পুতিন-ট্রাম্প ফোনালাপ: যুদ্ধবিরতির সূচনা হতে পারে কী শিগগির?

সত্য নিউজ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই ঘণ্টার ফোনালাপের পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শিগগিরই যুদ্ধবিরতি ও স্থায়ী শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা জাগ্রত হয়েছে। ট্রাম্প এই আলাপকে “ফলপ্রসূ” হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, উভয় পক্ষই শর্ত নির্ধারণে আলোচনায় বসবে। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা অব্যাহত রাখবে বলে নিশ্চিত করেছেন।

যদিও এখনো কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বা পরিষ্কার পথনির্দেশনা দেয়া হয়নি, তবে পুতিন প্রকাশ করেছেন যে রাশিয়া শান্তিচুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত। অন্যদিকে, জেলেনস্কি এ আলোচনাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর অংশগ্রহণ অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, যদি রাশিয়া আলোচনা প্রক্রিয়ায় না থাকে, তবে কঠোর নিষেধাজ্ঞার পথ খোলা থাকবে।

আন্তর্জাতিক নেতৃত্বরা, বিশেষ করে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন, শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহযোগিতাকে উচ্চ মূল্যায়ন করেছেন। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি পোপ লিওর প্রস্তাবিত ভ্যাটিকানকে সম্ভাব্য আলোচনার স্থান হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তবে বাস্তবতা হলো, সাম্প্রতিককালে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে লড়াই থেমে নেই। সাম্প্রতিক ড্রোন হামলা ও সশস্ত্র সংঘর্ষে হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। গত কয়েকদিনে অন্তত ১০ বেসামরিক নিহত হয়েছে। এই উত্তেজনার মধ্যেও রাশিয়া ও ইউক্রেন তিন বছরের মধ্যে প্রথমবার মুখোমুখি বন্দি বিনিময় আলোচনা করেছে, যদিও যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো অঙ্গীকার হয়নি।

ট্রাম্প তুরস্কে আলোচনার প্রস্তাব দিলেও পুতিন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। পূর্বের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা যেমন ইউক্রেনের তরফ থেকে সম্মতি না পাওয়ায় ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি আজও নিরবচ্ছিন্ন যুদ্ধবিরতির পথে নানা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে।

এমন অবস্থায়, আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এই ফোনালাপ একটি ইতিবাচক সংকেত হলেও, বাস্তবায়ন পর্যায়ে কঠিন ও দীর্ঘসূত্রী আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্বজুড়ে শান্তির আকাঙ্ক্ষায় অপেক্ষা করছে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের অবসান।