রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি লোডের প্রস্তুতি চূড়ান্ত

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৯:৩৩:০৩
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি লোডের প্রস্তুতি চূড়ান্ত
ছবি: সংগৃহীত

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে জ্বালানি লোডের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে আগামী নভেম্বরেই প্রথম চুল্লিতে জ্বালানি প্রবেশ করানো হবে এবং বছরের শেষ নাগাদ শুরু হতে পারে উৎপাদনের প্রাথমিক ধাপ বা ‘স্টার্ট আপ’ প্রক্রিয়া।

রবিবার (১০ আগস্ট) আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ১৪ সদস্যের প্রি-ওসার্ট মিশন রূপপুর প্রকল্প পরিদর্শন শুরু করেছে। তারা আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি মূল্যায়ন করবেন। আইএইএ-এর চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পরই জ্বালানি লোডিং কার্যক্রম শুরু হবে।

প্রকল্পের সাইট ডিরেক্টর প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, নভেম্বরে জ্বালানি লোডের লক্ষ্যে নিরাপত্তামূলক সব পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে ‘হট ও কোল্ড টেস্ট’সহ অধিকাংশ পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তার মতে, চুল্লিতে জ্বালানি প্রবেশ করানোর ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে, এবং প্রায় তিন মাস পর জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ দেওয়া যাবে।

প্রকল্প পরিচালক ড. কবির হোসেন বলেন, আইএইএ-এর মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনুমোদন পেলে উৎপাদনমুখী ধাপে অগ্রসর হওয়া যাবে।

পুরো সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে পৌঁছাতে আরও ১০ থেকে ১১ মাস সময় লাগবে। ফলে জাতীয় গ্রিডে ১,২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পূর্ণমাত্রায় সরবরাহ শুরু হতে পারে ২০২৬ সালের শুরুতে।

রাশিয়ার কারিগরি সহায়তা ও অর্থায়নে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ১২.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভিভিইআর-১২০০ মডেলের দুটি চুল্লির প্রথমটির উৎপাদন শুরুর নির্ধারিত সময় ছিল ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর। তবে নানা জটিলতার কারণে সময়সীমা তিন বছর বাড়িয়ে প্রথম ইউনিটের হস্তান্তর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর।

/আশিক


যশোরে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৮:৩৩:৩৯
যশোরে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

যশোরে চাঁদা দাবি নিয়ে যুবদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে নারীকে মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৌর যুবদলের এক নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি তারেক হোসেন চুন্নু এবং নগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবসহ সহযোগীরা তিন লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ওই নারীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছেন। এ সময় ওই নারী শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারী রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘটনা জানান। তার বক্তব্য অনুযায়ী, সংসার চালানোর জন্য তিনি চারটি ইজিবাইক ভাড়া দেন। গত বছরের আগস্ট থেকে তারেক হোসেন চুন্নু নিয়মিত তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় গত ৪ আগস্ট বিকেলে তারেক হোসেন চুন্নু ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রসহ বাড়িতে ঢুকে হামলা চালান। হামলার সময় তার শ্লীলতাহানি করা হয় এবং ঘর তল্লাশি করে ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে তার ছেলে রাকিবকে মারধর করে আহত করা হয় এবং ১১ মাস বয়সী শিশু সন্তানের গলায় চাকু ধরে বাকি টাকা দাবি করা হয়। শিশুর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে অনেক হামলাকারী পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা কয়েকজনকে হাতেনাতে ধরে রাখলেও পরবর্তীতে চুন্নুর নেতৃত্বে প্রায় ৩০-৪০ জন ফের বাড়িতে এসে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ঘটনাকে অন্য পথে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগী ওই নারী ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে তিনি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চাননি, পরে নিলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা হয়নি। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় তার মোবাইল ফিরিয়ে পায়। বর্তমানে নারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।

অভিযুক্তরা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, ওই নারী অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার কারণে পুলিশ তাকে আটক করেছিল, এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

যশোর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম তমাল আহমেদ বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দলের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, পদ ব্যবহারের মাধ্যমে কেউ অপকর্ম করলে কঠোর শাস্তি পাবে, যেই হোক না কেন।

কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

/আশিক


তিন দাবিতে বরিশালে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ, দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৮:২৩:১৯
তিন দাবিতে বরিশালে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ, দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
সেনাবাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। ছবি: সমকাল

বরিশালের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে তিন দফা দাবিতে ১৪ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তারা স্বাস্থ্যখাত সংস্কারসহ বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে সেবার মান উন্নয়নের দাবি করছে। প্রতিবাদীদের ওপর সেনাবাহিনী বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ হয়, কিন্তু তারা বাধা অগ্রাহ্য করে অবরোধ অব্যাহত রেখেছে। অবরোধের কারণে বরিশাল ও পাশ্ববর্তী পাঁচ জেলা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নিয়োগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদারকি বাড়িয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা, চিকিৎসকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ও ডিজিটাল অটোমেশন ও স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক টাস্কফোর্স গঠনসহ স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম জোরদার করার দাবি জানানো হয়েছে।

আজ সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা সেখানে পৌঁছালে সেনাবাহিনী বাধা দিতে গেলে ধাক্কাধাক্কি হয়। আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে জিরো পয়েন্টে বসে স্লোগান দেন এবং অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বিকেলে নথুল্লাবাদ গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দাবিগুলো মানতে হবে, না হলে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগের আন্দোলন শুরু হবে।

আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহিউদ্দিন রণি, যিনি রেলওয়ের অব্যবস্থার বিরুদ্ধে এককভাবে আন্দোলন শুরু করে দেশজুড়ে আলোচিত হয়েছেন। রণি জানান, তারা গত ১৪ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালাচ্ছেন, কিন্তু পুলিশ ও সেনাবাহিনী বিনা উসকানিতে তাদের ওপর আক্রমণ করেছে। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ যেভাবে কোনো আন্দোলনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, সেই নিয়মে আমাদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে।’

/আশিক


রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলনে গান গাইলেন পলকের ভগিনীপতি

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৮:১৫:৪৩
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলনে গান গাইলেন পলকের ভগিনীপতি
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলন মঞ্চে গান গেয়ে বিতর্কে জড়ালেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ফুফাতো ভাই, কণ্ঠশিল্পী গৌরব হোসেন তুষার। বিএনপির অনুষ্ঠানগুলিতে প্রায়শই তাকে গান গাইতে দেখা যায়, কিন্তু বিষয়টি দলের তৃণমূল থেকে কঠোর প্রতিবাদের মুখে পড়েছে।

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫ আগস্ট জেলা ও মহানগর বিএনপির আয়োজনে গৌরব গান পরিবেশন করেন। সর্বশেষ রোববার (১০ আগস্ট) মহানগর বিএনপির সম্মেলনে তাকে আবারও মঞ্চে দেখা গেছে। রাজশাহী শহরের বাসিন্দা গৌরবের শ্বশুরবাড়ি নাটোরের সিংড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গৌরবের স্ত্রী সেতু সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের ফুফাতো বোন। পলক প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে গৌরবকে ‘নগদ’ সংস্থায় চাকরি দিয়েছিলেন।

গৌরবের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, তার অসংখ্য ছবি রয়েছে পলকের সঙ্গে। ২০১৮ সালে তিনি ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিন’ লেখা সহ একটি ছবিও পোস্ট করেন, যেখানে আওয়ামী লীগের প্রতীক ছিল। ২০১৯ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পলকের একটি ছবি পোস্ট করে গৌরব কবিতাও লিখেছেন পলককে নিয়ে। এছাড়া পলক তার বিভিন্ন মিউজিক ভিডিও শেয়ার করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

গণঅভ্যুত্থানের পর পালিয়ে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামকেও ‘প্রগতিশীল পুলিশ কর্মকর্তা’ হিসেবে গৌরব শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

রোববার রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দান সংলগ্ন বিএনপির সম্মেলনে গৌরবের উপস্থিতি তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। এক নেতা জানান, গৌরবের পুরো পরিবারই আওয়ামীপন্থী এবং তার স্ত্রী সেতু রাজশাহী আর্ট কলেজের শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন পলকের মাধ্যমে। গৌরব বিএনপির মঞ্চে গান গাইবেন তা কেউ ভাবেননি।

বিএনপির নেতাকর্মী জসিম উদ্দিন ফেসবুকে লিখেছেন, গৌরব একজন কট্টর আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং পলকের অর্থায়নে অনেক মিউজিক ভিডিও করেছেন। তার স্ত্রীও আওয়ামী লীগের প্রভাব কাজে লাগিয়ে চাকরি নিয়েছেন। এমন একজন কণ্ঠশিল্পীকে বিএনপির মঞ্চে দেখে অনেকেই বিস্মিত।

গৌরব ও বিএনপির সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা ফোনে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

/আশিক


সিলেটের এসএসসির পুনঃনিরীক্ষণে নতুন আশা, ৬৩৬ পত্রে ফল বদল

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৬:৪৮:৩০
সিলেটের এসএসসির পুনঃনিরীক্ষণে নতুন আশা, ৬৩৬ পত্রে ফল বদল
ছবি: সংগৃহীত

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফলে নতুন করে ৩০ শিক্ষার্থী পাস করেছেন এবং ২২ জনের জিপিএ-৫ এসেছে। রবিবার (১০ আগস্ট) সকালেই সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশিত হয়।

জানা গেছে, ১০ জুলাই প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের পর ১৭ হাজার ৬৮১ শিক্ষার্থী মোট ৩৪ হাজার ৯২০টি পত্রের পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেন। পর্যালোচনার পর ৩৪ হাজার ৯২০ পত্রের মধ্যে ৬৩৬টি উত্তরপত্রে পরিবর্তন আসে। এতে ২২১ জনের জিপিএ পরিবর্তিত হয়।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর তরিকুল ইসলাম জানান, পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থীর ফলাফল সংশোধিত হয়েছে। নতুন করে ৩০ জন পাস এবং ২২ জন জিপিএ-৫ পেয়ে ফলাফলে উন্নতি লাভ করেছেন। তিনি জানান, এই ফলাফল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতি বোর্ডের দায়বদ্ধতা প্রকাশ পায়।

/আশিক


 সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও অব্যাহত হরিণ শিকার ও অবৈধ মাংস বিক্রি

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৬:৩৬:৩৫
 সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও অব্যাহত হরিণ শিকার ও অবৈধ মাংস বিক্রি
ছবি: সংগৃহীত

সুন্দরবনে মাছের প্রজনন মৌসুমে বন প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চোরা শিকারিদের অবাধ কার্যক্রম থামছে না। খুলনার দাকোপ ও আশপাশের এলাকায় নিয়মিতভাবে হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর মাংস বিক্রি হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। শিকারিরা ফাঁদ পেতে ও বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে বনে প্রবেশ করে হরিণ শিকার করে থাকেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম অংশ ঘেঁষা খুলনার দাকোপ উপজেলার সুতারখালী, কালাবগী, নলিয়ান, কৈলাশগঞ্জ, বানিশান্তা, ঢাংমারী এবং মোংলার চিলা, বাঁশতলা, মোরেলগঞ্জ ও শ্যামনগর এলাকার গ্রামগুলোতে একাধিক হরিণ শিকারি চক্র সক্রিয় রয়েছে। এরা বনবিভাগের নজর এড়িয়ে লম্বা ফাঁদ, জালসহ অন্যান্য উপায়ে হরিণ শিকার করেন।

শিকার করা হরিণের মাংস জীবিত অবস্থায় বা জবাই করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়। প্রতি কেজি হরিণের মাংসের দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত, যা গরু বা খাসির মাংসের চেয়ে কম হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও এর চাহিদা রয়েছে। জেলা শহরে এই মাংসের দাম আরও বেশি। কিছু ধনী ব্যক্তি উৎসব, আপ্যায়ন কিংবা উপহারের জন্যও হরিণের মাংস সংগ্রহ করেন।

কালাবগীর বাসিন্দা মো. সালাম মোল্যা জানান, অমাবস্যা ও পূর্ণিমার রাতে শিকারিরা সুন্দরবনে প্রবেশ করে হরিণ শিকার করেন। শিকার প্রতিরোধে কেউ মুখ খুললে স্থানীয় প্রভাবশালী ও জনপ্রতিনিধিদের রোষানলে পড়েন। শুধু হরিণ নয়, সজারুসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীও এই শিকারিদের হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত নয়।

সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী সাংবাদিক শুভ্র শচীন জানান, বাঘ শিকার কিছুটা কমলেও হরিণ শিকার অব্যাহত রয়েছে, যা বাঘের প্রধান খাদ্য। মাঝে মাঝে হরিণের মাংস ও চামড়া উদ্ধার হলেও শিকারিদের মূল হোতারা ধরে ফেলা যায় না। যারা ধরা পড়ে, দুর্বল আইনের সুযোগ নিয়ে আবার শিকার কাজে জড়ায়।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বলেন, মাছের প্রজনন মৌসুমে বনে প্রবেশ নিষেধ থাকলেও কিছু চোরা শিকারি ঢুকে পড়ছে। তবে তুলনামূলকভাবে শিকার কমেছে। কম জনবল দিয়ে এত বড় বন রক্ষা করা চ্যালেঞ্জের, তবে অভিযান ও টহল অব্যাহত রয়েছে।

/আশিক


মায়ের অসুস্থতার প্রমাণ মেলেনি, আনিসার পরীক্ষায় বসার সুযোগ বাতিল

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৪:৫৮:০৬
মায়ের অসুস্থতার প্রমাণ মেলেনি, আনিসার পরীক্ষায় বসার সুযোগ বাতিল
পরীক্ষা দিতে এসে হলে প্রবেশ করতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন আনিসা আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম দিনের বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী আনিসা আহমেদকে বিশেষ সুযোগ দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। তদন্তে তার দেওয়া ঘটনার বিবরণে প্রমাণ না মেলায় পূর্বের দেওয়া আশ্বাসও বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

গত ৭ আগস্ট সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে এক ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছানোর পর পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে কেঁদে ফেলেন আনিসা। তিনি দাবি করেছিলেন, মায়ের স্ট্রোক হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নিতে হয়েছিল, যার ফলে দেরি হয়েছে। এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে তার পক্ষে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান। প্রাথমিকভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বোর্ড এ বিষয়ে সম্মতিও জানায়।

পরে ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করতে শিক্ষা বোর্ড ও সরকারি বাঙলা কলেজ—দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে আনিসার দাবি অনুযায়ী কোনো প্রমাণ মেলেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি ও হঠাৎ অসুস্থ হওয়ার তথ্যও সত্য বলে প্রমাণিত হয়নি।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম পত্রে অনুপস্থিত থাকা পরীক্ষার্থী দ্বিতীয় পত্রে ৬৬ নম্বর পেলেই দুই পত্রে পাস হিসেবে গণ্য হবে। আনিসার ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান জানান, তদন্ত কমিটি হাসপাতালের নথি যাচাই করে সত্যতা পায়নি। তবে আনিসা যদি বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ৬৬ নম্বর পায় এবং অন্য সব বিষয়ে পাস করে, তাহলে তার ফলাফলে পাস দেখানো হবে।

বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার এহসানুল কবিরও নিশ্চিত করেছেন যে, এ বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই এবং নিয়ম অনুসারেই ফল নির্ধারণ হবে।

/আশিক


উত্তরবঙ্গে রাজশাহী ও দক্ষিণে বরিশাল-খুলনায় বিপিএল ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা: আসিফ মাহমুদ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ২১:৪১:৩৩
উত্তরবঙ্গে রাজশাহী ও দক্ষিণে বরিশাল-খুলনায় বিপিএল ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা: আসিফ মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বাংলাদেশের তিনটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও বিপিএল আয়োজন করা হয়। তবে এখন এই কার্যক্রমকে বিকেন্দ্রীকরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গে রাজশাহী স্টেডিয়াম এবং দক্ষিণবঙ্গে বরিশাল বা খুলনা স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বিসিবির দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা রাজশাহী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন এবং সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা যাচাই করেছেন। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে রাজশাহী স্টেডিয়ামে বিপিএলের কয়েকটি ম্যাচ আয়োজন সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শনিবার বিকেলে রাজশাহী বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শনকালে এসব কথা জানান তিনি। একইদিনে রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন।

পরিদর্শনকালে যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

/আশিক


অন্তর্বর্তী সরকারের আট উপদেষ্টার দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ আছে:সাবেক সচিব সাত্তার

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১২:১৮:১৫
অন্তর্বর্তী সরকারের আট উপদেষ্টার দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ আছে:সাবেক সচিব সাত্তার
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এ বি এম আব্দুস সাত্তার দাবি করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার দুর্নীতি সীমাহীন এবং এ সংক্রান্ত প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। তিনি বলেন, এই উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ বা বদলি করা হয় না।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও আগামী দিনের জনপ্রশাসন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব মন্তব্য করেন আব্দুস সাত্তার। তিনি বর্তমানে অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি। এই সেমিনার আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এতে প্রশাসন ক্যাডারের শীর্ষ পদে থাকা প্রায় সব কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুস সাত্তার বলেন, “একজন উপদেষ্টার এপিএসের অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা থাকার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এমন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় অনভিজ্ঞ উপদেষ্টাদের হাতে দেওয়া হয়েছে, যা প্রশ্নবিদ্ধ।”

তিনি আরও জানান, গত এক বছরে দুর্নীতি কমার বদলে বেড়েছে। এক সহকারী কমিশনার (ভূমি) একটি স্কুলের জমির নামজারির জন্য ৩০ লাখ টাকা চেয়েছেন। ঢাকার আশপাশের একজন ইউএনও একটি কারখানার লে-আউট পাশ করার জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেছেন।

আব্দুস সাত্তার জানান, তিনি একটি রাজনৈতিক দলের অফিসে কাজ করেন। গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে সেখানে হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ভিড় করছেন। তার বস তারেক রহমান তাকে বলেছেন, “কারা এরা? তারা কেন আসে?” তিনি জানান, আসলে তারা গত ১৫ বছর সরকারের বঞ্চনায় ভোগা মানুষ, যারা ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য এসেছে। কিন্তু দলীয় অফিসে ইন-সার্ভিস কর্মকর্তাদের আসা ভাল লক্ষণ নয় বলে নির্দেশ পেয়েছেন।

তিনি বলেন, “আমলাদের চরিত্র খারাপ হয়ে গেছে বলে হতাশ। জুলাই আন্দোলনের রক্তের ওপর বসে থাকা আটজন উপদেষ্টার দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ আমি দিতে পারব। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এদের বিরুদ্ধে প্রমাণ রয়েছে, তবে কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

সেমিনারে বিগত সরকারের ১৫ বছরের প্রশাসনিক দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে তীব্র আলোচনা হয়। কর্মকর্তারা কিভাবে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। আগামীতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ না করার আহ্বান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কানিজ মওলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা লাসনা কবির ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাফিউল ইসলামসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

সেমিনারে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকত এবং শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের পরিবারের সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেন। সরকারি কর্মকমিশনের সচিব সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম।

/আশিক


 রাজশাহীতে ১২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১২:০০:৩৭
 রাজশাহীতে ১২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী জেলায় ১২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে রাজশাহী জেলা সার্কিট হাউজে ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পগুলো উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

এই অনুষ্ঠানে ৯টি প্রকল্প উদ্বোধন এবং ৩টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। উদ্বোধনকৃত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে পবা উপজেলার হরিপুর হাটের নতুন মার্কেটের দ্বিতীয় তলা, বাঘা উপজেলার চক ছাতারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন (চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায়), রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারতলা ভবন, মোহনপুর উপজেলার ধোরসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন (চাহিদা ভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্প-পর্যায়-১), গোদাগাড়ী উপজেলার সোনাদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, রাজশাহী নগরের হড়গ্রাম নতুনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলা, রাজশাহী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, গোদাগাড়ী উপজেলার পান্তাপাড়া-ভাগাইল ৭২ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ, এবং চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া-হাবিবপুর খালের পলি অপসারণ কাজ।

এছাড়া তানোর উপজেলার কাশিম বাজার থেকে বায়া রাস্তার প্রশস্তকরণ ও শক্তিকরণ, বাগমারা উপজেলার একতলা ভূমি অফিস এবং বাগমারা উপজেলার বীরকৎসা হাটের দুইতলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসি, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম, পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানসহ স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সকাল ৮টার দিকে বিমানযোগে রাজশাহীতে পৌঁছান। সার্কিট হাউজে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশগ্রহণের পর তিনি এসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি নাটোরের উদ্দেশে রওনা দেন, যেখানে নাটোর সদরের মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন ও জেলা পরিষদে আলোচনা সভায় অংশ নেবেন। পাশাপাশি তিনি নাটোর সার্কিট হাউজে এলজিইডির কাজের উদ্বোধন করবেন। পরে রাজশাহী ফিরে ঢাকায় যান।

উপদেষ্টা জানান, বিকেলে রাজশাহীতে ফিরে বিভাগীয় স্টেডিয়াম পরিদর্শন করবেন এবং সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।

/আশিক

পাঠকের মতামত: