শেয়ারবাজারের মূলধন বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে 

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৮ ১১:১০:৫৫
শেয়ারবাজারের মূলধন বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে 

বিদায়ী সপ্তাহে (২২ জুন থেকে ২৬ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এ লেনদেন ও সূচকের উত্থানের মাধ্যমে বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা ও আস্থার ইঙ্গিত দেখা গেছে। সপ্তাহজুড়ে সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণ ও বাজার মূলধনে বড় অগ্রগতি হয়েছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পাঁচ কার্যদিবসে বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৮২২ কোটি টাকা, যা বাজারে দীর্ঘদিন পর এমন একটি বড় ইতিবাচক পরিবর্তনের দিক নির্দেশ করে।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকায়। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। ফলে বাজার মূলধনের দিক থেকে এক সপ্তাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের ঘোষণার পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আস্থা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া মূল্যবান কোম্পানিগুলোর ভালো পারফরম্যান্স এবং কিছু খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধিও বাজার চাঙ্গা হওয়ার অন্যতম কারণ।

সূচকগুলোর মধ্যে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৭৮ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আশাবাদ তৈরি করেছে। এছাড়া ব্লু-চিপ কোম্পানিগুলোর পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে তৈরি ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানির সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ২১ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ০৬ শতাংশ।

শুধু সূচকই নয়, লেনদেনেও দেখা গেছে সুস্পষ্ট অগ্রগতি। বিদায়ী সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ১ হাজার ৮১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহের ১ হাজার ৬২৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার তুলনায় ১৮৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বেশি। অর্থাৎ, লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৩৬২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের ৩২৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার তুলনায় ৩৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা বেশি।

সপ্তাহজুড়ে ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৬৮টি কোম্পানির দর বেড়েছে, ৮৯টির দর কমেছে এবং ৩৬টির দর অপরিবর্তিত থেকেছে। এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারে ইতিবাচক প্রবণতা ছিল, যা বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও মুদ্রানীতি সংশোধনের পরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল, সেটি কিছুটা কমেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আর্থিক খাতে সংস্কার, যেমন রাজস্ব আহরণে স্বচ্ছতা, নন-পারফর্মিং লোন নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ এবং ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়াও বাজারে আস্থার পুনর্গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।

তবে তারা সতর্ক করে বলছেন, এই ইতিবাচক ধারাটি ধরে রাখতে হলে বাজারে স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন দ্রুত প্রকাশ, দরবৃদ্ধিতে অস্বাভাবিক প্রবণতার কারণ অনুসন্ধান, এবং দরপতনের ক্ষেত্রেও তদারকি জরুরি। সেইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর সক্রিয় এবং দক্ষ ভূমিকা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

সব মিলিয়ে বিদায়ী সপ্তাহের শেয়ারবাজার ছিল বিনিয়োগবান্ধব এবং ইতিবাচক বার্তা বহনকারী। এই ধারা বজায় থাকলে দীর্ঘমেয়াদে বাজারে স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারে।

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক


২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১৫:১৬:৩৩
২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ

রবিবার (২৩ নভেম্বর) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (DSE) লেনদেন শেষে ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বাজারের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দরের উত্থান। দিনশেষে মোট ২৫০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর বিপরীতে দর কমেছে ৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির।

মোট ৩৮১টি ইস্যুর মধ্যে এই লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। ক্যাটাগরিভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায় 'A' ক্যাটাগরিতে ১৩৫টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৪৪টির। 'B' ক্যাটাগরিতে ৫৬টি ইস্যু এগিয়েছে এবং কমেছে ১৭টি। 'Z' ক্যাটাগরিতেও ৫৮টি কোম্পানির দর বাড়লেও পতন হয়েছে ২৩টির। তবে মিউচুয়াল ফান্ড (MF) খাতে চিত্রটি ছিল কিছুটা ভিন্ন। এই খাতে মাত্র ৫টি ফান্ডের দর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ১৩টির দর কমেছে। বাকি ১৭টি ফান্ডের দর ছিল অপরিবর্তিত।

এদিন বাজারে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩,৮৫৯.২৭ মিলিয়ন টাকা (প্রায় ৩৮৬ কোটি টাকা)। মোট ১,৪৫,৭৩৩টি ট্রেডের মাধ্যমে ১৩ কোটি ১৮ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯৪টি শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন ১৯২ মিলিয়ন

মূল বাজারের পাশাপাশি ব্লক মার্কেটেও আজ লেনদেন হয়েছে। মোট ১৭টি স্ক্রিপের লেনদেনে ১৯২.৬৯৬ মিলিয়ন টাকার (প্রায় ১৯ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা) শেয়ার হাতবদল হয়।

ব্লক মার্কেটে লেনদেনের শীর্ষে ছিল SQURPHARMA যার একাই ১২০.৬০০ মিলিয়ন টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা FINEFOODS ২০.২৮৯ মিলিয়ন এবং তৃতীয় স্থানে SIMTEX ১৪.০০৫ মিলিয়ন টাকার লেনদেন করেছে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য লেনদেনের মধ্যে NFML ৭.৩১৫ মিলিয়ন এবং CITYGENINS ৬.২৩২ মিলিয়ন টাকার লেনদেন সম্পন্ন করে।

দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মোট বাজার মূলধন (Total Market Capitalisation) দাঁড়িয়েছে ৬,৮৪৩,৯১২.৫৯ মিলিয়ন টাকায়।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

/আশিক


২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১৫:১২:৫৭
২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ

রবিবার (২৩ নভেম্বর) শেয়ারবাজারের লেনদেনে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দামে বড় ধরনের পতন লক্ষ্য করা গেছে। দুটি ভিন্ন মানদণ্ডে এই দরপতন পরিমাপ করা হয়েছে। গতকালের সমাপনী মূল্যের (YCP) তুলনায় আজকের সমাপনী মূল্যে (CloseP) সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে EPGL। অন্যদিকে দিনের লেনদেনের উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ মূল্যে (LTP) সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে PRIMETEX।

Close Price vs YCP

গতকালকের সমাপনী মূল্যের (YCP) সাথে আজকের সমাপনী মূল্যের (CloseP) শতাংশ পরিবর্তন বিবেচনায় দরপতনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে EPGL। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭ দশমিক ৯৫৪৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এটির YCP ছিল ১৭ টাকা ৬ পয়সা যা আজ লেনদেন শেষে ১৬ টাকা ২ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে MEGHNACEM যার দর কমেছে ৫ দশমিক ১৭২৪ শতাংশ। ৫ দশমিক ০৮৪৭ শতাংশ দর হারিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে RSRMSTEEL।

শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো ANLIMAYARN (-৪.৭৬১৯ শতাংশ), HWAWELLTEX (-৪.৭১৭ শতাংশ), MIDASFIN (-৪.২৫৫৩ শতাংশ), ARAMITCEM (-৪.১৬৬৭ শতাংশ), EBLNRBMF (-৪.১৬৬৭ শতাংশ), 1JANATAMF (-৪ শতাংশ) এবং TRUSTB1MF (-৪ শতাংশ)।

Opening Price vs LTP (Intra-day)

দিনের লেনদেনের মধ্যে অর্থাৎ উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ লেনদেন মূল্যের (LTP) ডেভিয়েশন বা পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে PRIMETEX। কোম্পানিটির শেয়ার দর দিনের মধ্যেই ১০ দশমিক ৭৬৯২ শতাংশ হ্রাস পায়। এটির লেনদেন শুরু হয়েছিল ১৩ টাকা দিয়ে এবং সর্বশেষ LTP দাঁড়ায় ১১ টাকা ৬ পয়সায়।

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে LRGLOBMF1 যার ডেভিয়েশন মাইনাস ৬ দশমিক ৮৯৬৬ শতাংশ। METROSPIN মাইনাস ৫ দশমিক ৩৭৬৩ শতাংশ ডেভিয়েশন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো DBH1STMF (-৫.১৭২৪ শতাংশ), RSRMSTEEL (-৫.১৭২৪ শতাংশ), HFL (-৫.০৮৪৭ শতাংশ), PROGRESLIF (-৪.৭৮২৬ শতাংশ), EASTRNLUB (-৪.৭১০৮ শতাংশ), GSPFINANCE (-৪.৫৪৫৫ শতাংশ) এবং ISLAMICFIN (-৪.০৫৪১ শতাংশ)।

পর্যালোচনা করে দেখা যায় RSRMSTEEL কোম্পানিটি উভয় তালিকাতেই দরপতনের শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছে। এটি নির্দেশ করে যে এই কোম্পানিটি শুধু গতকালের তুলনায়ই নয় বরং আজকের দিনের লেনদেনের শুরুতেও বিক্রয় চাপের মুখে ছিল।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

/আশিক


২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১৫:০৮:৪৭
২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ

রবিবার (২৩ নভেম্বর) শেয়ারবাজারের লেনদেনে মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন মানদণ্ডে দুটি কোম্পানি শীর্ষস্থান দখল করেছে। গতকালের সমাপনী মূল্যের (YCP) তুলনায় আজকের সমাপনী মূল্যে (CloseP) সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে SUNLIFEINS। অন্যদিকে দিনের লেনদেনের উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ মূল্যে (LTP) সবচেয়ে বেশি চমক দেখিয়েছে HAKKANIPUL।

Close Price vs YCP

গতকালকের সমাপনী মূল্যের (YCP) সাথে আজকের সমাপনী মূল্যের (CloseP) শতাংশ পরিবর্তন বিবেচনায় শীর্ষ দশ গেইনারের তালিকায় প্রথম স্থান দখল করেছে SUNLIFEINS। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯ দশমিক ৯৫৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল এর YCP ছিল ৪৭ টাকা ২ পয়সা যা আজ লেনদেন শেষে ৫১ টাকা ৯ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে INTECH যার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৯৫৬৭ শতাংশ। ৯ দশমিক ৫৫৪১ শতাংশ দর বৃদ্ধি পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ALARABANK।

শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো ABBANK (৯.০৯০৯ শতাংশ), PRAGATILIF (৮.৮৪৮৩ শতাংশ), IFIC (৮.৬৯৫৭ শতাংশ), NRBBANK (৮.৪৭৪৬ শতাংশ), DOREENPWR (৮.৩০৪৫ শতাংশ), RUNNERAUTO (৭.২৮১৬ শতাংশ) এবং SALVOCHEM (৭.০১৭৫ শতাংশ)।

Opening Price vs LTP (Intra-day)

দিনের লেনদেনের মধ্যে অর্থাৎ উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ লেনদেন মূল্যের (LTP) ডেভিয়েশন বা পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল HAKKANIPUL। কোম্পানিটির শেয়ার দর দিনের মধ্যেই ১৫ দশমিক ৫৬৬৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এটির লেনদেন শুরু হয়েছিল ৫৯ টাকা ১ পয়সা দিয়ে এবং সর্বশেষ LTP দাঁড়ায় ৬৮ টাকা ৩ পয়সায়।

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে SINOBANGLA যার ডেভিয়েশন ১৩ দশমিক ৩৩৩৩ শতাংশ। WATACHEM ১১ দশমিক ১৭৪২ শতাংশ ডেভিয়েশন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো ALARABANK (১০.৯৬৭৭ শতাংশ), PRAGATILIF (১০.২৮১৭ শতাংশ), DOREENPWR (১০.০৬৯৪ শতাংশ), RUNNERAUTO (৯.৯৫0২ শতাংশ), INTECH (৯.৪৮২৮ শতাংশ), ABBANK (৯.০৯০৯ শতাংশ) এবং EASTERNINS (৯.০৬৯৮ শতাংশ)।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় INTECH, ALARABANK, ABBANK, PRAGATILIF, DOREENPWR এবং RUNNERAUTO এই ছয়টি কোম্পানি উভয় তালিকাতেই শীর্ষ দশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে যা আজ সারাদিন কোম্পানিগুলোর শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের শক্তিশালী আগ্রহের প্রমাণ দেয়।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

/আশিক


সিএসই তে মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে ধাক্কা

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১২:০২:৪৫
সিএসই তে মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে ধাক্কা
ছবি: সংগৃহীত

দেশের মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে ২০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখের লেনদেন শেষে একাধিক ফান্ডের নেট অ্যাসেট ভ্যালু (NAV) হালনাগাদ করেছে ট্রাস্টি ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। বাজারের অস্থিরতা, ইকুইটি দামের ওঠানামা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক চাপের প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ ফান্ডের বর্তমান বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি কস্ট প্রাইসের তুলনায় কম দেখা গেছে। নিচে ফান্ডভিত্তিক মূল আর্থিক চিত্র তুলে ধরা হলো।

১জনতা ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড (1JANATAMF)

ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি NAV ঘোষণা করেছে ৫.৯৯ টাকা (মার্কেট প্রাইস) এবং ১১.৪৪ টাকা (কস্ট প্রাইস)। মোট নিট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১,৭৩৭.৮৬ কোটি টাকা (মার্কেট) এবং ৩,৩১৫.৫৬ কোটি টাকা (কস্ট), যা বড় আকারের ফান্ড হিসেবে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়।

SEMLFBSLGF

ইউনিটপ্রতি NAV হয়েছে ৯.২৬ টাকা (মার্কেট) এবং ১১.২৩ টাকা (কস্ট)। মোট নিট সম্পদ ৬৭.৫৬ কোটি টাকা (মার্কেট) এবং ৮১.৯২ কোটি টাকা (কস্ট)।

SEMLIBBLSF

মার্কেটভিত্তিক NAV হয়েছে ৯.৫৭ টাকা, কস্ট প্রাইস NAV ১১.৭২ টাকা। মোট সম্পদ যথাক্রমে ৯৫.৭৪ কোটি ও ১১৭.২২ কোটি টাকা।

SEMLLECMF

ফান্ডটি NAV ঘোষণা করেছে ৯.৭১ টাকা (মার্কেট) এবং ১১.৭১ টাকা (কস্ট)। মোট নিট সম্পদ ৪৮.৫২ কোটি ও ৫৮.৫৩ কোটি টাকা।

VAMLBDMF1

মার্কেটভিত্তিক NAV ৮.৭৫ টাকা, কস্ট প্রাইস NAV ১০.০১ টাকা। মোট সম্পদ ৯১২.৬৭ কোটি ও ১,০৪৪.১৪ কোটি টাকা।

VAMLRBBF

মার্কেট NAV ৮.৫০ টাকা, কস্ট NAV ১১.৪৮ টাকা। মোট নিট সম্পদ ১,৩৪৯.৯৬ কোটি ও ১,৮২৩.১৩ কোটি টাকা।

CAPMIBBLMF

ইউনিটপ্রতি NAV ৭.৬৭ টাকা (মার্কেট) এবং ১১.৩৭ টাকা (কস্ট)। মোট সম্পদ ৫১২.৮৫ কোটি ও ৭৬০.২৯ কোটি টাকা।

CAPMBDBLMF

মার্কেট NAV ৭.৯৬ টাকা, কস্ট NAV ১০.৮৯ টাকা। মোট সম্পদ ৩৯৮.৯৫ কোটি ও ৫৪৫.৭৫ কোটি টাকা।

NCCBLMF1

মার্কেট NAV ৯.০৫ টাকা, কস্ট NAV ১১.০৮ টাকা। মোট সম্পদ ৯৮২.৪৩ কোটি ও ১,২০২.১৬ কোটি টাকা।

LRGLOBMF1

মার্কেটভিত্তিক NAV ৮.৪২ টাকা, কস্ট NAV ১০.৯৯ টাকা। মোট সম্পদ ২,৬১৯.১৭ কোটি ও ৩,৪১৮.৬৯ কোটি টাকা, যা বড় সাইজের ফান্ড হিসেবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

MBL1STMF

মার্কেট NAV ৮.৩৯ টাকা, কস্ট NAV ১১.০৯ টাকা। সম্পদ ৮৩৯.৪৬ কোটি ও ১,১০৮.৫১ কোটি টাকা।

AIBL1STIMF

ইউনিট প্রতি NAV হয়েছে ৮.৮২ টাকা (মার্কেট) এবং ১১.২৬ টাকা (কস্ট)। মোট সম্পদ ৮৮২.০৫ কোটি ও ১,১২৬.২১ কোটি টাকা।

GREENDELMF

NAV হয়েছে ৮.৬২ টাকা (মার্কেট) এবং ১১.১০ টাকা (কস্ট)। মোট সম্পদ ১,২৯৩.৬১ কোটি ও ১,৬৬৫.১২ কোটি টাকা।

DBH1STMF

মার্কেটভিত্তিক NAV ৮.৩৩ টাকা, কস্ট NAV ১০.৯৪ টাকা। মোট সম্পদ ১,০০০.১২ কোটি ও ১,৩১২.৯৬ কোটি টাকা।

CAPITECGBF

NAV হয়েছে ৯.৮৪ টাকা (মার্কেট) এবং ১০.৮৩ টাকা (কস্ট), যেখানে মোট সম্পদ ১,৫৩১.৪৬ কোটি ও ১,৬৮৫.৪৫ কোটি টাকা।

RELIANCE1

ইউনিটপ্রতি NAV ১০.৪২ টাকা (মার্কেট) এবং ১১.০৬ টাকা (কস্ট)। মোট সম্পদ ৬৩০.৩৪ কোটি ও ৬৬৯.৩৬ কোটি টাকা।

GRAMEENS2

উল্লেখযোগ্যভাবে উচ্চ NAV নিয়ে শীর্ষে মার্কেট NAV ১৫.৩৯ টাকা, কস্ট NAV ১০.৩৬ টাকা। মোট সম্পদ ২,৮০৬.৫৩ কোটি ও ১,৮৮৯.১৩ কোটি টাকা, যা বাজারে শক্ত অবস্থান নির্দেশ করে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, অধিকাংশ ফান্ডের NAV বাজারমূল্যভিত্তিক কমে গেলেও কস্ট প্রাইস NAV তুলনামূলক স্থিতিশীল রয়েছে। এটি বাজারে তারল্য সংকট, মূল্য সংশোধন এবং বিনিয়োগকারীদের রিটার্ন প্রত্যাশায় ধীরগতির প্রতিফলন।

-শরিফুল


ইস্টার্ন পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১১:৫৬:০৮
ইস্টার্ন পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

ইস্টার্ন পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড (EPGL) ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ফলাফলে কোম্পানির আয়, লাভজনকতা এবং নিট সম্পদমূল্যে (NAVPS) উল্লেখযোগ্য চাপ দেখা গেছে। EPS আরও নেতিবাচক হয়েছে, NAV কমেছে এবং কোম্পানির রিটেইনড আর্নিংস সাময়িকভাবে নেতিবাচক অবস্থায় চলে গেছে। তবে ইতিবাচক দিক হিসেবে নগদ প্রবাহ (NOCFPS) আগের বছরের তুলনায় উন্নত হয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনর্গঠিত দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন পাওয়ায় ভবিষ্যতে আর্থিক স্থিতিশীলতা ফেরানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানির EPS দাঁড়িয়েছে –৩.০৮ টাকা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে EPS ছিল –১.৮৫ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির লোকসান আরও বেড়েছে। কোম্পানি জানায়, চলতি প্রান্তিকে উচ্চতর ফাইন্যান্স খরচ, সুদের হারের বৃদ্ধি এবং পূর্ববর্তী বছরের ঋণজনিত দায়বদ্ধতা বেড়ে যাওয়ায় এই লোকসান বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে আয় কমে যাওয়ায় এই চাপ আরও তীব্র হয়েছে।

অন্যদিকে, নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার (NOCFPS) দাঁড়িয়েছে ০.৪৮ টাকা, যা গত বছরের ০.২২ টাকার তুলনায় বেশি। অর্থাৎ অপারেশনাল নগদ প্রবাহ উন্নতি করেছে, যা কোম্পানির কার্যক্রমগত দক্ষতারই ইঙ্গিত। রাজস্ব কমলেও কার্যকর সংগ্রহ এবং নগদ ব্যবস্থাপনায় কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।

কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু (NAVPS)–এ বড় পতন দেখা গেছে। রিভ্যালুয়েশনের সঙ্গে NAVPS ৩০ জুন ২০২৫-এর ৩২.৮৬ টাকা থেকে কমে ২৯.৮৬ টাকা হয়েছে। রিভ্যালুয়েশন ছাড়া NAVPS আরও কম, ২১.১৬ টাকা থেকে নেমে ১৮.১৬ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ শিল্প–ব্যাপী আয় হ্রাস, উচ্চ ঋণ ব্যয় এবং দীর্ঘমেয়াদি দায় কোম্পানির নিট সম্পদমূল্যে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।

EPGL জানায়, শিল্পখাত জুড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ব্যবহার কমে যাওয়ায় আয়ের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে, যা কোম্পানির লাভজনকতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু আয় সেই অনুপাতে বাড়েনি। ফলে রিটেইনড আর্নিংস সাময়িকভাবে নেতিবাচক হয়েছে।

-রাফসান


ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ব্যতিক্রমী ডিভিডেন্ড ঘোষণা

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১১:৫১:২৬
ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ব্যতিক্রমী ডিভিডেন্ড ঘোষণা
ছবি: সংগৃহীত

ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস ব্লেন্ডার্স লিমিটেড (EASTRNLUB) ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জন্য উল্লেখযোগ্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০২৫ শেষ হওয়া অর্থবছরের জন্য ৮০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং ৫০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। বাংলাদেশে তালিকাভুক্ত লুব্রিক্যান্ট উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে এটি চলতি বছরে অন্যতম বৃহৎ ডিভিডেন্ড প্রস্তাব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM) অনুষ্ঠিত হবে ৩১ জানুয়ারি ২০২৬, সকাল ১১:০০ টায়, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। কোম্পানির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ ডিসেম্বর ২০২৫।

কোম্পানি জানিয়েছে, প্রস্তাবিত স্টক ডিভিডেন্ড সম্পূর্ণভাবে রিটেইনড আর্নিংস থেকে নেওয়া হবে এবং এটি মূলত কোম্পানির কার্যক্রমে বিনিয়োগ—বিশেষত ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বৃদ্ধি—নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে। পাশাপাশি বোর্ড স্পষ্ট করেছে যে ডিভিডেন্ড ক্যাপিটাল রিজার্ভ, রিভ্যালুয়েশন রিজার্ভ, অবাস্তবায়িত লাভ বা কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী মুনাফা থেকে সুপারিশ করা হয়নি। এছাড়া ডিভিডেন্ড ঘোষণার ফলে কোম্পানির পোস্ট–ডিভিডেন্ড রিটেইনড আর্নিংস নেতিবাচক হবে না, অর্থাৎ কোম্পানির আর্থিক ভিত্তি স্থিতিশীল থাকবে।

আর্থিক পারফরম্যান্সে দেখা গেছে, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে EASTRNLUB-এর শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) দাঁড়িয়েছে ৪৩.১৮ টাকা, যা আগের বছরের পুনঃসমন্বিত (restated) EPS ২২.৫৬ টাকার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। কোম্পানির নেট অ্যাসেট ভ্যালু (NAV)–ও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে ২০৯.৩৫ টাকা হয়েছে, যা আগের বছরের ১৭৩.৪৪ টাকা থেকে দৃশ্যমান উন্নতি নির্দেশ করে।

তবে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোতে (NOCFPS) বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। ২০২৫ সালে NOCFPS দাঁড়িয়েছে নেতিবাচক (৬৭.৮৩) টাকা, যেখানে আগের বছর তা ছিল ৫.৬৩ টাকা। বিশ্লেষকদের মতে, ইনভেন্টরি বৃদ্ধি, কাঁচামালের দাম পরিবর্তন এবং পাওনা সংগ্রহে ধীরগতির কারণে এই নেতিবাচক ক্যাশ ফ্লো তৈরি হতে পারে। যদিও লাভ ও সম্পদমান বেড়েছে, নগদ প্রবাহের এই নাটকীয় পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্ক সংকেত বহন করে।

কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ বলেছে, স্টক ডিভিডেন্ডের অংশটি কার্যকরভাবে ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যবহৃত হবে এবং এটি কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। ডিভিডেন্ড ঘোষণার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কোম্পানি জানিয়েছে কোনো ধরনের পেইড–আপ ক্যাপিটাল কমানো, রিভ্যালুয়েশন রিজার্ভ ব্যবহার অথবা অবাস্তবায়িত লাভের ওপর ভিত্তি করে ডিভিডেন্ড দেওয়া হয়নি।

-শরিফুল


ফু-ওয়াং সিরামিকের Q1 ফলাফলে চাপের প্রতিফলন

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১১:৪৭:৫৫
ফু-ওয়াং সিরামিকের Q1 ফলাফলে চাপের প্রতিফলন
ছবি: সংগৃহীত

ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (FUWANGCER) ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিক্রি ও টার্নওভার কমে যাওয়ায় কোম্পানির আয় ও অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো উভয় ক্ষেত্রেই পতন ঘটেছে। যদিও নেট অ্যাসেট ভ্যালু (NAV) সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, সামগ্রিকভাবে Q1 ফলাফল কোম্পানির জন্য একটি “দুর্বল সূচনা” ইঙ্গিত করছে।

প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) দাঁড়িয়েছে ০.০৩ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ০.০৭ টাকা। অর্থাৎ EPS অর্ধেকেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। ফু-ওয়াং সিরামিক জানায়, মূলত বিক্রি কমে যাওয়াই আয় হ্রাসের প্রধান কারণ। দেশীয় বাজারে সিরামিক পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়া, আমদানি-নির্ভর কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি এবং নির্মাণ খাতে মন্দার প্রভাব কোম্পানির বিক্রিতে নেতিবাচক ছাপ ফেলেছে।

অন্যদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোতেও বড় ধাক্কা লেগেছে। কোম্পানির NOCFPS (Net Operating Cash Flow Per Share) এই প্রান্তিকে হয়েছে মাত্র ০.১২ টাকা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল ০.৪৪ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির নগদ প্রবাহ প্রায় তিনগুণ কমে গেছে। সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ধীর বিক্রি, ইনভেন্টরি বেড়ে যাওয়া এবং পাওনা আদায়ে ধীরগতিকে দায়ী করা হচ্ছে।

তবে কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু (NAV) সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ১২.০৩ টাকা হয়েছে, যা ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে ছিল ১২.০০ টাকা। যদিও বৃদ্ধি খুবই কম, তবুও কোম্পানির সম্পদভিত্তি স্থিতিশীল আছে বলে এটি ইঙ্গিত দেয়।

-শরিফুল


ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের EPS তিনগুণ বৃদ্ধি

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১১:৪৪:৫৮
ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের EPS তিনগুণ বৃদ্ধি
ছবি: সংগৃহীত

ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস ব্লেন্ডার্স লিমিটেড (EASTRNLUB) ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, কোম্পানির আয় ও সম্পদের ভিত্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেলেও অপারেটিং নগদ প্রবাহে (NOCFPS) বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে কোম্পানির Q1 ফলাফল সমগ্রভাবে “মিশ্র চিত্র” উপস্থাপন করেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম প্রান্তিকে EASTRNLUB-এর শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) দাঁড়িয়েছে ১৫.৬৮ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের পুনঃসমন্বিত (restated) EPS ৫.৫৭ টাকার তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি। এই প্রবৃদ্ধি কোম্পানির অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধি, উৎপাদন মার্জিন উন্নতি এবং মূল্য সংযোজিত পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধির ফল বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। EPS–এর এই উল্লম্ফন বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

তবে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোতে। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির NOCFPS দাঁড়িয়েছে নেতিবাচক (২২.০৪) টাকা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে এটি ছিল ১৪.৮৮ টাকা—অর্থাৎ বিশাল ব্যবধানে পতন। এই নেতিবাচক নগদ প্রবাহ ইঙ্গিত করে যে কোম্পানি অপারেশনাল দিক থেকে আয় করলেও গ্রাহক পাওনা আদায়ে ধীরগতি, মজুদ বৃদ্ধি কিংবা ব্যয় অদক্ষতার কারণে নগদ লিকুইডিটির ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। শিল্প বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের নেতিবাচক ক্যাশ ফ্লো দীর্ঘমেয়াদে দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে, যদি কোম্পানি দ্রুত সংগ্রহ প্রক্রিয়া উন্নত না করে।

অন্যদিকে, শেয়ারপ্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু (NAV) উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত NAV দাঁড়িয়েছে ২২৫.০৩ টাকা, যা ৩০ জুন ২০২৫ শেষে ছিল ২০৯.৩৫ টাকা। মাত্র একটি প্রান্তিকে সম্পদের এ ধরনের বৃদ্ধি কোম্পানির বিনিয়োগ, মুনাফা ও পুনর্মূল্যায়নজনিত শক্তিশালী আর্থিক অবস্থানকে প্রতিফলিত করে।

-রাফসান


ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির Q1 ফলাফলে চমক

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১১:৪০:১৪
ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির Q1 ফলাফলে চমক
ছবি: সংগৃহীত

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (UPGDCL) ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানির কনসোলিডেটেড ইপিএস (EPS) কমলেও নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার (NOCFPS) উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫ সময়ে কোম্পানির কনসোলিডেটেড EPS দাঁড়িয়েছে ৪.৯৪ টাকা, যেখানে ২০২৪ সালের একই সময়ে তা ছিল ৭.১৩ টাকা। অর্থাৎ ইপিএস বছরে প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে। কোম্পানির ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, গত অর্থবছরে পাইকারি বিদ্যুতের ট্যারিফ সমন্বয় এবং পূর্বের গ্যাস মূল্য বৃদ্ধির কারণে সম্পূরক রাজস্ব (supplemental revenue) একত্রে স্বীকৃত হয়েছিল। সেই অতিরিক্ত আয়ের কারণে আগের বছরের EPS বেশি ছিল। বর্তমান বছরের EPS স্বাভাবিক অপারেটিং আয়ের ভিত্তিতে নির্ধারিত হওয়ায় তুলনামূলকভাবে তা কম দেখা যাচ্ছে।

অন্যদিকে, কনসোলিডেটেড নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার (NOCFPS) দাঁড়িয়েছে ৬.৬২ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ১.৮৫ টাকা। কোম্পানির মতে, ক্যাশ ফ্লোর এই উন্নতি কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী, কারণ গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতা, সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হওয়া এবং সারাদেশে সংগ্রহ কার্যক্রমে সমস্যার কারণে গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওনা আদায়ে বিলম্ব হয়েছিল। এতে কোম্পানির কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ কমে গিয়েছিল। চলতি প্রান্তিকে সেই বিলম্ব কাটায় পাওনা আদায় বেড়েছে, ফলে ক্যাশ ফ্লো উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত কোম্পানির কনসোলিডেটেড NAV (Net Asset Value) প্রতি শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৭৮.৮৩ টাকা, যা ৩০ জুন ২০২৫ শেষে ছিল ৭৩.৮৯ টাকা। সম্পদের এই বৃদ্ধি কোম্পানির আর্থিক অবস্থার স্থিতিশীলতা প্রতিফলিত করে।

কোম্পানি জানায়, আগের বছরের পাওনা আদায়ে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছিল মূলত দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও টানা অবরোধের কারণে। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ায় স্বাভাবিক সংগ্রহ চক্র ব্যাহত হয়, ফলে কোম্পানির নগদ প্রবাহে তাৎক্ষণিক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে বর্তমান প্রান্তিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় নগদ প্রবাহে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।

অন্যদিকে, এই প্রান্তিকে অতিরিক্ত কোনো ট্যারিফ–সংশ্লিষ্ট আয় না থাকায় EPS-এ স্বাভাবিক আয় প্রতিফলিত হয়েছে, যা গত বছরের অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া EPS-এর তুলনায় কম দেখাচ্ছে বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে কোম্পানি।

-রাফসান

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত