সিলেটে ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে ছাত্র সংগঠনের নেতারা মামলার মুখে

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৫ ০৯:২৫:৫৩
সিলেটে ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে ছাত্র সংগঠনের নেতারা মামলার মুখে

সত্য নিউজ:সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভ্যন্তরেই তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। একই সংগঠনের নারী নেত্রী সুমাইয়া আক্তার মামলা করেছেন সংগঠনের চার নেতার বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে। ঘটনাটি ইতোমধ্যে সামাজিক এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন তুলেছে।

সিলেট জেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক সালমান আহমদ ওরফে খুরশেদ, যুগ্ম সদস্যসচিব ফখরুল হাসান এবং রেদোয়ার মুনসি এই চারজনের বিরুদ্ধে বুধবার (১৩ মে) সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে মামলা করেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমাইয়া আক্তার।

সুমাইয়ার দাবি, গত ৭ মে তিনি অপহরণ, খুন ও ধর্ষণের হুমকি পান ওই চারজনের কাছ থেকে। শুধু হুমকি নয়, ১০ মে তাঁর ওপর সরাসরি হামলার ঘটনাও ঘটে বলে জানান তিনি। ঘটনার পর তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন এবং পরে আদালতের শরণাপন্ন হন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ওয়াহিদুর রহমান জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি থানার তদন্ত কর্মকর্তাকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম দাবি করেন, “রেদোয়ার মুনসি আমাদের কমিটির কেউ নন। পুরো ঘটনাটি সাজানো। অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিকভাবে আমাদের সামাজিকভাবে হেনস্তা করতেই এমনটা করা হয়েছে।”

ট্যাগ: সিলেট

গান নিয়ে মন্তব্যের জেরে বাউল ও তৌহিদি জনতার সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মানিকগঞ্জ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১৭:০৯:৪৪
গান নিয়ে মন্তব্যের জেরে বাউল ও তৌহিদি জনতার সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মানিকগঞ্জ
আহত বাউলশিল্পী ও পুকুরের পানিতে ঝাঁপ দেওয়া এক ব্যক্তি। ছবি : কালবেলা

মানিকগঞ্জে তৌহিদি জনতার সঙ্গে বাউল শিল্পীদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে এবং এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। রোববার ২৩ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে পৌরসভার দক্ষিণ সেওতা এলাকায় বিজয় মেলার মাঠের পশ্চিম পাশে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। ইসলাম ধর্মকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বাউল শিল্পী আবুল সরকারের শাস্তি ও মুক্তির দাবিতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেন তৌহিদি জনতা ও বাউল শিল্পীরা। এ সময় তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় থেকে একপর্যায়ে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার সূত্রপাত হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ সকাল ৯টার দিকে তৌহিদি জনতার ব্যানারে আবুল সরকারের শাস্তির দাবিতে সহস্রাধিক মানুষের একটি বিক্ষোভ মিছিল বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে বিজয় মেলার মাঠের সামনে গিয়ে সমাবেশ শুরু করে। ঠিক একই সময় শিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে তাঁর অনুসারী বাউলরা বিজয় মেলার মাঠের ভেতরে শহীদ মিনার চত্বরের কাছে সমবেত হন। একপর্যায়ে তৌহিদি জনতার সমাবেশ থেকে একটি অংশ বাউল শিল্পীদের ধাওয়া দেয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাউল শিল্পীরা পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে ওপারে গিয়ে আশ্রয় নেন এবং সেখান থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এই সংঘর্ষে আহতরা হলেন আবুল সরকারের সমর্থক শিবালয় উপজেলার সাঁকরাইল গ্রামের আবুল আলিম হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা এলাকার জহুরুল এবং সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম। এছাড়া তৌহিদি জনতার মওলানা আব্দুল আলীম নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষকও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম অ্যান্ড অপস মো. আব্দুল আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান ঘটনাস্থলের পাশেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। সে কারণে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় এক গানের আসরে ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে বাউল শিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই গ্রেপ্তারের রেশ ধরেই রোববারের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।


ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে এক ভবনের ওপর হেলে পড়ল আরেকটি ভবন,এলাকায় চরম আতঙ্ক

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১৬:৪০:১১
ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে এক ভবনের ওপর হেলে পড়ল আরেকটি ভবন,এলাকায় চরম আতঙ্ক
বরিশালে হেলে পড়া ভবন। ছবি : কালবেলা

বরিশাল নগরীর চারতলা একটি ভবনের ওপর হেলে পড়েছে আরেকটি ভবন। স্থানীয়দের দাবি তিন দিন পূর্বে ভূমিকম্পের কারণে চারতলা ভবনটি হেলে পড়েছে যা নজরে আসে রোববার ২৩ নভেম্বর সকালে। নগরীর বেলতলা এলাকায় মাহামুদিয়া মাদ্রাসা সংলগ্নে এ ঘটনাটি ঘটে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে ভবন হেলে পড়ার বিষয়ে দুই ভবনের মালিক একে অপরকে দায়ী করছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের স্থপতি সাইদুর রহমান লুসান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গত ১৪ বছর পূর্বে বেলতলা মাহমুদিয়া মাদ্রাসার পাশে বরিশাল সিটি করপোরেশন থেকে চারতলা ভবনের অনুমতি নিয়ে সাড়ে ৪ তলা ভবন নির্মাণ করেন স্থানীয় আব্দুল মোতালেব হাওলাদার। একই স্থানে গত এক বছর পূর্বে প্ল্যান অনুযায়ী চারতলা ভবন করেন জাহির হাওলাদার নামের আরেকজন। দুটি ভবনেই মালিক এবং ভাড়াটিয়ারা বসবাস করেন।

প্রতিবেশী মো. দুলাল বলেন সকালে রাস্তায় বের হওয়ার পর হঠাৎ করেই চোখ যায় পাশাপাশি দুটি ভবনের দিকে। তিনি দেখতে পান একটি ভবন আরেকটির ওপর হেলে পড়ে আছে। এরপর আস্তে আস্তে এলাকার মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। প্রতিবেশী হারিছুর রহমান স্বপন এবং সাইফুল ইসলাম বলেন ভবন দুটি যেখানে নির্মাণ করা হয়েছে একসময় সেখানে ডোবা ছিল এবং মানুষ ময়লা আবর্জনা ফেলত। রোববার সকালে হঠাৎ করেই দেখতে পান একটি ভবন আরেকটির ওপর হেলে পড়েছে। এতে পুরোনো ভবনের স্যানেটারির পাইপ ফেটে একে দেয়ালের সাথে আরেক দেয়াল মিশে গেছে।

তাঁরা অভিযোগ করেন ভবন নির্মাণে অনিয়ম হয়েছে এবং বিল্ডিং কোড মানা হয়নি। দুই ভবনের মাঝে আড়াই ফুট জায়গা রাখার বিধান থাকলেও এ দুটি ভবনের ক্ষেত্রে সেটা মানা হয়নি। মজুতভাবে নির্মাণ না হওয়ায় ভবন হেলে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

চারতলা নতুন ভবনের মালিক জহির হাওলাদারের ছেলে মো. ফাকের হাওলাদার বলেন আমাদের ভবন নির্মাণ হয়েছে মাত্র এক বছর আগে। প্ল্যান অনুযায়ী চারতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পাশের ভবনটি ১৪ বছর আগে নির্মাণ করা এবং ওই ভবনটিই আমাদের ভবনের ওপর হেলে পড়েছে। এটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানান তিনি।

অপরদিকে হাওলাদার ভিলার মালিক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার বলেন সকালে বাসা থেকে বের হয়ে দেখি আমার ভবনের ওপর নতুন নির্মাণ করা চারতলা ভবনটি হেলে পড়েছে। হতে পারে গত ২২ নভেম্বর সকালে ভূমিকম্পের সময় ভবনটি হেলে পড়েছে। বিষয়টি সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়েছে তারা এসে ব্যবস্থা নেবেন। তবে ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড না মানা এবং প্ল্যান বহির্ভূতভাবে সাড়ে চারতলা ভবন নির্মাণের বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি আব্দুল মোতালেব।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের বা বিসিসির আর্কিটেক বা স্থপতি সাইদুর রহমান লুসান গণমাধ্যমকে বলেন একটি ভবন আরেকটির ওপর হেলে পড়ার খবরটি রোববার সকালেই সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ভবন দুটি পাশাপাশি হওয়ায় কোন ভবনটি হেলে পড়েছে তা তদন্ত না করে বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ শাখা কাজ করছে। এরই মধ্যে তারা তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলেছে। নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করা হবে। তবে মানুষ সচেতন না হলে কোনোভাবেই ভূমিকম্পের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা।


বহুমুখী যেসব কর্মসূচিতে রাজধানী সরগরম

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১০:৩৫:২০
বহুমুখী যেসব কর্মসূচিতে রাজধানী সরগরম
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় রবিবার (২৩ নভেম্বর) নানামুখী কর্মসূচির কারণে সড়কে চাপ বাড়তে পারে। সরকারি দফতর, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনের দিনব্যাপী কর্মসূচি থাকায় সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার আগে নাগরিকদের পরিকল্পনামাফিক চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন ট্রাফিক কর্মকর্তারা। দিনজুড়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান বসবে ঢাকা শহরের কেন্দ্রীয় স্থাপনাগুলোতে।

দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক–কূটনৈতিক কর্মসূচি বিকেলে বঙ্গভবনে। সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন বাংলাদেশ সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। দুই দেশের উন্নয়ন সহযোগিতা, পারস্পরিক সম্পর্ক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিকেল ৩টায় রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈমান খতিব সম্মেলন। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা খতিব, আলেম ও ধর্মীয় নেতাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ সম্মেলন ঘিরে এলাকাজুড়ে বাড়তে পারে যানজট।

বিএনপি নেতাদেরও আজ একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। সকাল ১০টায় ভাসানী মিলনায়তনে দোয়া মাহফিলে যোগ দেবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এরপর বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন। দিনের প্রথমভাগেই রিজভীর পরপর দুটি কর্মসূচি থাকায় প্রেস ক্লাব ও পল্টন এলাকায় জনসমাগম বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একই সময়ে পিজি হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আরেকটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। অন্যদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত আরেক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদীন ফারুক।

বিকেলে রাজনৈতিক মাঠে নেমে আসবে যুবদল। বিকেল সাড়ে ৩টায় নিউমার্কেট থানা যুবদলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। কাটাবন ঢাল থেকে শুরু হওয়া গণসংযোগে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম।

এ ছাড়া বেলা ১১টায় শাহবাগের আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সংবাদ সম্মেলন। আসন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও দলের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

-রফিক


বায়ুদূষণে আবারও বিপজ্জনক ঢাকার বাতাস

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১০:২৭:১৫
বায়ুদূষণে আবারও বিপজ্জনক ঢাকার বাতাস
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের নানা শহরে দ্রুত বাড়ছে বায়ুদূষণ, আর দীর্ঘদিন ধরেই তার অন্যতম শিকার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। কিছুদিন আগে বৃষ্টির কারণে বায়ুমান সাময়িকভাবে উন্নতি হলেও গত কয়েকদিনে আবারও বেড়েছে দূষণের মাত্রা। রবিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ার প্রকাশিত সূচকে ঢাকার একিউআই স্কোর দাঁড়িয়েছে ২০২, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত।

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান এখন চতুর্থ। এই স্কোর অনুযায়ী রাজধানীর বাতাসে উপস্থিত দূষণকণা অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাত্রার বায়ুদূষণে শিশু, প্রবীণ ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে কার্যক্রম যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

আইকিউএয়ারের একই সময়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ৪১৪ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। দ্বিতীয় স্থানে ৩৭০ স্কোর নিয়ে কলকাতা, তৃতীয় স্থানে পাকিস্তানের করাচি (২২৭), আর পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের লাহোর শহর (১৯৬)। দক্ষিণ এশিয়ার শহরগুলোতে শীতের শুরু থেকেই বায়ুদূষণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকে—ফলে দূষণের তালিকায় এই অঞ্চল প্রায়ই শীর্ষস্থানে উঠে আসে।

বায়ুমান সূচক (AQI) অনুযায়ী—

০–৫০: ভালো

৫১–১০০: মাঝারি

১০১–১৫০: সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর

১৫১–২০০: অস্বাস্থ্যকর

২০১–৩০০: খুব অস্বাস্থ্যকর

৩০১–৪০০: ঝুঁকিপূর্ণ

ঢাকার বর্তমান স্কোর ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ স্তরে পড়ে, যেটি নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাপন ও স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি। শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা, অ্যাজমা, কাশি, চোখ জ্বালাপোড়া, হৃৎরোগের মতো সমস্যা বাড়তে পারে।


আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভূমিকম্পের খবর

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২২ ১২:৩৫:২৯
আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভূমিকম্পের খবর
ছবিঃ সংগৃহীত

গাজীপুরের বাইপাইল এলাকায় ৩ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শনিবার ২২ নভেম্বর সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে এই ভূকম্পনের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বা বিএমডির কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার দেশজুড়ে বড় ধরনের ঝাঁকুনির রেশ কাটতে না কাটতেই পরদিন সকালেই আবারও এই কম্পন অনুভূত হলো। এর আগে শুক্রবার ২১ নভেম্বর দেশের বিভিন্ন এলাকায় একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। বিএমডি জানিয়েছে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রেকর্ড করা সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। ওই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী যা ঢাকার আগারগাঁও সিসমিক সেন্টারের প্রায় ১৩ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।

পরপর দুই দিন ভূমিকম্পের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। শনিবারের ভূমিকম্পটি শুক্রবারের তুলনায় কম মাত্রার হলেও ভূতাত্ত্বিকরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।


মাটির নিচে তিন প্লেটের সংযোগস্থলে থাকা চট্টগ্রাম যেভাবে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২২ ১১:৩২:৫৮
মাটির নিচে তিন প্লেটের সংযোগস্থলে থাকা চট্টগ্রাম যেভাবে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে নগরীর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে এবং প্রাণহানি লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের তিনটি প্রধান টেকটনিক প্লেট বার্মিজ ইন্ডিয়ান বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান ও বাংলাদেশ মিয়ানমার বা ইউরেশিয়ান অত্যন্ত নিকটবর্তী হওয়ায় এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিয়ম নীতি না মেনে গড়ে ওঠা বিপুলসংখ্যক বহুতল ভবন যা মাত্র ৬০ বর্গমাইলের পুরো নগরীকেই দারুণ ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

শুক্রবার ২১ নভেম্বর সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। নজিরবিহীন এই ঝাঁকুনিতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং নড়েচড়ে বসেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে বাংলাদেশের চারদিকে অবস্থানরত সক্রিয় টেকটনিক প্লেটগুলো অস্বাভাবিক গতিশীল। চট্টগ্রাম নগরীর ভূগর্ভেও একটি মাইনর টেকটনিক প্লেট সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। প্লেটগুলোর ধারাবাহিক নড়াচড়ার কারণে ২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ২১২ বার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। একই সময়ে নগরীতে অনুমোদনহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা বেড়েছে কয়েক হাজার।

চুয়েটের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন চট্টগ্রামের বহু ভবনের বয়স ৫০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে। এগুলোর প্রায় ৭৫ শতাংশই ঝুঁকিপূর্ণ। নতুন অনেক ভবনও ভূমিকম্প প্রতিরোধী নকশা ছাড়া নির্মাণ করা হচ্ছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা সিডিএ জানায় নগরীতে বর্তমানে ৪ লাখ ১ হাজার ৭২১টি বহুতল ভবন রয়েছে। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৪৮০টি ভবনের উচ্চতা ৬ থেকে ১০ তলা আর ৪৮৪টি ভবন ১০ তলার বেশি। অনেক ভবনে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা হয়নি। উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় নির্মাণসামগ্রী দ্রুত ক্ষয়প্রবণ হওয়া এবং সংকীর্ণ সড়কগুলো দুর্ঘটনার সময় উদ্ধারকাজে বড় বাধা হতে পারে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার এবং সাগরের নিকটে হওয়ায় নির্মাণসামগ্রীর কিউরিং প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় ভবনগুলো আরও দুর্বল হয়ে পড়ে।

পরিসংখ্যান বলছে গত চার বছরে দেশের ভেতরে ৩৭টি ভূকম্পন ঘটলেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে শুক্রবারের ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প রাজধানী ও চট্টগ্রাম দুই জায়গাতেই বাস্তব ঝুঁকি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান প্লেটের সৃষ্ট বড় ভূকম্পনের উদাহরণ অতীতেও রয়েছে। ১৯১৮ সালে শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। গত ১০৭ বছরে দেশে অনুভূত বেশিরভাগ ভূকম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ থেকে সাড়ে ৫।

চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মনজারে খোরশেদ আলম বলেন যেসব ভবন রেট্রোফিটিং করে ঝুঁকিমুক্ত করা সম্ভব সেগুলো করতে হবে। আর যেগুলো টেকনিক্যালি ঝুঁকিমুক্ত করা সম্ভব নয় সেগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। উদ্ধারকারী বাহিনীর গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করতে সংকীর্ণ সড়কগুলো প্রশস্ত করতে হবে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উচিত নিয়মিত মানুষকে সতর্ক করা। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন বড় ধরনের ভূমিকম্প যে কোনো সময় ঘটতে পারে এবং যথাযথ প্রস্তুতি না থাকলে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।


ছুটির দিনেও ঢাকার রাজপথ ব্যস্ত থাকবে যেসব কর্মসূচিতে 

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২২ ১১:২৭:০৫
ছুটির দিনেও ঢাকার রাজপথ ব্যস্ত থাকবে যেসব কর্মসূচিতে 
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রতিদিন ঢাকায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তর রাজনৈতিক দল ও সংগঠন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকছে। তাই বাসা থেকে বের হওয়ার আগে কোথায় কোন কর্মসূচি রয়েছে তা জেনে নেওয়া ভালো। এতে বাসা থেকে বের হলে অনাকাঙ্ক্ষিত বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না। শনিবার ২২ নভেম্বর সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও রাজধানীতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি রয়েছে।

দিনের শুরুতেই পরিবেশ উপদেষ্টার কর্মসূচি রয়েছে। সকাল ১০টায় বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের এক্সপো ভিলেজে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সমাবর্তনে অংশ নেবেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

অন্যদিকে রাজনীতির মাঠে সরব থাকছে বিএনপি। বেলা ১১টায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও ব্যস্ত সময় পার করবেন। বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে জিয়া পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা এবং দুপুর আড়াইটায় সাতরাস্তায় হোটেল হলিডে ইনে আইসিটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি।

এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদও দুটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা দলের আয়োজিত সমাবেশ ও বেলা ৩টায় উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডে শহীদ মীর মুগ্ধ মঞ্চ আয়োজিত শোকরানা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি।

রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন ঢাকা সফরে থাকা ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।

ক্রীড়াঙ্গনেও রয়েছে বিশেষ আয়োজন। দুপুর তিনটায় কমলাপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মো. মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে তারুণ্যের উৎসব জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ এর ফাইনাল খেলা ও সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বিকেলের দিকে রাজপথে থাকছে এনসিপির কর্মসূচি। বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলামোটর মোড়ে জুলাই গণহত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও জোটসঙ্গীদের বিচারের দাবিতে গণমিছিল করবে এনসিপি। এতে উপস্থিত থাকবেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।


পিঠাপুলির ধুম আর লেপ তোশকের ব্যস্ততায় জমে উঠেছে উত্তরের শীত

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২২ ১০:১২:১১
পিঠাপুলির ধুম আর লেপ তোশকের ব্যস্ততায় জমে উঠেছে উত্তরের শীত
আজও ১৪ ডিগ্রির ঘরে তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা

উত্তরের সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ায় দিন দিন তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। এতে ওই অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাসের সঙ্গে হালকা কুয়াশা যা শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দেয়।

শনিবার ২২ নভেম্বর আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এছাড়া দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত রেকর্ড হয় বলে জানা গেছে।

এদিকে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে জেলার লেপ তোশকের দোকানে। সাধারণ মানুষ শীত নিবারণের প্রস্তুতি হিসেবে লেপ তোশক বানাতে ভিড় করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন গরম কাপড়ের দোকানেও বিক্রি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। শীতের চিরায়ত অনুষঙ্গ হিসেবে পিঠাপুলি তৈরির ধুম পড়েছে ঘরে ঘরে। সড়কের পাশের দোকানগুলোতে ভিড় করে মানুষ ভাপা ও চিতইসহ নানা পদের পিঠার স্বাদ উপভোগ করছেন।

অন্যদিকে ঠাণ্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর চাপও বেড়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন হিমালয়সংলগ্ন হওয়ায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীত বেশি হয়ে থাকে। তিনি জানান আজ শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন দিন তাপমাত্রা ক্রমশই কমছে। তবে নভেম্বরের মাস শেষে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি।


ভয়ংকর ঝুঁকিতে দেশের তিন বড় শহর: মাটির নিচ থেকে আসছে বড় বিপদের বার্তা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২২ ০৯:১০:৫১
ভয়ংকর ঝুঁকিতে দেশের তিন বড় শহর: মাটির নিচ থেকে আসছে বড় বিপদের বার্তা
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানলে রাজধানী ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম নগরীর ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে দেশের এই প্রধান তিন শহরের লাখ লাখ ভবন ধসে পড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার মতো মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষ করে পুরান ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামের ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ভবনই বড় ধরনের কম্পন সহ্য করার মতো সক্ষমতা রাখে না।

বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুযায়ী সামনে রিখটার স্কেলে ৮ দশমিক ২ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন কোনো দুর্যোগ ঘটলে রাজধানী ঢাকার প্রায় ছয় লাখ ভবন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে পড়বে। এর মধ্যে সিংহভাগই পুরান ঢাকার অপরিকল্পিত ও জরাজীর্ণ স্থাপনা। জনসংখ্যার অত্যধিক ঘনত্ব, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণ এবং অপ্রশস্ত সড়ক অবকাঠামোর কারণে এই ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পূরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্প গবেষক মেহেদি আহমেদ আনসারী জানান বিল্ডিং কোড অমান্য করে ভবন তৈরির কারণেই এই ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে এখনই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি, অন্যথায় বড় শহরের অপরিকল্পিত ভবনগুলো বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

অন্যদিকে দেশের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভূকম্পন এলাকার বা ডেঞ্জার জোনের মধ্যে অন্যতম অবস্থানে রয়েছে সিলেট। এই জেলাটি পার্শ্ববর্তী ভারতের মেঘালয়ের ডাউকি ফল্ট ও স্থানীয়ভাবে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্পের আওতাভুক্ত। ভূতাত্ত্বিক গঠনের কারণে সিলেটকে দেশের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৮৯৭ সালের ১২ জুন ডাউকি ফল্ট থেকে উৎপত্তি হওয়া ৮ দশমিক ৭ মাত্রার সেই ‘বড় ভুইছাল’ বা ভূমিকম্পে বৃহত্তর সিলেটের বড় অংশ মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলেই সিলেটের পুরোনো ভবনগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে পারে।

সিলেট অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা স্থানীয় ফল্ট বা চ্যুতিগুলো নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠছে। ২০২১ সালের মে মাসে মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে সিলেটে ২০ বার ভূকম্পন অনুভূত হয়, যার কয়েকটির উৎপত্তিস্থল ছিল ডাউকি ফল্টের কাছে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও পুর প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম জানান ঢাকায় সম্প্রতি অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পটি সিলেটের জন্য অশনিসংকেত। তাঁর মতে মধুপুর ফল্ট লাইনটি এতদিন নিষ্ক্রিয় থাকলেও হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে ঢাকায় ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে নতুন ভবনের ক্ষতি কম হলেও সিলেটে একই মাত্রার কম্পনে পুরোনো ও নন-ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনগুলো টিকে থাকতে পারবে না। এছাড়া সিলেট শহরের উপশহর আবাসিক এলাকাটি জলাশয় ভরাট করে তৈরি করায় এবং সেখানে বহুতল ভবন বেশি থাকায় বড় ভূমিকম্পে ওই এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের চিত্রও ভীতিজাগানিয়া। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) তথ্য অনুযায়ী নগরীতে বর্তমানে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১১১টি ভবন রয়েছে। এর মধ্যে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ভবনই বড় ভূমিকম্পে ধসে পড়ার মতো ঝুঁকিতে আছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী শহরে একতলা ভবন আছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ৫টি এবং দুই থেকে পাঁচ তলা ভবন আছে ৯০ হাজার ৪৪৪টি। এছাড়া ১০ তলার ওপরে থাকা ৫২৭টি ভবনও ঝুঁকির বাইরে নয়। চউকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস উল্লেখ করেন চট্টগ্রাম একটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা এবং বড় ধরনের কম্পন হলে নগরের অধিকাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাবেক উপাচার্য ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান ভূমিকম্পের তিনটি প্রধান উৎসই চট্টগ্রামের খুব কাছাকাছি অবস্থিত। তাই রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৫ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে নগরের ৭৫ শতাংশ ভবন বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। এতে কেবল আবাসিক ভবন নয়, চট্টগ্রাম বন্দর, ইস্টার্ন রিফাইনারি এবং কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে নগরীর অধিকাংশ ভবনই বিল্ডিং কোড মেনে তৈরি হয়নি এবং সেগুলোতে ভূমিকম্প প্রতিরোধী কোনো ব্যবস্থা নেই।

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো উদ্ধার তৎপরতার অপ্রতুলতা। ঢাকা ও চট্টগ্রামের অধিকাংশ এলাকার গলিগুলো অত্যন্ত সরু হওয়ার কারণে বড় কোনো মানবিক বিপর্যয় ঘটলে সেখানে উদ্ধারকারী গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। সিলেটেও বড় দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা মাত্র ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোও এই ঝুঁকির তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে যা দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত