকার পরিবর্তন ও নীতিগত অনিশ্চয়তার মধ্যেও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের এই অংশগ্রহণ নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে। বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হলে বাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও মূলধন প্রবাহ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে এল বড় সুখবর!
- কবে থামবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভেদের রাজনীতি?
- স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ
- ২০২৬ সালের এপ্রিলেই জাতীয় নির্বাচন: জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা
- নির্বাচনের ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া: বিএনপি অসন্তুষ্ট, জামায়াত সন্তুষ্ট, এনসিপি শর্তসাপেক্ষে সমর্থন
- রোজা, পরীক্ষা ও বাজেটের মাঝে নির্বাচন অযৌক্তিক: বিএনপি
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে সেনা অভিযান:উদ্ধার ইয়াবা ও ধারালো অস্ত্র!
- দ্বিতীয় দিনেও চলছে কোরবানি, কসাই না পাওয়ায় আজ জবাই অনেকের
- তিন মাসেই যে ১০ বেসরকারি ব্যাংকে ৩২ হাজার কোটি টাকার আমানত বৃদ্ধি!
- তারেক-ইউনূস বৈঠক: উত্তপ্ত রাজনীতিতে সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট?
- তারেক রহমানের দেশেফেরার সম্ভাব্য সময় জানালেনমির্জা ফখরুল
- উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষোভ কি ভারতের কেন্দ্রীয় কূটনীতি পাল্টাবে?
- সাক্ষাৎ চাইলেন শেখ হাসিনার ভাগ্নি, মুখ ফিরিয়ে নিলেন ড. ইউনূস
- আবদুল হামিদের দেশে ফেরা: স্বপ্ন না বাস্তব? সারজিস আলম যা বললেন
- ডিএসইতে সাধারণ বীমা খাতের প্রান্তিক বিশ্লেষণ:মুনাফা বৃদ্ধির শীর্ষে কারা?