আওয়ামী লীগের বিচার: ‘এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় বিচারক আমি মনে করি জনগণ’

জনগণ সমর্থন না করলে কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক সংগঠন টিকে থাকার কোনো কারণ দেখেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যেহেতু জনগণের শক্তিতে আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের সিদ্ধান্তের ওপরে আমরা আস্থা রাখতে চাই। এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় বিচারক আমি মনে করি জনগণ।”
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের বিচার ও জনগণের রায়
তারেক রহমান বলেন, যে আওয়ামী লীগ মানুষ হত্যা করে, মানুষের অর্থসম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে—জনগণ তাদের সমর্থন করতে পারে বলে তিনি মনে করেন না।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান কী, এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান তার পরিবারের সংগ্রামের উদাহরণ টেনে বলেন, এই ধরনের অন্যায়, হত্যা এবং নির্যাতনের জন্য যারা দায়ী, যারা এসবের হুকুম দিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিচার হতে হবে।
তিনি বলেন:
“এটি প্রতিশোধের কোনো বিষয় নয়। এটি ন্যায়ের কথা। এটি আইনের কথা। অন্যায় হলে তার বিচার হতে হয়। কার সম্পর্কে কী মনোভাব সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়।”
দল হিসেবে বিচার
আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না—এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির অবস্থান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, “দল হিসেবে তারা যদি অন্যায় করে থাকে, তাহলে দেশের আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। দেশের আইন সিদ্ধান্ত নেবে।”
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “সোজা কথায় অন্যায়কারীর বিচার হতে হবে। তো সেটি ব্যক্তি হোক, সেটি দলই হোক। যারা জুলুম করেছে তাদের তো বিচার হতে হবে। সেটি ব্যক্তিও হতে পারে। সেটি দলও হতে পারে।”
তারেক রহমানের ঘোষণা: “জনগণের নির্বাচনে আমি থাকব জনগণের মধ্যেই”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচনের সময় তিনি জনগণের সঙ্গে থাকবেন। লন্ডন থেকে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “রাজনীতি মানেই জনগণের সঙ্গে থাকা। আমি যেহেতু রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাই জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচনের সময় জনগণের মধ্যেই থাকব— ইনশাআল্লাহ।” সোমবার সকালে প্রচারিত এই ভিডিও সাক্ষাৎকারে তারেক রহমানের বক্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের পর দীর্ঘ এক বছর পার হলেও কেন তিনি এখনো দেশে ফিরেননি— এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, “কিছু বাস্তব কারণের জন্য হয়তো আমার ফেরা এখনো সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি সময় এসেছে। ইনশাআল্লাহ, আমি খুব শিগগিরই দেশে ফিরব।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “রাজনীতি ও নির্বাচন একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। আমি নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী মনে করি। তাই দেশের জনগণের প্রতীক্ষিত নির্বাচনের সময় আমি জনগণের কাছ থেকে দূরে থাকতে পারি না। চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে— যেন সেই নির্বাচনে আমি জনগণের সঙ্গে, জনগণের মাঝেই থাকতে পারি।”
সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমে তার নীরবতা সম্পর্কেও কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি জানান, “পূর্ববর্তী স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আদালতের এক আদেশে আমার গণমাধ্যমে কথা বলার অধিকার কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। আমি কিছু বলতে চাইলেও অনেক সময় সংবাদমাধ্যম সেটি প্রকাশ করতে পারেনি।”
তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, “একবার আমি জাতীয় প্রেসক্লাবে বক্তব্য দিয়েছিলাম। পরদিন প্রেসক্লাবের তৎকালীন কমিটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় যে আমি যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় পলাতক বিবেচিত, তাই এমন ব্যক্তিকে প্রেসক্লাবে বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি দেওয়া ঠিক হবে না। এইভাবে আমাকে চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।”
তবে তারেক রহমান জানান, এসব বাধা সত্ত্বেও তিনি জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের পথ খুঁজে নিয়েছিলেন। “আমি নীরব ছিলাম না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে কথা বলেছি। ইনশাআল্লাহ, আমি জনগণের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি,” বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকারের শেষাংশে তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, “আমি বলেছি, বলছি এবং ভবিষ্যতেও বলব— যখনই জনগণের ভোটের সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ আসবে, বিএনপি সেই লড়াইয়ে থাকবে, আর আমি থাকব জনগণের সঙ্গে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তারেক রহমান শুধু নিজের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিতই দেননি, বরং আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের কৌশল নিয়েও নতুন আগ্রহ সৃষ্টি করেছেন।
-নাজমুল হাসান
‘শাপলা’ প্রতীক না দেওয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সারজিস আলমের হুঁশিয়ারি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম মন্তব্য করেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ক্ষমতা ও স্বেচ্ছাচারিতা করছে এবং কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমন আচরণ করছে। তিনি বলেন, “এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। এ জন্য যদি আমাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হয়, আমরা তা করব। আগামীর নির্বাচনে শাপলা নিয়েই আমরা নির্বাচন করব।”
রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেলে পঞ্চগড়ের শের-ই-বাংলা পার্কে মসজিদ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি’র প্রতীক নিয়ে সমালোচনা
সারজিস আলম নির্বাচন কমিশনের প্রতীকের তালিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “যে ধরনের মার্কা মানুষের হাসির খোরাক জোগায়, সেগুলো নির্বাচন কমিশনের মার্কার তালিকায় কিভাবে থাকে? এটা তো তাদেরও রুচিবোধের প্রকাশ। একটা নির্বাচন কমিশনের মার্কায় মুলা, বেগুন, খাট, থালাবাটি থাকতে পারে না।”
তিনি জানান, আইনগত কোনো বাধা না থাকায় তারা শাপলা ছাড়া অন্য কিছু ভাবছেন না। তিনি বলেন, “আমরা সব শেষ তাদের সাদা শাপলা, লাল শাপলার অপশন দিয়েছিলাম। যদি একান্তই শাপলার সঙ্গে কিছু অ্যাড করতে হয়, তাহলেও আমাদের দ্বিমত থাকবে না।”
ভারতের ‘অ-প্রতিবেশীসুলভ’ আচরণ
ভারতকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতো আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, “ভারত মহানন্দা নদীর উজানে তাদের স্লুইস গেটের ৯টি ভোরবেলায় হঠাৎ করে খুলে দেওয়ায় বাংলাবান্ধায় একটি গ্রাম ঝুঁকিতে পড়েছে। নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন:
“তারা মন চাইলে নদীতে স্লুইস গেট দিল, মন চাইলে আটকে রাখল আর মন চাইলে ছেড়ে দিল। এমন কাজ করলে বাংলাদেশে অ্যান্টি ইন্ডিয়ান সেন্টিমেন্ট দিন দিন আরও প্রকট হবে। সব দিন কিন্তু ভারতের দিন নয়। দিন বাংলাদেশেরও আসবে এবং অন্য দেশগুলোরও আসবে।”
সারজিস আলম আরও বলেন, যতদিন ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে না দিচ্ছে, ততদিন তারা বাংলাদেশের জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহানুভূতি কখনোই পাবে না।
এনসিপির বরাদ্দ ও কর্মসূচি
সারজিস আলম জানান, জেলার পাঁচ উপজেলার ১২০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য এনসিপির মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার বরাদ্দ আনা হয়েছে। পরে গণঅভ্যুত্থানসহ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত ও আহতদের জন্য মোনাজাত করা হয়।
ঐকমত্য থাকলেও সংকট: বিএনপি-জামায়াতের দ্বন্দ্ব সনদ বাস্তবায়নে বাধা?
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে গণভোট আয়োজনের ব্যাপারে দেশের সব রাজনৈতিক দলই একমত হয়েছে। তবে কখন এই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শেষে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এই তথ্য জানান।
গণভোটের সময় নিয়ে বিতর্ক
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত। তবে বিএনপি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চাইছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই আলাদা ব্যালটে এই গণভোট হোক। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী চায় নির্বাচনের আগেই গণভোট অনুষ্ঠিত হোক।
এই মতপার্থক্য সত্ত্বেও ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি দলগুলোর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দলগত অবস্থান থেকে সরে এসে অনেক রাজনৈতিক দল ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হয়েছে।
অধ্যাদেশ ও চূড়ান্ত রায়
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “সংসদ নির্বাচনের দিনই আলাদা ব্যালটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।” তিনি জানান, একটি অধ্যাদেশ জারি করে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) গণভোট আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, “জনরায় হচ্ছে চূড়ান্ত, এটি ইম্পোজ করা নয়।”
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “আমরা মনে করি, জাতীয় নির্বাচনে কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না করে নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরে গণভোট হতে পারে। গণভোট হয়ে গেলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই।”
এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদ এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ অন্যান্য দলের নেতারাও গণভোটের বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।
কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপ
অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, কমিশন সনদ বাস্তবায়নে সরকারের কাছে এক বা একাধিক সুপারিশ আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে দেবে। তার আগে আগামী ৮ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে যে আইনসভা গঠিত হবে এবং সে আইনসভা জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে যেসব সংস্কার করবে, তা যেন টেকসই হয়, সে ব্যাপারেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে। তিনি বলেন, “কেবলমাত্র সনদ স্বাক্ষর করাই দায়ের শেষ নয়। আমাদের সকলে মিলে এই রাষ্ট্রের সংস্কার, কাঠামোগত সংস্কারের জায়গাটা তৈরি করতে হবে।”
সংসদ নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট হতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
সংসদ নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। রোববার (৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন।
গণভোট হবে চূড়ান্ত রায়
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটে কোনো বাধা নেই। সনদে কী থাকবে তা জনগণের কাছে উন্মুক্ত থাকবে। এই জন রায় হবে চূড়ান্ত। আগামী সংসদ গণভোটের রায় মানতে বাধ্য থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে তারা আছেন এবং মোটামুটি একমত হয়েছেন। এ সময় তিনি ইঙ্গিত দেন, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে।
বিএনপির নতুন অবস্থান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য জানান, তারা আগে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের আওতায় বিচার বিভাগের পরামর্শ নেওয়ার দাবি করেছিলেন, কিন্তু এখন সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। তিনি বলেন, “আমরা এখন জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ নামে অধ্যাদেশ জারি এবং তারপরে গণভোটের পক্ষে।”
তিনি আরও জানান, সনদে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (ভিন্নমত) থাকা বিষয়গুলো দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে।
ভবিষ্যতে তাদের গলায় গামছা দেব: দেশে ফিরেই নুরের হুঁশিয়ারি
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেই সরকারের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেও তিনি এমন বর্বরোচিত হামলার শিকার হননি। তিনি বলেন, ‘আমার ওপর হামলার বিচার না হলে, আমরা যদি বেঁচে থাকি, ভবিষ্যতে তাদের গলায়ও গামছা দেব।’
শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিচার না হলে নির্বাচন নিয়ে সংশয়
নুরুল হক নুর বলেন, “আমরা সরকারকে সহযোগিতা করছি, তবে সরকার দ্বারা সুবিধাভোগী নই। আমরা কোনো ভাগবাটোয়ারার অংশীদারও নই।” তিনি সতর্ক করে বলেন, দেশে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে এবং নির্বাচন নিয়ে বিভাজন দেখা দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বহুল আকাঙ্ক্ষিত নির্বাচন না হলে দেশ আবার সংকটে পড়বে।
তিনি বলেন, “একটি দলের প্রধানকে এভাবে আক্রমণ করলে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে হবে? সমঝোতার নির্বাচনে যাদের ইশারা দিবে, তারাই নির্বিঘ্নে আওয়ামী লীগের ‘আমি-ডামি’ নির্বাচনের মতো প্রচার প্রচারণা চালাবে।”
সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে তিনি তার ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
‘টার্গেট অপারেশন’ এবং অন্যদের প্রতি বার্তা
নুরুল হক নুর অভিযোগ করেন, তার ওপর হামলাটি ছিল একটি টার্গেট অপারেশন। এর উদ্দেশ্য ছিল অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বার্তা দেওয়া। তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট আমলে শেখ হাসিনার গদিকে চ্যালেঞ্জ করে আমরা আন্দোলন করেছিলাম, ওই সময়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা এরকম বর্বরোচিত হামলার শিকার আমরা হইনি।”
তিনি অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং গণঅভ্যুত্থানকারী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান:
“আপনারা যদি পরবর্তী সিরিয়ালে পড়তে না চান, এই ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তি জড়িত থাকুক, তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে, চাকরিচ্যুত করতে হবে।”
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, প্রায় ৩৫ দিন পার হয়ে গেলেও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিতে গাফিলতি দেখা যাচ্ছে।
চিকিৎসা ও প্রেক্ষাপট
গত ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে নুরুল হক নুর গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে শারীরিক জটিলতা থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২২ সেপ্টেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কুমিরকে সর্দির ভয় দেখাবেন না: বাঞ্ছারামপুরে পীর সাহেব চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, “কুমিরকে সর্দির ভয় দেখাবেন না। কুমির পানিতেই থাকে। আমাদের আবার পানিতে নামাবেন কী?” তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালে দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে তারা নানা ভয়ভীতি, হুংকার আর হামলায় অভ্যস্ত।
শনিবার (৪ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মওলাগঞ্জ বাজার মাঠে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি সামসুল হক সুমনের সভাপতিত্বে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
‘চোরের দিক থেকে চ্যাম্পিয়ন’
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, স্বাধীনতার পর যারা দেশ শাসন করেছে, তারা বারবার দেশকে ‘চোরের দিক থেকে চ্যাম্পিয়ন’ করেছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘বেগমপাড়া’ তৈরি করেছে। দেশকে গুম ও খুনের রাজ্যে পরিণত করে বিশ্বের মাঝে একটি লজ্জাজনক অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছিল। তিনি বলেন, এসব অনাচারের মূল কারণ হলো আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানবরচিত কুফরি আইন বাস্তবায়ন করা।
এ সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে হাফেজ কাজী মোহাম্মদ আলীর হাতে হাতপাখা প্রতীক তুলে দিয়ে তাকে আগামী নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।
আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডেই পিআরের বাতাস বইছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, দেশে যদি নির্বাচন বিলম্বিত হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হলে পতিত ফ্যাসিবাদ সুযোগ পাবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। নির্বাচন বানচাল হলে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান ঘটবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (এনডিপি) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পিআর পদ্ধতি নিয়ে কঠোর সমালোচনা
সালাহউদ্দিন আহমদ সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “পিআর মানে ‘পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস’ (স্থায়ী অস্থিরতা)।”
তিনি বলেন:
অস্থিরতা: পিআর ব্যবস্থায় স্থিতিশীল সরকার থাকে না, বরং কয়েক মাস পরপর প্রধানমন্ত্রী ও সরকার পরিবর্তিত হয়। এতে কোনো দল জনগণের কাছে দেওয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে পারে না, উন্নয়নও ব্যাহত হয়।
দেশের জন্য ক্ষতিকর: বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রকে এমন অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া সম্ভব নয়।
আওয়ামী লীগের ইন্ধন: তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডেই দেশে পিআরের বাতাস বইছে। যারা পিআর নিয়ে সরব, তাদের অনেকেই আবার আওয়ামী লীগের সহায়তায় ‘আমি-ডামি’ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।
সালাহউদ্দিন আহমদ প্রশ্ন রাখেন, পিআর ব্যবস্থায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোনো সাংবিধানিক অধিকার থাকবে কি না। তিনি বলেন, যেখানে সর্বশেষ জরিপে ৫৬ শতাংশ মানুষই পিআর বোঝে না, সেখানে ৭০ শতাংশ মানুষ পিআর সমর্থন করে—এমন দাবি বিভ্রান্তিকর।
সংবিধান ও গণতান্ত্রিক গুরুত্ব
বিএনপির এই নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচালের চেষ্টা মানেই অগণতান্ত্রিক শক্তিকে সুযোগ করে দেওয়া।
সংবিধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংবিধান ছেলে খেলা নয়। ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না।” তিনি বলেন, নতুন সংবিধান প্রণয়ন করলেই তা স্থায়ী হয়ে যাবে—এমন ধারণা ভুল। তিনি জোর দেন যে, তর্ক-বিতর্ক ও ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু জাতীয় ইস্যুতে ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে, যাতে জনগণ ও দেশ বিজয়ী হয়।
অনুষ্ঠানে এনডিপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ্ আল হারুন (সোহেল), সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদসহ এনডিপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পিআর আন্দোলনের দলগুলোর ২৪ সালের ভূমিকা কী ছিল?: সালাহউদ্দিন আহমদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি নিয়ে যারা আন্দোলন করছে, তারাই মূলত নির্বাচন বিলম্ব ও বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, জামায়াত যাদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করছে ও বক্তব্য দিচ্ছে, ‘২৪ এর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাদের ভূমিকা কী ছিল’—তা প্রকাশ করা উচিত।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এনডিপি’র ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পিআর আন্দোলন ও বিভ্রান্তির অভিযোগ
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, পিআরসহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াত ও অন্যান্য দলের কার্যক্রম গণতান্ত্রিক চর্চা। তবে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, তারা কাদের ইশতেহার গ্রহণ করবে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা মন্তব্য করেন, রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পিআর নিয়ে যারা আন্দোলন করছে, তারাই নির্বাচন বিলম্ব ও বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “জনগণকে বিভ্রান্ত করতে কোনো আন্দোলন করা সঠিক হবে না।”
গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা
সালাহউদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যে গাজা অভিমুখে যাওয়া আন্তর্জাতিক নৌবহরে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি জাতিসংঘকে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে আহ্বান জানান।
গাজা যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় রাজি হামাস, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ
প্রায় দুই বছর ধরে চলমান গাজা যুদ্ধের অবসান ও ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তুতি ঘোষণা করেছে হামাস। শুক্রবার সংস্থাটি জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অবিলম্বে আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত।
হোয়াইট হাউস সোমবার এ প্রস্তাব প্রকাশ করে। ২০ দফার এ শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণার সময় ট্রাম্পের পাশে ছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, যিনি প্রস্তাবের প্রতি ‘সতর্ক সমর্থন’ ব্যক্ত করেন।
গাজা সংকট সমাধানে ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা
১. সন্ত্রাসমুক্ত গাজা: গাজাকে সন্ত্রাসমুক্ত ও প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য হুমকিমুক্ত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
২. গাজার পুনর্গঠন: দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে গাজার উন্নয়ন ও পুনর্গঠন করা হবে।
৩. যুদ্ধবিরতি: উভয় পক্ষ প্রস্তাবে রাজি হলে যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হবে। ইসরায়েল সেনা নির্দিষ্ট সীমারেখায় সরে যাবে, সব সামরিক অভিযান (বিমান ও আর্টিলারি হামলা সহ) বন্ধ থাকবে।
৪. জিম্মি মুক্তি: ইসরায়েল প্রকাশ্যে চুক্তি গ্রহণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মি (জীবিত ও মৃত) ফেরত দেওয়া হবে।
৫. বন্দি বিনিময়: জিম্মি মুক্তির পর ইসরায়েল ২৫০ জন আজীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ১,৭০০ আটক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে, যার মধ্যে নারী-শিশুও থাকবে। মৃত ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ১৫ ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দেওয়া হবে।
৬. আমনেস্টি: জিম্মি মুক্তির পর যারা অস্ত্র ত্যাগ করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান মেনে নেবে, সেই হামাস সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা দেওয়া হবে। যারা গাজা ছেড়ে যেতে চাইবে, তাদের নিরাপদ পথে পাঠানো হবে।
৭. মানবিক সহায়তা: চুক্তি স্বাক্ষরের পরই ব্যাপক মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশ করবে—বিদ্যুৎ, পানি, সড়ক, হাসপাতাল, বেকারি পুনর্গঠন ও ধ্বংসস্তুপ অপসারণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
৮. সহায়তা বিতরণ: জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে গাজায় সহায়তা প্রবাহিত হবে। রাফাহ সীমান্ত একই প্রক্রিয়ায় উভয়দিকে খোলা থাকবে।
৯. অস্থায়ী শাসনব্যবস্থা: গাজা পরিচালনা করবে প্রযুক্তিবিদ ও অরাজনৈতিক ফিলিস্তিনি কমিটি, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সহায়তায়। তদারকির দায়িত্ব থাকবে নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা “বোর্ড অব পিস”–এর হাতে, যার নেতৃত্ব দেবেন ট্রাম্প। টনি ব্লেয়ারসহ অন্যান্য বিশ্বনেতারা যুক্ত হবেন।
১০. অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা: মধ্যপ্রাচ্যের সফল শহরগুলোর মডেল ধরে গাজার পুনর্গঠন ও বিনিয়োগ আকর্ষণে নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
১১. বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: গাজায় একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে শুল্ক ও বাণিজ্য সুবিধা থাকবে।
১২. গাজা ত্যাগে স্বাধীনতা: কেউ চাইলে গাজা ছেড়ে যেতে পারবে এবং চাইলে পুনরায় ফিরে আসতে পারবে। তবে মানুষকে গাজায় থেকে পুনর্গঠনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হবে।
১৩. হামাসের শাসনে নিষেধাজ্ঞা: হামাস ও অন্যান্য দল গাজার শাসনে কোনোভাবেই অংশ নেবে না। সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করে অস্ত্র জব্দ করা হবে, আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকরণ হবে।
১৪. আঞ্চলিক গ্যারান্টি: আঞ্চলিক সহযোগীরা নিশ্চয়তা দেবে যে হামাস চুক্তি মানছে এবং গাজা প্রতিবেশীদের জন্য হুমকি নয়।
১৫. আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (ISF): যুক্তরাষ্ট্র, আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক অংশীদাররা গাজায় একটি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করবে। এ বাহিনী ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেবে এবং ইসরায়েল-মিসরের সঙ্গে সীমান্ত নিরাপত্তায় কাজ করবে।
১৬. ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার: গাজা দখল বা সংযুক্ত করবে না ইসরায়েল। আইডিএফ ধাপে ধাপে এলাকা ছেড়ে দেবে, যতক্ষণ না গাজা নিরাপদ ও নিরস্ত্র হয়।
১৭. প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে: হামাস দেরি করলে বা প্রত্যাখ্যান করলে সন্ত্রাসমুক্ত এলাকায় উন্নয়ন ও সহায়তা কার্যক্রম চলবে।
১৮. ধর্মীয় সংলাপ: ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে সহনশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান জোরদার করতে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ চালানো হবে।
১৯. ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সংস্কার প্রোগ্রাম সফলভাবে শেষ করলে স্বশাসন ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি হবে।
২০. দীর্ঘমেয়াদি শান্তি: যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংলাপ চালিয়ে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ সহাবস্থানের রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি করবে।
-আলমগীর হোসেন
পাঠকের মতামত:
- আওয়ামী লীগের বিচার: ‘এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় বিচারক আমি মনে করি জনগণ’
- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রত্যাশা কী, জানালেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
- চ্যাম্পিয়নের দুর্দিন: সেভিয়ার মাঠে ৪–১ গোলে হার বার্সেলোনার
- যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র চুক্তি: এক বছরের জন্য নবায়নের প্রস্তাবে ট্রাম্পের সম্মতি
- “যুদ্ধ চলতে পারে না আলোচনার সময়”— যুক্তরাষ্ট্রের সতর্ক বার্তা ইসরায়েলকে
- আঞ্চলিক সহযোগিতায় নতুন দিগন্তে বাংলাদেশ–মালদ্বীপ সম্পর্ক
- বিসিবি নির্বাচন আজ: নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহে নিরবচ্ছিন্ন পদযাত্রা আমিনুল-বাহিনীর
- তারেক রহমানের ঘোষণা: “জনগণের নির্বাচনে আমি থাকব জনগণের মধ্যেই”
- নতুন পে স্কেলে বেতন কত বাড়তে পারে, জানাল কমিশন
- ৬ অক্টোবর, ২০২৫ (সোমবার) ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগের নামাজের সময়সূচি
- ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত
- আধুনিক বিজ্ঞান ও কোরআনের আলোকে জিন: রহস্যময় অস্তিত্বের এক নতুন দিগন্ত!
- ‘শাপলা’ প্রতীক না দেওয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সারজিস আলমের হুঁশিয়ারি
- প্রবাসী আয়ে বড় চমক: সেপ্টেম্বরের রেমিট্যান্স নিয়ে এল সুখবর
- ঐকমত্য থাকলেও সংকট: বিএনপি-জামায়াতের দ্বন্দ্ব সনদ বাস্তবায়নে বাধা?
- সূর্যও যেখানে বামন: মহাবিশ্বের দানব নক্ষত্রদের সামনে আমাদের অস্তিত্ব কতটুকু?
- থাইরয়েডের সঙ্গে হতাশা: মানসিক স্বাস্থ্যের এই গোপন সংযোগটি জানুন
- মুক্তা থেকে রিয়েল এস্টেট: যেভাবে ৫০ বছরে মরুভূমিকে সম্পদে পরিণত করলো দুবাই
- সংসদ নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট হতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
- ডেঙ্গু পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করল, একদিনের চিত্রে উদ্বেগ
- সভ্যতার সঙ্গমস্থল আফগানিস্তান: ইতিহাস, সংগ্রাম ও পুনর্জাগরণের এক দীর্ঘ যাত্রা
- রবার্ট ওপেনহাইমার: যে বিজ্ঞানীর হাতে তৈরি হয়েছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বোমা!
- ব্রণ চেপে ফাটানো: হতে পারে যে ভয়াবহ রোগ, সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা
- ‘পশুর মতো আচরণ’: ইসরায়েলে গ্রেটা থুনবার্গসহ কর্মীদের ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ
- আগামী ২৪ ঘণ্টায় ৩ বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টির শঙ্কা
- মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে উত্তাল তেল আবিব: জিম্মি মুক্তির দাবিতে হাজারো ইসরায়েলি, পাশে ট্রাম্প
- কোরআন অবমাননা: নর্থ সাউথ থেকে শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
- আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য, আজ রাতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
- বিটকয়েন ইতিহাসে: মূল্য বাড়ার নতুন রেকর্ড গড়ল ক্রিপ্টোকারেন্সি
- সপ্তাহের প্রথম দিনে বাজারে প্রাণ ফিরছে ডিএসইতে
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ‘জীবন্ত’ কম্পিউটার তৈরির পথে বিজ্ঞানীরা, ডেটা সেন্টারে আসছে নতুন বিপ্লব
- ত্বককে বিষমুক্ত রাখতে চান? জেনে নিন ৫টি সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি
- একটানা চিয়া সিড খাচ্ছেন?অতিরিক্ত খেলে যে ৪টি স্বাস্থ্যঝুঁকি ডেকে আনতে পারে
- লিওনার্দো দা ভিঞ্চি – এক কিংবদন্তি যিনি ৫০০ বছর আগেই ভবিষ্যতের পথ এঁকে রেখেছিলেন!
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: নতুন বেতন কাঠামোয় বেতন বাড়ছে দ্বিগুণ
- ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা তুঙ্গে: পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর তীব্র হুমকি
- কোথায় আটকানো হবে, বলা কঠিন—শহিদুল আলম
- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: ‘ফ্যাসিবাদী চক্রের সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হয়েছে’
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য না হলে বিকল্প প্রস্তাব দেবে কমিশন
- ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আগামীকালের ইবাদতের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
- ভবিষ্যতে তাদের গলায় গামছা দেব: দেশে ফিরেই নুরের হুঁশিয়ারি
- ওসামা বিন লাদেন: সৌদি ধনকুবেরের ছেলে যেভাবে হয়ে উঠলো আমেরিকার আতঙ্ক!
- ব্যাংকিং খাতে দক্ষ এমডি পাওয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ: গভর্নর আহসান এইচ মনসুর
- ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এখন শিশু-কিশোরদেরও ঝুঁকি, নীরব ঘাতক থেকে বাঁচার উপায়
- ট্রফি বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা মহসিন নকভি পাচ্ছেন পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা
- কুমিরকে সর্দির ভয় দেখাবেন না: বাঞ্ছারামপুরে পীর সাহেব চরমোনাই
- ইলিশ আহরণ বন্ধে ৯ জেলায় মোতায়েন নৌবাহিনীর ১৭ যুদ্ধজাহাজ
- প্রেমিকা নাকি ষড়যন্ত্র? আদনানের 'অন্ধকার জগৎ' নিয়ে স্ত্রীর পোস্টের পর নাটকীয় ইউ-টার্ন!
- বার্লিন সম্মেলন ১৮৮৪–৮৫: আফ্রিকা বিভাজনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও উত্তরাধিকার
- রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বলিউডের শক্তিশালী কণ্ঠস্বর: নারী অধিকার ও পরিবেশ রক্ষায় সোচ্চার তারকারা
- যে সাগরে কেউ ডুবে না, কেন সেখানে লুকিয়ে আছে এক অভিশপ্ত ইতিহাস?
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়