ওষুধ শিল্প নিয়ে গভীর উদ্বেগ: সরকারের অস্বচ্ছ নীতিকে দুষলেন মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১৫:০০:৫০
ওষুধ শিল্প নিয়ে গভীর উদ্বেগ: সরকারের অস্বচ্ছ নীতিকে দুষলেন মির্জা ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন যে, সরকারের অস্বচ্ছ ও একপেশে নীতির কারণে দেশের ওষুধ শিল্প ঝুঁকিতে পড়েছে। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল বলেন, গত প্রায় দুই বছর ধরে নতুন কোনো ওষুধের নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না এবং ওষুধের দামও সমন্বয় করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিসিসি) বা এর টাস্কফোর্সে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি, যা শিল্পের স্বার্থবিরোধী।

ফখরুল বলেন, ওষুধ শিল্পের নীতি প্রণয়ন ও উন্নয়নে স্বচ্ছতা এবং অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি। এই খাতে জড়িত সব পক্ষের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তিনি সরকারকে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমাধানের পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।

বিএনপি মহাসচিবের মতে, শিল্প উদ্যোক্তাদের বাদ দিয়ে কোনো কমিটি গঠন বা নীতি প্রণয়ন গ্রহণযোগ্য নয়। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন-এর বিষয়টি মাথায় রেখে এই শিল্পের সুরক্ষায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প দেশের অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য এবং কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের প্রায় শতভাগ চাহিদা স্থানীয়ভাবে পূরণ করার পাশাপাশি ১৬০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রফতানি করা হচ্ছে।

বিএনপির শাসনামলে এই শিল্পের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৯৪ সালে ওষুধের মূল্যনীতি প্রণয়ন, ২০০২ সালে জাতীয় ওষুধ নীতি হালনাগাদ, রফতানি প্রণোদনা এবং গবেষণায় বিনিয়োগের মতো বিষয়গুলো সেই সময় গুরুত্ব পেয়েছিল।

তিনি বলেন, ট্রিপস ওয়েভার সুবিধা হারানোর ঝুঁকি বাড়ছে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার আগে নতুন ওষুধ নিবন্ধন দ্রুত শুরু করা জরুরি। সবশেষে, বিএনপি আশা করে সরকার ওষুধ শিল্পের স্থিতিশীলতা রক্ষায় শিল্পবান্ধব সিদ্ধান্ত নেবে।

/আশিক


আগুন দিতে এলে তাকেই ফেলে দেবেন হাসিনার বক্তব্য ভাইরাল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৬:০৪:৪১
আগুন দিতে এলে তাকেই ফেলে দেবেন হাসিনার বক্তব্য ভাইরাল

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি পুরোনো বক্তব্য সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে ভাইরাল হয়েছে। এই বক্তব্যে তিনি বাসে আগুন দিতে যাওয়া ব্যক্তিকে সেই আগুনেই ফেলে দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ভাইরাল হওয়া বক্তব্যটিতে ক্ষমতাচ্যুত এই প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়

"আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, কেউ যদি এভাবে গাড়িতে আগুন ও মানুষের জীবনে আগুন ধরাতে চেষ্টা করে ওই হাত ওই আগুনে পুড়িয়ে দেবেন।"

আরেকটি অংশে তিনি বলেছিলেন: "কেউ বাসে আগুন দিতে গেলে তাকে সেই আগুনেই ফেলে দেবেন।"

এই ভাইরাল বক্তব্যটি ২০২৩ সালের নভেম্বরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় দেওয়া হয়েছিল।

ওই দিন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সব সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেছিলেন:

"অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস করে আর যেন একটাও পার না পায়। যদি কোনোটা আগুন দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ওই আগুনেই তাকে ফেলতে হবে, হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে, সেই হাতই পোড়াতে হবে। তাহলে এরা সোজা হবে, নাহলে সোজা হবে না। কারণ, যে যেমন তার সঙ্গে তেমনই করতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রত্যেক এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি এদের খুঁজে বের করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মানুষের জান-মালের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব নিতে বলেছিলেন। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, "আমাদের আর কোনো কিছু নেই, আমাদের কোনো মুরুব্বি নেই। দেশের জনগণই আমাদের সব।"


জুলাই সনদের চেতনা থেকে সরে গেছেন ড ইউনূস সরকার: সালাহউদ্দিন আহমদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৫:৫৮:৪৪
জুলাই সনদের চেতনা থেকে সরে গেছেন ড ইউনূস সরকার: সালাহউদ্দিন আহমদ
ছবিঃ সংগৃহীত

সরকারের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বৈত দায়িত্বে 'স্বার্থের সংঘাত' হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

বুধবার ১২ নভেম্বর রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি নিরপেক্ষ আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আশা করি সরকার এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না, যা জাতিতে বিভাজন বা অনৈক্য সৃষ্টি করবে। তিনি সরাসরি ডক্টর ইউনূসের দ্বৈত ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন

"এখানে স্পষ্ট স্বার্থের সংঘাত রয়েছে। এই সরকার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে। আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে সহযোগিতা করছি, ভোটে অংশ নিচ্ছি, জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছি। কিন্তু একই সঙ্গে সরকারপ্রধান ও ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হিসেবে ডক্টর ইউনূস যে সুপারিশগুলো দিয়েছেন, সেগুলো জুলাই জাতীয় সনদের চেতনা থেকে অনেকটাই সরে গেছে।"

সালাহউদ্দিন আহমদ দাবি করেন, সনদ বাস্তবায়নে গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাবে, সেটিই জাতীয় সনদ হবে এবং পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ তা বাস্তবায়ন করবে। তিনি মনে করেন, এই অবস্থান থেকে প্রধান উপদেষ্টা সরে যেতে পারেন না।

সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে তিন দফা আলোচনার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নের প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দেন।

তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের আগে আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম, একটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই সনদে সব দল স্বাক্ষর করুক এবং সনদ বাস্তবায়নে সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ হোক। সেভাবেই সনদ প্রণীত হয়, যাতে ছিল প্রায় ৮৪টি দফা।

তিনি জানান, এসব দফার কিছু বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নোট অব ডিসেন্ট ছিল, তবে তা প্রথাগত ছিল না। এসব নোটে বলা ছিল—সংশ্লিষ্ট দল চাইলে নির্বাচনী ইশতেহারে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে জনগণের ম্যান্ডেট পেলে বাস্তবায়ন করতে পারবে।


ওয়াশিংটনে সিরীয় প্রেসিডেন্ট: পশ্চিমা দিগন্তে দামেস্কের নতুন অধ্যায়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১১:৩৩:৫৮
ওয়াশিংটনে সিরীয় প্রেসিডেন্ট: পশ্চিমা দিগন্তে দামেস্কের নতুন অধ্যায়
ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি যুদ্ধ ও অবরোধের পর সিরিয়া যেন নতুন এক কূটনৈতিক অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। মঙ্গলবার দামেস্কের রাস্তায় সাধারণ মানুষ তাদের নতুন নেতার ওয়াশিংটন সফরকে দেখেছেন পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি এক ইতিবাচক মোড় হিসেবে—যা হয়তো যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার পথ খুলে দিতে পারে।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা-কে—স্বাধীনতার পর (১৯৪৬) এই প্রথম কোনো সিরীয় রাষ্ট্রপ্রধানের মার্কিন সফর এটি। এক সময় যাকে ওয়াশিংটন সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে গ্রেপ্তারের জন্য ১ কোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, তিনিই এখন কূটনৈতিক ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন।

দামেস্কের আইন বিভাগের ছাত্রী বুশরা আবদেল বারি বলেন, “আল্লাহর কৃপায় এই সফর হবে সিরিয়ার জন্য এক নতুন সূচনা, বিচ্ছিন্নতার বছরগুলো শেষে বিশ্বের সঙ্গে পুনঃসংযোগের এক সুযোগ।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, “এই সফর যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় সিরিয়ার পুনর্গঠনের পথ সুগম করবে।”

শরার এই ঐতিহাসিক সফরের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ঘোষণা করে ‘সিজার অ্যাক্ট’–এর আওতায় সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে—যা পরবর্তীতে কংগ্রেস স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। এই আইনটি মূলত বিনিয়োগ ও আর্থিক লেনদেনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, আসাদ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সিরিয়াকে বৈশ্বিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে ঠেলে দিয়েছিল।

ঐতিহাসিকভাবে সিরিয়া বরাবরই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরবর্তীতে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র। সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ-এর ১৩ বছরেরও বেশি সময়ের শাসনামলে রাশিয়াই ছিল প্রধান রক্ষাকবচ। কিন্তু ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আসাদ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা পশ্চিমা দেশ ও উপসাগরীয় রাজতন্ত্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেন, যদিও তিনি এখনো মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের সেতুবন্ধন পুরোপুরি ছিন্ন করেননি।

দামেস্কের তরুণ আইন শিক্ষার্থী বারির ভাষায়, “রাশিয়া আমাদের কিছুই দেয়নি, শুধু ধ্বংস আর মৃত্যু।” অন্যদিকে ৩৬ বছর বয়সী মুদ্রণকর্মী ওমর নাসার বলেন, “সিরিয়া অতীতে সমাজতান্ত্রিক শিবিরে যোগদানের মূল্য চুকিয়েছে। সেই ভুলের পরিণতি ছিল দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতা। এখন পশ্চিমমুখী নীতি হয়তো আমাদের জন্য অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক পুনর্জাগরণের বার্তা আনবে।”

একই সুরে কফিকিওস্ক মালিক সাদ্দাম হাজ্জার বলেন, “ধীরে ধীরে সবকিছু ভালো দিকে যাচ্ছে। আমরা আশা করি, নতুন মধ্যপ্রাচ্যের অংশ হতে পারব। এত ত্যাগের পর সিরিয়ার মানুষ নিশ্চয়ই একটি ভালো জীবনের প্রাপ্য।”

আসাদ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ১৩ বছরের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ—যা শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে এক শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের দমন-পীড়ন থেকে। এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ, এবং কোটিাধিক সিরীয় ঘরবাড়ি হারিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, অবকাঠামো বিধ্বস্ত, সামাজিক কাঠামো বিপর্যস্ত।

২৫ বছর বয়সী এনজিওকর্মী লায়াল কাদ্দুর এই সফরকে দেখছেন “সাহসী রাজনৈতিক পদক্ষেপ” হিসেবে। তাঁর মতে, “এই সফর সিরিয়ার বিচ্ছিন্নতা ভাঙার প্রতীক। এর ফলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল ও নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারে।” তবে তিনি আশঙ্কাও প্রকাশ করেন—“যদি আন্তর্জাতিক সহায়তার বিনিময়ে সিরিয়া আবার বিদেশি চাপের অধীনে চলে যায়? বিশেষত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মতো রাজনৈতিক চাপের মুখে?”

সব মিলিয়ে ওয়াশিংটনে সিরীয় প্রেসিডেন্টের এই সফর শুধু কূটনৈতিক অগ্রগতি নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে সম্ভাব্য নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত বহন করছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এক দেশ যখন পুনর্গঠন ও পুনঃসংযোগের স্বপ্ন দেখে, তখন এই সফর হয়তো সেই পরিবর্তনের সূচনাবিন্দু হয়ে থাকবে ইতিহাসে।

-নাজমুল হাসান


১৭ বছরের আন্দোলনের পরও মনোনয়ন বঞ্চনা, ফতুল্লায় ক্ষোভ তুঙ্গে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ০৯:৫১:০৭
১৭ বছরের আন্দোলনের পরও মনোনয়ন বঞ্চনা, ফতুল্লায় ক্ষোভ তুঙ্গে
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বিএনপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর। জেলার পাঁচটি জাতীয় সংসদ আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনে বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে গভীর হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, অন্যদিকে বিএনপির জোট শরিক জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম দাবি করছে, আসনটি তাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে— যার ফলে তাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আনন্দের জোয়ার।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান দীর্ঘ সময় ধরে প্রভাব বজায় রেখেছেন। তৃণমূল বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ১৭ বছর ধরে তারা আওয়ামী লীগ ও শামীম ওসমানের রাজনৈতিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন, তবু এবার দলীয় প্রার্থী না পেয়ে তারা নিজেকে বঞ্চিত মনে করছেন। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখছেন— “যারা রক্ত, শ্রম ও ত্যাগ দিয়ে দল টিকিয়ে রেখেছে, তাদের বাদ দিয়ে অন্যদের জায়গা দেওয়া অবিচার।”

স্থানীয় পর্যায়ের নেতা অ্যাডভোকেট আবদুল বারী ভূঁইয়া, শাহ আলম, ভিপি রাজিব, মশিউর রহমান রনি, শহিদুল ইসলাম টিটু প্রমুখ ১৫ মাস ধরে মাঠে সক্রিয় থেকে গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণসহ ধারাবাহিক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছেন। তারা মনে করেন, জোটের নামে “উড়ে আসা প্রার্থী”কে আসন দেওয়া হলে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হবে।

জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শাহ আলম বলেন, “২০০৮ সালের নির্বাচনে আমি মাত্র ১,২০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত দেখানো হয়েছিল, তবু আমি দলের পাশে থেকেছি। এবারও দলের মূল্যায়ন আশা করছি।”

একইভাবে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান রনি বলেন, “আমি গুমের শিকার হয়েছি, জেল-জুলুম সহ্য করেছি। কেন্দ্র থেকে আমাকে বলা হয়েছে মাঠে কাজ করতে, তাই আমি বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য মাঠে রয়েছি।”

অন্যদিকে, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম দাবি করছে, বিএনপি এ আসনটি জোটের অংশ হিসেবে তাদের জন্য ছেড়ে দিয়েছে। জেলা জমিয়তের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসাইন কাশেমী বলেন, “বিএনপি এবার প্রার্থী দেয়নি, কারণ আসনটি আমাদের জন্য। জোট থাকলে মার্কা কোনো ব্যাপার না জমিয়তের খেজুর গাছই জয়ী হবে।”

জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদৌস বলেন, “জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি ও জমিয়তের কর্মীরা একসঙ্গে কাজ করবে এবং জোট প্রার্থীকে জয়ী করবে।”

অন্যদিকে, এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর আমির আবদুল জব্বার এবং জেলা এনসিপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আল আমিন ইতোমধ্যেই একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে, একজন প্রভাবশালী শিল্পপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নামতে পারেন, যা এ আসনের নির্বাচনী সমীকরণকে আরও জটিল করে তুলবে।

-রফিক


বিপ্লবী জনতার ধোলাই খেলে নেতা দেখতে আসবে না নূর আওয়ামী লীগ কর্মীদের সতর্ক করলেন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ২১:০৬:০৫
বিপ্লবী জনতার ধোলাই খেলে নেতা দেখতে আসবে না নূর আওয়ামী লীগ কর্মীদের সতর্ক করলেন
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বিদেশে নিরাপদে পালিয়ে থাকা শত-সহস্র কোটি টাকার মালিক নেতাদের কথায় হুজুগে রাস্তায় নেমে নিজেকে ও পরিবারকে অনিরাপদ করে তুলবেন না। তিনি মন্তব্য করেন, রাস্তায় নেমে বিপ্লবী জনতার ধোলাই খেলে নেতা দেখতে হাসপাতালেও আসবে না, গ্রেপ্তার হলে জেলখানায় কলা-রুটিও পাঠাবে না।

সোমবার ১০ নভেম্বর রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা লেখেন।

রাস্তায় নেমে ঝুঁকি না নেওয়ার আহ্বান

নুর আওয়ামী লীগ কর্মীদের উদ্দেশে লেখেন, গ্রেপ্তার এবং গণধোলাইয়ের ঝুঁকি নিয়ে মুখোস বা মাস্ক পরে ঝটিকা বা গুপ্ত মিছিল করার কী দরকার? তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ধরা পড়লে পাবলিকের মাইর দুনিয়ায় বাইর হবে।

"আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি-জামায়াতসহ আমরা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা যেভাবে জেল-জুলুম, নির্যাতনের শিকার হয়েছি সে তুলনায় আপনারা অনেক ভালো আছেন। আমার মনে হয় চুপচাপ থাকলে আরও ভালো থাকবেন, উৎপাত করলে বিপদ।"

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ

নুর মনে করেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগামী ৫০ বছরেও ফিরবে না।

তিনি লেখেন, পালিয়ে থাকা নেতাদের কথায় লাফালাফি করে লাভ নাই, আওয়ামী লীগ এদেশের রাজনীতিতে আগামী ৫০ বছরেও ফিরবে না। ৭৫ এ শেখ মুজিবের পর ২৪ এ তার মেয়ে হাসিনা আওয়ামী লীগের রাজনীতির মৃত্যু ঘটিয়ে ভারত পালিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ এখন মরা লাশ। বিচারিক প্রক্রিয়ায় এখন এর দাফন-কাফন সম্পন্ন হবে।"

নতুন বাংলাদেশের আহ্বান

নুর আওয়ামী লীগ কর্মীদের 'মরা লাশের পিছনে ছুটে হয়রান না হয়ে' নতুন বাংলাদেশের সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন নতুন বাংলাদেশ আমরা সবাই মিলে গড়বো। যেখানে কোনো ক্ষমতালোভী খুনি শাসক তৈরি হবে না, ফ্যাসিবাদের ছায়া থাকবে না, থাকবে মানুষের ভয়হীন চিত্তে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, সততা, দায় ও দরদের রাজনীতি।


বগুড়া-২ আসনে ধানের শীষ নিয়ে জল্পনা জোটের মাহমুদুর রহমান মান্না বনাম নতুন মুখ স্নিগ্ধ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ২০:২৫:১০
বগুড়া-২ আসনে ধানের শীষ নিয়ে জল্পনা জোটের মাহমুদুর রহমান মান্না বনাম নতুন মুখ স্নিগ্ধ
মাহমুদুর রহমান মান্না ও মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য রাজশাহী বিভাগের ৩৯টি আসনের মধ্যে বিএনপি ৩৪টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) সহ মোট পাঁচটি আসন এখনো ফাঁকা রেখেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটিতে কে ধানের শীষের মনোনয়ন পাবেন, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে তীব্র আলোচনা চলছে। আসনটি জোটের শরিক দলকে ছেড়ে দেওয়া হবে, নাকি নতুন কোনো স্থানীয় নেতাকে দেওয়া হবে—এই প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত স্থানীয় নেতৃত্ব।

কেন্দ্রীয় বৈঠকে মান্নার নাম

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বগুড়ার সাতটি আসনের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ওই বৈঠকে বগুড়া-২ আসন নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম উঠে আসে।

বৈঠকে উপস্থিত জেলা বিএনপির নেতারা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ছেড়ে দেন।

দলীয় একাধিক নেতার মতে, আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য জোট গঠনের ক্ষেত্রে বিএনপি বগুড়া-২ আসনটি নাগরিক ঐক্যের জন্য ছেড়ে দিতে পারে। ফলে মাহমুদুর রহমান মান্না ধানের শীষের প্রতীকেই প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পেতে পারেন।

স্থানীয় নেতাদের ভিন্নমত

তবে বিএনপির স্থানীয় নেতাদের একাংশ মনে করছেন, এই আসনটি শরিক দলের কাছে ছেড়ে দেওয়া হলে তা সংগঠনের জন্য হতাশাজনক হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি দুর্বল অবস্থানে পড়বে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা নিজেদের প্রার্থীর পক্ষেই অবস্থান নিতে আগ্রহী।

নতুন করে স্নিগ্ধের আবির্ভাব

সম্প্রতি বগুড়া-২ আসনে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। তিনি সম্প্রতি বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন এবং এই আসনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

গত রোববার ৯ নভেম্বর মহাস্থান এলাকা থেকে দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিয়ে স্নিগ্ধ বলেন, ঐতিহাসিক শিবগঞ্জের মহাস্থান থেকেই বিএনপির সঙ্গে তাঁর পথচলা শুরু হলো। তিনি শিবগঞ্জের মানুষের সঙ্গে থাকবেন এবং তাদের জন্য কাজ করবেন।

বিএনপির স্থানীয় নেতাদের মতে, স্নিগ্ধের পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য এবং তরুণ নেতৃত্বের ভাবমূর্তি তাঁকে এলাকায় দ্রুত জনপ্রিয় করে তুলছে। ফলে তিনিও বগুড়া-২ আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় উঠে এসেছেন।


গণভোট নিয়ে টালবাহানা যারা করছেন তারা পালাবেন কোথায়: চরমোনাই পীর

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ১৮:৫৯:১৩
গণভোট নিয়ে টালবাহানা যারা করছেন তারা পালাবেন কোথায়: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম

ক্ষমতাপ্রেমীরা পালাবেন কোথায় বঙ্গোপসাগর ছাড়া জায়গা নেই হুঁশিয়ারি চরমোনাই পীরেরইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, বাংলাদেশে এখন দুই শ্রেণির মানুষ দুই মেরুতে অবস্থান করছে—এক শ্রেণি দেশপ্রেমিক এবং অন্য শ্রেণি ক্ষমতাপ্রেমী। তিনি মন্তব্য করেন, সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার দেশপ্রেমিক ছিল না, তারা ছিল ক্ষমতাপ্রেমী। সেই ক্ষমতাপ্রেমীরাই একপর্যায়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন।

মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে পাঁচটি দাবিতে আটটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ক্ষমতাপ্রেমীদের প্রতি প্রশ্ন ও হুঁশিয়ারি

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম ফ্যাসিস্ট মানসিকতার এবং গণভোট নিয়ে টালবাহানা সৃষ্টিকারীদের প্রতি প্রশ্ন রাখেন। তিনি বলেন যারা ফ্যাসিস্ট হওয়ার চিন্তা করছেন, যারা গণভোট নিয়ে টালবাহানা করছেন—আপনারা পালাবেন কোথায়? আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছে সেই দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। এছাড়া কিন্তু আপনাদের পালানোর কোনো জায়গা নেই।

গণভোট নিয়ে গড়িমসির কারণ

চরমোনাই পীর বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বুঝে গেছে যে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। তিনি গণভোট নিয়ে গড়িমসির কারণ জানতে চান

"যদি আপনাদের উদ্দেশ্য ভালোই হয়ে থাকে, যেখানে আইনি ভিত্তির ব্যাপারে আপনারা একমত পোষণ করেছেন। সেখানে গণভোটে এত গড়িমসি কেন? এটা জাতির কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।"

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে শান্তিপ্রিয় উল্লেখ করে বলেন, বারবার রাস্তায় রোদে আমাদের পোড়াচ্ছেন—আর কত রাস্তায় নামতে হবে?

কঠোর কর্মসূচির ইঙ্গিত

ইসলামী আন্দোলনের আমির কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গণভোটের দাবি আদায় না হলে তাঁরা কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

"এরপর আমরা বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ নিয়ে এমন কর্মসূচি ঘোষণা করবো, আপনি গণভোট নির্বাচনের আগে দিতে বাধ্য হবেন। আমাদের ওই পথে আপনারা হাঁটাবেন না। আমরাও ওই পথে হাঁটতে চাই না।"

তিনি আজকের জাতীয় সমাবেশের মাধ্যমে বারবার অনুরোধ করার কথা জানিয়ে বলেন, এরপরও যদি শুভবুদ্ধির উদয় না হয়, তাহলে পরে কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে।


ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিপক্ষে জোট এনসিপি : হাসনাত আব্দুল্লাহ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ১৮:৪৪:৩৭
ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিপক্ষে জোট এনসিপি : হাসনাত আব্দুল্লাহ
এনসিপির জেলা কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির বা এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, তাঁর দল সংস্কারের পক্ষে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে থাকা দলগুলোর সঙ্গেই নির্বাচনি জোট গঠন করতে পারে। যারা সংস্কারের বিপক্ষে, সংস্কার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং চব্বিশের জনআকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তাদের সঙ্গে এনসিপি'র কোনো নির্বাচনি এলায়েন্স সম্ভব নয়।

মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে জেলা সমবায় ভবনের নবম তলায় এনসিপির জেলা কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

জোটের শর্ত ও ছাড় দেওয়ার কৌশল

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, এনসিপি ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত হয়েছে। তিনি নির্বাচনে এলায়েন্স, গণভোট এবং দেশের সামগ্রিক স্বার্থে এনসিপি সব সময় ছাড় দিয়ে এসেছে বলে জানান।

"সংস্কার, ঐকমত্যের প্রশ্নে যে দলগুলো আসতে চায় তাদের নিয়ে পরবর্তী নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করব।"

তিনি জানান, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে এনসিপির প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে।

আওয়ামী লীগ অপ্রাসঙ্গিক ও নিষিদ্ধের দাবি

আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের লকডাউন প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে এখন অপ্রাসঙ্গিক। তিনি অভিযোগ করেন, পেইড কিছু বুদ্ধিজীবী আওয়ামী লীগের পক্ষে বৈধতা উৎপাদন করেছে।

তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগের পতন নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি। এটি কিন্তু ব্যালটের মাধ্যমে হয়নি যে নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতির মাঠে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে।"

তিনি মন্তব্য করেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে রাজনৈতিক দলের পতন হয়, সেই দলের রাজনীতি করার সুযোগ নেই।

তিনি মনে করিয়ে দেন, আগুন সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও অতীতে ও বর্তমানে কারা করছে—এটা মানুষ জানে।

নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি ও নির্বাচন

হাসনাত আব্দুল্লাহ নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিকে কলুষিত করার বিষয়ে ইঙ্গিত করে মন্তব্য করেন। শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের গডফাদার রাজনীতিতে এই জেলার ইতিহাসকে কলুষিত করেছে। তিনি চান না আর কেউ এ জেলার রাজনীতি কলুষিত করুক।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুসংহত করতে না পারলে আগামী নির্বাচন কোনো অবস্থাতেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদুর রহমান তনুসহ এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।


ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের সব মামলা তুলে নেব মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ১৮:০৫:৫০
ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের সব মামলা তুলে নেব মির্জা ফখরুল
ঠাকুরগাঁওয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : কালবেলা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁর দল প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় এবং ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের মতো মামলা করতে চায় না। তিনি মন্তব্য করেন, যত মামলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আছে, তার সবই তুলে নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের শাপলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত ও পিআর-গণভোট প্রসঙ্গে মন্তব্য

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জামায়াতসহ কয়েকটি দলের ভিন্ন অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, জামায়াত ও কয়েকটি দল জোরজবরদস্তি করে তাদের দাবি মানাতে চায়। তিনি স্পষ্ট করে বলেন:

"তারা পিআর-গণভোট চায়, আমরা এটা বুঝি না। এসব আমরা মেনে নেব না।"

এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপি মহাসচিব পিআর বা সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব এবং গণভোটের সময় নিয়ে জামায়াতের অনড় অবস্থানের সরাসরি বিরোধিতা করলেন।

আওয়ামী লীগ ও লকডাউন বিষয়ে বক্তব্য

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউন প্রসঙ্গে কড়া মন্তব্য করেন এবং দলটির কাছে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।

"আর পাগলামি করবেন না। জনগণের কাছে মাফ চান। এখনো মাফ চাননি।"

তিনি বলেন, "ছোট বাচ্চা-ছেলেগুলোকে গুলি করে মেরেছেন। আমরা প্রতিশোধ-প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাই না। শান্তির রাজনীতি করতে চাই। এজন্য আমরা নির্বাচন চেয়েছি।"

প্রতিশোধের রাজনীতি না করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, "যত মামলা আছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সব মামলা তুলে নেব।"

এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলীসহ জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

মশলা কিনতে এসে দেশ দখল: যেভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি হয়ে উঠেছিল পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাইভেট আর্মি!

মশলা কিনতে এসে দেশ দখল: যেভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি হয়ে উঠেছিল পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাইভেট আর্মি!

কল্পনা করুন এমন একটি প্রাইভেট কোম্পানির কথা, যা এতটাই শক্তিশালী যে সে তার গ্রাহকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে, দেশ... বিস্তারিত