ইসলামের ইতিহাস

শক্তিশালী হয়েও ভূমিকম্পে যেভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল ইতিহাসের তিনটি জাতি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৬ ২০:৫৩:১১
শক্তিশালী হয়েও ভূমিকম্পে যেভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল ইতিহাসের তিনটি জাতি
ছবিঃ সংগৃহীত

চোখের পলকে একটি আস্ত জনপদ মাটির নিচে তলিয়ে যাওয়া কিংবা আকাশচুম্বী অট্টালিকা ধুলোয় মিশে যাওয়া ইতিহাসের পাতায় এমন ঘটনা নিছক কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে এমন কিছু জাতির কথা যারা তাদের শক্তি সম্পদ এবং অহংকারের চূড়ায় পৌঁছেও রক্ষা পায়নি আল্লাহর গজব থেকে। সীমালঙ্ঘন আর পাপাচারের শাস্তি হিসেবে তাদের ওপর নেমে এসেছিল ভয়াবহ ভূমিকম্প যা মুহূর্তের মধ্যে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল তাদের অস্তিত্ব।

নবী সালেহ আ. এর জাতি কওমে সামুদ ছিল তৎকালীন সময়ের এক অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী জাতি। তারা পাহাড় কেটে বিশাল সব অট্টালিকা তৈরি করত যা তাদের স্থাপত্যশৈলী ও শক্তির প্রমাণ দিত। কিন্তু সম্পদের প্রাচুর্য তাদের অন্ধ করে দিয়েছিল। তারা আল্লাহর একত্ববাদকে অস্বীকার করে এবং নিজেদের শক্তি নিয়ে দম্ভ করতে থাকে। তাদের হেদায়েতের জন্য আল্লাহ যখন নবী সালেহ আ. কে পাঠালেন তখন তারা তাঁকে উপহাস করে অলৌকিক নিদর্শন দাবি করে। আল্লাহর নির্দেশে পাহাড় ভেদ করে বেরিয়ে আসে এক অলৌকিক উটনী। কিন্তু সামুদ জাতির কিছু অবাধ্য লোক সেই উটনীকে হত্যা করে আল্লাহর সতর্কবার্তাকে অমান্য করে। এর পরিণতি হয় ভয়াবহ। এক বিকট শব্দ ও প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে পুরো জাতি ধ্বংস হয়ে যায় এবং তাদের শক্তপোক্ত ঘরবাড়িগুলোই তাদের কবরস্থানে পরিণত হয় যেখানে তারা মুখ থুবড়ে পড়ে রইল।

অন্যদিকে নবী শুয়াইব আ. এর জাতি মাদিয়ানবাসীরা ছিল মূলত ব্যবসায়ী। কিন্তু তাদের বাণিজ্যের মূলধন ছিল প্রতারণা। তারা ওজনে কম দিত মানুষের অধিকার হরণ করত এবং আল্লাহর বিধান নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ করত। নবী শুয়াইব আ. তাদের সততার পথে আহ্বান জানালে তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করে এবং নিজেদের কুকর্ম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের এই অন্যায়ের শাস্তি হিসেবে আল্লাহর পক্ষ থেকে নেমে আসে প্রচণ্ড এক ভূমিকম্প। মুহূর্তের মধ্যে ধুলিসাৎ হয়ে যায় তাদের সাজানো জনপদ। যারা নবীর কথায় কর্ণপাত করেনি এবং পাপে লিপ্ত ছিল তারা নিজ নিজ ঘরেই মৃত অবস্থায় পড়ে রইল।

কওমে লুত বা নবী লুত আ. এর জাতির অপরাধ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং জঘন্য। তারা এমন এক পাপাচার বা সমকামিতায় লিপ্ত হয়েছিল যা ইতিহাসের আর কোনো জাতি আগে করেনি। নবী লুত আ. তাদের বারবার সতর্ক করলেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করে এবং তাঁকে নিয়ে উপহাস করে। অবশেষে আল্লাহর আদেশে ফেরেশতারা এসে সেই জনপদকে উল্টে দেন। একই সঙ্গে তাদের ওপর বর্ষিত হয় পোড়ামাটির পাথর। তাফসীর অনুযায়ী ভূমিকম্প বজ্রপাত ও পাথর বৃষ্টির এক সম্মিলিত শাস্তিতে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় তাদের সভ্যতা এবং পৃথিবীর বুক থেকে মুছে যায় তাদের নামনিশানা।

সামুদ মাদিয়ান এবং লুত এই তিনটি জাতিই ছিল তাদের সময়ের শ্রেষ্ঠ এবং শক্তিশালী। কিন্তু যখনই তারা ন্যায় নীতি ও স্রষ্টার বিধান লঙ্ঘন করে পাপের সাগরে ডুবেছে তখনই তাদের জন্য পৃথিবী হয়ে উঠেছে শাস্তির এক ভয়াল ক্ষেত্র। তাদের এই ধ্বংসের ইতিহাস আজও মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে শক্তি বা সম্পদ নয় বরং ন্যায় ও সত্যের পথই কেবল চূড়ান্ত মুক্তির দিশা দিতে পারে।


২৬ নভেম্বরের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৬ ১০:৩৫:৫৬
২৬ নভেম্বরের নামাজের সময়সূচি
ছবি: সংগৃহীত

আজ বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫; বাংলা তারিখ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং হিজরি ০৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। দিনের সূচনায় রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা থেকে প্রকাশিত নামাজের সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিটি নামাজের সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোরের প্রথম আলো থেকে রাতের শেষ প্রহর পর্যন্ত সময় অনুযায়ী ইবাদত পুরণের সুযোগ-সুবিধা জানাতে এই সময়সূচি মুসল্লিদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

আজ জোহরের সময় শুরু হবে সকাল ১১টা ৪৯ মিনিটে, যখন সূর্য মধ্যগগনে অবস্থান করতে থাকে। এরপর দুপুর গড়িয়ে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে শুরু হবে আসর নামাজের সময়, যা দিনের দ্বিতীয়ার্ধের ইবাদতের সূচক। দিনের আলো নিভে আসার মুহূর্তে মাগরিবের সময় নির্ধারিত হয়েছে বিকেল ৫টা ১৪ মিনিটে, ঠিক সূর্যাস্তের পরপরই।

রাতে এশার নামাজের সময় শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে, যা দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততা শেষে শীতলতার সঙ্গে রাতের ইবাদতে নিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানায়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ফজরের সময় শুরু হবে ভোর ৫টা ০৬ মিনিটে, আর নতুন দিনের সূচনা হিসেবে আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ২১ মিনিটে। আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।


পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয় ও দাজ্জালসহ কেয়ামতের ১০টি ভয়াবহ আলামত

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৫ ১৮:৪৯:৩৫
পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয় ও দাজ্জালসহ কেয়ামতের ১০টি ভয়াবহ আলামত
ছবিঃ সংগৃহীত

আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দিনকে বিভিন্ন নামে নামকরণ করেছেন যেন মানুষ সেটাকে স্মরণে রেখে উপদেশ গ্রহণ এবং এ বিষয়ে চিন্তা করে। এগুলোর অন্যতম হলো বিচার দিবস ফায়সালার দিন হিসাবের দিন পরিতাপের দিন মহাসমাবেশের দিন এবং পুনরুত্থান দিবস। মহাগ্রন্থ আল কোরআনে বলা হয়েছে কেয়ামতের দিন হবে এক ভয়াবহ ও বিভীষিকাময় দিন এবং এই ভয়াবহতা যে কত ব্যাপক হবে তা কল্পনা করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন সেদিন মানুষ বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের মতো হবে। অন্য আয়াতে তিনি বলেন যেদিন কেয়ামত উপস্থিত হবে সেদিন মানুষ পলায়ন করবে তার ভাই থেকে এবং তার মা বাবা স্ত্রী ও সন্তান থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকের অবস্থা হবে গুরুতর যা তাকে সম্পূর্ণভাবে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে। রাব্বুল আলামিন আরও বলেন হে মানুষ তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় করো। কেয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ংকর ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে সেদিন প্রত্যেক স্তন্যধাত্রী তার দুগ্ধপোষ্য শিশুর কথা ভুলে যাবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী নারী গর্ভপাত করে ফেলবে। আর তুমি মানুষকে দেখবে মাতালের মতো অথচ তারা নেশাগ্রস্ত নয়। মূলত আল্লাহর শাস্তি খুব কঠিন হওয়ায় মানুষের অবস্থা এরূপ হবে।

হাদিস শরীফে এসেছে হজরত আয়েশা রা. বলেন আমি মহানবী সা. কে বলতে শুনেছি কেয়ামতের দিন মানুষ উলঙ্গ হয়ে খতনাবিহীন অবস্থায় কবর থেকে হাশরের ময়দানে এসে দাঁড়াবে। এ কথা শুনে আমি জিজ্ঞেস করলাম হে আল্লাহর রাসুল নারী পুরুষ সবাই কি উলঙ্গ থাকবে কারণ এমন হলে তো খুবই লজ্জার ব্যাপার। উত্তরে হুজুর সা. বললেন হে আয়েশা সেদিনের পরিস্থিতি এত ভয়ংকর হবে যে কেউ কারও দিকে তাকানোর কথা কল্পনাও করতে পারবে না।

ভয়াবহ এই কেয়ামত কবে কখন হবে তা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। তবে রাসুল সা. কেয়ামতের কিছু আলামত বলে গিয়েছেন যা দুই ধরনের তথা ছোট আলামত ও বড় আলামত। সর্ববৃহৎ ১০টি আলামত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে হজরত হুজাইফা ইবনে উসাইদ রা. জানান তাঁরা রাসুল সা. এর কামরার ছায়ায় বসে কথা বলছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কেয়ামতের ব্যাপারে আলোচনা উঠলে আওয়াজ উঁচু হয়ে যায়। তখন রাসুল সা. বললেন কেয়ামত ততক্ষণ পর্যন্ত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না সেটার পূর্বে ১০টি নিদর্শন প্রকাশ পাবে।

এই নিদর্শনগুলো হলো পৃথিবীর পূর্বপ্রান্তে ভূখণ্ড ধস পশ্চিমপ্রান্তে ভূখণ্ড ধস আরব উপদ্বীপে ভূখণ্ড ধস ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়া দাজ্জালের প্রকাশ দাব্বাতুল আরজ প্রকাশ পাওয়া ইয়াজুজ মাজুজ বের হওয়া পশ্চিমপ্রান্ত হতে সূর্যোদয় হওয়া এবং সর্বশেষ আদন দেশের প্রান্ত হতে আগুন উত্থিত হবে যা লোকেদের তাড়িয়ে এক স্থানে একত্রিত করবে। শুবাহ রহ. বলেন এ বর্ণনায় দশম আলামতের কথা উল্লেখ নেই। তবে অন্য বর্ণনায় দশম আলামত হিসেবে কোথাও ঈসা আ. এর অবতরণের কথা উল্লেখ রয়েছে আবার কোথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে সর্বশেষ এমন দমকা হাওয়া প্রবাহিত হবে যা মানুষকে উড়িয়ে নিয়ে সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে।


কোরআন–হাদিসে গিবতের ভয়াবহ শাস্তির বর্ণনা

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৫ ১১:০৬:৩৫
কোরআন–হাদিসে গিবতের ভয়াবহ শাস্তির বর্ণনা
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামে গিবত বা পরনিন্দাকে যে ভয়ংকর গুনাহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। একজন মুসলমানের অনুপস্থিতিতে তার এমন দোষ-ত্রুটি বলা, যা সে নিজে শুনলে অপছন্দ করবে, ইসলামে সেটাকেই গিবত বলা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের সামনে গিবতের পরিচয় তুলে ধরে বলেন, “তোমার ভাইয়ের এমন বিষয় উল্লেখ করা, যা সে অপছন্দ করে, সেটাই গিবত।” সাহাবিরা জানতে চাইলে যে দোষটি সত্যিই ওই ব্যক্তির মধ্যে থাকলে কী হবে, তখন তিনি জানান, সেটাই গিবত। আর যদি দোষটি তার মধ্যে না থাকে, তাহলে তা মারাত্মক অপবাদ বা ‘বুহতান’।

কোরআনে আল্লাহ তায়ালা গিবতকে অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সুরা হুজুরাতে বলা হয়েছে, “তোমাদের কেউ কি মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে চাইবে? নিশ্চয়ই তোমরা তা ঘৃণা করবে।” এই আয়াতের মধ্য দিয়ে গিবতের ভয়াবহতা ও নিন্দনীয় অবস্থানকে চিত্রায়িত করা হয়েছে। অন্যদিকে সুরা হুমাজায় নিন্দুক, কুৎসাকারী ও অন্যের সম্মানহানিকারীদের জন্য কঠোর শাস্তির ঘোষণা দিয়ে বলা হয়েছে যে তাদের হুতামায় নিক্ষেপ করা হবে, যা আল্লাহর জ্বালানো আগুন, এবং হৃদপিণ্ড পর্যন্ত পৌঁছে যাবে।

হাদিসেও গিবতকারীদের ভয়াবহ পরিণতির কথা এসেছে। মহানবী (সা.) মিরাজে যাওয়ার সময় তামার নখওয়ালা একদল মানুষকে দেখেন, যারা নিজেদের মুখ ও বুক ক্ষতবিক্ষত করছে। এদের পরিচয় জানতে চাইলে জিবরাইল (আ.) জানান, “এরা দুনিয়ায় মানুষের মাংস ভক্ষণ করত,” অর্থাৎ গিবত করত এবং তাদের সম্মানহানি করত। আরও একটি হাদিসে সতর্ক করা হয়েছে যে, কোনো মুসলমানের গিবতের বিনিময়ে যে ব্যক্তি এক গ্রাস খাদ্য গ্রহণ করবে, তাকে কিয়ামতে সমপরিমাণ জাহান্নামের আগুন খাওয়ানো হবে।

ইসলামে গিবত করা যেমন হারাম, তেমনি গিবত শোনা সমপরিমাণ পাপ। ইমাম নববি (রহ.) বলেন, গিবত শুনলে মুসলমানের দায়িত্ব হলো গিবতকারীকে বিরত করা। মুখে নিষেধ করতে না পারলে হাত দিয়ে বাধা দেবে, আর যদি তাও সম্ভব না হয়, তাহলে সেই মজলিশকে তৎক্ষণাৎ ত্যাগ করবে। কারণ গিবত শোনাকে সমর্থন করা নিজেই অপরাধ।

আলেমরা মনে করেন, আজকের সমাজে পিছনে কারও দোষ আলোচনা করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাউকে কটূক্তি করা, নিজের মতবিরোধে অন্যের গোপন বিষয় প্রকাশ সবই গিবতের আওতায় পড়ে। অথচ অনেকে এসবকে অপরাধই মনে করেন না। ধর্মীয় শিক্ষার অভাব ও আত্মশুদ্ধির ঘাটতির কারণে মানুষ সহজেই পরনিন্দায় যুক্ত হচ্ছে, যা ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে অশান্তি বাড়াচ্ছে।


২৫ নভেম্বর, আজকের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৫ ১০:০৪:৩২
২৫ নভেম্বর, আজকের নামাজের সময়সূচি
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ নামাজ মুসলমানের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতগুলোর একটি। সময়মতো নামাজ আদায় করা শুধু ধর্মীয় দায়িত্ব নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। হাদিসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি নামাজের সময় আগেই মসজিদে উপস্থিত হয়ে নামাজের জন্য অপেক্ষা করে ফেরেশতারা তার জন্য দোয়া করতে থাকেন। তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময় মতো আদায় করা এবং নিয়মিতভাবে মসজিদে উপস্থিত হওয়া।

আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা এবং ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো।

ঢাকা ও আশপাশের নামাজের সময়

ফজর ৫টা

জোহর ১১টা ৪৯ মিনিট

আসর ৩টা ৩৫ মিনিট

মাগরিব ৫টা ১৪ মিনিট

ইশা ৬টা ৩১ মিনিট

আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১১ মিনিট

আজ সূর্যোদয় ৬টা ২০ মিনিট

বিভিন্ন বিভাগের সময়সূচি ঢাকার সঙ্গে কিছুটা ভিন্ন হয়। তাই বিভাগীয় সময় নির্ধারণে নিচের মতো যোগ বা বিয়োগ করতে হবে।

বিয়োগ করতে হবে

চট্টগ্রাম ০৫ মিনিট

সিলেট ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে

খুলনা ০৩ মিনিট

রাজশাহী ০৭ মিনিট

রংপুর ০৮ মিনিট

বরিশাল ০১ মিনিট


তিন জিকিরে গুনাহ মাফ ও জান্নাতের সুসংবাদ

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৪ ১০:৩৯:০১
তিন জিকিরে গুনাহ মাফ ও জান্নাতের সুসংবাদ
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামে আল্লাহর জিকিরকে বলা হয় মুমিনের অস্ত্র, হৃদয়ের ওষুধ এবং রূহের খাদ্য। বিশেষত কিছু জিকির রয়েছে যেগুলোর গুরুত্ব কোরআন-হাদিসে অত্যন্ত জোর দিয়ে বলা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি”, “সুবহানাল্লাহিল আযীম”, “আস্তাগফিরুল্লাহ”।

এই তিনটি পবিত্র বাক্য মুমিনের আখেরাত ও দুনিয়ার জন্য অসীম কল্যাণ ও বরকতের দুয়ার খুলে দেয়।

আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সহজতম উপায়—আস্তাগফিরুল্লাহ

“আস্তাগফিরুল্লাহ” এমন একটি বাক্য, যার মাধ্যমে বান্দা সরাসরি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়। ইসলামের শিক্ষা হলো, আল্লাহ কখনো বান্দাকে হতাশ করেন না। একজন ব্যক্তি যদি আন্তরিকতার সঙ্গে বারবার এই দোয়া পড়েন, আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেন।

নবী করিম (সা.) নিজেও প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ বার ইস্তেগফার করতেন এটাই বলে দেয় এর গুরুত্ব কতটা। এই বাক্য মুমিনের জীবনে ভেতরের অন্ধকার দূর করে দেয়, হৃদয়কে করে আলোকিত।

আমলনামায় পাহাড়সম সওয়াব লিখিত হয়

“সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি” এবং “সুবহানাল্লাহিল আযীম”- এই দুই বাক্যকে হাদিসে বলা হয়েছে “দুইটি অতি প্রিয় বাক্য, জিহ্বায় হালকা, কিন্তু আমলনামায় অত্যন্ত ভারী।” মানুষ দিনে অল্প কিছু সময় ব্যয় করে জিকির করলে প্রতিদিনের আমলে যুক্ত হয় অসাধারণ সওয়াব, যা পরকালে মুমিনের জান্নাতের ওজন বাড়াবে। সওয়াব অর্জনের এতো সহজ মাধ্যম খুব কমই আছে।

জান্নাতে খেজুর গাছ রোপণ—অমূল্য পুরস্কার

নবী করিম (সা.) হাদিসে বলেছেন, “যে ‘সুবহানাল্লাহিল আযীম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হয়।” জান্নাতে একটি গাছ মানে অনন্তকালের জন্য একটি সম্পদ, একটি মর্যাদা এবং একটি ঘর রোপণ। এই পুরস্কার এতটাই মূল্যবান যে, দুনিয়ার সব সম্পদ দিয়েও তার সমতুল্য পাওয়া অসম্ভব। শুধু একটি বাক্য আর জান্নাতে রোপিত হয় এক মূল্যবান সৌগাত।

হৃদয়ে শান্তি, আত্মায় প্রশান্তি

আল্লাহর জিকিরে রয়েছে মনে প্রশান্তি। কোরআনে আছে- “নিঃসন্দেহে আল্লাহর স্মরণেই অন্তরের প্রশান্তি।” এই দোয়াগুলো পড়লে মানুষের ভেতরের দুশ্চিন্তা, স্ট্রেস, ভয় ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা দূর হয়। আজকের ব্যস্ত জীবনে জিকিরই হতে পারে মনকে স্থির রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ—সৃষ্টিকুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মর্যাদা

হাদিসে এসেছে, যদি কেউ সকালে ১০০ বার, সন্ধ্যায় ১০০ বার “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম আস্তাগফিরুল্লাহ” পাঠ করে তাহলে সৃষ্টিকুলের মধ্যে তার মর্যাদা সবচেয়ে বেশি হবে, যদি না কেউ তার চেয়ে বেশি জিকির করে। এটি এমন এক আমল, যা খুব কম সময় নিয়েই মুমিনকে পৌঁছে দেয় উচ্চ মর্যাদায়।

মুমিনের জীবনে আধ্যাত্মিক শক্তি যোগায় এই দোয়া

এই তিন দোয়া আল্লাহর পবিত্রতা, মহত্ত্ব ও ক্ষমার স্বীকৃতি দেয়। এগুলো মুমিনকে আল্লাহর আরও কাছে নিয়ে যায়। জিকিরের ফজিলত শুধু দুনিয়ার নয় আখেরাতেও তার প্রভাব অসীম। নিয়মিত পাঠ করলে মানুষ হয়ে ওঠে পরিশুদ্ধ, বিনম্র, আল্লাহভীরু ও আল্লাহভক্ত।

দোয়াগুলো জীবনের জন্য বরকতের উৎস

এই জিকির মুমিনের জীবনে নিয়ে আসে-

  • রিজিকে বরকত
  • গুনাহের পরিশুদ্ধতা
  • অন্তরে শান্তি
  • পরিবারের জন্য রহমত
  • দুনিয়া–আখেরাত উভয়ের সুসংবাদ

আল্লাহর স্মরণ ছাড়া সত্যিকারের শান্তি ও প্রশান্তি পাওয়া যায় না।

জিকিরের গুরুত্ব: সবচেয়ে সহজ, কিন্তু ফলাফল সবচেয়ে বড়

এই তিন দোয়া এমন, যা-

  • কম সময়ে পড়া যায়
  • মুখে সহজ
  • নিয়মিত পাঠ করা যায়
  • এবং যার ফজিলত অপরিমেয়

একজন মুমিনের উচিত প্রতিদিনের রুটিনে জিকিরকে অন্তর্ভুক্ত করা।এর মাধ্যমে হৃদয় হয় পরিশুদ্ধ, মন হয় শান্ত এবং জীবন হয় আল্লাহর রহমতে পরিপূর্ণ।


কোরআনের আলোকে আল্লাহর রহমত পাওয়ার ১০ উপায়

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১২:৩৮:৪৬
কোরআনের আলোকে আল্লাহর রহমত পাওয়ার ১০ উপায়
ছবি: সংগৃহীত

কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর রহমত এমন একটি অসীম দান যা একজন মুমিনের জীবনকে পরিশুদ্ধ করে, তার বিপদ দূর করে এবং হৃদয়ে শান্তির আলো জ্বালায়। আল্লাহ নিজেই বলেছেন, তাঁর রহমত সমস্ত কিছুকে ঘিরে রেখেছে। সেই বিশাল রহমত লাভের জন্য ইসলাম বিশেষ কিছু পথনির্দেশ দিয়েছে। এসব নির্দেশনা শুধু ব্যক্তিগত ইবাদত নয়, বরং মানবিক আচরণ, নৈতিকতা, আন্তরিকতা এবং সমাজকল্যাণকে কেন্দ্র করে সাজানো।

প্রথমত, মানবিক দয়া একজন মুসলিমের চরিত্রের মূল ভিত্তি। সৃষ্টির প্রতি দয়া প্রদর্শন আল্লাহর অসীম দয়ার কারণ হয়। পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করানোর জন্যও ক্ষমা পাওয়ার ঘটনাটি এ মহত্ত্বের বড় প্রমাণ।

দ্বিতীয়ত, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, রোজা ও জাকাতের মতো ফরজ ইবাদত পালন আল্লাহর আনুগত্যের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রকাশ। কোরআনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ফরজ ইবাদত কায়েম করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত বর্ষিত হয়।

তৃতীয়ত, ইহসান অর্থাৎ আন্তরিকভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমল করা। যে আমলে হৃদয়ের পবিত্রতা থাকে, আল্লাহ তার প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ বর্ষণ করেন। সৎকর্মপরায়ণতা আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম।

তাকওয়া চতুর্থ উপায় যা মুমিনকে সব ধরনের গুনাহ থেকে বাঁচায় এবং আল্লাহর ভয় ও সচেতনতা তাকে রহমতের যোগ্য করে তোলে। আল্লাহ বলেন, তাঁর রহমত তাকওয়াবানদের জন্যই লিখে দেওয়া হয়েছে।

পঞ্চমত, কোরআন তেলাওয়াত ও চর্চা। কোরআন শুধু পাঠ নয়, বরং বুঝে তার আলোকে জীবন গঠন করাই রহমত লাভের প্রকৃত পথ। এ ছাড়া মনোযোগ দিয়ে কোরআন শোনার ক্ষেত্রেও আল্লাহ বিশেষ রহমতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সপ্তম উপায় হলো দ্বীনি কাজে কষ্ট স্বীকার হিজরত, সংগ্রাম, দ্বীনের পথে ধৈর্য ধারণ করা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের কারণ হয়। ইসলামের ইতিহাসে এ উদাহরণ অসংখ্য।

অষ্টমত, সুন্নাহ অনুসরণ। রাসুলুল্লাহ (স.)-এর আদর্শ অনুসরণ করলে রহমতের দ্বার খুলে যায় এ কথা কোরআনে সরাসরি উল্লেখ রয়েছে।

ইস্তেগফার, অর্থাৎ নিয়মিত ক্ষমা প্রার্থনা নবম উপায়। ইস্তেগফার যত বেশি, রহমত তত কাছে। গুনাহ থেকে মুক্তির পাশাপাশি জীবনযাত্রায় বরকতও নেমে আসে।

সবশেষে দোয়া যা রহমত প্রার্থনার সবচেয়ে সরাসরি মাধ্যম। সুরা কাহফের দোয়া "রব্বানা আতিনা মিন লাদুংকা রহমাহ" আল্লাহর রহমত আহ্বানের অন্যতম শক্তিশালী দোয়া হিসেবে পরিচিত।

একজন মুমিনের জীবনে আল্লাহর রহমত শুধু আধ্যাত্মিক মুক্তি নয় বরং দুনিয়াতেও নিরাপত্তা, শান্তি, প্রাচুর্য এবং সফলতার প্রতীক। ইসলাম সেই সব পথই সুস্পষ্টভাবে মানবজাতির সামনে তুলে ধরেছে।


রবিবারের নামাজের ওয়াক্তনামা এক নজরে

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১০:৩১:১৭
রবিবারের নামাজের ওয়াক্তনামা এক নজরে
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের পাঁচটি রুকনের একটি হলো নামাজ, যা ইমানের পর মুসলমানের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে বিবেচিত। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ৮২ বার সালাতের উল্লেখ করে এর গুরুত্ব বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। নামাজ শুধু আধ্যাত্মিক শান্তির উৎস নয়, বরং শৃঙ্খলা, সময় সচেতনতা এবং আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যম। তাই প্রতিদিনের ব্যস্ততার মধ্যেও ওয়াক্তমতো নামাজ আদায় করা একজন মুসলমানের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সেই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫ ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের পূর্ণাঙ্গ নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

আজকের ফজরের নামাজের সময় শুরু হবে ভোর ৫টা ১ মিনিটে এবং শেষ হবে ভোর ৬টা ১৭ মিনিটে। আগামীকাল সোমবার ফজরের সময় এক মিনিট এগিয়ে ভোর ৫টা হবে। জোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১১টা ৪৮ মিনিটে এবং শেষ হবে বিকেল ৩টা ৩৪ মিনিট। এরপর আসরের সময় শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে এবং শেষ হবে বিকেল ৪টা ৫৩ মিনিটে। সন্ধ্যাবেলা মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হবে ৫টা ১৪ মিনিটে এবং থাকবে ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। ইশার সময় শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে এবং বজায় থাকবে রাত ৪টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত, যদিও শরিয়তের দৃষ্টিতে মধ্যরাতের আগেই ইশা আদায় করা উত্তম।

ঢাকার নির্ধারিত সময়ের সঙ্গে কিছু বিভাগীয় অঞ্চল সময় যোগ-বিয়োগ করে অনুসরণ করবে। চট্টগ্রাম ও সিলেটে যথাক্রমে পাঁচ ও ছয় মিনিট বিয়োগ করতে হবে। অন্যদিকে খুলনা, রাজশাহী, রংপুর এবং বরিশালের জন্য নির্ধারিত সময়ের সঙ্গে তিন থেকে আট মিনিট পর্যন্ত যোগ করতে হবে। এসব সময় পার্থক্য ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে হয়ে থাকে এবং প্রতিটি এলাকার মুসলমানের জন্য সঠিক ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ আদায় করা আবশ্যক।

আজকের দিনটি রোজাদারদের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি উল্লেখ করা হয়েছে। সেহরির শেষ সময় ভোর ৪টা ৫৫ মিনিট এবং ইফতারের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিট। রোজাদারদের জন্য এই সঠিক সময় মানা ইসলামী বিধান অনুসরণে অপরিহার্য।

নফল নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রেও আজকের দিনটি বিশেষভাবে চিহ্নিত। ইশরাকের সময় শুরু হবে সকাল ৬টা ৩২ মিনিটে এবং চলবে সকাল ৮টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত। চাশতের সময় থাকবে সকাল ৮টা ২৪ মিনিট থেকে ১১টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত। আর তাহাজ্জুদের সময় technically ইশার সঙ্গে শুরু হলেও উত্তম সময় হিসেবে ধরা হয় রাত ৯টা ৫৫ মিনিট থেকে সুবহি সাদিক ৪টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত। নফল নামাজ আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের বিশেষ মাধ্যম, এবং অনেক পণ্ডিতের মতে নফল ইবাদত বান্দাকে আত্মিকভাবে আরও পরিশুদ্ধ করে।

ইসলামী শরিয়তে তিনটি সময়ে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজকের নিষিদ্ধ সময়গুলো হলো সকাল ৬টা ১৮ মিনিট থেকে ৬টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সূর্যোদয়কালীন সময়। এরপর দুপুর ১১টা ৪২ মিনিট থেকে ১১টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত সূর্য যখন মাথার উপর থাকে সেই সময়। এবং শেষত, বিকেল ৪টা ৫৪ মিনিট থেকে ৫টা ১০ মিনিট পর্যন্ত সূর্যাস্ত-পূর্ব মুহূর্ত। তবে দিনের আসরের নামাজ যদি নির্ধারিত সময়ে আদায় না করা হয়, বিশেষ পরিস্থিতিতে এই নিষিদ্ধ সময়ের মধ্যেও তা আদায় করা যায়।


ভূমিকম্পের সময় মহানবী সা. যে বিশেষ আমল ও দোয়া পড়ার শিক্ষা দিয়েছেন

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২২ ১৯:১০:৫৮
ভূমিকম্পের সময় মহানবী সা. যে বিশেষ আমল ও দোয়া পড়ার শিক্ষা দিয়েছেন
ছবিঃ সংগৃহীত

ভূমিকম্প এমন একটি মুহূর্ত যখন মানুষ তার দুর্বলতা গভীরভাবে অনুভব করে এবং মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায়। বিপদ আপদ ও ভয় ভীতির সময় আল্লাহর জিকির দোয়া ও ইস্তিগফারই ইমানদারের সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে কাজ করে। রাসুলুল্লাহ সা. শিখিয়েছেন বিপদের মুহূর্তে আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়াই হচ্ছে নিরাপত্তার একমাত্র পথ। তাই ভূমিকম্প বা বড় কোনো ঝাঁকুনির সময় পড়ার জন্য ৪টি ছোট ও কার্যকরী দোয়া নিচে তুলে ধরা হলো।

প্রথম দোয়া اللَّهُمَّ لَا تُؤَاخِذْنَا بِذُنُوبِنَا، وَلَا تُهْلِكْنَا بِغَضَبِكَ দোয়াটির উচ্চারণ হলো আল্লাহুম্মা লা তুআখিজনা বিজুনুবিনা ওয়া লা তুহলিকনা বিগাদাবিকা। এর বাংলা অর্থ হে আল্লাহ আমাদের গুনাহের কারণে আমাদের পাকড়াও করো না এবং তোমার গজবে আমাদের ধ্বংস করো না।

দ্বিতীয় দোয়া حَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ দোয়াটির উচ্চারণ হলো হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল। অত্যন্ত শক্তিশালী এই বাক্যটির অর্থ আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট তিনি উত্তম কর্মবিধায়ক।

তৃতীয় দোয়া يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ، بِرَحْمَتِكَ نَسْتَغِيثُ দোয়াটির উচ্চারণ হলো ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা নাস্তাগীস। এর অর্থ হে চিরঞ্জীব হে পালনকর্তা তোমার রহমতই আমাদের সাহায্য।

চতুর্থ দোয়া أستغفرُ اللهَ العظيم দোয়াটির উচ্চারণ হলো আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম। সবসময় পড়ার মতো ছোট এই আমলটির অর্থ আমি মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই।

আলেমদের মতে ভূমিকম্প শুধুই একটি প্রাকৃতিক ঘটনা নয় বরং এটি মানুষের হৃদয়ে আল্লাহর ভয় জাগিয়ে তোলে এবং আল্লাহর মহিমার সামনে বিনয় শেখায়। এ সময় দোয়া ইস্তিগফার ও তওবাই মুমিনের ঢাল হিসেবে কাজ করে। যে আল্লাহ পৃথিবীকে কাঁপান তিনিই আবার তা স্থির করেন। তাই বিপদের মুহূর্তে তাঁরই দিকে ফিরে যাওয়া মানুষের জন্য সর্বোত্তম কাজ।


ভূমিকম্প মুহূর্তে যে দোয়া পড়তেন রাসূল (সা.)

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২২ ১৮:২০:০৪
ভূমিকম্প মুহূর্তে যে দোয়া পড়তেন রাসূল (সা.)
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামে জীবনের প্রতিটি বিপদ ও দুর্যোগের জন্য শিক্ষা ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন মহান আল্লাহ তাআলা। কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ভূমিকম্প, মেঘের গর্জন, ঝড়–তুফান কিংবা আকাশ–জমিনের যেকোনো ভয়াবহতা আল্লাহর শক্তি ও কুদরতের নিদর্শন, যা মানুষের জন্য সতর্কবার্তা ও আত্মসমালোচনার আহ্বান। এমন সংকটময় মুহূর্তে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে নির্ভর করতে বলেছেন আল্লাহর ওপর এবং নিয়মিত দোয়ার মাধ্যমে তাঁর সাহায্য কামনা করতে বলেছেন।

রাসূল (সা.) বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন এমন একটি দোয়া, যা তিনবার পাঠ করলে মানুষ আকাশ ও জমিনের ভয়ংকর দুর্যোগ থেকে নিরাপত্তা পায়। দোয়াটি হলো-

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল্লাহি লা ইয়াদ্বুররু মা’আসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়া লা ফিস্সামা’ই, ওয়া হুয়াস সামীয়ুল আলিম।

এই দোয়া মুসলিম সমাজে বহুল পরিচিত এবং বিপদ–আপদে সুরক্ষার অন্যতম আমল হিসেবে সুন্নাহতে প্রতিষ্ঠিত।

ভূমিকম্পের সময় আলাদা একটি দোয়া পাঠ করার কথাও এসেছে বিভিন্ন হাদিসে। রাসূল (সা.) মাটির দিকে তাকিয়ে নিয়মিত পড়তেন-

“আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা শারিকালাহু, ফাবি আয়্যি আলা’ই রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান।”

এই তাসবিহ ও প্রশংসাবাক্য আল্লাহর শক্তি ও মহিমা স্মরণ করিয়ে দেয়, এবং মানুষের অন্তরকে স্থিরতা দেয়।

দুর্যোগের মুহূর্তে আরেকটি দোয়া রাসূল (সা.) বিশেষভাবে পড়তে বলেছেন-উচ্চারণ: আন্তা ওলিয়্যুনা ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা, ওয়া আন্তা খাইরুল গফিরিন।

অর্থ: “হে আল্লাহ, আপনি আমাদের রক্ষক—অতএব আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি করুণা বর্ষণ করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বাধিক ক্ষমাশীল।” (সূরা আরাফ ১৫৫)

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত