ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু, অনলাইনে মিলছে টিকিট

সত্য নিউজ:আসন্ন ঈদুল আজহার পর্বের উত্তেজনা এবং যাত্রীদের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে আবার নতুন করে পথচলায় রেখেছে। ২১ মে থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার সাথে সাথে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদের ৭ জুন পর্যন্ত যাত্রার আগে টিকিট কেনার সুব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পছন্দের যাত্রার তারিখ অনুসারে ৩১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত প্রতিদিনের টিকিট বিক্রির সূচি নির্ধারিত হয়েছে – যেখানে ৩১ মে তারিখের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে ২১ মে, ১ জুনের টিকিট বিক্রি হবে ২২ মে, ২ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত যথাক্রমে ২৩ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত পাওয়া যাবে। ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৩০ মে থেকে, যেখানে ৯ জুন পর্যন্ত যাত্রার টিকিট মিলবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের বর্তমান যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো শুধু অগ্রিম টিকিট বিক্রয়ের মাধ্যমেই নয়, বরং যাত্রীদের জন্য উন্নত আসন ব্যবস্থাপনা, নির্ভরযোগ্য সময়সূচী ও আধুনিক সুবিধা প্রদানেও গুরুত্ব দিয়েছে। ট্রেনের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে রয়েছে এসি, স্লিপিং ও সাধারণ আসনের সুযোগ, যার ফলে ভিন্ন ভিন্ন বাজেট ও আরামদায়কতার চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে। ছুটির মরশুমে যাত্রীবৃন্দ আরামদায়ক যাত্রার জন্য অনলাইনে সহজে টিকিট বুকিং করতে পারছেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://railapp.railway.gov.bd-তে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, যাত্রীরা তাদের ই-মেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করে ভ্রমণের তারিখ, প্রারম্ভিক ও গন্তব্য স্টেশন এবং প্রয়োজনীয় শ্রেণি নির্বাচন করতে পারবেন। টিকিট কেনার পর সরাসরি পেমেন্ট (ভিসা, মাস্টার কার্ড কিংবা বিকাশ) সম্পন্ন হলে, ই-টিকিটটি ডাউনলোড করে যাত্রীর ই-মেইলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যাত্রার পূর্বে ফটো আইডি সহসহ ই-টিকেট প্রিন্ট করে, রেলস্টেশনের টিকেট কাউন্টারে প্রদর্শনের মাধ্যমে যাত্রীগণ তাদের স্থানীয় ট্রেনের আসন নিশ্চিত করতে পারবেন।

এছাড়াও, নতুন ফিচার হিসেবে রেলওয়ে ম্যানেজমেন্ট কিছু নির্বাচিত ট্রেনে অনলাইন চেক-ইন সুবিধা চালু করেছে, যা যাত্রীদের সময় বাঁচাতে এবং টিকেট সংগ্রহ প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তুলবে। রেলপথ কর্তৃপক্ষ জানায় যে, বিশেষ করে ঈদের সময় যাত্রী সংখ্যা বিপুল বৃদ্ধির কারণে অপ্রত্যাশিত চাপ থেকে উত্তরণের জন্য তাদের প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি বজায় রাখা হয়েছে। ফলে, যাত্রীদের আরামদায়ক যাত্রার সঙ্গে সুসংগঠিত পরিবহন সেবার নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে।

এই নতুন উদ্যোগ ও উপযোগী প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রেলওয়ে ধীরে ধীরে আধুনিকীকরণের পথে অগ্রসর হচ্ছে, যা শুধু যাত্রী নিরাপত্তা ও সেবাকে উন্নত করবে না, বরং দেশের গতিশীল যোগাযোগ ব্যবস্থাকেও এক নতুন দিশা দেখাবে।