মানাসলুর শীর্ষে বাংলাদেশের পতাকা: নতুন ইতিহাস গড়লেন তৌফিক আহমেদ তমাল

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১০:১৫:৪৯
মানাসলুর শীর্ষে বাংলাদেশের পতাকা: নতুন ইতিহাস গড়লেন তৌফিক আহমেদ তমাল
বাংলাদেশি পর্বতারোহী তৌফিক আহমেদ তমাল । ছবি: সংগৃহীত

হিমালয়ে অবস্থিত পৃথিবীর অষ্টম উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মানাসলু (৮,১৬৩ মিটার) জয় করে বাংলাদেশের পর্বতারোহণ ইতিহাসে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তৌফিক আহমেদ তমাল। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টায় তিনি মানাসলুর শীর্ষে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর অষ্টম উচ্চতম এই পর্বত জয়ের লক্ষ্যে রওনা দেন তিনি। মূল অভিযান শুরু হয় ৫ সেপ্টেম্বর। অভিযান পরিচালনা করেছে নেপালের খ্যাতনামা পর্বতারোহণ সংস্থা ‘সেভেন সামিটস’। বর্তমানে তিনি নিরাপদে ক্যাম্প-৪ এর পথে নেমে আসছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে অভিযানের বাংলাদেশ সমন্বয়ক মহিউদ্দিন আল মুহিত জানিয়েছেন।

ব্যক্তিগত অর্জন ও প্রশিক্ষণ

মুহিত বলেন, “তমালের এই সাফল্য কেবল তার একার নয়, এটি পুরো বাংলাদেশের অর্জন। তার একাগ্রতা, সাহস ও দীর্ঘ প্রস্তুতি আজ সার্থক হয়েছে। আমরা গর্বিত এবং তার নিরাপদে দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছি।”

জানা যায়, তমাল ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে পাহাড়ে ট্রেকিং করছেন। ভারতের নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে তিনি মৌলিক ও উচ্চতর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ২০২৪ সালে তিনি বিশ্বের অন্যতম দুর্গম শৃঙ্গ মাউন্ট আমা দাবলামও সফলভাবে আরোহণ করেছিলেন।

মানাসলু তার প্রথম ‘আট-হাজারী’ শৃঙ্গ হলেও এই অভিযানে তিনি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বা করপোরেট অর্থায়ন নেননি। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এই কঠিন শৃঙ্গ জয় করে তিনি এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।

মানাসলু পর্বতের বৈশিষ্ট্য

মানাসলু পশ্চিম-মধ্য নেপালের মানসিরি হিমালে অবস্থিত। সংস্কৃত শব্দ ‘মনসা’ থেকে এর নামটির উৎপত্তি, যার অর্থ ‘বুদ্ধি’ বা ‘আত্মা’। তাই মানাসলু মানে দাঁড়ায় ‘আত্মার পর্বত’। উচ্চতায় এটি বিশ্বের অষ্টম সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলেও, এটি বিশ্বের চতুর্থ প্রাণঘাতী পর্বত হিসেবে পরিচিত।


ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ০৯:৫৪:০৬
ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের একটি হোটেলে তাদের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে ইতালি-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম এবং নিরাপদ অভিবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে জর্জিয়া মেলোনি ডিসেম্বরে ঢাকায় আসার পরিকল্পনার কথা জানান।

এর আগে দিনের শুরুতে ড. ইউনূস ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

এসডিজি অর্জনে ড. ইউনূসের আহ্বান

প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বনেতাদের প্রতি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে আরও কার্যকর অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “চলুন আমরা এমন একটি মর্যাদা, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার অর্থনীতি গড়ে তুলি, যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।”

তিনি বলেন, আমাদের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর শোনার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। বাংলাদেশে আমরা বিশ্বাস করি, দারিদ্র্য একজনের স্বপ্নের পথে বাধা হতে পারে না।

জাতিসংঘে ‘টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রথম দ্বিবার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস এই বক্তব্য দেন। তিনি পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরেছেন, যা কার্যকর করলে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য, বৈষম্য ও আর্থিক অস্থিরতার সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে।

পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা

ড. ইউনূস আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও সম্পদের ন্যায্য প্রবেশাধিকারকে ন্যায়বিচারের মূল হিসেবে আখ্যায়িত করে পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরেছেন, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্থায়নকে শক্তিশালী করবে। এগুলো হলো:

১. ন্যায্যভাবে দেশীয় সম্পদ উত্তোলন: কর ব্যবস্থা প্রগতিশীল, স্বচ্ছ ও বহুজাতিক করপোরেশনগুলোর ন্যায্য অংশ নিশ্চিত করতে হবে।

২. নবীন অর্থায়ন ও সামাজিক ব্যবসা: এমন উদ্যোগ প্রয়োজন যা লাভ পুনরায় সমস্যার সমাধানে বিনিয়োগ করে, চাকরি, অন্তর্ভুক্তি ও মর্যাদা নিশ্চিত করে।

৩. বিশ্ব আর্থিক কাঠামো সংস্কার: উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরও শক্তিশালী কণ্ঠস্বর নিশ্চিত করতে হবে এবং ঋণকে স্থিতিশীলতার হাতিয়ারে রূপান্তর করতে হবে।

৪. স্বচ্ছতা, অবৈধ অর্থায়ন প্রতিরোধ ও নাগরিক অংশগ্রহণ: জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজকে জানতে হবে কীভাবে সম্পদ ব্যবহার হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. সবচেয়ে দুর্বলদের জন্য বিনিয়োগ: স্থিতিশীল বাসস্থান, জলবায়ু-বান্ধব কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।


নৌকা প্রতীক স্থগিত রেখে ১১৫টি প্রতীকের তালিকা প্রকাশ করল ইসি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ২১:৩৯:৪২
নৌকা প্রতীক স্থগিত রেখে ১১৫টি প্রতীকের তালিকা প্রকাশ করল ইসি
ছবি: সংগৃহীত

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত নৌকা প্রতীক স্থগিত রেখে ১১৫টি প্রতীকের একটি নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে তালিকায় স্থান পায়নি শাপলা প্রতীক।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২’-এর ক্ষমতাবলে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এ এই সংশোধনী আনা হয়েছে। নতুন তালিকায় নৌকা প্রতীক স্থগিত রাখা হলেও, দাঁড়িপাল্লা প্রতীক পুনর্বহাল করা হয়েছে।

প্রতীকের নতুন তালিকা

নতুন প্রকাশিত ১১৫টি প্রতীকের তালিকায় থাকা উল্লেখযোগ্য প্রতীকগুলো হলো:

ফল: আপেল, আনারস, আম, লিচু, তরমুজ, কাঁঠাল।

যানবাহন ও যন্ত্রাংশ: ট্রাক, রিকশা, উটপাখি, বাইসাইকেল, মটরগাড়ি (কার), জাহাজ, হেলিকপ্টার।

প্রাণী: মোরগ, বাঘ, ঈগল, গাভি, ঘোড়া, কুমির, হরিণ, চিংড়ি, মাছ, হাঁস, কবুতর।

গৃহস্থালি জিনিস: খাট, টেবিল ঘড়ি, ফ্রিজ, মোড়া, আলমিরা, টেলিভিশন, টেলিফোন, মাইক, সুটকেস, হাতঘড়ি, কেটলি, হুক্কা, হারিকেন।

কৃষি ও প্রকৃতি: কোদাল, ধানের শীষ, লাঙ্গল, সোনালী আঁশ, ফুলের টব, ফুলকপি, কুলা, লাউ।

অন্যান্য: বই, রকেট, একতারা, ঘণ্টা, শঙ্খ, কাঁচি, ঘুড়ি, তারা, কলম, সেলাই মেশিন, চাকা, দাঁড়িপাল্লা, বেলুন, মশাল।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই ইসি জানায় যে নতুন যুক্ত হওয়া ৪৬টিসহ তাদের প্রতীকের সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫টি।


ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালেন ড. ইউনূস

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ২১:১০:৩৬
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালেন ড. ইউনূস
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় নিউইয়র্কে মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এই আমন্ত্রণ জানান।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের জন্য অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। সেখানেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমন্ত্রণে এই অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নেন।

ড. ইউনূস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাশাপাশি স্পেনের রাজা ফেলিপ ষষ্ঠ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিগেরু ইশিবা, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে-সহ বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার মার্কিন বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।


নিউইয়র্কে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৯:০৪:৩২
নিউইয়র্কে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক
ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গ-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকের মূল বিষয়

নির্বাচন ও গণতন্ত্র: ড. ইউনূস আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন এবং দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিয়ে কথা বলেন।

অর্থনৈতিক খাত: অজয় বঙ্গ ব্যাংকিং এবং রাজস্ব খাতের শক্তিশালী সংস্কারের ওপর জোর দেন। তিনি ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন যে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চট্টগ্রাম বন্দর: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বিশ্বব্যাংকের কাছে চট্টগ্রাম বন্দর আধুনিকীকরণ ও সংস্কারের জন্য সহায়তা চান। তিনি মনে করেন, এই বন্দর আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং নেপাল, ভুটান ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

চুরি যাওয়া অর্থ: বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চুরি হওয়া ডলার পুনরুদ্ধারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

তরুণদের সম্পৃক্ততা: এশিয়া জুড়ে তরুণদের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়েও উভয় নেতা মতবিনিময় করেন।

ড. ইউনূস এই সংকটময় সময়ে বিশ্বব্যাংকের অবিচল সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়-সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।


 ‘সৃষ্টিকর্তা কোনো দেশের মানুষের ভাগ্যে এমন কাউকে না লেখেন’: ফারুকী

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৮:৫৭:৪৯
 ‘সৃষ্টিকর্তা কোনো দেশের মানুষের ভাগ্যে এমন কাউকে না লেখেন’: ফারুকী
ফাইল ছবি

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী মন্তব্য করেছেন যে, বিটিভি ও মেট্রো রেলের অগ্নিকাণ্ডসহ বহু ঘটনার পেছনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতালিপ্সা ছিল। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, “আমরা সবাই অনুমান করতাম বিটিভি আর মেট্রোর আগুন না শুধু, ষোলো বছরে বহু আগুনের পেছনেই ছিল খুনির ক্ষমতালিপ্সা। ক্ষমতার জন্য একটা-দুইটা বিটিভি না, পুরা বাংলাদেশ জ্বালাইয়া দিতে হইলেও তার বিন্দুমাত্র অনুতাপ হইতো না।”

তিনি আরও বলেন, “যাই হোক, এখন তার ফোনকলগুলা কনফার্ম করছে শুধু হাজার হাজার মানুষ খুন-গুম না, আগুন লাগানোর পেছনেও ছিল সে। সৃষ্টিকর্তা যেন কোনো দেশের মানুষের ভাগ্যে এ রকম অভিশপ্ত কাউকে না লেখেন।”

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, তিনি এই ঘটনার প্রমাণ আগেই পেয়েছিলেন। তিনি তার পোস্টে বলেন, “৮৪০-তে ডাবলুর বস্তি পোড়ানো এবং পোড়ানো শেষে বিতরণের জন্য ত্রাণ রেডি রাখার নির্দেশ দেওয়ার সিনটা দেখলে বুঝতে পারবেন। এই সিন আমরা শ্যুট করছিলাম ২০২৩-এর নভেম্বরে। জি, ঠিক ধরেছেন, তিনি তখন ক্ষমতায়। ৮৪০ দেখলে আরও অনেক মিলই খুঁজে পাইতে পারেন।”


লুকিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তথ্য দিলে মিলবে সহায়তা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৮:৫৩:০৫
লুকিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তথ্য দিলে মিলবে সহায়তা

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট ও ছাত্রাবাসে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের কর্মীদের সন্ধান চেয়ে সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে। যারা কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনটির কর্মীদের তথ্য দেবে, তাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট ও ছাত্রাবাসে রেইড দিচ্ছে পুলিশ এবং গোয়েন্দা নজরদারিও চলছে। অনেক ফ্ল্যাটে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ফ্রি থাকছেন। জনগণ পুলিশকে তথ্য দিলে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের আটক করবে।”

এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল বের করছে। এসব মিছিল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামীতেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধরিয়ে দিতে জনগণ পুলিশকে সহায়তা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, “তাদের গ্রেফতার করলে পরবর্তীতে ঝটিকা মিছিলের সংখ্যা কমে যাবে। যারা তথ্য দেবে তাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে।” নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্টের চেষ্টা করছে এই রাজনৈতিক দলটি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।


আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে অডিও ক্লিপ শোনানো হলো, ‘মারণাস্ত্র ব্যবহার করো’

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৭:৫৩:০৪
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে অডিও ক্লিপ শোনানো হলো, ‘মারণাস্ত্র ব্যবহার করো’
শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলন দমনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'মারণাস্ত্র' ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কথোপকথনের সেই অডিও শোনানো হয়েছে।

আন্দোলনকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫৩ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা।

‘ওপেন নির্দেশনা দিয়েছি, এখন গুলি করবে’

কথোপকথনের একপর্যায়ে শেখ হাসিনাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলেন তাপস। তখনই শেখ হাসিনা বলেন, “‘আমার নির্দেশনা দেওয়া আছে। ওপেন নির্দেশনা দিয়েছি। এখন লিথাল ওয়েপন (মারণাস্ত্র) ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে সেখানে গুলি করবে।”’

আরেকটি অংশে শেখ হাসিনা বলেন, “বিটিআরসি-বিটিভি পুড়িয়ে দিয়েছে। এখন ইন্টারনেট বন্ধ। মেশিনপত্র সব পুড়ে গেছে। আমি বলছি যা যা পোড়াতে... আমাদের সেতু ভবন পুড়িয়েছে।” এর উত্তরে তাপস বলেন, “রাতের বেলায় আরও ব্যাপক আক্রমণ করবে।”

অডিও ক্লিপ ও মামলার বিবরণ

প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “ফোনালাপে শেখ হাসিনা নিজেই আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন- ‘আমি বললাম একটা জিনিস পোড়াতে, যা যা পোড়াতে। ওরা পুড়িয়ে দিলো সেতু ভবন।’ তার মানে আগুন দেওয়ার নির্দেশ উনি দিয়েছেন।”

বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা জবানবন্দিতে জানান, শেখ হাসিনার ৬৯টি অডিও ক্লিপ এবং তিনটি মোবাইল নম্বরের কল রেকর্ড জব্দ করা হয়েছে।

এদিন সকালে রাজসাক্ষী হওয়া আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তার উপস্থিতিতেই সাক্ষীরা জবানবন্দি দেন।


সরকার গঠনে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা কোন দলের? জরিপের ফল কী বলছে?

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৫:৪১:৪৭
সরকার গঠনে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা কোন দলের? জরিপের ফল কী বলছে?
গ্রাফিক্স: ইত্তেফাক

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর জনপ্রিয়তা নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে বেসরকারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনোভেশন কনসাল্টিং। তাদের ‘পিপলস ইলেকশন পালস সার্ভে রাউন্ড টু’-এর দ্বিতীয় অংশের ফলাফলে দেখা গেছে, ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছে বিএনপি।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রুবাইয়াত সরওয়ার। দেশের ৬৪টি জেলা থেকে ৯ হাজার ৩৯৮টি পরিবারের ১০ হাজার ৪১৩ জন ভোটারের ওপর এই জরিপ চালানো হয়।

জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিএনপি

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন ৪১.৩০ শতাংশ ভোটার। এর পরেই রয়েছে জামায়াতে ইসলামী, যাদের প্রতি ৩০.৩০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন দেখা গেছে। গত বছরের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ তৃতীয় স্থানে আছে, যাদের ভোট ১৮.৮০ শতাংশ। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ৪.১০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে।

ভোটারদের মতে, পরবর্তী সরকার গঠনে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা আছে বিএনপির। ৪০ শতাংশ ভোটার মনে করেন, বিএনপি সরকার গঠন করবে। অন্যদিকে ২৩.৩ শতাংশ ভোটারের ধারণা, জামায়াত সরকার গঠন করতে পারে।

ভোটের সিদ্ধান্তে প্রার্থীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

জরিপে আরও দেখা গেছে, ৬৫.৫ শতাংশ ভোটার দলীয় প্রতীকের পরিবর্তে প্রার্থীর ব্যক্তিগত যোগ্যতা বিবেচনায় ভোট দিতে আগ্রহী। মাত্র ১৪.৭ শতাংশ ভোটার প্রতীক দেখে ভোট দেবেন। স্থানীয় রাজনীতিতে অন্যান্য দলের তুলনায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্থানীয় কার্যক্রম নিয়ে ভোটারদের সন্তুষ্টির হার সবচেয়ে বেশি। তরুণ প্রজন্ম এবং নারীরা জামায়াতের কার্যক্রমে তুলনামূলকভাবে বেশি সন্তুষ্ট।

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না এলে কী হবে?

জরিপ বলছে, যদি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ না করে, তাহলে তাদের ভোটারদের একটি বড় অংশ অন্য দলগুলোকে ভোট দিতে আগ্রহী। আওয়ামী লীগের ২০ শতাংশ ভোটার বিএনপিকে, ১৪.৮ শতাংশ জামায়াতকে এবং ২.১ শতাংশ ভোটার এনসিপিকে ভোট দিতে আগ্রহী। এমন পরিস্থিতিতে সরকার গঠনের জন্য যোগ্য দল হিসেবে বিএনপিকে মনে করেন ৩৯.১ শতাংশ ভোটার।

জরিপ অনুযায়ী, ভোটাররা ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে পুলিশ সংস্কার, দুর্নীতি রোধ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করেন।


‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে’: ড. ইউনূস

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১২:১৪:১৩
‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে’: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী সাধারণ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করবে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্যারিসের মেয়র অ্যানে হিদালগোর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকে উভয় নেতা বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ক্রীড়া, সামাজিক উদ্যোগ এবং বিশ্ব মানবিক সংকট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ড. ইউনূস বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ধারণে একটি ভিত্তিমূলক ঘটনা হবে, যা দেশের গণতন্ত্রকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে নেবে।”

বৈশ্বিক ও মানবিক সংকট নিয়ে আলোচনা

ড. ইউনূস প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিককে সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোগে রূপান্তর করতে নেতৃত্ব দেন। তিনি ভবিষ্যতে অনুষ্ঠিত সকল অলিম্পিক, বিশেষ করে আসন্ন লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক কার্বন নিরপেক্ষ করার ওপর জোর দেন।

মেয়র হিদালগো এই সংকটময় সময়ে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করে বলেন, “আমি আপনার নেতৃত্বকে গভীরভাবে সম্মান করি। আপনি অসাধারণ কাজ করেছেন, এবং আপনার অঙ্গীকার মানবতার জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।”

উভয় নেতা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তহবিল বৃদ্ধির জরুরি প্রয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে একদিন রোহিঙ্গারা নিরাপদ ও মর্যাদাসহ তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারবেন। ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, “জাতিসংঘ আগামী সপ্তাহে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করছে, যার উদ্দেশ্য হলো বৈশ্বিক মনোযোগ পুনরুজ্জীবিত করা এবং একটি স্থায়ী সমাধান খোঁজা।”

ড. ইউনূস মেয়র হিদালগোকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যা দুই দেশের মধ্যে মানবিক ও সামাজিক ব্যবসায়িক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করবে।

পাঠকের মতামত: