জুবাইদা রহমানকে প্রার্থী হিসেবে চেয়ে সিলেটে পোস্টারিং, বিএনপিতে শুরু নানা জল্পনা

সত্য নিউজ: যুক্তরাজ্যে দীর্ঘ ১৭ বছর অবস্থানের পর দেশে ফেরা জুবাইদা রহমানকে ঘিরে সিলেট বিএনপিতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক আলোচনার ঝড়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ‘বাংলাদেশের অহংকার, সিলেটবাসীর গর্ব’ শিরোনামে লাগানো রঙিন পোস্টারে তাঁকে সিলেট-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাওয়া হয়েছে। তবে পোস্টারগুলোর উৎস বা পৃষ্ঠপোষকতা কে করেছে, তা স্পষ্ট নয়, যা নতুন করে রহস্য ও রাজনৈতিক উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মেয়ে ও সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলীর কন্যা জুবাইদা রহমান পেশায় চিকিৎসক। তিনি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্য এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী। ২০০৮ সালে দেশত্যাগের পর এবারই প্রথম দেশে ফিরলেন তিনি, যা স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আশাবাদা সৃষ্টি করেছে।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ করেছেন। তারেক রহমান নিজে প্রার্থী না হলে জিয়া পরিবারের কাউকে প্রার্থী করার দাবি জানান তিনি—যার প্রতিফলনই কি না এই পোস্টারিং, এমন ধারণা করছেন অনেকেই।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন, এ ধরনের ‘বেনামি’ পোস্টার রাজনৈতিকভাবে ‘অতিরিক্ত উৎসাহী’ কোনো মহলের তৎপরতা হতে পারে। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, এর পেছনে কোনো ‘গোপন রাজনৈতিক কৌশল’ও থাকতে পারে। তবে পোস্টারে কোনো আপত্তিকর বক্তব্য না থাকায় তৃণমূলের অনেকেই এটিকে দলপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন।

এদিকে, ‘ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দের’ ব্যানারে জুবাইদাকে রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সিলেটে একটি শুভেচ্ছা মিছিলও হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি ঘিরে চলছে ব্যাপক আলোচনা, যা ইঙ্গিত দেয় জুবাইদা রহমান রাজনীতিতে সরাসরি অংশ নিলে তা বিএনপির ঘরোয়া রাজনীতিতে বড় রকমের প্রভাব ফেলতে পারে।

তবে এখনো পর্যন্ত জুবাইদা রহমান কিংবা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এসব পোস্টার বা নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য আসেনি।

সিলেট-১ আসন, যা ঐতিহ্যগতভাবে মর্যাদাপূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচিত, সেখানে জিয়া পরিবারের সদস্য প্রার্থী হলে তা স্থানীয় রাজনীতিতে কতটা আলোড়ন তুলতে পারে, তা নিয়ে এখন তীব্র কৌতূহল বিরাজ করছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।