ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞা, জরুরি বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

সত্য নিউজ: বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্থলবন্দর ব্যবহার করে রপ্তানি হওয়া পণ্য বিশেষত তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, প্লাস্টিকসহ সাতটি পণ্যের ওপর ভারত হঠাৎ করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে নতুন করে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আগামীকাল (২০ মে) বিকেল ৪টায় একটি জরুরি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের আয়োজন করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাণিজ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য এ সভায় অংশ নেবেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা।

বাণিজ্যের মূল অংশীদার হিসেবে এতে ব্যবসায়িক সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ এবং ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (IBCCI)-র প্রতিনিধিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সীমান্তবাণিজ্যে আচমকা চাপ

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ভারতের এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে নয়, বরং আঞ্চলিক বাণিজ্য কাঠামো ও দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বাণিজ্য সহযোগিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে রপ্তানি নির্ভর শিল্প যেমন পোশাক খাত এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য উৎপাদকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।

সম্ভাব্য আলোচ্য বিষয়

সভায় নিষেধাজ্ঞার কারণ, এর আইনি ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট, এবং বিকল্প রপ্তানি রুট বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তির সুযোগগুলোর ওপর আলোচনা হবে। পাশাপাশি দ্রুত প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে কূটনৈতিক ও উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার প্রস্তাবনা গৃহীত হতে পারে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন নিষেধাজ্ঞা শুধু বাণিজ্য নয়, বরং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের স্থিতিশীলতায়ও প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যখন আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি, লজিস্টিক সহযোগিতা ও বিস্তৃত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, তখন এ ধরনের সীমাবদ্ধতা বাণিজ্য আস্থায় আঘাত হানতে পারে।