গাজায় ত্রাণ নিতেই প্রাণ গেল শত শত মানুষের

অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে গত এক মাসে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫৪৯ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও চার হাজার ৬৬ জন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এবং আল-জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই নির্মম মানবিক বিপর্যয়ের চিত্র।

জানা গেছে, গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল-সমর্থিত 'গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)' পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র এবং তার আশপাশের এলাকাগুলোতেই অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ক্ষুধার্ত ও অবরুদ্ধ জনগণের উপর এভাবে নির্বিচারে হামলা চালানো আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুধু গত ২৪ ঘণ্টাতেই ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭১ জন। ভেতরে ঢোকার জায়গা নেই—এমন পরিস্থিতিতে বহু হাসপাতালের মর্গে জায়গার অভাবে মাটিতে লাশ রাখতেও বাধ্য হচ্ছেন কর্মীরা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের একটি হামলার পর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি প্রতিশোধ অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ হাজার ২৫৯ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য বলছে, একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৮ জন।

এদিকে গাজায় আটক থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে তেল আবিবে বিক্ষোভ করেছেন জিম্মিদের স্বজনরা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরাইলি সরকারের প্রতি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান তারা। সেইসঙ্গে অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য জিম্মিদের ‘বলির পাঁঠা’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিশ্ব সম্প্রদায় যখন যুদ্ধবিরতির জন্য তদবির চালাচ্ছে, তখন ইসরাইলের এমন হামলা ও ত্রাণবিরোধী আচরণকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলেই অভিহিত করছেন মানবাধিকার সংস্থাগুলো।