ইমরান খান: ব্যক্তিস্বার্থে নয়, সংলাপ জাতীয় স্বার্থে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ২৯ ২০:৪২:১৩
ইমরান খান: ব্যক্তিস্বার্থে নয়, সংলাপ জাতীয় স্বার্থে

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ব্যক্তিগত স্বার্থে কোনো সমঝোতা কিংবা লেনদেনে সম্মত হওয়ার সম্ভাবনা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি সংলাপে বসার প্রয়োজনীয়তা ও প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

সম্প্রতি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পিটিআই সিনেটর আলি জাফর সাংবাদিকদের জানান, “ইমরান খান স্পষ্ট বলেছেন, তিনি নিজের জন্য কোনো সুবিধা চাননি এবং চাইলেই তা অনেক আগেই নিতে পারতেন।”

৭১ বছর বয়সী সাবেক এই নেতা ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, রাষ্ট্রদ্রোহসহ একাধিক মামলায় অভিযোগ গঠিত হয়েছে।

ইমরান খান জানান, তিনি দেশের ঐক্যের স্বার্থে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত, এমনকি রাষ্ট্রের ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও। তবে তিনি সতর্ক করে দেন, "কেউ যেন উইকেটের দুই পাশে খেলতে না পারে" এবং ক্ষমতাসীনদের ‘নীরবতা’ আর মেনে নেওয়া হবে না।

তিনি তার মামলাগুলোর দ্রুত শুনানি দাবি করে বলেন, “আমি কেবল ন্যায়বিচার চাই।” পাশাপাশি জানান, পিটিআই শিগগিরই একটি দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করবে, যার পূর্ণ কৌশল আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। দলীয় নেতৃত্বকে তিনি আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এই বক্তব্যের মাধ্যমে ইমরান খান তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন কোনো ব্যক্তি সুবিধার বদলে তিনি চান ন্যায়, গণতন্ত্র ও সংবিধানসম্মত সমাধান।

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক


মাদক ইস্যুতে এবার ভারতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর পদক্ষেপ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ১১:৫৬:১৬
মাদক ইস্যুতে এবার ভারতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর পদক্ষেপ
ছবি: সংগৃহীত

প্রাণঘাতী মাদক ফেন্টানিলের কাঁচামাল পাচারের অভিযোগে ভারতের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও করপোরেট নেতার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লিস্থ মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, অভিযুক্তদের ভিসা কেবল বাতিলই করা হয়নি, বরং ভবিষ্যতে তাদের নতুন ভিসা আবেদনও প্রত্যাখ্যান করা হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।

ফেন্টানিল কী?

ফেন্টানিল প্রিকার্সর বা কাঁচামাল হলো এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান, যা থেকে প্রাণঘাতী সিন্থেটিক মাদক ফেন্টানিল তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রে মাদকজনিত কারণে অতিরিক্ত মৃত্যুর প্রধান কারণ এই ফেন্টানিল। মার্কিন দূতাবাস অভিযুক্ত ভারতীয় নাগরিকদের নাম প্রকাশ করেনি, তবে একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে তারা সবাই ভারতীয় নাগরিক।

দূতাবাস জানায়, মাদক পাচার প্রতিরোধে ভারত সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তবে এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া অবস্থান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যা দুই দেশের সম্পর্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। একই অভিযোগে তিনি চীন, মেক্সিকো ও কানাডা থেকেও আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন।

সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প ভারতকে ২৩টি প্রধান মাদক ট্রানজিট বা অবৈধ মাদক উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, এই তালিকায় থাকা মানে এই নয় যে সংশ্লিষ্ট সরকার মাদকবিরোধী প্রচেষ্টায় অকার্যকর।


ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ১১:৪৩:২৪
ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে
ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা এবার ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর এলাতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিস্ফোরকভর্তি একটি ড্রোন শহরের একটি হোটেলের প্রবেশপথে আঘাত হানে। এতে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই হামলার এক ঘণ্টা পর আরেকটি ড্রোন আটকায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। খবর রয়টার্সের।

সন্ধ্যার দিকে হুথিরা ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় অংশের দিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার ফলে তেল আবিব এবং জেরুজালেমসহ বিভিন্ন শহরে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। তবে ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশে ভূপাতিত করে।

হুথি বিদ্রোহীদের দাবি ও আইডিএফের সতর্কতা

হুথিরা দাবি করেছে, তারা তেল আবিবে একটি সংবেদনশীল সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। পাশাপাশি এলাতে আরও তিনটি এবং বেয়ারশেভার দিকে একটি ড্রোন পাঠানো হয়েছিল। তাদের দাবি অনুযায়ী, কিছু ড্রোন ইসরায়েলের আকাশসীমায় প্রবেশের আগেই ভূপাতিত হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এলাতের হোটেলে আঘাত হানা ড্রোনটি তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আটকানো সম্ভব হয়নি এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, হোটেলের বাইরে আগুন ধরে গিয়েছিল এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তা নেভাতে ব্যস্ত ছিলেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে গাজায় হামাসবিরোধী অভিযান পুনরায় শুরুর পর হুথিরা ইসরায়েলের দিকে অন্তত ৮৭টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৪০টির বেশি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর এলাত বহুবার হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে একটি ড্রোন শহরের রামোন বিমানবন্দরে আঘাত হেনেছিল, যাতে একজন আহত হন এবং অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

ইসরায়েলের পাল্টা হামলা

হুথিদের এই আক্রমণের জবাবে ইসরায়েলও পাল্টা অভিযান চালাচ্ছে। গত মঙ্গলবার ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হোদেইদা বন্দরে হুথি-নিয়ন্ত্রিত সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় তারা। এর আগে গত মাসে সানায়া ইসরায়েলি হামলায় হুথি সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রী নিহত হয়েছিলেন। তখন ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছিল, হুথি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে “এটি কেবল শুরু”।


নেপালে নির্বাচনের প্রস্তুতি, প্রবাসীরাও পাবেন ভোটের অধিকার

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ১০:৫২:৪৭
নেপালে নির্বাচনের প্রস্তুতি, প্রবাসীরাও পাবেন ভোটের অধিকার
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী নেপালি অভিবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওম প্রকাশ আর্যাল। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই পরিকল্পনার কথা জানান।

তিনি বলেন, বিদেশে থাকা নেপালিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এই উদ্যোগ শুরু করতে কিছু দেশকে চিহ্নিত করেছে এবং প্রয়োজনীয় কারিগরি ও আইনি বাধাগুলো দূর করতে প্রস্তুত। মন্ত্রীর এই উদ্যোগ সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় বাস্তবায়নের অংশ, যা ২০১৭ সালে বিদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি

নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার রামপ্রসাদ ভান্ডারী বলেন, সরকার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করলে কমিশন ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রস্তুত। তবে এর জন্য সংশ্লিষ্ট বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সম্মতিও প্রয়োজন। কমিশন এরই মধ্যে একটি খসড়া বিল তৈরি করেছে, যেখানে বর্তমান নির্বাচনী আইনের ২৭টি সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো বিদেশে থাকা নেপালিদের আংশিক ভোটাধিকার দেওয়ার বিধান।

আইনি ও বাস্তব চ্যালেঞ্জ

তবে কমিশনের সব সদস্য এই প্রস্তাবে একমত নন। একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রশ্ন তোলেন যে, যে দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি নেপালি অভিবাসী থাকে, সেগুলো নিজেরাই গণতান্ত্রিক নয়। তিনি বলেন, “তারা কি আমাদের নাগরিকদের ভোট দিতে দেবে, যখন নিজেদের জনগণই ভোট দিতে পারে না?” এই বাস্তব চ্যালেঞ্জগুলো এখনও অমীমাংসিত।

সূত্র: দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট


গাজায় হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত: ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়েও প্রাণহানি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ১০:০২:২২
গাজায় হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত: ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়েও প্রাণহানি
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি সামরিক হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও অন্তত ৭৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ১৪১ জনে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার হাসপাতালগুলোতে ৭৯টি মরদেহ এবং ২২৮ জন আহতকে আনা হয়েছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯২৫ জনে। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “অনেক মৃতদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে আছে, কিন্তু উদ্ধারকারীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।”

ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে হতাহত

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টার সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে আরও ৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৩ জনের বেশি আহত হয়েছেন। গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় মোট ২ হাজার ৫১৩ জন নিহত এবং ১৮ হাজার ৪১৪ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে মৃত্যু

গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করে দেওয়ায় সেখানকার ২৪ লাখেরও বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ আরও চারজন ফিলিস্তিনি অপুষ্টি ও অনাহারে মারা গেছেন। এতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩৫ জনে, যাদের মধ্যে ১৪৭টি শিশু।

খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের ঘোষণা দিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই দুর্ভিক্ষ সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ মধ্য ও দক্ষিণের দেইর আল-বালাহ এবং খান ইউনিসেও ছড়িয়ে পড়বে।

এদিকে, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রতি বারবার আহ্বান জানালেও হামলা অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও চলমান রয়েছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি


বিরল ‘মস্তিষ্ক-খেকো’ অ্যামিবার বিস্তার, কেরালায় স্বাস্থ্য সতর্কতা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ২১:২৮:৫৮
বিরল ‘মস্তিষ্ক-খেকো’ অ্যামিবার বিস্তার, কেরালায় স্বাস্থ্য সতর্কতা
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় বিরল ‘মস্তিষ্ক-খেকো’ অ্যামিবার (নেগলেরিয়া ফাওলেরি) সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হওয়ায় স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় রাজ্যজুড়ে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

সংক্রমণের হার বৃদ্ধি ও সতর্কতা

এই বছর কেরালায় এই অ্যামিবার সংক্রমণে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৭২ জনের মস্তিষ্কে সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৬টি সংক্রমণ ও ৯ জনের মৃত্যু। রোগের বিস্তার ঠেকাতে একটি সরকারি টাস্ক ফোর্স কাজ করছে। সরকারি টাস্ক ফোর্সের চিকিৎসক আলতাফ আলী এএফপিকে বলেন, “রোগ শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার জন্য রাজ্যজুড়ে বৃহৎ পরিসরে পরীক্ষা পরিচালনা করা হচ্ছে।”

‘মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা’ কী?

মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) অনুসারে, এই অ্যামিবা সাধারণত ‘মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা’ নামে পরিচিত। এটি মস্তিষ্ককে সংক্রামিত করে এবং মস্তিষ্কের টিস্যু ধ্বংস করে। সিডিসি জানায়, এই সংক্রমণ অত্যন্ত বিরল হলেও ‘প্রায় সবসময়ই মারাত্মক’। আক্রান্তদের ৯৫ শতাংশেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

এই অ্যামিবা সাধারণত উষ্ণ হ্রদ ও নদীতে বাস করে এবং দূষিত পানি নাকে প্রবেশ করলে এটি মানবদেহে প্রবেশ করে। এটি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়ায় না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এই সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, জ্বর এবং বমি। খুব দ্রুতই তা খিঁচুনি, মানসিক অবস্থার পরিবর্তন, হ্যালুসিনেশন এবং কোমায় রূপ নিতে পারে। ১৯৬২ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এই অ্যামিবার সংক্রমণে মাত্র প্রায় ৫০০টি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে, যার বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ায়।


গাজার পর এবার পূর্ব জেরুজালেমকে ঘিরে ফেলছে ইসরায়েল

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ২০:৫৯:৪১
গাজার পর এবার পূর্ব জেরুজালেমকে ঘিরে ফেলছে ইসরায়েল
ছবি: সংগৃহীত

গাজায় অব্যাহত হামলার মধ্যেই এবার ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুজালেমের দিকে নজর দিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছেন- সেখানে সামরিক চেকপোস্ট ও লোহার গেট দিয়ে ঘিরে ফেলছে ইসরায়েল। তারা জানিয়েছেন, শহরের ভেতর এবং আশপাশে ইতোমধ্যেই ৮৮টি ব্যারিয়ার বসানো হয়েছে, যা সাধারণ নিরাপত্তা নয় বরং সুপরিকল্পিত দমননীতির অংশ।

বুধবার এক বিবৃতিতে জেরুজালেম গভর্নরের দপ্তর জানায়, এসব অবকাঠামোর উদ্দেশ্য হলো শহরটিকে ফিলিস্তিনি অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং সেখানকার বাসিন্দাদের ওপর বৈষম্যমূলক নিয়ন্ত্রণ চাপিয়ে দেওয়া।

সর্বশেষ যেসব চেকপোস্ট বসানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে উত্তর-পূর্ব জেরুজালেমের মিখমাস ও আল রাম শহর এবং পূর্বাঞ্চলের আল আইজারিয়া এলাকা। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এসব উদ্যোগ আসলে জেরুজালেমকে ‘ইহুদিকরণ’ এবং শহরের আরব-ইসলামি পরিচয় মুছে ফেলার প্রক্রিয়া।

ফিলিস্তিনি কোলোনাইজেশন অ্যান্ড ওয়াল রেজিস্ট্যান্স কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পুরো পশ্চিম তীরে স্থায়ী চেকপোস্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০৪টি। এর মধ্যে শুধু জেরুজালেম ও আশপাশের গ্রামগুলোতেই রয়েছে অন্তত ৮৮টি। ফিলিস্তিনি পক্ষের অভিযোগ, এভাবে মানুষের চলাচলের স্বাধীনতাকে প্রকাশ্যে লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল।

এ অবস্থায় জাতিসংঘ ও মানবাধিকার পরিষদের প্রতি জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাব অনুযায়ী ইসরায়েলকে বাধ্য করতে হবে যাতে এ ধরনের দমননীতি অবিলম্বে বন্ধ হয়।

ফিলিস্তিনিরা বরাবরই পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে। জাতিসংঘের প্রস্তাবও ১৯৬৭ সালে ইসরায়েলের দখল এবং ১৯৮০ সালে একতরফা সংযুক্তিকরণকে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি


মোদি সরকারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ২০:৩৯:০১
মোদি সরকারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
ছবিঃ সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে গণবিক্ষোভ যে শাসক শক্তির ভিত কাঁপিয়ে দেয়, তা নতুন নয়। বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলন বারবার রাজনৈতিক পালাবদলের জন্ম দিয়েছে, নেপালে জনগণের ক্ষোভ রাজতন্ত্রকে কাঁপিয়ে দিয়েছে, আর শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ একসময়ের শক্তিশালী প্রেসিডেন্টকেও গদি ছাড়তে বাধ্য করেছে। এসব অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে যে সাধারণ মানুষের ক্রোধের সামনে ক্ষমতাসীনদের স্থায়ীভাবে টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন। সেই একই আগুনের ঝলক এখন ভারতেও দৃশ্যমান হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভিন্ন ভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে জনবিক্ষোভ বিস্ফোরিত হচ্ছে। এতে একদিকে বিরোধী দলগুলো নতুন করে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মণিপুরে। টানা দুই বছরের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে আড়াইশরও বেশি মানুষ। ষাট হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ এখনো শিবিরে অনিশ্চিত জীবন কাটাচ্ছেন। এই অচলাবস্থা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক গভীর সংকটের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে। বিরোধী শিবির অভিযোগ তুলেছে, মোদি সরকার ইচ্ছে করেই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন বজায় রেখেছে এবং একটি নিরপেক্ষ সমাধান দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, মণিপুরে মানুষ মরছে, বাস্তুচ্যুত হচ্ছে, অথচ সরকার কেবল ভোটের সমীকরণ নিয়েই ব্যস্ত।

প্রিয়াংকা গান্ধী প্রশ্ন তুলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি অন্তত একদিনও মণিপুরে গিয়ে মানুষের দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করতে না পারেন, তবে সেই সরকার কেবল নিজের দলের, সাধারণ মানুষের নয়। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কথায়, সরকার উন্নয়নের নামে প্রকল্প উদ্বোধন করতে পারে, কিন্তু রক্তাক্ত মণিপুরের পাশে দাঁড়ানোর রাজনৈতিক ও নৈতিক সাহস তাদের নেই।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রতিবাদের আগুন এবার আসামেও ছড়িয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি (NRC) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে মানুষের আশঙ্কা বহুদিন ধরেই প্রবল। বিশেষ করে বাংলাভাষী পরিবারগুলোর মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার ভয় তাদের প্রতিদিন গ্রাস করছে। ফলে সামাজিক-রাজনৈতিক উত্তেজনা এক নতুন মাত্রা পাচ্ছে, যা ভারতের রাজনীতিকে আরও অস্থির করে তুলছে।

-রফিক


বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ভারতেরও ব্যাপার: নির্বাচন নিয়ে শ্রিংলার কড়া বার্তা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১২:১৩:৩৫
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ভারতেরও ব্যাপার: নির্বাচন নিয়ে শ্রিংলার কড়া বার্তা
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের পরবর্তী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ভারতের নীতিনির্ধারক ও বিশ্লেষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি দিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে (আইআইসি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভারতের করণীয় নিয়ে বিভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন। এই আলোচনায় ভারতের সাবেক শীর্ষস্থানীয় আমলা জহর সরকার, সাবেক হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষক শ্রীরাধা দত্ত অংশ নেন।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি মানতে হবে: জহর সরকার

প্রসার ভারতী বোর্ডের সাবেক সিইও জহর সরকার মনে করেন, বাংলাদেশের ক্ষমতা হঠাৎ করে পরিবর্তিত হওয়ায় ভারত অনেকটা ‘শকড’ হয়েছিল। এখন এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে যে, বাংলাদেশের জনগণ যাকে শাসক হিসেবে বেছে নেবে, ভারতকেও তাকেই মেনে নিতে হবে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে, বুঝতে হবে। বোঝার থেকেও বেশি কথা হলো মানতে হবে।” এই মুহূর্তে কোনো ধরনের প্ররোচনায় পা না দিয়ে ভারতের উচিত হবে নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করা।

যদি বাংলাদেশের নতুন সরকার ভারতবিরোধী হয়, এমন প্রশ্নের জবাবে জহর সরকার বলেন, “এগুলো পরের কথা… কে আসবে কে যাবে, কেউ জানে না।” তিনি বলেন, কিছু ক্ষ্যাপা লোকের মন্তব্যের ভিত্তিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো ঠিক নয়। তার মতে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত নির্বাচন সম্পন্ন করা, অহেতুক বেশি কথা বলা বা বিতর্ক সৃষ্টি করা নয়।

‘ভারতের স্বার্থ জড়িত, তাই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না’

তবে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা মনে করেন, বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে ভারতের পক্ষে তাদের পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, কারণ এতে ভারতের নিরাপত্তা ও দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ জড়িত। তিনি বলেন, “যদি ভুল একটি সরকার সত্যিই ক্ষমতায় এসে যায়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা ও দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের জন্য তার পরিণতি কী হতে পারে সেটা ভেবে আমি সত্যিই দ্বিধান্বিত।”

শ্রিংলা বলেন, “যেই জিতুক আমরা তাদের সঙ্গেই কাজ করব—এটা বলা সহজ, কিন্তু সেই ‘যেই হোক’ যদি আপনার স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে, তখন তো আপনাকে অবহিত থাকতে হবে।” তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, অভিন্ন সীমান্ত থাকা দেশের পরিস্থিতিকে ভারতের পক্ষে কখনোই ‘অভ্যন্তরীণ ব্যাপার’ বলে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।

জামায়াত কি বদলাচ্ছে?

আলোচনায় অংশ নেওয়া গবেষক শ্রীরাধা দত্ত সম্প্রতি ঢাকা সফর করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার মতে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং ভারতের উচিত এই বাস্তবতা মেনে নেওয়া। তিনি বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে ভারত যেভাবে নীরব সমর্থন দিয়েছে, তাতে তাদের নৈতিক অবস্থান দুর্বল হয়েছে। তাই এখন ভারতের উচিত হবে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো।

তবে জামায়াতে ইসলামীর শক্তিবৃদ্ধি নিয়ে তিনি সতর্ক মন্তব্য করেন। তিনি জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেন, জামায়াত নেতারা তাদের একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং দাবি করেছেন যে, ক্ষমতায় গেলে তারা শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করবেন না। তবে শ্রীরাধা দত্তের উপসংহার, “ওরা আসলে দারুণ ‘চার্ম অফেনসিভ’, কথায় আপনাকে মুগ্ধ করে দেবে। কিন্তু আসলে ওরা বাস্তবে কী করছে সেটা অবশ্য অন্য গল্প!”

এ বিষয়ে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, জামায়াত আসলে মুসলিম ব্রাদারহুডের অংশ। তিনি বলেন, “চিতাবাঘ আসলে কখনোই তাদের গায়ের ডোরা বদলায় না। জামায়াতও আসলে কখনোই পাল্টাবে না।”


জাতিসংঘে আজ গাজা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট, ভেটো ইস্যুতে নজর যুক্তরাষ্ট্রের দিকে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১১:০৭:৩১
জাতিসংঘে আজ গাজা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট, ভেটো ইস্যুতে নজর যুক্তরাষ্ট্রের দিকে
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা বাড়ানোর একটি প্রস্তাব নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্র এমন প্রস্তাবে ভেটো দিলেও এবার সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো এই পদক্ষেপকে সমর্থন করছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খসড়া প্রস্তাব ও ভেটোর আশঙ্কা

জাতিসংঘের ১০টি অস্থায়ী সদস্য দেশ গত আগস্টের শেষ দিক থেকে এই খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করে। এই আলোচনার সূত্রপাত হয়, যখন জাতিসংঘ গাজায় দুর্ভিক্ষের ঘোষণা দেয়। প্রাথমিকভাবে খসড়া প্রস্তাবে শুধুমাত্র মানবিক সহায়তা প্রবেশের ওপর থেকে বাধা তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কূটনৈতিক সূত্রের খবর অনুযায়ী, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলো মনে করেছিল, শুধু মানবিক দিক নিয়ে প্রস্তাব পাস করতে গেলে যুক্তরাষ্ট্র তাতে ভেটো দিতে পারে।

তাই, বৃহস্পতিবার ভোটে যাওয়া নতুন খসড়ায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের পথ খুলে দেওয়ার পাশাপাশি গাজায় অবিলম্বে, নিঃশর্ত এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে, সব জিম্মিকে অবিলম্বে ও শর্তহীনভাবে মুক্তি দেওয়ার দাবিও করা হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়ে তাদের মিত্র ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছিল।

আন্তর্জাতিক চাপ ও ক্ষোভ

এবারের এই প্রচেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেওয়ার হুমকিকে অগ্রাহ্য করার একটি স্পষ্ট বার্তা বলে জানিয়েছেন ইউরোপের এক কূটনীতিক। তিনি বলেন, 'যদি আমরা চেষ্টা না করি, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো জবাবদিহিতাই থাকে না এবং ১৪টি সদস্য রাষ্ট্র ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের মুখোমুখি হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।' তিনি আরও বলেন, এই প্রচেষ্টা হয়তো গাজার ফিলিস্তিনিদের কষ্ট লাঘব করবে না, কিন্তু অন্তত এইটুকু দেখানো যাবে যে তারা চেষ্টা করছেন।

গতবার যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪ সদস্যের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল। তারা প্রকাশ্যে বলছেন যে, ইসরায়েলকে চাপ দিতে নিরাপত্তা পরিষদ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

এদিকে, গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন তাদের স্বাধীন বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে। সেখানে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় 'গণহত্যা' চালানো এবং ফিলিস্তিনি জনগণকে 'ধ্বংস' করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই বিষয়টি আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘের বার্ষিক সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয় হতে পারে।

পাঠকের মতামত: