রায় আজ- বিচারচূড়ায় মেজর সিনহা হত্যা, ওসি প্রদীপ কি বাঁচবেন?

২০২৫ জুন ০২ ১০:০৭:১০
রায় আজ- বিচারচূড়ায় মেজর সিনহা হত্যা, ওসি প্রদীপ কি বাঁচবেন?

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও তাদের করা আপিলের ওপর রায় ঘোষণার জন্য সোমবার (২ জুন) দিন নির্ধারণ করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ বিষয়ে রায় প্রদান করবেন।

উল্লেখ্য, মামলাটির ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর একযোগে শুনানি সম্প্রতি শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসীম সরকারসহ একাধিক সরকারি কৌঁসুলি। অপরদিকে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস. এম. শাহজাহান, বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরী, আইনজীবী শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম ও দুলাল মল্লিক।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসীম সরকার জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপক্ষ বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় বহাল রাখার আবেদন জানিয়েছে। শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য ২ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন।

এ মামলায় প্রধান আসামি সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরীর দাবি, প্রদীপ সরাসরি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না এবং সাক্ষ্য-প্রমাণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। ফলে তার খালাস কিংবা দণ্ড লাঘবের আবেদন করা হয়েছে।

গত ২৩ মে শুরু হয়ে প্রতিদিন ধারাবাহিক শুনানির মাধ্যমে মামলার পেপারবুক, এফআইআর, চার্জশিট, সাক্ষ্য ও ১৬৪ ধারায় প্রদত্ত জবানবন্দিসহ সব গুরুত্বপূর্ণ নথি ও তথ্য উপস্থাপন করা হয়। যুক্তি-তর্ক শেষে শুনানি শেষ হয়।

মামলার পটভূমিতে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। পরবর্তী তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ার পর ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত রায় প্রদান করেন, যেখানে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব এবং স্থানীয় তিন বাসিন্দা নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।

বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির রায় কার্যকরের পূর্বে তা হাইকোর্টের অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হয়, যেটিকে ডেথ রেফারেন্স বলা হয়। একইসঙ্গে আসামিরা তাদের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল দায়ের করার সুযোগ পান। এই সব আপিল এবং ডেথ রেফারেন্স একত্রে শুনানি শেষে এখন চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায়।

এই রায় শুধু একটি বহুল আলোচিত হত্যা মামলার বিচারিক পরিণতি নয়, বরং দেশের বিচারিক প্রক্রিয়ায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞরা।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত