সঙ্গী কি আপনাকে এড়িয়ে চলছেন? এই ৬টি লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৮ ১৬:১৯:৩৬
সঙ্গী কি আপনাকে এড়িয়ে চলছেন? এই ৬টি লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন
ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্কে ঝগড়া-বিবাদ থাকবে—এটাই স্বাভাবিক। তবে অনেকেই আছেন, হাজার খারাপ লাগলেও মুখে কিছু বলতে পারেন না। তারা ধীরে ধীরে সঙ্গীর থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন, যার ফলে একসঙ্গে থেকেও সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। নিচে এমন কিছু লক্ষণ তুলে ধরা হলো, যা দেখলে সহজেই বুঝবেন আপনার সঙ্গী মানসিকভাবে আপনার সঙ্গে খুশি নেই।

সম্পর্কের ফাটল বোঝার ৬টি লক্ষণ

১. কথা বলা বন্ধ করা: আগে সঙ্গী হয়তো আপনার সঙ্গে অনেক ছোট ছোট কথা শেয়ার করতেন। যদি দেখেন, এখন আর তিনি তা করছেন না বা আপনার সমস্যার কথা শুনলেও, নিজের ব্যক্তিগত কিছুই আর জানাচ্ছেন না, তাহলে বুঝবেন তিনি মানসিকভাবে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছেন।

২. আবেগের অনুপস্থিতি: মানসিকভাবে দূরত্ব তৈরি হলে কোনো ধরনের আবেগ আর সঙ্গীকে স্পর্শ করবে না। আপনারা হয়তো একসঙ্গে থাকবেন, কিন্তু মানসিকভাবে তিনি আপনার থেকে দূরে সরে যাবেন। আপনি রাগ দেখান বা ভালোবেসে কাছে টেনে নিন—আগের মতো কোনো প্রতিক্রিয়া আর পাবেন না।

৩. খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ: সঙ্গী যদি হঠাৎ করেই আপনার ছোট-বড় খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেন, তাহলে বুঝবেন সম্পর্কে ফাটল ধরেছে এবং সম্পর্কে আপনার গুরুত্ব কমে গেছে।

৪. অসমাপ্ত আলোচনা ও মতানৈক্য: ছোট-বড় সব বিষয়ে মতানৈক্য তৈরি হলেও বুঝবেন আপনাদের সম্পর্ক আর আগের মতো নেই। দিনের পর দিন নিজেদের মধ্যেকার কথা অসমাপ্ত থাকলে দুজনের মধ্যেই বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট হয়। ফলে ছোটখাটো বিষয়েও সহজে কথা কাটাকাটির পরিস্থিতি তৈরি হয়।

৫. শারীরিক সম্পর্কে অনীহা: দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্কে অনীহা প্রকাশ করলেও বুঝতে হবে সঙ্গী মানসিকভাবে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছেন এবং সম্পর্কে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।

৬. গোপনীয়তা বৃদ্ধি: সঙ্গী যদি হঠাৎ করে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বাড়াতে শুরু করেন—যেমন ফোন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সতর্ক থাকা—তাহলে বুঝতে হবে তিনি আপনার সঙ্গে ভালো নেই।


মেদ কমাতে হিমশিম খাচ্ছেন? খাবারের পর ২ মিনিটের অভ্যাসেই মিলবে সমাধান

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৭ ১৯:৪১:৪৭
মেদ কমাতে হিমশিম খাচ্ছেন? খাবারের পর ২ মিনিটের অভ্যাসেই মিলবে সমাধান
ছবি: সংগৃহীত

পেটের মেদ কমানো কঠিন কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। শরীরের অন্য অংশের চর্বি কমলেও কোমর ও পেটের বাড়তি চর্বি অনেক সময় নড়তে চায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মেদ কমাতে জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। সম্প্রতি ফিটনেস ট্রেইনার ক্রিস্টিন স্টাইনস জানিয়েছেন, রাতের খাবারের পর মাত্র দুই মিনিটের একটি অভ্যাস গড়ে তুললে ওজন কমানো অনেক সহজ হতে পারে।

২ মিনিটের হাঁটা কেন এত কার্যকর?

ফিটনেস ট্রেইনার ক্রিস্টিন জানান, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে রক্তে শর্করা (blood sugar) ও ইনসুলিনের সম্পর্ক গভীর। তার মতে, যখন আমরা খাবার খাই, তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এই অবস্থায় অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন নিঃসরণ করে, যা রক্ত থেকে শর্করা সরিয়ে শক্তি হিসেবে জমা রাখে।

ক্রিস্টিন বলেন:

“যখন শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেশি থাকে, তখন ফ্যাট বার্নিং বা চর্বি পোড়ানো বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় শরীর বেশি ইনসুলিন চায়, ফলে সারাক্ষণ ফ্যাট স্টোরেজ মোডে থাকে। এমনকি স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও ওজন কমাতে সমস্যা হয়।”

পেটের অতিরিক্ত মেদ রক্তে শর্করা ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের মতো সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। ক্রিস্টিনের মতে, এই সমস্যার সমাধানে রক্তে গ্লুকোজ ও ইনসুলিনের হঠাৎ ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

গবেষণার তথ্য ও কৌশল

২০২২ সালে জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ক্রিস্টিন জানান, খাবারের পর মাত্র ২ থেকে ৫ মিনিট হাঁটলে রক্তে শর্করার পরিমাণ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

তিনি ব্যাখ্যা করেন:

“খাওয়ার পর হাঁটার সময় শরীরের পেশিগুলো স্পঞ্জের মতো কাজ করে। তারা চলাফেরার মাধ্যমে রক্ত থেকে গ্লুকোজ শোষণ করে নেয়, এতে অতিরিক্ত ইনসুলিনের প্রয়োজন পড়ে না। ফলে রক্তে শর্করা কমে, ইনসুলিনও কমে এবং শরীর স্বাভাবিকভাবে ফ্যাট বার্নিং মোডে চলে যায়।”

ফিটনেস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, এই পদ্ধতি কার্যকর হলেও এটি সবার জন্য এক নয়। তাই খাদ্যাভ্যাস বা ব্যায়ামের রুটিনে পরিবর্তন আনার আগে চিকিৎসক বা ফিটনেস পরামর্শকের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি।

সূত্র : এনডি টিভি


পোষা প্রাণী কি অ্যালার্জি কমায়? গবেষণা যা বলছে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৭ ১৯:৩০:৪৬
পোষা প্রাণী কি অ্যালার্জি কমায়? গবেষণা যা বলছে
ছবি: সংগৃহীত

পোষা প্রাণীর উপস্থিতি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে বলে গবেষকরা দাবি করছেন। প্রাণীর সাহচর্য অ্যালার্জি, একজিমা, চুলকানি এবং এমনকি থাইরয়েড সংক্রান্ত রোগ বা টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের মতো অটোইমিউনো ডিজিজের ঝুঁকিও কমিয়ে দিতে পারে।

এই প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় আমিশ সম্প্রদায়ের কথা। ১৯৬০-এর দশক থেকে হাঁপানি, একজিমা এবং অ্যালার্জির মতো প্রতিরোধ ক্ষমতা-সংক্রান্ত রোগের প্রকোপ বাড়লেও, তা আমিশদের খুব একটা প্রভাবিত করতে পারেনি। এর নেপথ্যে থাকা কারণ জানতে গবেষকরা আমিশ ও হুটেরাইটস সম্প্রদায়ের শিশুদের নিয়ে গবেষণা চালান।

আমিশ ও হুটেরাইটস: দুই সম্প্রদায়ের তুলনামূলক চিত্র

২০১২ সালে গবেষকরা ইন্ডিয়ানায় বসবাসকারী আমিশ এবং সাউথ ডাকোটায় হুটেরাইটস নামে পরিচিত দুটি কৃষিভিত্তিক সম্প্রদায়ের ৩০ জন শিশুর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেক মিল থাকলেও, হাঁপানি এবং শৈশবকালীন অ্যালার্জির হারে ছিল বিশাল পার্থক্য।

