জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক

“ঐক্যের ভিত্তিতেই সমৃদ্ধি”—জোরালো বার্তা প্রধান উপদেষ্টার

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ০৩ ০২:৪৫:৫৮
“ঐক্যের ভিত্তিতেই সমৃদ্ধি”—জোরালো বার্তা প্রধান উপদেষ্টার

দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “আসুন, আমরা আমাদের ঐক্য জোরদার করি, যাতে আমরা সামনে একটি পথ খুঁজে পাই এবং দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যেতে পারি।”

সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংলাপে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী অংশীদাররা অংশ নেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হলো জাতীয় ঐক্য রক্ষা ও তা সুদৃঢ় করা। তিনি জানান, সংলাপে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত ও পরামর্শ থেকে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করা সম্ভব হবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জুলাই সনদ আরও সমৃদ্ধ করতে আমাদের এই সংলাপ চলবে। আমরা চাই দেশবাসী জানুক—কোন কোন বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যেই ঐকমত্যে পৌঁছেছি।”

সংলাপের উদ্বোধনী পর্বে দেওয়া বক্তব্যেও অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুন্দর ও যৌথ ঘোষণাপত্র তৈরি করার লক্ষ্যেই এই কমিশনের কাজ চলছে। “আমরা সবাই আজ দেশের কল্যাণের জন্য এখানে সমবেত হয়েছি,”—এমন মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি আশাবাদী অবস্থান তুলে ধরেন।

কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ জানান, কমিশনের মেয়াদ আগামী ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত হলেও জুলাই মাসের মধ্যেই ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। তিনি বলেন, “আমাদের ওপর অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে।”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন মূলত সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, সরকারি প্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন—এই পাঁচটি খাতে সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে। কমিশনের প্রথম দফার সংলাপ ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মে পর্যন্ত চলে, যেখানে মোট ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সংলাপ প্রক্রিয়া রাজনৈতিক সংকট নিরসনের একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রূপরেখা হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে এই ঐকমত্য কতটা কার্যকর হয়, তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিকতা ও বাস্তবসম্মত অবস্থানের ওপর।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত