৫০ বছরের সম্পর্ক: সৌদি আরবে সাধারণ কর্মী নিয়োগে ঐতিহাসিক চুক্তি সই

বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সাধারণ কর্মী নিয়োগসংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) রিয়াদে এই ঐতিহাসিক চুক্তি সই হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং সৌদি আরবের পক্ষে মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আহমেদ বিন সোলাইমান আল-রাজী চুক্তিতে সই করেন।
৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথম
রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, সৌদি আরব-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের দীর্ঘ ৫০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম সাধারণ কর্মী নিয়োগসংক্রান্ত কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হলো। ১৯৭৬ সাল থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে কর্মী নিয়োগ শুরু হলেও, সাধারণ কর্মী নিয়োগসংক্রান্ত কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি ছিল না। ২০১৫ সালে গৃহকর্মী নিয়োগ এবং ২০২২ সালে দক্ষতা যাচাই সংক্রান্ত দুটি বিশেষ চুক্তি সই হয়েছিল।
নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় দক্ষ কর্মী নিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং কর্মী ও নিয়োগকর্তার অধিকার ও স্বার্থ অধিকতর সুরক্ষিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এটি ভ্রাতৃপ্রতিম উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও শর্ত
চুক্তি সইয়ের আগে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সৌদিতে কর্মীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নিয়োগ চুক্তি যেন সঠিক হয়, ইকামা (কাজের অনুমতিপত্র) নবায়নের দায়িত্ব যেন নিয়োগকর্তা পালন করেন এবং দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক কর্মীরা যেন স্বল্পতম সময়ে প্রস্থান ভিসা পান।
সৌদি মন্ত্রী বিষয়গুলো দ্রুত সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন এবং বাংলাদেশকেও নিরাপদ ও সুষ্ঠু অভিবাসন নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ এবং প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
এ সময় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেনসহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনী আয়োজনে নতুন পদক্ষেপ, ভোটারদের বিশেষ অধিকার ফিরিয়ে দিচ্ছে ইসি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দায়িত্ব পালন করা প্রায় ১০ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর ভোটাধিকার নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, এই পদক্ষেপ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনবে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে শুভেচ্ছা বক্তব্যে সিইসি এই তথ্য জানান। সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বচ্ছতা ও চ্যালেঞ্জ
সিইসি জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদে ২১ লাখ মৃত ভোটার চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের অনেকেই আগে ভোট দিয়ে যেত।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “নির্বাচন কমিশন জাতির কাছে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি গণমাধ্যমকে এআই-এর অপব্যবহার রোধে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান এবং বলেন:
“প্রবাসী, নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করেন, সেসব সরকারি চাকরিজীবীদের ভোটের ব্যবস্থা আমরা করবো। প্রায় ১০ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে ভোটের আওতায় নিয়ে আসা হবে এবার। সবাইকে সাথে নিয়ে স্বচ্ছভাবে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করতে চাই। আয়নার মতো স্বচ্ছ করে এই নির্বাচন করতে চাই।”
সংলাপ ও কর্মপরিকল্পনা
নির্বাচন কমিশন দুই দফায় গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসছে। আজ সকালে টিভি মিডিয়া এবং দুপুর আড়াইটায় পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে সংস্থাটির আলোচনা করার কথা রয়েছে। দু'দফায় প্রায় ৫০ জন গণমাধ্যম প্রতিনিধির সংলাপে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
আগামীকাল ৭ অক্টোবর নারী নেত্রী ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার কথা রয়েছে। এরপর জুলাই যোদ্ধা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও বসবে ইসি। সিইসি আগেই বলেছেন, সংলাপে উঠে আসা মতামত তার কমিশন বাস্তবায়ন করবে।
আঞ্চলিক সহযোগিতায় নতুন দিগন্তে বাংলাদেশ–মালদ্বীপ সম্পর্ক
বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ বিদ্যমান ঘনিষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী ও বহুমাত্রিক সহযোগিতার পরিসর বিস্তারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। মালদ্বীপে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মো. নজমুল ইসলাম ৫ অক্টোবর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জুর কাছে তাঁর পরিচয়পত্র (লেটার অব ক্রেডেন্স) পেশ করেন।
স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের রিপাবলিক স্কয়ারে পৌঁছালে মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সের (MNDF) একটি চৌকস দল হাইকমিশনারকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। তাঁকে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্টের চিফ ও ডেপুটি চিফ অব প্রোটোকল। আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনারের পর তাঁর সম্মানে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য মালদ্বীপীয় ঐতিহ্যবাহী বোদু বেরু সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী।
পরে ড. নজমুল ইসলাম প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে যান এবং অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এরপর প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের গাজি হলে এক অনাড়ম্বর অথচ মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর পরিচয়পত্র আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করেন। এ সময় মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিচয়পত্র গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু ও হাইকমিশনার ড. নজমুল ইসলামের মধ্যে প্রায় ১৫ মিনিটের এক সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন, উচ্চশিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতায় অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেন। তিনি দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ও বোঝাপড়া আরও গভীর করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, “বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সবসময়ই চমৎকার। আমি আশাবাদী, ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।”
এর জবাবে হাইকমিশনার ড. নজমুল ইসলাম মালদ্বীপে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিককে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার জন্য মালদ্বীপ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশি শ্রমিকরা দুই দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। এই বন্ধন মানবিক ও অর্থনৈতিক— দুই ক্ষেত্রেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।”
দুই পক্ষই বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা সম্প্রসারণে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে। আলোচনায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মালদ্বীপের বন্দর হয়ে বাংলাদেশের পণ্য ট্রান্সশিপমেন্ট বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টিও বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো, কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা মালদ্বীপে কাজে লাগানোর সুযোগ এবং প্রতিরক্ষা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করার বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়।
হাইকমিশনার ড. নজমুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের উষ্ণ শুভেচ্ছা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের কাছে পৌঁছে দেন এবং সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এই সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থা, সহযোগিতা ও আঞ্চলিক বন্ধুত্বের ভিত্তিতে ক্রমেই শক্তিশালী হয়েছে।
নবনিযুক্ত হাইকমিশনার ড. মো. নজমুল ইসলাম একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিজ্ঞানী, সংসদীয় কূটনীতিক ও শিক্ষাবিদ। তিনি এক দশকেরও বেশি সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করেছেন। মালদ্বীপে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (OIC), তুরস্কের জাতীয় সংসদ (TBMM), যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউট (FSI) এবং আঙ্কারার ইয়িলদিরিম বেয়াজিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তত্ত্ব ও কৌশলগত অধ্যয়নে তাঁর বিশেষজ্ঞতা, পাশাপাশি ‘নন-ওয়েস্টার্ন ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস অ্যান্ড সফট পাওয়ার স্ট্র্যাটেজিস’ বিষয়ে তাঁর গবেষণাকর্ম বাংলাদেশ–মালদ্বীপ সম্পর্ককে আরও কৌশলগত ও গতিশীল রূপ দিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
-আলমগীর হোসেন
তারেক রহমানের ঘোষণা: “জনগণের নির্বাচনে আমি থাকব জনগণের মধ্যেই”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচনের সময় তিনি জনগণের সঙ্গে থাকবেন। লন্ডন থেকে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “রাজনীতি মানেই জনগণের সঙ্গে থাকা। আমি যেহেতু রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাই জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচনের সময় জনগণের মধ্যেই থাকব— ইনশাআল্লাহ।” সোমবার সকালে প্রচারিত এই ভিডিও সাক্ষাৎকারে তারেক রহমানের বক্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের পর দীর্ঘ এক বছর পার হলেও কেন তিনি এখনো দেশে ফিরেননি— এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, “কিছু বাস্তব কারণের জন্য হয়তো আমার ফেরা এখনো সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি সময় এসেছে। ইনশাআল্লাহ, আমি খুব শিগগিরই দেশে ফিরব।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “রাজনীতি ও নির্বাচন একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। আমি নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী মনে করি। তাই দেশের জনগণের প্রতীক্ষিত নির্বাচনের সময় আমি জনগণের কাছ থেকে দূরে থাকতে পারি না। চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে— যেন সেই নির্বাচনে আমি জনগণের সঙ্গে, জনগণের মাঝেই থাকতে পারি।”
সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমে তার নীরবতা সম্পর্কেও কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি জানান, “পূর্ববর্তী স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আদালতের এক আদেশে আমার গণমাধ্যমে কথা বলার অধিকার কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। আমি কিছু বলতে চাইলেও অনেক সময় সংবাদমাধ্যম সেটি প্রকাশ করতে পারেনি।”
তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, “একবার আমি জাতীয় প্রেসক্লাবে বক্তব্য দিয়েছিলাম। পরদিন প্রেসক্লাবের তৎকালীন কমিটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় যে আমি যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় পলাতক বিবেচিত, তাই এমন ব্যক্তিকে প্রেসক্লাবে বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি দেওয়া ঠিক হবে না। এইভাবে আমাকে চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।”
তবে তারেক রহমান জানান, এসব বাধা সত্ত্বেও তিনি জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের পথ খুঁজে নিয়েছিলেন। “আমি নীরব ছিলাম না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে কথা বলেছি। ইনশাআল্লাহ, আমি জনগণের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি,” বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকারের শেষাংশে তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, “আমি বলেছি, বলছি এবং ভবিষ্যতেও বলব— যখনই জনগণের ভোটের সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ আসবে, বিএনপি সেই লড়াইয়ে থাকবে, আর আমি থাকব জনগণের সঙ্গে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তারেক রহমান শুধু নিজের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিতই দেননি, বরং আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের কৌশল নিয়েও নতুন আগ্রহ সৃষ্টি করেছেন।
-নাজমুল হাসান
ডেঙ্গু পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করল, একদিনের চিত্রে উদ্বেগ
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১২ জনে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে এক হাজার ৪২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ফলে এ বছর মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৯০৭ জনে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভাগভিত্তিক রোগীর সংখ্যা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৯৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৪ জন এবং ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২০১ জন রয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ভর্তি হয়েছেন ১৯৮ জন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২১ জন। এছাড়া খুলনা বিভাগে ৭২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮২ জন, রংপুর বিভাগে ২৩ জন ও সিলেট বিভাগে ৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: নতুন বেতন কাঠামোয় বেতন বাড়ছে দ্বিগুণ
সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের জন্য এক দশক পর জাতীয় বেতন কমিশন গঠিত হয়েছে। কমিশন ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে এবং আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন স্কেলের সুপারিশ করার কথা রয়েছে।
দ্বিগুণ হতে পারে মূল বেতন
কমিশনের সদস্যরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে নতুন স্কেলে মূল বেতন দ্বিগুণ হতে পারে। এর ফলে:
সর্বোচ্চ বেতন: প্রথম গ্রেডের সর্বোচ্চ বেতন হতে পারে ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
সর্বনিম্ন বেতন: ২০তম গ্রেডের সর্বনিম্ন বেতন হতে পারে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা।
বিসিএস কর্মকর্তা: নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত বিসিএস কর্মকর্তাদের বেতন শুরু হবে ৪৪ হাজার টাকা থেকে, যা বর্তমানে ২২ হাজার টাকা।
কমিশনের এক সদস্য জানান, ১০ বছর পর কমিশন গঠিত হয়েছে, এই সময়কালে মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়েছে। তাই নতুন সুপারিশ প্রণয়নে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নেওয়া হবে, যাতে কর্মীরা সন্তুষ্ট হন।
গ্রেড পুনর্বিন্যাস ও কার্যকর সময়
বর্তমানে প্রথম থেকে ২০তম গ্রেড ভেঙে পুনর্বিন্যাস করার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত সামঞ্জস্য করতে গ্রেড সংখ্যা কমানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বর্তমানে এই অনুপাত ১২:১ বা ১০:১ রাখার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, নতুন পে স্কেল ২০২৬ সালের শুরু (জানুয়ারি/মার্চ/এপ্রিল) থেকেই কার্যকর হতে পারে। এর জন্য চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে। তিনি বলেন, “সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই গেজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।”
কমিশন বর্তমানে সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বেতন কাঠামো সম্পর্কে উন্মুক্ত মতামত গ্রহণ করছে। সিদ্ধান্ত নিতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটানের বেতন কাঠামোও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
সূত্র: ডেইলি ক্যাম্পাস
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: ‘ফ্যাসিবাদী চক্রের সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হয়েছে’
সদ্য শেষ হওয়া দুর্গাপূজা ঘিরে ফ্যাসিবাদী চক্রের সহায়তায় দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পূজা ও খাগড়াছড়ির ঘটনা
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে কিছু গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা জনগণের সহযোগিতা ও গোয়েন্দা তৎপরতায় সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছি।”
তিনি উল্লেখ করেন, কয়েকটি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পূজা উদযাপন কমিটির সহযোগিতায় এই চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে।
খাগড়াছড়িতে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ তুলে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার আরেকটি চেষ্টা হয়েছিল। তবে তিনি নিশ্চিত করেন, মেডিকেল পরীক্ষার প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, খাগড়াছড়িতে জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য না হলে বিকল্প প্রস্তাব দেবে কমিশন
জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো এক জায়গায় না আসলে, একাধিক প্রস্তাব সরকারকে দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রোববার (৫ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আয়োজিত সংলাপে চতুর্থ দিনে এ কথা বলেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
দ্রুত ঐক্যের তাগিদ
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে ছয়টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমরা বলেছিলাম, এই ছয়টি প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে যদি এটাকে একটি জায়গায় আনা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “উপস্থিত ৩০টি রাজনৈতিক দল যদি একটি প্রস্তাব দেয়, তাহলে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সানন্দে সেই প্রস্তাব উপস্থাপন করতে পারবো।” তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন এবং সনদকে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি রাজনৈতিক দলিলে পরিণত করার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন।
আলী রীয়াজ জানান, বিশেষজ্ঞদের কাছে তাদের আগের আলোচনার বিষয়গুলো জানানো হয়েছে এবং তারা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। কমিশন চাইছে, ১৫ অক্টোবরের আগেই এই প্রক্রিয়া শেষ করতে।
দায়িত্ব ও অঙ্গীকার
আলী রীয়াজ রাজনৈতিক দলগুলোকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, তাদের কর্মীদের জেল-জুলুম, অত্যাচার, নিপীড়ন সহ্য করা এবং নাগরিকদের প্রাণ দেওয়ার বিনিময়েই এই দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। তিনি বলেন:
“কেবলমাত্র সনদ স্বাক্ষর করাই সে দায়ের শেষ নয়। আমাদের সকলে মিলে এই প্রচেষ্টা এই রাষ্ট্রের সংস্কার, কাঠামোগত সংস্কারের জায়গাটা তৈরি করতে হবে।”
তিনি বলেন, দলগুলোর উচিত দলগত বিবেচনার বাইরে গিয়ে সম্মিলিতভাবে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপন করা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যদি আজ ৩০টি রাজনৈতিক দল এক জায়গায় আসে, তাহলে কমিশন আর বিশেষজ্ঞদের সাথে বসবে না।
কমিশনের সহসভাপতি বলেন, “দেশের চেয়ে সবচেয়ে বড় হচ্ছে নাগরিকদের অধিকারের প্রশ্ন। যারা প্রাণ দিয়েছেন, তারা আমাদের কাছে প্রত্যাশা করছেন।”
বৈঠকে কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
ইলিশ আহরণ বন্ধে ৯ জেলায় মোতায়েন নৌবাহিনীর ১৭ যুদ্ধজাহাজ
ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুম সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ অভিযানে নেমেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। সরকারের দেওয়া ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে দেশের ৯টি জেলার নদীতে ১৭টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে সংস্থাটি। এই সময়ে কেউ মা ইলিশ আহরণ, পরিবহন বা বিপণনে জড়িত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ও নৌবাহিনীর অবস্থান
ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী সারা দেশে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ পালিত হচ্ছে। এই সময়ে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। পাশাপাশি সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় সকল প্রকার মৎস্য আহরণও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, সরকারের এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজসমূহ সমুদ্র, উপকূলীয় এলাকা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে অভিযান পরিচালনা করছে। গভীর সমুদ্রে দেশি-বিদেশি সব প্রকার মৎস্য শিকারিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এবং অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফটের (MPA) মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারী করা হচ্ছে।
নৌবাহিনীর ১৭টি যুদ্ধজাহাজ ৯টি জেলায় নিয়োজিত রয়েছে। এদের মধ্যে:
চাঁদপুর এলাকায়: বানৌজা ধানসিঁড়ি, শহীদ ফরিদ ও বিএনডিবি গাংচিল।
কক্সবাজার এলাকায়: বানৌজা অতন্দ্র, শহীদ মহিবুল্লাহ, দুর্জয়, সাগর ও শহীদ দৌলত।
খুলনা এলাকায়: বানৌজা মেঘনা, চিত্রা ও তিতাস।
বাগেরহাট এলাকায়: বানৌজা করতোয়া, আবু বকর ও দুর্গম।
পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায়: বানৌজা সালাম ও কুশিয়ারা।
বরিশাল এলাকায়: বানৌজা পদ্মা, চিত্রা ও তিতাস।
পটুয়াখালী এলাকায়: এলসিভিপি-০১৩ বিশেষভাবে টহল প্রদান করছে।
নৌবাহিনী স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, ও মৎস্য কর্তৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে এই অভিযান সফল করবে। অভিযানকালে অবৈধ ইলিশ আহরণে নিয়োজিতদের ওপর কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে হত্যার হুমকি
বিদেশি নম্বর থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইনুল ইসলামকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জাজিরা থানার ওসি মাইনুল ইসলাম একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
ওসি অভিযোগ করেছেন, হুমকিদাতা হলেন রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে ঢাকা মহানগর উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিথুন ঢালী।
জিডি ও মামলার পটভূমি
জিডি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে মিথুন ঢালী জাজিরায় গোপন বৈঠক করেন। পরদিন তারা গোপনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন ও মিছিল করেন।
পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান চালালে মিথুন কুণ্ডেরচর এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান নেন। সেখানে পুলিশ পুনরায় অভিযান চালালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করেন এবং মিথুন কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গত ২ অক্টোবর জাজিরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে, যেখানে মিথুন ঢালীকে দুই নম্বর আসামি করা হয়।
মিথুন ঢালী ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার দুপুরে একটি বিদেশি নম্বর থেকে ফোন করে জাজিরা থানার ওসি এবং প্রধান উপদেষ্টাকে হত্যার হুমকি দেন। এই ঘটনায় জাজিরা থানায় জিডি করা হয়েছে (জিডি নং- ৯৫)।
পুলিশের অবস্থান
ওসি মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম বলেন, “মিথুন ঢালী কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে জাজিরা থানা এলাকায় গোপন বৈঠক করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এরপর গতকাল দুপুরে একটি বিদেশি নম্বর থেকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।”
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত মিথুন ঢালীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
পাঠকের মতামত:
- ৫০ বছরের সম্পর্ক: সৌদি আরবে সাধারণ কর্মী নিয়োগে ঐতিহাসিক চুক্তি সই
- বিসিবি নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণা, পরিচালক পদে জয়ী যারা
- মেয়ে ও স্ত্রী রাজনীতিতে আসা নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন তারেক রহমান?
- ঘুম থেকে উঠেই শরীর ব্যথা? হতে পারে ৫টি গুরুতর কারণ
- মানুষ হলে কোন ধর্ম বেছে নিত চ্যাটজিপিটি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্তরে বিশ্বে তোলপাড়!
- ঘুম না হলে ওষুধ নয়, মিলতে পারে সহজ ব্যায়ামে সমাধান
- এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি: ‘শাপলা প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে বিকল্প নেই’
- ভোট দিয়েছেন তামিম? ফল ঘোষণার আগে নিজের অবস্থান জানালেন
- এ সপ্তাহেই অনেক ঘটনা ঘটবে: গুম মামলা নিয়ে চিফ প্রসিকিউটরের ইঙ্গিত
- চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
- আদালতে দণ্ড থেকে রাষ্ট্রপ্রধান: তিন রাষ্ট্রের সাক্ষী ড. ইউনূসের অবিশ্বাস্য জীবনগাঁথা
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ২ বছর: মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহ চিত্র
- আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন
- হংকং ম্যাচের আগে দেশে পৌঁছে যা বললেন হামজা
- নির্বাচনী আয়োজনে নতুন পদক্ষেপ, ভোটারদের বিশেষ অধিকার ফিরিয়ে দিচ্ছে ইসি
- আওয়ামী লীগের বিচার: ‘এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় বিচারক আমি মনে করি জনগণ’
- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রত্যাশা কী, জানালেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
- চ্যাম্পিয়নের দুর্দিন: সেভিয়ার মাঠে ৪–১ গোলে হার বার্সেলোনার
- যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র চুক্তি: এক বছরের জন্য নবায়নের প্রস্তাবে ট্রাম্পের সম্মতি
- “যুদ্ধ চলতে পারে না আলোচনার সময়”— যুক্তরাষ্ট্রের সতর্ক বার্তা ইসরায়েলকে
- আঞ্চলিক সহযোগিতায় নতুন দিগন্তে বাংলাদেশ–মালদ্বীপ সম্পর্ক
- বিসিবি নির্বাচন আজ: নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহে নিরবচ্ছিন্ন পদযাত্রা আমিনুল-বাহিনীর
- তারেক রহমানের ঘোষণা: “জনগণের নির্বাচনে আমি থাকব জনগণের মধ্যেই”
- নতুন পে স্কেলে বেতন কত বাড়তে পারে, জানাল কমিশন
- ৬ অক্টোবর, ২০২৫ (সোমবার) ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগের নামাজের সময়সূচি
- ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত
- আধুনিক বিজ্ঞান ও কোরআনের আলোকে জিন: রহস্যময় অস্তিত্বের এক নতুন দিগন্ত!
- ‘শাপলা’ প্রতীক না দেওয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সারজিস আলমের হুঁশিয়ারি
- প্রবাসী আয়ে বড় চমক: সেপ্টেম্বরের রেমিট্যান্স নিয়ে এল সুখবর
- ঐকমত্য থাকলেও সংকট: বিএনপি-জামায়াতের দ্বন্দ্ব সনদ বাস্তবায়নে বাধা?
- সূর্যও যেখানে বামন: মহাবিশ্বের দানব নক্ষত্রদের সামনে আমাদের অস্তিত্ব কতটুকু?
- থাইরয়েডের সঙ্গে হতাশা: মানসিক স্বাস্থ্যের এই গোপন সংযোগটি জানুন
- মুক্তা থেকে রিয়েল এস্টেট: যেভাবে ৫০ বছরে মরুভূমিকে সম্পদে পরিণত করলো দুবাই
- সংসদ নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট হতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
- ডেঙ্গু পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করল, একদিনের চিত্রে উদ্বেগ
- সভ্যতার সঙ্গমস্থল আফগানিস্তান: ইতিহাস, সংগ্রাম ও পুনর্জাগরণের এক দীর্ঘ যাত্রা
- রবার্ট ওপেনহাইমার: যে বিজ্ঞানীর হাতে তৈরি হয়েছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বোমা!
- ব্রণ চেপে ফাটানো: হতে পারে যে ভয়াবহ রোগ, সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা
- ‘পশুর মতো আচরণ’: ইসরায়েলে গ্রেটা থুনবার্গসহ কর্মীদের ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ
- আগামী ২৪ ঘণ্টায় ৩ বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টির শঙ্কা
- মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে উত্তাল তেল আবিব: জিম্মি মুক্তির দাবিতে হাজারো ইসরায়েলি, পাশে ট্রাম্প
- কোরআন অবমাননা: নর্থ সাউথ থেকে শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
- আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য, আজ রাতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
- বিটকয়েন ইতিহাসে: মূল্য বাড়ার নতুন রেকর্ড গড়ল ক্রিপ্টোকারেন্সি
- সপ্তাহের প্রথম দিনে বাজারে প্রাণ ফিরছে ডিএসইতে
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বার্লিন সম্মেলন ১৮৮৪–৮৫: আফ্রিকা বিভাজনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও উত্তরাধিকার
- রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- যে সাগরে কেউ ডুবে না, কেন সেখানে লুকিয়ে আছে এক অভিশপ্ত ইতিহাস?
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- টিসিবির তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৫ পণ্য