তেল বিক্রি বন্ধ, দেশজুড়ে ভোগান্তি

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ২৫ ১৩:২৮:৫৮
তেল বিক্রি বন্ধ, দেশজুড়ে ভোগান্তি

দশ দফা দাবিতে আট ঘণ্টার অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ। রোববার (২৫ মে) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশে তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিক্রয় কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে স্থগিত রাখা হয়। এতে খুলনা, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তেল সংকটে ভোগান্তিতে পড়েন যানবাহনের চালক ও সাধারণ গ্রাহকরা।

খুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন এবং পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ ছিল সকাল থেকেই। বন্ধ রাখা হয় সংশ্লিষ্ট সব পেট্রোল পাম্পও। বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বে ঘোষিত এই কর্মসূচির অন্যতম দাবি হলো তেল বিক্রিতে কমিশন বাড়ানো, যা বর্তমান মূল্য কাঠামোর তুলনায় পরিবেশকদের আর্থিক টেকসইতা বজায় রাখার জন্য অত্যাবশ্যক বলে দাবি করছেন সংগঠনের নেতারা।

পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মীর মোকসেদ আলী জানান, কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডিপোগুলো থেকে কোনো প্রকার তেল উত্তোলন কিংবা পরিবহন হয়নি। কর্মসূচি দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে বলে পূর্বঘোষণা ছিল।

রাজশাহীতেও একই অবস্থা দেখা গেছে। রাজশাহী বিভাগে প্রায় ৫০টি পেট্রোল পাম্প এবং ১০০টি তেলবাহী ট্যাংকলরি সক্রিয় রয়েছে। এসব পাম্প ও পরিবহন কার্যক্রম সকাল থেকে বন্ধ থাকায় রাজশাহীর শহর ও আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচলে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি হয়। অনেক চালক ভোরে এসে পাম্পে এসে তেল না পেয়ে ফিরে যান।

রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ অনিসুর রহমান শিমুল জানান, তারা গত ১২ মে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি আদায়ের জন্য ১২ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। সেই সময়সীমা পার হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় আজকের প্রতীকী কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, “আমরা আশাবাদী, সরকার দ্রুত আমাদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে। নইলে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণে আমরা বাধ্য হবো।”

এদিকে কর্মসূচির কারণে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী পরিবহনখাতে বিপর্যয় দেখা দেয়। বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, যানবাহন আটকে আছে তেলের অপেক্ষায়। অনেক চালককে তেল সংগ্রহের জন্য এক পাম্প থেকে আরেক পাম্প ঘুরতে দেখা যায়।

এখন পর্যন্ত সরকার বা জ্বালানি বিভাগ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে তেলের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ নিয়ে যে ধরনের জনদুর্ভোগ তৈরি হয়েছে, তাতে দ্রুত সমাধান না হলে সারা দেশে এর প্রভাব আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

- অনন্যা, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