পার্থক্য: হুটেরাইটস সম্প্রদায়ের শিশুদের মধ্যে হাঁপানি এবং শৈশবকালীন অ্যালার্জির হার আমিশ শিশুদের তুলনায় চার থেকে ছয় গুণ বেশি।

কারণ: গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেন, হুটেরাইটসরা শিল্পায়িত কৃষি প্রযুক্তিগুলো পুরোপুরি গ্রহণ করেছে, কিন্তু আমিশ সম্প্রদায় তা করেনি। ফলে অল্প বয়স থেকেই আমিশ সম্প্রদায়ের শিশুরা খামারে প্রাণীদের সঙ্গে বাস করেছে এবং তাদের বয়ে আনা জীবাণুর সংস্পর্শে থেকেছে।

বিশেষজ্ঞের ব্যাখ্যা: আয়ারল্যান্ডস্থিত ‘ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্ক’-এর অধ্যাপক ফার্গুস শানাহান বলেন, হুটেরাইটসরা ছোট গ্রামে বাস করলেও তাদের খামারগুলো বাড়ি থেকে কয়েক মাইল দূরে থাকে। কিন্তু আমিশ সম্প্রদায়ের মানুষরা খামারে প্রাণীদের সঙ্গেই বাস করে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির গবেষকদের সিদ্ধান্তে আসে যে, আমিশ সম্প্রদায়ের শিশুদের মধ্যে অ্যালার্জির ঝুঁকি কম থাকার কারণ হলো, এই পরিবেশ তাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এভাবে গড়ে তুলেছে।

টি কোষ ও ‘মিনি-ফার্ম এফেক্ট’

২০১৬ সালে প্রকাশিত এই গবেষণায় গবেষকরা লক্ষ্য করেন, হুটেরাইট সম্প্রদায়ের শিশুদের তুলনায় আমিশ শিশুদের শরীরে ‘টি কোষগুলো’ (যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে) আরও বেশি কার্যকর। দুই সম্প্রদায়ের শিশুদের বাড়ি থেকে ধুলোবালির নমুনা সংগ্রহ করে দেখা যায়, আমিশ শিশুরা আরও বেশি পরিমাণে মাইক্রোবের (অণুজীব বা জীবাণু) সংস্পর্শে এসেছে, যা সম্ভবত প্রাণীদের সাহচর্য থেকে এসেছে।

অন্যান্য গবেষকদের পরীক্ষা থেকেও জানা যায়, আলপাইন খামারে বেড়ে ওঠা শিশুরা হাঁপানি, হে ফিভার এবং একজিমার মতো রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকে। গবেষকদের মতে, শৈশবের প্রথম দিকে বাচ্চারা যত সংখ্যক পোষা প্রাণীর উপস্থিতিতে থেকেছে, সাত থেকে নয় বছর বয়সে অ্যালার্জির ঝুঁকি ততই হ্রাস পায়। একে ‘মিনি-ফার্ম এফেক্ট’ বলা হয়।

তবে গবেষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যাদের ইতোমধ্যে একজিমা রয়েছে, তাদের নতুন করে কুকুরের সাহচর্যে রাখলে রোগের লক্ষণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।


জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১৯:৪৮:২৩
জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে খাবারের প্লেটে বৈচিত্র্য আনা এবং টেকসই জীবনযাপন (Sustainable Lifestyle) দুটোই সমান জরুরি। এই প্রেক্ষাপটে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’ বা ‘শূন্য অপচয়ের রান্না’ ট্রেন্ড। একসময় যেসব জিনিস কোনো কাজে লাগবে না ভেবে ফেলে দেওয়া হতো—যেমন সবজির খোসা, ডাঁটা বা বীজ—এখন সেগুলোকে ব্যবহার করেই তৈরি হচ্ছে দারুণ সব রেসিপি। এর ফলে শুধু খাবারের অপচয়ই কমানো হচ্ছে না, বরং মিলছে অতিরিক্ত পুষ্টিও।

কেন এই রন্ধন প্রণালী জনপ্রিয়?

জিরো-ওয়েস্ট কুকিং জনপ্রিয় হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো:

অপচয় রোধ: ফুড ওয়েস্ট বা খাবারের অপচয় কমানো সম্ভব হয়।

পুষ্টির ব্যবহার: ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ সবজির ফেলে দেওয়া অংশগুলোও কাজে লাগে।

সৃজনশীলতা: নতুন রেসিপির এক্সপেরিমেন্টে চমক পাওয়া যায়।

পরিবেশবান্ধব ও বাজেট-ফ্রেন্ডলি: এটি পরিবেশের জন্য যেমন ভালো, তেমনি রান্নার খরচও কমায়।

ফেলে দেওয়া খোসা দিয়ে ৫ সুস্বাদু পদসবজির খোসা ফেলে না দিয়ে তা দিয়ে সহজে তৈরি করা যায় এমন ৫টি রেসিপি নিচে তুলে ধরা হলো:

১. আলুর খোসার চিপস: অলিভ অয়েল, লবণ ও মশলা দিয়ে মেখে ওভেনে ক্রিস্পি (Crispy) করে নিলেই তৈরি হয় সুস্বাদু আলুর খোসার চিপস।

২. লাউয়ের খোসার চাটনি: লাউয়ের খোসা সিদ্ধ করে নারকেল, সরিষা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে বেটে তৈরি করা যায় দারুণ এক চাটনি।

৩. গাজরের খোসার পাকোড়া: গাজরের খোসার সঙ্গে বেসন ও মশলা মিশিয়ে গরম তেলে ভেজে নিলে চায়ের সঙ্গে দারুণ পাকোড়া জমে উঠবে।

৪. পটোলের খোসার ভর্তা: সরিষার তেল, কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ম্যাশ করে পটোলের খোসার ভর্তা বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

৫. করলার খোসার ফ্রাই: করলার খোসার সঙ্গে হালকা বেসন মাখিয়ে ভেজে নিলে মেলে ক্রাঞ্চি এবং স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স।

জরুরি টিপস: সবজির খোসা ব্যবহার করার আগে অবশ্যই সেগুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। কীটনাশকমুক্ত সবজি হলে সবচেয়ে ভালো, তাতে শরীরে কোনো ক্ষতি হবে না।

জিরো-ওয়েস্ট কুকিং এখন শুধু একটি ফুড ট্রেন্ড নয়, বরং পরিবেশ সচেতন জীবনযাপনের অংশ। এই রেসিপিগুলো প্রমাণ করে যে, খাবারের কোনো অংশই আসলে অপচয় করার নয়। একটু সৃজনশীলতা থাকলে প্রতিটি টুকরোই হয়ে উঠতে পারে সুস্বাদু পদ।

সূত্র : টিভি৯ বাংলা


ঘুম না হলে ওষুধ নয়, মিলতে পারে সহজ ব্যায়ামে সমাধান

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১৭:১৭:৩৪
ঘুম না হলে ওষুধ নয়, মিলতে পারে সহজ ব্যায়ামে সমাধান
ছবি: সংগৃহীত

যারা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য আশার খবর দিয়েছে বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে ঘুমের মান উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো হতে পারে। গবেষকদের দাবি, অন্য যেকোনো ব্যায়ামের চেয়ে এই ব্যায়ামটাই বেশি কাজে দেয়—বিশেষ করে যদি তা হয় একটু বেশি তীব্রতার।

চীনের হারবিন স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ৩০টি আন্তর্জাতিক গবেষণার ফল বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছেন। এই গবেষণায় ঘুমের সমস্যা থাকা প্রায় আড়াই হাজার মানুষের ওপর বিভিন্ন ধরনের ব্যায়ামের প্রভাব দেখা হয়েছে। গবেষণাটি ‘Sleep and Biological Rhythms’ নামের বৈজ্ঞানিক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

ঘুমের মান উন্নয়নে যা সবচেয়ে কার্যকর

গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে মাত্র দু’বার, ৩০ মিনিটেরও কম সময় ধরে তীব্র যোগব্যায়াম করলে ঘুমের মান সবচেয়ে বেশি উন্নত হয়। এর পরেই আছে হাঁটাহাঁটি, আর তারপর রেজিস্ট্যান্স এক্সারসাইজ (যেমন: পুশ-আপ, স্কোয়াট বা ভারোত্তোলন)। এই ব্যায়ামগুলোর সুফল মাত্র ৮-১০ সপ্তাহেই মিলতে পারে।

