গাজায় খাদ্যগুদামে ‘ক্ষুধার্ত মানুষের’ ঢল: নিহত ২

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ২৯ ১৩:২৩:৩২
গাজায় খাদ্যগুদামে ‘ক্ষুধার্ত মানুষের’ ঢল: নিহত ২

দফায় দফায় অবরোধ আর ক্ষুধায় জর্জরিত গাজাবাসীর মধ্যে বৃহস্পতিবার মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরের একটি খাদ্যগুদামে ঢুকে পড়ার ঘটনা নতুন করে গোটা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) জানিয়েছে, গুদামে ঢুকে পড়ার সময় সেখানে অন্তত দুজন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। সংস্থাটি জানিয়েছে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ডব্লিউএফপি এক বিবৃতিতে জানায়, “ইসরায়েলের তিন মাসব্যাপী অবরোধের ফলে মানবিক সংকট এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। গাজায় অনাহারে মৃত্যুর হুমকিতে রয়েছে লাখো মানুষ।” যদিও গত সপ্তাহে সীমিত আকারে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়, তবে জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য দূত সিগ্রিড কাগ বলেছেন, “জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর লাইফবোট ছোড়ার মতো এই ত্রাণ।”

এএফপির ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্ষুধার্ত লোকজন আল-ঘাফারি গুদামে ঢুকে খাদ্যের বস্তা ও ময়দার প্যাকেট নিয়ে যাচ্ছে। তখন গুলির শব্দ শোনা গেলেও, গুলির উৎস নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গাজার চলমান দুর্ভিক্ষের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত সংগঠন 'গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন' (GHF) ত্রাণ বিতরণে সরাসরি সক্রিয় হয়েছে। জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত এই ত্রাণ উদ্যোগ সম্পর্কে জাতিসংঘ বলেছে, “এটি অকার্যকর ও নীতিবিরুদ্ধ।”

GHF ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় চারটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র চালু করেছে, যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, এসব কেন্দ্র হামাসের নিয়ন্ত্রণ এড়িয়ে ত্রাণ বিতরণে কার্যকর হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অন্য চিত্র। রাফাহ শহরের একটি GHF বিতরণ কেন্দ্রে একদিন পরেই গুলিতে আহত হয়েছেন ৪৭ জন। জাতিসংঘ জানায়, ত্রাণের জন্য হাহাকার এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে, লোকজন জাতিসংঘের নিজস্ব ট্রাক থেকেও খাবার লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমের প্রধান জোনাথন হুইটল বলেন,

“হামাসের মাধ্যমে ত্রাণ চুরির কোনো প্রমাণ নেই। বরং কিছু স্থানীয় অপরাধী চক্র, যাদের ইসরায়েলি বাহিনী কেরেম শালোম সীমান্তে কাজে অনুমতি দিয়েছে, তারা ত্রাণ বণ্টন বিঘ্নিত করছে।”

ডব্লিউএফপি জানায়, খাদ্যগুদামটিতে আগেই ত্রাণ মজুত রাখা হয়েছিল, কিন্তু বিতরণের আগেই ক্ষুধার্ত জনতা সেখানে হামলে পড়ে। সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে,

"গাজায় দ্রুত ত্রাণ সহায়তা বাড়ানো না গেলে আরও প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়বে। মানুষকে নিশ্চিত করতে হবে যে, তাঁরা অনাহারে মরবেন না।"

এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ ও ডব্লিউএফপি বারবার দাবি করছে, অবরোধ প্রত্যাহার করে সংঘর্ষবিরতির সময়কার মতো স্বচ্ছলভাবে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিতে হবে। যাতে দুর্ভিক্ষপ্রবণ গাজাজুড়ে জাতিসংঘের বিতরণ ব্যবস্থা পুনরায় সক্রিয় করে ক্ষুধার্ত মানুষের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যায়। অন্যথায়, এমন লুটপাট ও প্রাণহানি গাজায় প্রতিদিনের বাস্তবতায় পরিণত হবে।


গাজা যুদ্ধের মাঝেই ইসরায়েলের জন্য নতুন সামরিক সহায়তা ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১২:৫৯:৪১
গাজা যুদ্ধের মাঝেই ইসরায়েলের জন্য নতুন সামরিক সহায়তা ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র
ছবি: সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র ইসরায়েলের কাছে ৬৪০ কোটি ডলারের নতুন অস্ত্র চালানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই চালানটি এমন এক সময়ে অনুমোদন করা হলো, যখন ইসরায়েলি বাহিনী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে গাজা দখলের অভিযানে নেমেছে।

নতুন অস্ত্র চালানের বিস্তারিত

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন এই চালানে শুধু নিয়মিত গোলাবারুদই নয়, হামলায় ব্যবহারের উপযোগী ৩০টি এএইচ-৬৪ অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং ৩ হাজার ২৫০টি ইনফ্যান্ট্রি অ্যাসল্ট ভেহিকেল বা ট্যাংকও রয়েছে।

হেলিকপ্টার ও ট্যাংক: এই সামরিক সরঞ্জামগুলোর মূল্য যথাক্রমে ৩৮০ কোটি ডলার ও ১৯০ কোটি ডলার।

অন্যান্য: বাকি ৭০ কোটি ডলার যন্ত্রাংশ ও গোলাবারুদের জন্য ধরা হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন এবং পেন্টাগনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত এই অস্ত্রসম্ভার ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ব্যবহার করা হবে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী যে সামরিক অভিযান শুরু করে, তাতে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা

গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গত দুই বছরে ছয়বার প্রস্তাব উত্থাপন করা হলেও প্রতিবারই যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়ে তা বাতিল করেছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে ইসরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। অন্যদিকে, ফ্রান্স ও সৌদি আরব আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা ইসরায়েলের ওপর কূটনৈতিক চাপ আরও বাড়াতে পারে।


গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, দুর্ভিক্ষে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১২:০৪:৫৪
গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, দুর্ভিক্ষে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৩৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ১৭৪ জনে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার হাসপাতালগুলোতে ৩৩টি মরদেহ এবং ১৪৬ জন আহতকে আনা হয়েছে। এতে ইসরায়েলি হামলায় মোট আহতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৭১ জনে পৌঁছেছে। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এখনও অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে আছে, কিন্তু উদ্ধারকারীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।

ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়েও প্রাণহানি

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে আরও একজন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১৭ জনের বেশি আহত হয়েছেন। গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ নিতে গিয়ে মোট ২ হাজার ৫১৪ জন নিহত এবং ১৮ হাজার ৪৩১ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

দুর্ভিক্ষের শিকার গাজা

গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টি ও অনাহারে শিশুসহ আরও চারজন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অনাহার ও দুর্ভিক্ষ-সংক্রান্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪০ জনে, যার মধ্যে ১৪৭টি শিশু।

চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজার সব সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে, যার কারণে উপত্যকাটির প্রায় ২৪ লাখ বাসিন্দা দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। এটি সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনিসে ছড়িয়ে পড়বে।

এদিকে, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বারবার আহ্বান জানালেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি


ইসরায়েলের জন্য ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১১:১৩:১১
ইসরায়েলের জন্য ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব
ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরায়েলের জন্য ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব কংগ্রেসে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে। প্রস্তাবিত প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে আক্রমণ হেলিকপ্টার, সেনা পরিবহন যান, সাঁজোয়া যান এবং সহায়ক যন্ত্রাংশ।

মার্কিন প্রশাসনের সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত বিক্রির মধ্যে ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের ৩০টি এএইচ-৬৪ অ্যাপাচি আক্রমণ হেলিকপ্টার, ১.৯ বিলিয়ন ডলারের ৩,২৫০টি পদাতিক সাঁজোয়া যান, এবং প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের সাঁজোয়া যান মেরামত ও বিদ্যুৎ সরবরাহের যন্ত্রাংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রস্তাবটি বর্তমানে অনুমোদনের বিভিন্ন ধাপ পেরোচ্ছে।

এমন সময়ে এই প্রস্তাব এল যখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শুক্রবার গাজা সিটিতে তাদের সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত করেছে। তারা হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে তীব্র গোলাবর্ষণ চালায়। এদিকে গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত বহু ফিলিস্তিনি জানিয়েছেন, তারা ভয়াবহ মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন এবং পালানোর কোনো পথ নেই।

এই বিক্রয় প্রস্তাব বিশ্ব নেতাদের বার্ষিক জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সমবেত হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে প্রকাশ পেল। আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য এই সভায় গাজা সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদও উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবে। ফলে প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রিকে কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের ইসরায়েলকে প্রকাশ্য ও দৃঢ় সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ ডেমোক্র্যাটদের একাংশ ক্রমশ ইসরায়েলের গাজা অভিযান নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করছে। গত সপ্তাহে মার্কিন সিনেটের একদল সেনেটর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির পক্ষে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং ডেমোক্র্যাটদের অর্ধেকের বেশি সম্প্রতি ইসরায়েলের জন্য অতিরিক্ত অস্ত্র বিক্রির বিরোধিতা করে ভোট দেন।

হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রথম এ খবর প্রকাশ করে।

-সুত্রঃ রয়টার্স


“এস্তোনিয়ার আকাশে রুশ মিগ-৩১: ন্যাটোর জরুরি বৈঠক ডাকার ঘোষণা”

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১০:২১:১৪
“এস্তোনিয়ার আকাশে রুশ মিগ-৩১: ন্যাটোর জরুরি বৈঠক ডাকার ঘোষণা”
ছবিঃ সংগৃহীত

বাল্টিক অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এস্তোনিয়া অভিযোগ করেছে, শুক্রবার তিনটি রুশ মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান অনুমতি ছাড়াই তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। ঘটনাটি ঘটে ভায়ন্দলো দ্বীপের কাছে এবং বিমানগুলো প্রায় ১২ মিনিট এস্তোনিয়ার আকাশে ছিল। এসময় তাদের ট্রান্সপন্ডার বন্ধ ছিল এবং এস্তোনিয়ার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না।

ঘটনার পর ন্যাটোর অংশ হিসেবে বাল্টিক অঞ্চলে অবস্থান করা ইতালির এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দ্রুত উড়ে যায় এবং রুশ বিমানগুলোকে সরে যেতে সতর্ক করে। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে এই পদক্ষেপকে “দ্রুত ও দৃঢ় প্রতিক্রিয়া” বলে প্রশংসা করেছেন। সুইডেন ও ফিনল্যান্ডও তাদের যুদ্ধবিমান উড়িয়ে পরিস্থিতি সামলায়।

এস্তোনিয়া এই ঘটনার পর ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে জরুরি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে। ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৪ অনুযায়ী, কোনো সদস্য রাষ্ট্র যদি মনে করে তার নিরাপত্তা বা সীমান্ত হুমকির মুখে, তবে সে জরুরি বৈঠক ডাকতে পারে। এর আগে পোল্যান্ড একই অভিযোগে ন্যাটোর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছিল।

রাশিয়া অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, মিগ-৩১ বিমানগুলো কারেলিয়া অঞ্চল থেকে ক্যালিনিনগ্রাদে যাচ্ছিল এবং তারা এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি। মন্ত্রণালয় বলেছে, বিমানগুলো বাল্টিক সাগরের নিরপেক্ষ আকাশসীমায় ছিল এবং দ্বীপ থেকে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরে উড়েছে।

এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গুস ছাখনা বলেছেন, রাশিয়া এ বছর চারবার এস্তোনিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি মনে করেন, রাশিয়ার এই বাড়তে থাকা উসকানি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়ে মোকাবিলা করতে হবে।

উক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া ইচ্ছে করে ইউরোপীয় দেশগুলোর আকাশসীমায় ঢুকে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেছেন, “হুমকি যত বাড়বে, চাপও তত বাড়বে।” তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন।

ন্যাটোর বাল্টিক এয়ার পুলিশিং মিশনের নেতৃত্ব এখন ইতালির হাতে, যারা এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিয়ে আকাশ নজরদারি করছে। সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সও পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে।

-নাজমুল হাসান


পাকিস্তানের পারমাণবিক সুরক্ষায় সৌদি আরব, চুক্তিতে কী আছে?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ০৯:৫৭:২৮
পাকিস্তানের পারমাণবিক সুরক্ষায় সৌদি আরব, চুক্তিতে কী আছে?
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে নিজেদের নিরাপত্তা জোরদার করতে সৌদি আরব ও পাকিস্তান একটি কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করেছে। বুধবার সই হওয়া এই চুক্তির ফলে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা সমীকরণে পাকিস্তানের পারমাণবিক সক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষমতা আর পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তিধর সামরিক বাহিনী এক সুতোয় বাঁধা পড়েছে।

সৌদি আরবের লক্ষ্য কি পারমাণবিক সুরক্ষা?

চুক্তির বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ না হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব পরোক্ষভাবে পারমাণবিক সুরক্ষা পেতে চাইছে। পাকিস্তান বরাবরই বলে এসেছে, তাদের পারমাণবিক অস্ত্রগুলো শুধু তাদের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই চুক্তির ওপর মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র ইসরায়েল কড়া নজর রাখছে।

পাকিস্তানের অবস্থান

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ রয়টার্সকে বলেছেন, চুক্তিতে পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়টি ‘চিন্তাভাবনার মধ্যে নেই’। তবে এটি অন্যান্য উপসাগরীয় দেশের জন্যও সম্প্রসারিত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, এই চুক্তিকে কোনো আগ্রাসনের জন্য ব্যবহার করার উদ্দেশ্য নেই, কিন্তু চুক্তির কোনো পক্ষ হুমকির মুখে পড়লে এই ব্যবস্থা সক্রিয় হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আস্থার অভাব

উপসাগরীয় দেশগুলো মনে করে, কাতার ও অন্যান্য আরব দেশের ওপর ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলা প্রমাণ করে, তারা এখন সরাসরি হুমকির মুখে আছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর আস্থার অভাবকে আরও স্পষ্ট করেছে। লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষক হাসান আল হাসান বলেন, “সৌদি আরবের দৃষ্টিকোণ থেকে, পারমাণবিক শক্তিধর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কৌশলগত ও প্রচলিত প্রতিরোধে যে ঘাটতি রয়েছে, এই চুক্তি তা পূরণের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।”

পাকিস্তানের সামরিক ও অর্থনৈতিক লাভ

এই চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানও বেশ কিছু সুবিধা পাবে। ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাজেট সাত গুণ কম। তাই সৌদি আরবের অর্থনৈতিক সহায়তা পাকিস্তানকে প্রতিরক্ষা খাতে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। এই চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় ভারত জানিয়েছে, তারা এই চুক্তির প্রভাব তাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর কীভাবে পড়তে পারে, তা খতিয়ে দেখবে।


ইউরোপের আরেক দেশ এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে 

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ০৯:৪৫:০৮
ইউরোপের আরেক দেশ এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে 
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, আগামী রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এই ঘোষণা জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনের আগেই এসেছে।

ইউরোপের অন্যান্য দেশের অবস্থান

পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো র‍্যাঙ্গেল চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্য সফরের সময় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, তার দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। গত বছর মে মাসে প্রতিবেশী দেশ স্পেন আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ের সঙ্গে একযোগে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সে সময় স্পেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশগুলোকেও একই পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানালেও পর্তুগাল তখন সতর্ক অবস্থান বজায় রেখেছিল।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত অল্প কয়েকটি দেশই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কিছু সাবেক কমিউনিস্ট দেশ, সুইডেন এবং সাইপ্রাস।

এদিকে, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, বেলজিয়াম এবং লুক্সেমবার্গও আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

সূত্র : রয়টার্স


বিনা খরচে চাঁদে নাম পাঠানোর সুযোগ দিচ্ছে নাসা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ০৯:৩২:০৮
বিনা খরচে চাঁদে নাম পাঠানোর সুযোগ দিচ্ছে নাসা
ছবি: সংগৃহীত

নাসা তাদের পরবর্তী চন্দ্রাভিযান আর্টেমিস-২-এ সাধারণ মানুষের নাম চাঁদে পাঠানোর সুযোগ দিচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে যে কেউ কোনো ধরনের খরচ ছাড়াই মহাকাশ ভ্রমণের অংশ হতে পারবেন। যদিও সশরীরে চাঁদে যাওয়া সম্ভব নয়, তবে আপনার নাম একটি ডিজিটাল চিপে সংরক্ষণ করে মহাকাশযানে করে চাঁদের কাছাকাছি পাঠানো হবে। প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর চাঁদে প্রথম মানববাহী অভিযান পরিচালনা করতে যাচ্ছে নাসা।

যেভাবে নাম পাঠানো যাবে

আর্টেমিস-২ মিশনে নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া খুবই সহজ। আগ্রহী যে কেউ নাসার নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নাম, ই-মেইল ঠিকানা এবং পছন্দের ভাষা (ইংরেজি বা স্প্যানিশ) লিখে ফরম জমা দিতে পারেন। ফরম জমা দেওয়ার পর একটি স্বতন্ত্র ডিজিটাল বোর্ডিং পাস পাওয়া যাবে, যা ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে হবে। নিবন্ধিত নামটি একটি মেমোরি কার্ডে সংরক্ষণ করা হবে, যা নভোচারীরা চাঁদে নিয়ে যাবেন। ২০২৬ সালের ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই নিবন্ধন করা যাবে।

আর্টেমিস-২ মিশন

নাসার তথ্যমতে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে ‘ওরিয়ন’ মহাকাশযানটি চাঁদে পাঠানো হবে। এই অভিযানে চারজন নভোচারীর সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের নাম সংবলিত মেমোরি কার্ডও পাঠানো হবে। মহাকাশযানটি চন্দ্রপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীতে ফিরে আসবে। এই মিশনটি আর্টেমিস-৩ মিশনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে, কারণ আর্টেমিস-৩ মিশনেই নভোচারীদের চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা রয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো দেশের এবং যেকোনো বয়সের মানুষ নাসার চন্দ্রাভিযানের অংশ হতে পারবে।


দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য কঠিন হলো যুক্তরাষ্ট্র, এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়লো

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ০৯:০৮:৩৮
দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য কঠিন হলো যুক্তরাষ্ট্র, এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়লো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন এক প্রোক্লেমেশন জারি করে এইচ-১বি কর্মী ভিসার ফি বছরে ১ লাখ ডলারে উন্নীত করেছেন। শুক্রবার সই হওয়া এই নির্দেশনার ফলে বিদেশি দক্ষ কর্মী নিয়োগে সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাত বড় ধরনের ধাক্কা খেতে পারে। বিশেষ করে ভারত ও চীনের নাগরিকরা এই ভিসার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার আইটি পেশাজীবীদের ওপর এর সরাসরি প্রভাব পড়বে।

‘সব বড় কোম্পানি রাজি’

মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক জানিয়েছেন, দেশের বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এই পরিকল্পনায় রাজি আছে। তার মতে, আগে প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি কর্মী এনে প্রশিক্ষণ দিত, এখন থেকে তারা বাধ্য হয়ে দেশীয় তরুণদের প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ দেবে। হোয়াইট হাউসের স্টাফ সেক্রেটারি উইল শার্ফ বলেছেন, এই পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে যে কোম্পানিগুলো কেবলমাত্র সেই সব বিদেশি কর্মীকে আনতে পারবে যারা অত্যন্ত দক্ষ এবং মার্কিন কর্মীদের দ্বারা প্রতিস্থাপনযোগ্য নয়। তিনি অভিযোগ করেন, এইচ-১বি হলো সবচেয়ে বেশি অপব্যবহৃত ভিসা ব্যবস্থাগুলোর একটি।

ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, কিছু কোম্পানি এই ভিসাকে ব্যবহার করে মার্কিন কর্মীদের মজুরি কমিয়ে দিচ্ছিল। নির্বাহী আদেশে উল্লেখ করা হয়, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত (স্টেম) খাতের কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ২৫ লাখে দাঁড়িয়েছে, অথচ ওই সময়ে সামগ্রিক স্টেম কর্মসংস্থান বেড়েছে মাত্র ৪৪ শতাংশ।

সমালোচকদের উদ্বেগ

সমালোচকরা বলছেন, এত বিপুল ফি চাপিয়ে দিলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সেরা মেধা আকর্ষণে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম মেনলো ভেঞ্চার্সের পার্টনার ডিডি দাস সতর্ক করে বলেছেন, “এটি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।” বিশ্লেষকরা মনে করেন, বড় কোম্পানির পক্ষে এই খরচ সামলানো সম্ভব হলেও ছোট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও স্টার্টআপগুলো সমস্যায় পড়বে এবং তারা কিছু কাজ বিদেশে সরিয়ে নিতে বাধ্য হতে পারে।

ইমার্কেটার বিশ্লেষক জেরেমি গোল্ডম্যানের মতে, স্বল্পমেয়াদে ওয়াশিংটন বিপুল রাজস্ব আদায় করলেও দীর্ঘমেয়াদে এই নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে দেবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে তাদের অবস্থান দুর্বল করতে পারে।

ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতীয় ও চীনা কর্মীরা

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর অনুমোদিত এইচ-১বি ভিসাধারীদের মধ্যে ভারতের অংশ ছিল ৭১ শতাংশ, আর চীনের ১১ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে শুধু অ্যামাজন ও এর ক্লাউড ইউনিট এডব্লিউএস পেয়েছে ১২ হাজারের বেশি এইচ-১বি ভিসা অনুমোদন। মাইক্রোসফট ও মেটা পেয়েছে ৫ হাজারের বেশি করে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের নেতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যেই বাজারে দেখা গেছে। আইটি সেবা নির্ভর প্রতিষ্ঠান কগনিজ্যান্টের শেয়ার ৫ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তালিকাভুক্ত ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইনফোসিস ও উইপ্রোর শেয়ারের দাম ২ থেকে ৫ শতাংশ কমে গেছে।

আইনগত বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন

এই সিদ্ধান্তের আইনগত বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের নীতিনির্দেশক অ্যারন রাইকলিন-মেলনিক বলেন, "কংগ্রেস সরকারকে শুধুমাত্র আবেদন প্রক্রিয়ার খরচ উদ্ধারের জন্য ফি নির্ধারণের অনুমতি দিয়েছে, এর বাইরে ফি চাপানো আইনসঙ্গত নয়।" বর্তমানে প্রতি বছর ৬৫ হাজার এইচ-১বি ভিসা দেওয়া হয়, সঙ্গে উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ হাজার ভিসা। সব ফি কোম্পানিকেই বহন করতে হয়।

একই দিনে ট্রাম্প আরও একটি নির্বাহী আদেশে ‘গোল্ড কার্ড’ চালু করেছেন। এর আওতায় ১০ লাখ ডলার পরিশোধ করে যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে পারবেন।


বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করল কানাডা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ২১:২৭:১২
বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করল কানাডা
ছবি: সংগৃহীত

কানাডা সরকার তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কানাডার সরকারি ওয়েবসাইটে ‘ভ্রমণ’ বিভাগে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে পুরো বাংলাদেশের জন্য হলুদ চিহ্ন অর্থাৎ ‘উচ্চমাত্রায় সতর্ক থাকার’ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পার্বত্য তিন জেলায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে লাল চিহ্ন অর্থাৎ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কেন এই সতর্কতা?

কানাডা সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সম্ভাব্য বিক্ষোভ, সংঘর্ষ এবং দেশজুড়ে হরতাল-অবরোধের কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতির যেকোনো মুহূর্তে অবনতি ঘটতে পারে, যার আগাম সংকেত নাও পাওয়া যেতে পারে। তাই কানাডীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

পার্বত্য তিন জেলায় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংসতা, অপহরণ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘাতের কথা মাথায় রেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে হবে।

পাঠকের মতামত: