সামান্য কমেছে মূল্যস্ফীতি, এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ৯.১৭%

সত্য নিউজ:২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯.১৭ শতাংশে, যা গত ২৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। মার্চ মাসে এ হার ছিল ৯.৩৫ শতাংশ। সোমবার (৫ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

বিবিএস-এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত—উভয় খাতেই মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাওয়ার প্রভাবেই সার্বিক সূচকে এ পতন দেখা গেছে। এপ্রিল মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮.৬৩ শতাংশে, যা মার্চে ছিল ৮.৯৩ শতাংশ। অন্যদিকে, খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি এপ্রিল মাসে নেমে এসেছে ৯.৬১ শতাংশে, যা মার্চে ছিল ৯.৭০ শতাংশ।

শহর ও গ্রামের চিত্র প্রায় এক

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতা শহর ও গ্রাম উভয় এলাকাতেই লক্ষ করা যাচ্ছে।

• শহরে এপ্রিল মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.১৩%, যেখানে মার্চে তা ছিল ৯.১৮%।

• গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরও বেশি কমে ৮.৪০%-এ দাঁড়িয়েছে, যা মার্চে ছিল ৮.৮১%।

• খাদ্য বহির্ভূত খাতেও শহরে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৮৮%, এবং গ্রামে ৯.৮৬%-এ নেমে এসেছে।

মূল্যস্ফীতি কী বোঝায়?

৯.১৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি মানে হলো, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে যেসব পণ্য ও সেবা ১০০ টাকায় কেনা যেত, ২০২৫ সালের একই মাসে তা কিনতে গড়ে খরচ করতে হয়েছে ১০৯ টাকা ১৭ পয়সা। এটি ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতায় একটি উল্লেখযোগ্য চাপ তৈরি করে, যদিও সাম্প্রতিক পতন খানিকটা স্বস্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ধারাবাহিক পতনের ইঙ্গিত

চলতি বছরের শুরু থেকেই মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা নিম্নমুখী। জানুয়ারিতে তা দাঁড়ায় ৯.৯৪ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে আরও কমে হয় ৯.৩২ শতাংশ। মার্চে আবার খানিকটা বেড়ে হয়েছিল ৯.৩৫ শতাংশ, তবে এপ্রিলের হ্রাস এ প্রবণতাকে আবার শক্ত ভিত্তি দিয়েছে।