আগের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, মাঝারি-তীব্রতার অ্যারোবিক ব্যায়াম (যেমন: দৌড়, সাইক্লিং) সপ্তাহে তিনবার করলে ঘুমে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। যদিও সেই গবেষণাতেও যোগব্যায়ামের প্রভাব অনেকটাই ইতিবাচক ছিল।

যোগব্যায়াম কেন সেরা?

গবেষকরা বলছেন, যোগব্যায়ামের প্রভাব একরকম নয়—এর ধরন ও কৌশলের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। যোগব্যায়াম শুধু শরীরকে সচল রাখে না, বরং শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে এমনভাবে, যা শরীরকে আরাম দিতে ও ঘুমে সাহায্য করতে পারে। এমনকি কিছু গবেষণা বলছে, যোগব্যায়াম আমাদের মস্তিষ্কের তরঙ্গের গতিতে প্রভাব ফেলে, যেটা গভীর ঘুমের জন্য সহায়ক।

তবুও বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, সবার ঘুমের সমস্যা একরকম না এবং সমাধানও সবার জন্য এক নয়। তবে যোগব্যায়াম একটি সম্ভাব্য কার্যকর উপায় হতে পারে—বিশেষ করে যারা ওষুধ ছাড়াই ঘুমের মান বাড়াতে চান, তাদের জন্য।


থাইরয়েডের সঙ্গে হতাশা: মানসিক স্বাস্থ্যের এই গোপন সংযোগটি জানুন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৯:২০:০৪
থাইরয়েডের সঙ্গে হতাশা: মানসিক স্বাস্থ্যের এই গোপন সংযোগটি জানুন
থাইরয়েডের কারণেও মনের ওপর চাপ তৈরি হয়, ভর করে বিষণ্নতা (ছবিটি প্রতীকী)মডেল: মুসকান। ছবি: সুমন ইউসুফ

থাইরয়েড গ্রন্থির কাজের অস্বাভাবিকতা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও গভীর প্রভাব ফেলে। থাইরয়েডের ধরন সাধারণত দুই রকমের হতে পারে—হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম। এই দুটি অবস্থাতেই শুধু শারীরিক নয়, গুরুতর মানসিক পরিবর্তনও দেখা দিতে পারে।

থাইরয়েডের দুই ধরন ও তাদের মানসিক প্রভাব

১. হাইপোথাইরয়েডিজম

এই অবস্থায় থাইরয়েড হরমোন ‘থাইরক্সিন’-এর মাত্রা কমে যায়, কিন্তু টিএসএইচ হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়।

মানসিক লক্ষণ: দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা, অবসাদ, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, মনোযোগের অভাব, অতিরিক্ত ঘুম বা ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।

শারীরিক লক্ষণ: ওজন বেড়ে যাওয়া, কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাংসপেশির ব্যথা, চুল পড়া, ত্বক শুষ্ক হওয়া এবং অনিয়মিত মাসিকের মতো সমস্যাও থাকতে পারে।

২. হাইপারথাইরয়েডিজম

এই ক্ষেত্রে থাইরয়েড হরমোন টি৩ বা টি৪, কিংবা উভয়ের মাত্রা বেড়ে যায়, আর টিএসএইচের মাত্রা কমে যায়।

মানসিক লক্ষণ: অস্থিরতা, ঘুম না হওয়া, সারাক্ষণ উত্তেজিত থাকা, এমনকি মানসিক ভারসাম্যহীনতা বা ম্যানিয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়।

শারীরিক লক্ষণ: বুক ধড়ফড়, ডায়রিয়া, ওজন হ্রাস, চোখ স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হয়ে যাওয়া ও মাসিকের সমস্যা হতে পারে।

উভয় অবস্থাতেই অনেক রোগীর গলায় গলগণ্ড দেখা দিতে পারে।

চিকিৎসা ও সতর্কতা

রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীর ইতিহাস, শারীরিক লক্ষণ, গলার থাইরয়েড ও লিম্ফ নোড পরীক্ষা, ওজন, রক্তচাপ, চোখ, ত্বক, হৃৎস্পন্দন ও রিফ্লেক্স পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনে অটোইমিউন অ্যান্টিবডি পরীক্ষা, আলট্রাসনোগ্রাম, এফএনএসি এবং বিভিন্ন হরমোন পরীক্ষাও করা হয়।

থাইরয়েডের ওষুধ কারও ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে, আবার কারও ক্ষেত্রে সারা জীবন চলতে পারে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার আগে, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে যদি সাবক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরয়েডিজম ধরা পড়ে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ চালিয়ে যেতে হয়।

এ ছাড়া গর্ভকালীন বা প্রসব-পরবর্তী সময়ে অনেক নারীর বিষণ্নতা বা সাইকোসিস দেখা দেয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে থাইরয়েড পরীক্ষা করানো জরুরি। থাইরয়েডের ভারসাম্য বজায় রাখলে শুধু শারীরিক নয়, মানসিক সুস্থতাও ফিরে আসে—তাই মানসিক পরিবর্তনকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।


ত্বককে বিষমুক্ত রাখতে চান? জেনে নিন ৫টি সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৪:৫৯:২৭
ত্বককে বিষমুক্ত রাখতে চান? জেনে নিন ৫টি সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি
ছবি: সংগৃহীত

তীব্র রোদ, ধোঁয়া, ধুলা ও দূষণের কারণে ত্বকে ময়লা জমে, যা ত্বককে দিনকে দিন কালচে করে দেয় এবং বলিরেখা ফেলে। ত্বক ভালো রাখতে নিয়মিত যত্নের পাশাপাশি জীবনযাপনেও পরিবর্তন আনা জরুরি। শোভন’স মেকওভারের কসমেটোলজিস্ট শোভন সাহা জানান, ত্বক ভেতর থেকে বিষমুক্ত করার জন্য ফলমূল, সবজি এবং প্রচুর পানি পান করা উচিত।

ত্বক দূষণমুক্ত রাখার জন্য কিছু সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়:

১. পর্যাপ্ত পানি ও ডিটক্স ওয়াটার: ত্বককে সতেজ ও সুন্দর রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করলে ভেতরের সব বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়ে যায়। রোজ সকালে বিভিন্ন ফল ও সবজি দিয়ে তৈরি ডিটক্স ওয়াটার পান করতে পারেন। আপেল সিডার ভিনেগারও এক্ষেত্রে খুব উপকারী। দিনের শুরুতেই এক গ্লাস ডিটক্স ওয়াটার পান করা যায়।

২. ডাবল ক্লিনজিং (Double Cleansing): ঘর ও বাইরের ময়লা, তেল পরিষ্কার করতে প্রথমে অয়েল বেইজড ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর ক্লিনজিং ক্রিম দিয়ে আবার ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। ডাবল ক্লিনজিং ত্বকের তেল, ময়লা ও দূষণ দূর করবে।

৩. এক্সফোলিয়েট (Exfoliate): মাঝে মাঝে, অর্থাৎ সপ্তাহে এক বা দুই বার, ত্বকে আলতোভাবে এক্সফোলিয়েট করতে হবে। তবে সেনসিটিভ ও ব্রণপ্রবণ ত্বকে এক্সফোলিয়েট করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪. গরম পানির ভাপ: ডাবল ক্লিনজিং ও এক্সফোলিয়েটের পর ত্বকে গরম পানির ভাপ নিন। একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে ১০-১৫ মিনিট ভাপ নিলে লোমকূপের ছিদ্রগুলো পরিষ্কার হবে।

৫. ডিটক্স ফেস প্যাক: ত্বক ডিটক্স করার জন্য ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন:

* বেসনের প্যাক: এক চামচ বেসনের সঙ্গে এক চামচ নিম পাতার গুঁড়ো, গোলাপজল ও দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।

* কফি প্যাক: কোকো পাউডার, কফি, মধু ও দই একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।

খাদ্যাভ্যাস ও পরিবর্তন

শোভন সাহা জানান, ত্বক ভালো রাখতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, টমেটো, বিটা ক্যারোটিনযুক্ত গাজর এবং বিভিন্ন সবজি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। এছাড়া, ফেসওয়াশ বা ফেস ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধোয়া এবং মাঝে মাঝে স্ক্রাবিং করাও জরুরি।


ঘর পরিষ্কারে বেকিং সোডার ম্যাজিক! জেনে নিন ৩টি অসাধারণ ব্যবহার

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৬:৩০:৩৪
ঘর পরিষ্কারে বেকিং সোডার ম্যাজিক! জেনে নিন ৩টি অসাধারণ ব্যবহার
ছবি: সংগৃহীত

বেকিং সোডা বা সোডিয়াম বাইকার্বোনেট কেবল কেক বা ভাজার কাজে নয়, এটি ঘর পরিষ্কারের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত কার্যকর। এই সস্তা অথচ বহুমুখী উপাদানটি প্রতিদিনের ব্যবহারে সহজেই ঘরের নানা দাগছোপ দূর করতে পারে। চলুন, জেনে নিই বেকিং সোডার ৩টি চমৎকার ব্যবহার:

১. দেওয়ালের দাগ সহজে পরিষ্কার

দেওয়ালে দাগ বা ছোপ পড়লে অনেক সময় সাবান দিয়ে ঘষলে দেওয়ালের রং বা টেক্সচার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এর বদলে বেকিং সোডা ব্যবহার করা নিরাপদ ও কার্যকর।

যেভাবে ব্যবহার করবেন: এক চা চামচ বেকিং সোডা অর্ধেক কাপ পানিতে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। দাগের ওপর মিশ্রণটি লাগিয়ে একটি নরম কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘষে মুছে ফেলুন। এটি ক্ষারীয় সাবানের মতো দেওয়ালের ক্ষতি করে না।

২. টাইলস বা মার্বেলের দাগ তুলতে

ঘরের মেঝে টাইলস বা মার্বেল হলে সেখানে দাগ, আঁচড় বা কালচে ছোপ পড়ে যাওয়া সাধারণ বিষয়। সাবান বা ফিনাইল দিয়েও অনেক সময় সেগুলো তোলা কঠিন হয়। তবে বেকিং সোডা এই সমস্যায় ভালো কাজ করে।

যেভাবে ব্যবহার করবেন: যেখানে দাগ আছে, সেখানে কিছুটা বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। এরপর একটি ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে ঘষুন। দাগ সহজেই দূর হবে।

৩. কাচের বাসনের হলদে ছোপ দূর করতে

পুরোনো কাচের গ্লাস, জার বা পাত্রে অনেক সময় হলদে দাগ বা আঁচড় পড়ে যায়। নিয়মিত পরিষ্কারের পরেও এই ছোপগুলো পুরোপুরি যায় না। বেকিং সোডা ব্যবহার করে সহজেই সেগুলো ঝকঝকে করে তোলা যায়।

যেভাবে ব্যবহার করবেন: কাচের পাত্রে সরাসরি বেকিং সোডা ছড়িয়ে ঘষে নিন অথবা বেকিং সোডা ও পানি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে দাগের ওপর লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

সূত্র : আনন্দবাজার


বন্ধ নাক খুলতে নেজাল ড্রপ নয়, কাজে লাগান এই ৭ ঘরোয়া উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৫:৫৪:২১
বন্ধ নাক খুলতে নেজাল ড্রপ নয়, কাজে লাগান এই ৭ ঘরোয়া উপায়
ছবি: সংগৃহীত

ধুলাবালিতে অ্যালার্জি বা ঋতু পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডা-সর্দি লাগা একটি সাধারণ সমস্যা। ঠান্ডা-সর্দি বা অ্যালার্জির কারণে নাক বন্ধ হয়ে গেলেই অনেকে নেজাল ড্রপ ব্যবহার করেন। যদিও এতে তাৎক্ষণিক স্বস্তি মেলে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় এটি ব্যবহার করলে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই হঠাৎ নাক বন্ধ হয়ে গেলে ঘরোয়া সমাধান অনুসরণ করলে সহজেই আরাম পাওয়া যায়।

বন্ধ নাক খুলতে যা যা করতে পারেন

১. বাষ্প গ্রহণ (Steam Inhalation): বাষ্প গ্রহণ শ্লেষ্মা আলগা করতে সাহায্য করে। এটি নাকের ভেতরের ফোলাভাব কমিয়ে তাৎক্ষণিক স্বস্তি দেয়। ভালো ফল পেতে একটি তোয়ালের নিচে গভীরভাবে শ্বাস নিন।

২. কপালে গরম সেঁক দিন: কপাল বা নাকের আশেপাশে গরম সেঁক দিলে বন্ধ নাক থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এই প্রক্রিয়া রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে নাকের পথ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

৩. এসেনশিয়াল তেল ব্যবহার: ইউক্যালিপটাস বা পিপারমিন্ট এসেনশিয়াল তেলে মেন্থলের মতো যৌগ থাকে, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ খুলে দেয়। এই প্রয়োজনীয় তেলগুলো একটি বাহক তেলের (carrier oil) সঙ্গে মিশিয়ে নাকের কাছে বা বুকে লাগালে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায়।

৪. গরম মধু-লেবুর পানি: মধু এবং লেবুর পানি শরীরকে আর্দ্র রাখে, গলার জ্বালা বন্ধ করে এবং শ্লেষ্মা তরল করতে সাহায্য করে। মধুতে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য এবং লেবুর ভিটামিন সি একসঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নাক বন্ধ থেকে মুক্তি দেয়।

৫. হলুদ দুধ: হলুদে থাকা কারকুমিন একটি শক্তিশালী প্রদাহরোধী উপাদান। গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করলে শরীরের প্রদাহ কমে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ হয়। এই মিশ্রণ নাকের বন্ধভাব দূর করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৬. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: কমলালেবু, কিউই, স্ট্রবেরি এবং অন্যান্য ফল বন্ধ নাক সৃষ্টিকারী সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই ধরনের খাবার গ্রহণ করলে ঠান্ডা ও নাকের বন্ধভাব কমবে।

৭. আদা চা: আদায় থাকা অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। উষ্ণ আদা চা পানে গলার খুশখুশে ভাব কমে। একইসঙ্গে নাকের ফোলাভাব কমায় এবং দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।


শীতের আগে থেকেই যে ৫টি অভ্যাস পরিবর্তন করা জরুরি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৪:৪৭:৪২
শীতের আগে থেকেই যে ৫টি অভ্যাস পরিবর্তন করা জরুরি
ছবি: সংগৃহীত

সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমে শীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। তাই জীবনযাপনে এই পরিবর্তনগুলো আনা জরুরি:

১. পর্যাপ্ত পানি পান: শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকেই পানি কম পান করেন, যা ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা তৈরি করতে পারে। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পানি পান করার বিকল্প নেই।

২. সকালের খাবার মিস করবেন না: সুস্থ থাকতে সকালে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ব্রেকফাস্ট না করলে শরীরে এনার্জি কমে যায়, রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে এবং গ্যাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

৩. মেপে খান কফি: অতিরিক্ত কফি পান করলে ডিহাইড্রেশন, অ্যাংজাইটি, বদহজম এবং ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরের তাপমাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। তাই কফি পানে লাগাম টানুন।

৪. জাঙ্ক ও প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন: ফাস্টফুড ও প্যাকেটজাত খাবার সব ঋতুতেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। এসব খাবারে বেশি ক্যালরি, সুগার ও ফ্যাট থাকে, যা ওজন বাড়ায়। রান্না এড়াতেও এসব প্রসেসড ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৫. অ্যালকোহল পরিহার: শীতকালে বিভিন্ন উৎসব-আয়োজন বেড়ে যায়। এসময় অ্যালকোহল শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়, যা শীতে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সুস্থ থাকতে অ্যালকোহল গ্রহণের অভ্যাস এড়িয়ে চলুন।

পাঠকের মতামত: