ইলিশ আহরণ বন্ধে ৯ জেলায় মোতায়েন নৌবাহিনীর ১৭ যুদ্ধজাহাজ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ২১:০৬:৫৬
ইলিশ আহরণ বন্ধে ৯ জেলায় মোতায়েন নৌবাহিনীর ১৭ যুদ্ধজাহাজ
ছবি: সংগৃহীত

ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুম সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ অভিযানে নেমেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। সরকারের দেওয়া ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে দেশের ৯টি জেলার নদীতে ১৭টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে সংস্থাটি। এই সময়ে কেউ মা ইলিশ আহরণ, পরিবহন বা বিপণনে জড়িত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ও নৌবাহিনীর অবস্থান

ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী সারা দেশে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ পালিত হচ্ছে। এই সময়ে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। পাশাপাশি সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় সকল প্রকার মৎস্য আহরণও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, সরকারের এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজসমূহ সমুদ্র, উপকূলীয় এলাকা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে অভিযান পরিচালনা করছে। গভীর সমুদ্রে দেশি-বিদেশি সব প্রকার মৎস্য শিকারিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এবং অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফটের (MPA) মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারী করা হচ্ছে।

নৌবাহিনীর ১৭টি যুদ্ধজাহাজ ৯টি জেলায় নিয়োজিত রয়েছে। এদের মধ্যে:

চাঁদপুর এলাকায়: বানৌজা ধানসিঁড়ি, শহীদ ফরিদ ও বিএনডিবি গাংচিল।

কক্সবাজার এলাকায়: বানৌজা অতন্দ্র, শহীদ মহিবুল্লাহ, দুর্জয়, সাগর ও শহীদ দৌলত।

খুলনা এলাকায়: বানৌজা মেঘনা, চিত্রা ও তিতাস।

বাগেরহাট এলাকায়: বানৌজা করতোয়া, আবু বকর ও দুর্গম।

পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায়: বানৌজা সালাম ও কুশিয়ারা।

বরিশাল এলাকায়: বানৌজা পদ্মা, চিত্রা ও তিতাস।

পটুয়াখালী এলাকায়: এলসিভিপি-০১৩ বিশেষভাবে টহল প্রদান করছে।

নৌবাহিনী স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, ও মৎস্য কর্তৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে এই অভিযান সফল করবে। অভিযানকালে অবৈধ ইলিশ আহরণে নিয়োজিতদের ওপর কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হবে।


প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে হত্যার হুমকি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৮:৪৮:৩৪
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে হত্যার হুমকি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

বিদেশি নম্বর থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইনুল ইসলামকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জাজিরা থানার ওসি মাইনুল ইসলাম একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

ওসি অভিযোগ করেছেন, হুমকিদাতা হলেন রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে ঢাকা মহানগর উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিথুন ঢালী।

জিডি ও মামলার পটভূমি

জিডি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে মিথুন ঢালী জাজিরায় গোপন বৈঠক করেন। পরদিন তারা গোপনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন ও মিছিল করেন।

পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান চালালে মিথুন কুণ্ডেরচর এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান নেন। সেখানে পুলিশ পুনরায় অভিযান চালালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করেন এবং মিথুন কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গত ২ অক্টোবর জাজিরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে, যেখানে মিথুন ঢালীকে দুই নম্বর আসামি করা হয়।

মিথুন ঢালী ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার দুপুরে একটি বিদেশি নম্বর থেকে ফোন করে জাজিরা থানার ওসি এবং প্রধান উপদেষ্টাকে হত্যার হুমকি দেন। এই ঘটনায় জাজিরা থানায় জিডি করা হয়েছে (জিডি নং- ৯৫)।

পুলিশের অবস্থান

ওসি মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম বলেন, “মিথুন ঢালী কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে জাজিরা থানা এলাকায় গোপন বৈঠক করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এরপর গতকাল দুপুরে একটি বিদেশি নম্বর থেকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।”

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত মিথুন ঢালীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।


মোস্তফা সরয়ার ফারুকী: ‘আমি মুক্তি পাব এই কঠিন দায়িত্ব থেকে’

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৮:৪২:৪৮
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী: ‘আমি মুক্তি পাব এই কঠিন দায়িত্ব থেকে’
ছবি: সংগৃহীত

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী মন্তব্য করেছেন, “আমরা অল্প দিনের সরকার। সব কিছু বদলানো সম্ভব নয়।” দেশের শিল্পী-সাহিত্যিকদের জীবদ্দশায় যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না—এমন অভিযোগের জবাবে শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই কৈফিয়ত তুলে ধরেন।

আহমদ রফিক ও কিংবদন্তিদের উদযাপন

আহমদ রফিকের মৃত্যু প্রসঙ্গে ওঠা সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে ফারুকী তার অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, এই প্রশ্ন তিনিও সবসময়ই করতেন। আহমদ রফিকের জীবিত থাকতেই তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল।

তিনি জানান, তার মন্ত্রণালয়ের একটি বড় পরিকল্পনা হলো—বাংলাদেশের কিংবদন্তিদের জীবন ও কাজ উদযাপন করা। এই উদ্যোগ শুরু হবে স্থানীয় পর্যায়ে এবং ধীরে ধীরে তা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও যাবে। শিল্পকলা একাডেমি এ জন্য একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করছে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নিশ্চিত করেন, এই উদযাপন শিল্প-সংস্কৃতির সব শাখার মায়েস্ত্রোদের জন্যই প্রযোজ্য হবে। এই তালিকায় বদরুদ্দীন উমর, সেলিম আল দীন, রক লেজেন্ড জেমস, তারেক মাসুদ এবং আহমদ রফিক-সহ অনেকেই আছেন।

অর্থনৈতিক সহায়তা ও প্রচার প্রসঙ্গে

অসুস্থ শিল্পীদের অর্থনৈতিক সহায়তা প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, “শিল্পী-সাহিত্যিকদের সাহায্য করে ফটো তুলে প্রচার করাটা আমাদের কাছে অসম্মানজনক মনে হয়েছে বিধায় আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর যাদের যাদের পাশে দাঁড়িয়েছি, সেগুলো কোনোটা প্রচার করিনি।” তিনি শুধু এইটুকু নিশ্চিত করেন যে, “সরকার তার দায়িত্ব সর্বোচ্চ পালন করেছে। ফেব্রুয়ারিতেও করেছে, এখনো করেছে।”

তিনি বলেন, আহমদ রফিকের অসুস্থতার কারণে তারা চেয়েও জীবদ্দশায় তার জন্য কোনো বড় আয়োজন করতে পারেননি।

ভবিষ্যৎ উদ্যোগ ও দায়িত্ব থেকে মুক্তি

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, “আমরা অল্প দিনের সরকার। সব কিছু বদলানো সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা করছি যতটুকু সম্ভব ভূমিকা রাখতে।” তিনি জানান, ‘কালচারাল ইনক্লুসিভনেস’ এবং ‘জুলাই ন্যারেটিভ’ নিয়ে তারা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে কাজ করেছেন। সামনে শিল্পকলা একাডেমিতে গান এবং নাচের স্কুলের ব্যাপারে কিছু বড় উদ্যোগ আসতে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “আমরা শুরু করে দিয়ে যাচ্ছি। পরবর্তী সরকার এসে এটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর আমিও মুক্তি পাব এই কঠিন দায়িত্ব থেকে। আমার নিজের ছবি না বানানোর চেয়ে বড় যন্ত্রণা আর কিছু নেই।”


চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে ড. ইউনূসের বার্তা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৭:৩৭:০৫
চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে ড. ইউনূসের বার্তা
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকীতে অভিনন্দন বার্তা বিনিময় করেছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৪ অক্টোবর) এই ঐতিহাসিক বার্ষিকীতে তারা এই বার্তা বিনিময় করেন।

অভিনন্দন বার্তায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন:

“দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর ধরে দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে বিকশিত হয়েছে এবং সহযোগিতায় ফলপ্রসূ সাফল্য এসেছে—যা উদযাপনের যোগ্য।”

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে সামগ্রিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে নতুন সাফল্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অন্যদিকে, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বলেন, চীন বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। তিনি বলেন, ৫০তম বার্ষিকীকে একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে চীন উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ কার্যক্রম এবং চীন-বাংলাদেশ সামগ্রিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের ধারাবাহিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে প্রস্তুত রয়েছে।


ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে একযোগে এগিয়ে যাচ্ছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৬:০৫:৫৬
ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে একযোগে এগিয়ে যাচ্ছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা
ছবি: সংগৃহীত

গাজার দিকে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব নৌযান এখন একসঙ্গে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, কনশানস নৌযানের গতি বেশি হওয়ায় এটি সামনে থাকা বহরের অন্য আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে। এখন কনশানসের গতি কমিয়ে ফেলা হয়েছে এবং সব নৌযান একযোগে গাজা অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্বনেতাদের নিষ্ক্রিয়তা ও জনগণের শক্তি

শহিদুল আলম তার ফেসবুক পোস্টে এই আন্তর্জাতিক উদ্যোগকে ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস’ (Thousand Madelines) হিসেবে উল্লেখ করে বলেন:

“জাতিগত নিধন ঠেকাতে বিশ্বনেতাদের পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়তা এবং কপট ভূমিকার কারণে বিশ্বের জনগণ নিজেরাই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাজারো জাহাজের ধারণাটি প্রতীকী। তবে নিঃসন্দেহে এভাবে একত্রিত হওয়া সমুদ্রযানের সবচেয়ে বড় বহর এটি।”

তিনি যে নৌযানটিতে অবস্থান করছেন, সেই ‘কনশানস’-কে বহরের সবচেয়ে বড় নৌযান বলে উল্লেখ করেন। এটি সবার শেষে (৩০ সেপ্টেম্বর) ইতালি থেকে রওনা হয়েছিল। কনশানসের আগে ওই আটটি নৌযান রওনা করেছিল। এছাড়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের আরও দুটি নৌকাও আগে ছিল, তবে সেগুলোর অবস্থান এখনো নিশ্চিত নয়।

অবরোধ ভাঙার দৃঢ় সংকল্প

গাজার অবরোধ ভেঙে দেওয়ার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করে শহিদুল আলম লিখেছেন:

“আমরা কনশানসের মানুষেরা অবরোধ ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা যদি আমাদের আটকায়, তখন অন্যরা এগিয়ে আসবে। দমন–পীড়নকারী কখনোই জনগণের শক্তির বিরুদ্ধে টিকতে পারেনি। ইসরায়েলও ব্যর্থ হবে। মুক্ত হবে ফিলিস্তিন।”


পলিথিন নয়, সচিবালয়ে ঢুকতে হলে এবার লাগবে কাপড়ের ব্যাগ!

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৪:১৬:৫৪
পলিথিন নয়, সচিবালয়ে ঢুকতে হলে এবার লাগবে কাপড়ের ব্যাগ!
ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সরকার এবার সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বা সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক (SUP) নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী রোববার (৫ অক্টোবর) থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। সচিবালয়ে প্রবেশের সময় প্লাস্টিকজাত কোনো সামগ্রী বহনে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে এবং বিকল্প হিসেবে কাগজ বা কাপড়ের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে।

নিয়ম ভঙ্গ করলে কী হবে?

সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, সচিবালয়ের সব প্রবেশপথে কড়া চেকিং চালানো হবে। ভেতরে পলিথিন বা নিষিদ্ধ প্লাস্টিক পাওয়া গেলে তা জব্দ করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কাগজের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে। বিষয়টি তদারকির জন্য একটি মনিটরিং টিম কাজ করছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সব মন্ত্রণালয়কে এসইউপি ব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে। এ অনুযায়ী—

সভা-সেমিনারে আর বোতল, কাপ, প্লেট, চামচের মতো একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে না।

তার পরিবর্তে পাটজাত, কাপড় বা পুনঃব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

সরকারি ক্রয় নীতিতেও প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এসইউপি ব্যবহার বন্ধে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সচেতনতা তৈরির জন্য প্রবেশপথসহ সচিবালয়ের বিভিন্ন স্থানে বোর্ড টাঙানো হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ৫ অক্টোবর থেকে সচিবালয়কে এসইউপি মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।


“গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সারা বিশ্বের সমর্থন”—মির্জা ফখরুল

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১০:৫৮:১২
“গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সারা বিশ্বের সমর্থন”—মির্জা ফখরুল
ছবিঃ বি এস এস

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচনকে ঘিরে যে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে, তা আজ সারা বিশ্বের সমর্থন পাচ্ছে। তিনি দাবি করেন, বিশেষত গণতান্ত্রিক বিশ্বের পূর্ণ সমর্থন এ প্রক্রিয়ার পাশে রয়েছে।

শুক্রবার গভীর রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফখরুল বলেন, “আমাদের একটাই বার্তা—গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেব।”

বিএনপির এই অভিজ্ঞ নেতা গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে যান। প্রধান উপদেষ্টা ২ অক্টোবর দেশে ফিরলেও ফখরুল এক দিন পর দেশে ফেরেন, কারণ তিনি সেখানে দলের একটি কর্মসূচিতে অংশ নেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর, জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।

সফর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিয়েছি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছি। আমি মনে করি আমাদের সফর সফল হয়েছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “এটি প্রথমবারের মতো সরকার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রদর্শন করেছে। সে দিক থেকে সফরটি নিঃসন্দেহে সফল হয়েছে। বাংলাদেশের বার্তা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছেছে।”

এছাড়াও বিএনপি মহাসচিব মনে করেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আনুষ্ঠানিক অধিবেশন ছাড়াও নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সাইড মিটিং বাংলাদেশের জন্য যেমন ফলপ্রসূ হয়েছে, তেমনি গণতন্ত্রের জন্যও তা ছিল ইতিবাচক।

বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবতরণের পর হয়রানির ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “আমরা এসবকে বড় কিছু মনে করি না। এটাই আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি—এ ধরনের ঘটনা সৃষ্টি করা।”

-নাজমুল হাসান


“বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১০:৫২:০৭
“বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান
ছবিঃ বি এস এস

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মী ও খ্যাতিমান আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের সাহসী উদ্যোগকে গভীরভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে চলমান গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা অভিযানে অংশ নিয়ে শহিদুল আলম শুধু মানবিক সহমর্মিতার বার্তাই দেননি, বরং তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ন্যায় ও মানবতার পক্ষে এক দৃপ্ত অবস্থান বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছেন।

শনিবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান লিখেছেন— “গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমের সাহসী পদক্ষেপ কেবল সংহতির প্রকাশ নয়, এটি বিবেকের গর্জন। বাংলাদেশের পতাকা বহন করে তিনি বিশ্বকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই জাতি কখনো অন্যায় ও নিপীড়নের কাছে মাথা নত করে না। বিএনপি তাঁর সঙ্গে এবং ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে আছে—আজও, ভবিষ্যতেও।”

তারেক রহমানের এই মন্তব্য আসে ঠিক কয়েক ঘণ্টা পর, যখন শহিদুল আলম যাত্রা করা নৌযানটি আটকানো হয়। এর মাধ্যমে বিএনপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব আবারও ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করল।

উল্লেখ্য, শহিদুল আলম প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (FFC) মিডিয়া ফ্লোটিলাতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য—গাজার তথ্য অবরোধ ভাঙা এবং আন্তর্জাতিক মহলে ফিলিস্তিনের মানবিক সঙ্কটকে নতুন করে তুলে ধরা। বহু আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও কর্মী এই অভিযানে যুক্ত হলেও একজন বাংলাদেশির সক্রিয় অংশগ্রহণ এ উদ্যোগকে আরও ঐতিহাসিক গুরুত্ব দিয়েছে।

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের ন্যায্য অধিকারের প্রশ্নে নীতিগত অবস্থান বজায় রেখে আসছে। শহিদুল আলমের ফ্লোটিলায় অংশগ্রহণকে অনেকেই বাংলাদেশের মানবিক মূল্যবোধ ও আন্তর্জাতিক সংহতির প্রতীক হিসেবে দেখছেন। আর বিএনপি নেতার প্রকাশ্য সমর্থন এই অবস্থানকে রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও আরও জোরদার করেছে।

-সুত্রঃ বি এস এস


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রস্তুতির সার্বিক চিত্র ও টাইমলাইন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৩ ১২:৪০:৩০
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রস্তুতির সার্বিক চিত্র ও টাইমলাইন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রায় সব মৌলিক প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে। খসড়া ভোটকেন্দ্র তালিকা প্রণয়ন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনি উপকরণ সংগ্রহ ও বিতরণ, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, দেশি পর্যবেক্ষক অনুমোদন এবং মাঠপর্যায়ের প্রশিক্ষণ—সবকিছু এখন নির্দিষ্ট টাইমলাইনে এগোচ্ছে। ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে। আর সে লক্ষ্যেই ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।

ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ

ইসির প্রকাশিত খসড়া অনুযায়ী, আসন্ন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য মোট ৪২,৬১৮টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে। গড়ে প্রতি তিন হাজার ভোটারের জন্য একটি কেন্দ্র রাখা হয়েছে। পুরুষদের জন্য প্রতি ৬০০ জনে একটি ভোটকক্ষ এবং নারীদের জন্য প্রতি ৫০০ জনে একটি ভোটকক্ষ ধরে মোট ২,৪৪,০৪৬টি ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১,১৪,৯৩৯টি এবং নারীদের জন্য ১,২৯,১০৭টি কক্ষ। খসড়ার ওপর আসা দাবিআপত্তি নিষ্পত্তির পর ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ

হালনাগাদ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। খসড়া তালিকা মুদ্রণ ও প্রকাশিত হবে ১ নভেম্বর, এবং সংশোধন ও আপত্তি দাখিলের শেষ সময় ১৬ নভেম্বর। এভাবে ধাপে ধাপে আপডেট শেষে নতুন ভোটারসহ সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।

উপকরণ সংগ্রহ ও বিতরণ

নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের প্রায় ৮০ শতাংশ ইতোমধ্যেই হাতে এসেছে। স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে গালা, ব্যালট বাক্সের লক, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাশ সিল, হেসিয়ান বড় ও ছোট ব্যাগ, গানি ব্যাগসহ মোট আটটি উপকরণ। পাশাপাশি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার ও কালিও মজুদ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় স্ট্যাম্প প্যাড ও ইন্ডেলিবল ইঙ্ক সরবরাহ করা হবে। ১৬ নভেম্বরের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে সব উপকরণ পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি।

কর্মকর্তা নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ

ভোটগ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুত এবং ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে ইসি। প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকছেভোটগ্রহণ পদ্ধতি, আইনশৃঙ্খলা সমন্বয়, এবং নতুন প্রযুক্তি বা সরঞ্জামেরব্যবহারএসবপ্রশিক্ষণশেষ করা হবে ডিসেম্বরের তফসিল ঘোষণার আগেই, যাতে ভোটের দিন কোনো ধরনের জটিলতা না থাকে।

নতুন দল ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধন

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলমান। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। একইসঙ্গে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোরও নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা ভোটের সময় মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম চালাতে পারে।

সময়রেখা (টাইমলাইন)

  • ২০ অক্টোবর: ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা
  • ১ নভেম্বর: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ
  • ১৬ নভেম্বর: আপত্তি ও সংশোধনের শেষ তারিখ
  • ১৭ নভেম্বর: সংশোধনী নিষ্পত্তি
  • ১৮ নভেম্বর: চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ
  • ১৬ নভেম্বরের মধ্যে: মাঠপর্যায়ে সব সরঞ্জাম বিতরণ সম্পন্ন
  • ডিসেম্বরের প্রথমার্ধ: তফসিল ঘোষণা
  • ফেব্রুয়ারি ২০২৬ (প্রথমার্ধ): ভোটগ্রহণ

সবকিছু মিলিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ইসির প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছেকেন্দ্রকক্ষ চূড়ান্তকরণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, উপকরণ সংগ্রহবিতরণ ও মাঠপর্যায়ের প্রশিক্ষণ নির্দিষ্ট সময়রেখা মেনে এগোচ্ছে। এখন মূল নজর থাকবে শেষ মাইলের লজিস্টিক্স বিতরণ, সংবেদনশীল কেন্দ্রের নিরাপত্তা পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণসিমুলেশনের গুণগত মান এবং আপিলআপত্তি নিষ্পত্তির স্বচ্ছতায়। তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মনোনয়ন, যাচাইবাছাই, প্রতীক বরাদ্দ ও প্রচারণাসব ধাপ দ্রুতগতিতে চলবে; সেক্ষেত্রে আন্তঃসংস্থার সমন্বয়, সাপ্লাইচেইনের ধারাবাহিকতা ও মাঠকর্মীদের সক্ষমতাই হবে সুষ্ঠু ভোটের নির্ণায়ক। বয়স্ক, নারী, প্রতিবন্ধী ও দূরবর্তী এলাকার ভোটারদের জন্য সহজপ্রাপ্য সেবা ও তথ্যসহায়তা নিশ্চিত করা সমান গুরুত্বপূর্ণ। পরিকল্পিত প্রস্তুতি, সময়মতো বাস্তবায়ন ও জবাবদিহির মানদণ্ড বজায় থাকলেডিসেম্বরে তফসিল ও ফেব্রুয়ারিতে ভোটএই দুই মাইলস্টোনই একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য নির্বাচনের দিকে দেশকে এগিয়ে নেবে।


আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ৭ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০২ ১৫:১৪:৫৯
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ৭ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা
ছবি: সংগৃহীত

দেশের সাতটি জেলার নিম্নাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসব অঞ্চলে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে, ফলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নদনদীর বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে এক পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়।

কোন কোন জেলায় বন্যা এবং ঝড়ের পূর্বাভাস

চট্টগ্রাম বিভাগ

গত ২৪ ঘণ্টায় গোমতী, মুহুরী, সেলোনিয়া ও ফেনী নদীর পানি সমতল বেড়েছে এবং আগামী দুদিনে এসব নদীর পানি আরও বাড়তে পারে।

বিপদসীমার শঙ্কা: মুহুরী, সেলোনিয়া ও ফেনী নদীর পানি ফেনী জেলায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

প্লাবনের সম্ভাবনা: চট্টগ্রাম জেলায় ফেনী নদীর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে, ফলে নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রংপুর বিভাগ

আগামী তিন দিনে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আবারও বাড়তে পারে। এর ফলে তিস্তা নদীর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হয়ে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ময়মনসিংহ বিভাগ

আগামী তিন দিনে সোমেশ্বরী, ভুগাই ও কংস নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে সোমেশ্বরী, ভুগাই ও কংস নদীর শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার অংশে পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হয়ে নিম্নাঞ্চলে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

নদীবন্দরে সতর্কতা জারি

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য ১ নম্বর (পুনঃ) সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিকুল নেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

পাঠকের মতামত: