এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে কোনো মায়ের কোল খালি হবে না: ফরিদা আখতার

ঢাকার উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরোবরে সোমবার (৪ আগস্ট) উদ্বোধন হলো ‘মুগ্ধ মঞ্চ’—জুলাই আন্দোলনের বীর শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর স্মৃতিতে নির্মিত এই মঞ্চে উঠে এলো গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও প্রতিবাদের বার্তা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, “জুলাই থাকবে— মীর মুগ্ধ মঞ্চ সেই বার্তাই দিচ্ছে। এটি মনে করিয়ে দেয়, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা বাংলাদেশে টিকতে পারবে না।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১৫-১৭ বছর মানুষ কথা বলতে পারেনি। কিন্তু এর মানে এই নয় যে জনগণ ভবিষ্যতেও নীরব থাকবে বা শাসকগোষ্ঠী চ্যালেঞ্জ ছাড়াই ক্ষমতায় থাকবে। এই মঞ্চ সেই প্রতিবাদের প্রতীক।”

শহীদদের পরিবারকে সম্মান জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে কোনো মা সন্তান হারাবে না, কোনো বাবা সন্তানের লাশ বহন করবে না।” পুলিশ বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা এমন পুলিশ চাই না, যারা বুকে গুলি চালায়। আমরা প্রতিবাদ করব, আন্দোলন করব।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি বলেন, “মুগ্ধ মঞ্চ হবে এমন একটি গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফরম, যেখানে রাজনৈতিক গবেষণা, মুক্ত বিতর্ক এবং সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশ ঘটবে। গণতন্ত্র চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হলো গণপরিসর। এ জন্য সব অবৈধ দখল সরিয়ে নাগরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”

শহীদ মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। তিনি বলেন, “আমরা পুরনো বাংলাদেশে ফিরতে চাই না। নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য যা দরকার, আমরা তা করব।”

জুলাই আন্দোলনে আহত আব্দুল আজিজ বলেন, “আমাদের ওপর টার্গেট করে গুলি চালানো হয়েছিল। যেসব পুলিশ সদস্য গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, তাদের এক মাসের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

/আশিক