ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত

ট্রাম্পের মধ্যস্থতা, বিপাকে দিল্লি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৪ ০৯:১০:২৮
ট্রাম্পের মধ্যস্থতা, বিপাকে দিল্লি

সত্য নিউজ:কাশ্মীর ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই ‘কোনও তৃতীয় পক্ষ নয়’ এই অবস্থানে অনড় ভারত। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এই নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক ঘোষণায় ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান চারদিনের সংঘাত শেষে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। তিনি কাশ্মীর ইস্যু সমাধানে দুই দেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করেন।

এই ঘোষণায় কূটনৈতিক চাপের মুখে পড়েছে নয়াদিল্লি। ট্রাম্পের মধ্যস্থতা ভারতের ঐতিহাসিক অবস্থানকে বিতর্কের মুখে ফেলেছে। নয়াদিল্লির উদ্বেগ, এ উদ্যোগ কাশ্মীর সংকটকে আন্তর্জাতিকীকরণ করতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছে। সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।

ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিল এবং এই ঘোষণার পেছনে ভারতের ভূমিকা কী ছিল। দলটি সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বানেরও দাবি জানিয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ও আপসহীন অবস্থানে রয়েছে এবং তা থেকে সরে আসার সম্ভাবনা নেই।

অন্যদিকে, পাকিস্তান বরাবরই কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার পক্ষপাতী। ইসলামাবাদ মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকা তাদের কূটনৈতিক সফলতা। বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল বলেন, “কাশ্মীর ইস্যুতে সুপারপাওয়ারের আগ্রহ পাকিস্তানের জন্য নৈতিক জয়।”

ভারতের সামনে এখন এক জটিল সমীকরণ। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার, একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহকারীও। কোয়াড জোটে যুক্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গভীর করলেও, কাশ্মীর ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের এই অপ্রত্যাশিত অবস্থান ভারতকে দ্বিধায় ফেলেছে।

বিশেষ করে, ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর এই অঞ্চল নিয়ে ভারতের অবস্থান আরও কঠোর হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা শুধু ভারতীয় জনগণের চেতনার সঙ্গেই সাংঘর্ষিক নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে মোদী সরকারের জন্য বিপজ্জনক ফাঁদও হতে পারে।

তবে যুদ্ধ এড়াতে আলোচনার পথ খোলা রাখা এবং একইসঙ্গে ভারতের সার্বভৌম অবস্থান রক্ষা করা—এই ভারসাম্য রক্ষা করাটাই এখন নয়াদিল্লির জন্য সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

লেনদেনের শীর্ষ দশে যেসব শেয়ার

লেনদেনের শীর্ষ দশে যেসব শেয়ার

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২১ জুলাই) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ছিল কিছুটা চাঙা। এই দিনে লেনদেনের... বিস্তারিত