বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫% কর আদায়: শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে উত্তাল রাজধানী

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৮ ১৮:১৬:০৭
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫% কর আদায়: শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে উত্তাল রাজধানী

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায়ের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি—শিক্ষা কোনও ব্যবসা নয়, তাই একে বাণিজ্যিকীকরণ করা চলবে না।

বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটপূর্ণ অবকাঠামো ও আসন সীমাবদ্ধতার কারণে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। অথচ সেখানে সরকার নতুন করে কর আরোপ করে উচ্চশিক্ষাকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলছে।

তাদের মূল দাবি—

অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের আড়ালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মুনাফা তদন্ত করে অবৈধ আয় বাজেয়াপ্ত করা,

টিউশন ফি কমানো ও অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে ছাত্র-শিক্ষাবিদ-জ্ঞাত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন,

ইউজিসি ও সরকারের উচ্চশিক্ষা মান বজায় রাখতে কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “যদিও বলা হচ্ছে কর শিক্ষার্থীদের ওপর বর্তাবে না, কিন্তু বাস্তবে তা ফি বাড়িয়ে আমাদের কাছ থেকেই আদায় করা হবে। এতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা আরও বঞ্চিত হবেন।”

আইনি প্রেক্ষাপট২০০৭ ও ২০১০ সালে দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীরা মোট ৪০টির বেশি রিট করে। ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট কর আদায়ের ওই দুটি প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন এবং ইতোমধ্যে আদায় করা অর্থ ফেরতের নির্দেশ দেন।

তবে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আপিল বিভাগ ২০২3 সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত রায়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে এবং এনবিআরের দুই প্রজ্ঞাপন বহাল রাখে, যার ফলে কর আদায়ের পথ আবারও উন্মুক্ত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট নেটওয়ার্কের সংগঠক নাবিন আবতাহির, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের তাসফিরুল কাব্য, ইউল্যাবের ফাত্তাহ সিয়াম ও তারমিন তিশা প্রমুখ। বক্তারা বলেন, “এই কর আদায়ের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল না করা হলে দেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য করা হবে।”

—আশিক নিউজ ডেস্ক


মনোনয়ন ঘোষণার একদিন পরই হামলা; চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৫ ২০:০৯:১৬
মনোনয়ন ঘোষণার একদিন পরই হামলা; চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ
হামজারবাগে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন একজন। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ-বায়েজিদ আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগ চালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে নগরের পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এরশাদ উল্লাহ ছাড়াও সারোয়ার বাবলাসহ আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

গুলিবিদ্ধ আহত এরশাদ উল্লাহকে দ্রুত উদ্ধার করে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে (এভারকেয়ার হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাকি দুজনকেও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তবে গুলিবিদ্ধ আরেকজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এরশাদ উল্লাহ নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় দুর্বৃত্তরা সরওয়ার বাবলা নামের একজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে এরশাদ উল্লাহ, সরওয়ার বাবলাসহ মোট তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ উত্তর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার খবর পাওয়ার পরপরই তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন নিশ্চিত করেন, এরশাদ উল্লাহ বায়েজিদ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন, এই সময় দুর্বৃত্তরা এসে গুলি করে।

ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, "এরশাদ উল্লাহসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি।"

এদিকে আজ সন্ধ্যায় বিএনপির মিডিয়া সেল নিশ্চিত করেছে, চট্টগ্রামের হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ চলাকালে দুর্বৃত্তরা বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলা চালায় এবং পায়ে গুলি করে।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, গত সোমবার নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহকে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরপরই বুধবার সন্ধ্যার দিকে তিনি হামজারবাগ এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ১০টিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এই তালিকায় বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী বাদ পড়েছেন এবং বেশ কিছু নতুন মুখ এসেছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গত সোমবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারা দেশের ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করেন।


গরু চোরাচালানকারী ধরতে গ্রেনেড: লালমনিরহাটে বিএসএফের কাণ্ডে উত্তেজনা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৫ ১৮:৪৭:২০
গরু চোরাচালানকারী ধরতে গ্রেনেড: লালমনিরহাটে বিএসএফের কাণ্ডে উত্তেজনা
সীমান্তে বিএসএফের টহল। পুরোনো ছবি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পকেট সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

লালমনিরহাট বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পকেট সীমান্তের মেইন পিলার ৮৫৪ নম্বরের সাব-পিলার ৩ এলাকার শূন্য রেখা আর ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার ভেল্কু লতামারীর সংলগ্ন সেক্টরে এই ঘটনা ঘটে।

বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সীমান্তের এলাকার বাসিন্দারা হঠাৎ বিস্ফোরণের প্রকট শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন এবং তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ওঠে, ভারতীয় বিএসএফের রতনপুর ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা অন্তত তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।

ঘটনার পরপরই বুড়িমারী বিজিবি কোম্পানি এবং শ্রীরামপুর বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিএসএফকে বিষয়টি জানাতে যোগাযোগ করেন। এর ফলশ্রুতিতে বুধবার বিকেলে উভয় বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক ডাকা হয় এবং বৈঠকে বিজিবি আনুষ্ঠানিকভাবে এই গ্রেনেড নিক্ষেপের প্রতিবাদ জানায়।

পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। তারা জানায়, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ভারতের অভ্যন্তরে ৭ থেকে ৮ জনের একটি গরু চোরাচালানকারী দল প্রবেশ করেছে, এমন খবর পেয়ে তাদের ধাওয়া করার প্রক্রিয়ায় টহল দল সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছিল।

বৈঠকে উভয় বাহিনী সীমান্তে টহল আরও জোরদার করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। বৈঠকে ভারতের পক্ষে রতনপুর ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর রনজিত মালি এবং বাংলাদেশের পক্ষে শ্রীরামপুর ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোক্তার হোসেন নেতৃত্ব দেন।

বিজিবি ৬১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, "এ ঘটনায় ইতোমধ্যে উভয় দেশের কমান্ডার পর্যায়ে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে।"


শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুদ ১০৬ বস্তা সরকারি সার জব্দ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৫ ১৫:৩৬:৫৫
শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুদ ১০৬ বস্তা সরকারি সার জব্দ
ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় সরকারি সার অবৈধভাবে মজুদ রাখার অভিযোগে বিপুল পরিমাণ সার জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে একটি বাড়ি থেকে ১০৬ বস্তা সরকারি সার উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা সারগুলোর মধ্যে বিএডিসির এমওপি সার ৬৬ বস্তা এবং ডিএপি সার ৪০ বস্তা রয়েছে।

প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, বাড়ির মালিক মোশারফ হোসেন বাবু পেশায় একজন কীটনাশক ব্যবসায়ী। তবে তার নামে সার বিক্রির কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই। তবুও তিনি স্থানীয় ডিলারদের কাছ থেকে সরকারি সার সংগ্রহ করে অবৈধভাবে নিজের বাড়িতে মজুদ করেন। তদন্তে জানা গেছে, কৃষকদের কাছে বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে তিনি এসব সার গোপনে সংরক্ষণ করছিলেন।

গোপন সূত্র থেকে তথ্য পাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় বাড়িতে বিপুল পরিমাণ সরকারি সার মজুদ পাওয়া যায়। পরে সারগুলো জব্দ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার জিম্মায় রাখা হয়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, অবৈধভাবে সরকারি সার মজুদের বিষয়টি কৃষি আইনের গুরুতর লঙ্ঘন, এবং এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আকন্দ বলেন, অভিযান চলাকালে বাড়ির মালিক মোশারফ হোসেন বাবুকে পাওয়া যায়নি। তিনি অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে জব্দ করা সারগুলো নিরাপদভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং মামলার বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনীষা আহমেদ বলেন, মোশারফ হোসেন বাবুর কোনো বৈধ লাইসেন্স না থাকায় সারগুলো জব্দ করা হয়েছে। সরকারি সার অবৈধভাবে মজুদ রাখা অপরাধ, এবং এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় সর্বদা সতর্ক রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃষি মৌসুমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সরকারি সার মজুদ করে রাখছে। এতে কৃষকরা ন্যায্য দামে সার না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযানকে স্থানীয়রা প্রশংসা করেছেন, কারণ এটি কৃষিপণ্য কালোবাজার রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তারা মনে করছেন।

-শরিফুল


বিচার বিভাগে বড় পরিবর্তন: ২৬৭ জনকে জেলা জজ পদে পদোন্নতি

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ২১:১৩:৪০
বিচার বিভাগে বড় পরিবর্তন: ২৬৭ জনকে জেলা জজ পদে পদোন্নতি
ছবিঃ সংগৃহীত

সারাদেশের অধস্তন আদালতের বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারকদের পদোন্নতি দিতে বড় ধরনের প্যানেল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা। এই সভায় মোট ২৬৭ জন বিচারককে জেলা জজ পদে পদোন্নতি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, দুই শতাধিক বিচারককে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভার একাধিক সূত্র এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এই গুরুত্বপূর্ণ ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০টির অধিক এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বিপুল পদোন্নতির কারণ ও প্রক্রিয়া

ফুলকোর্ট সভার সূত্র অনুযায়ী, এই সভায় জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ, যুগ্ম জেলা জজসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আইন মন্ত্রণালয় থেকে মোট ১ হাজার ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার পদোন্নতির জন্য সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল:

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদে ৩৪৫ জন।

যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ জন।

সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন।

বাছাই কমিটির পর্যালোচনার পর বিষয়টি ফুলকোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হয়। সভায় অনুমোদনের পর এই প্রস্তাবটি এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

দেশে সম্প্রতি বিচার বিভাগের শৃঙ্খলা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯১টি নতুন জেলা জজের পদ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি, দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত পৃথক করার কারণে নতুন আদালতও গঠিত হয়েছে। এই কারণেই এত বিপুল সংখ্যক বিচারকের পদোন্নতির জন্য বড় পরিসরে প্যানেল তৈরি করা হয়েছে।

আলোচিত কামরুন্নাহারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত

বিচার বিভাগের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত আলোচনার পাশাপাশি, সভায় আলোচিত রাজধানীর বনানী রেইনট্রি মামলায় আপিল বিভাগের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও এক আসামিকে জামিন দেওয়ার ঘটনায় বিচারিক ক্ষমতা হারানো জেলা জজ কামরুন্নাহার ক্ষমতা ফিরে পাবেন কি না—এ বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএ) কমিটিকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।

এছাড়াও, আগামী বছরের জন্য সুপ্রিম কোর্টের ছুটির ক্যালেন্ডার সময় নির্ধারণ এবং বিচার বিভাগের সামগ্রিক শৃঙ্খলা নিয়েও সভায় আংশিক আলোচনা হয়েছে।


খুলনার ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১৮:৪৫:২০
খুলনার ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা
খুলনার পাঁচটি আসনে বিএনপির প্রার্থী হবেন যারা/ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে পাঁচটিতে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এই তালিকায় দলের দীর্ঘদিনের পরিচিত ও অভিজ্ঞ নেতাদের পাশাপাশি একটি আসনে নতুন মুখের মনোনয়ন দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চমক সৃষ্টি করেছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন।

যে পাঁচ আসনে মনোনয়ন পেলেন প্রার্থীরা

খুলনা–২ (সদর–সোনাডাঙ্গা) আসন, এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

খুলনা–৩ (খালিশপুর–দৌলতপুর–খানজাহান আলী) আসন, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল-কে প্রার্থী করা হয়েছে।

খুলনা–৪ (রূপসা–তেরখাদা–দিঘলিয়া) আসন, নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল মনোনয়ন পেয়েছেন।

খুলনা–৫ (ডুমুরিয়া–ফুলতলা) আসন, এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি আলী আসগর লবি।

খুলনা–৬ (পাইকগাছা–কয়রা) আসন, সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়ে এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সদ্য দায়িত্ব পাওয়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিকে।

খুলনা-১ (দাকোপ–বটিয়াঘাটা) আসনটি আপাতত ‘হোল্ড’ বা স্থগিত রাখা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, এই আসনে বিদ্যমান দলীয় কোন্দল মিটিয়ে খুব শিগগিরই প্রার্থিতা ঘোষণা করা হবে।

মনোনয়ন নিয়ে নেতাকর্মীদের প্রতিক্রিয়া

খুলনা-২ আসনে মনোনয়ন পাওয়া সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু এই সিদ্ধান্তকে দলের প্রতি তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, "দলের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা দোয়া করেছেন, নামাজ আদায় করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সঠিক মূল্যায়নের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।"

অন্যদিকে, খুলনা-৬ আসনে মনোনয়ন নিয়ে চমক দেখিয়েছেন মনিরুল হাসান বাপ্পি। এই আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, বাসসের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. আব্দুল মজিদ এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম রফিকের মতো অনেকেই মনোনয়নের আশায় মাঠে সক্রিয় ছিলেন। তবে এই দৌড়ে মনিরুল হাসান বাপ্পি আলোচনায় ছিলেন না। গত ২৭ অক্টোবর খুলনা বিভাগের প্রার্থীদের সাথে তারেক রহমানের মতবিনিময়ে তাকে ডাকা হয় এবং হঠাৎ করে রোববার তাকে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর সোমবার তাকে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দিয়ে চমক দেখাল দলটি।

নিজের মনোনয়ন প্রসঙ্গে মনিরুল হাসান বাপ্পি আবেগ প্রকাশ করে বলেন, "দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে এই দলের কর্মী। ছাত্রদল থেকে আমার রাজনীতি শুরু। ছাত্রদল করেছি, যুবদল করেছি। জেলা বিএনপির কয়েকটি পদে ছিলাম। দীর্ঘদিনের রাজনীতিতে গেল ১৭ বছর হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে দলকে আমি একদিনের জন্য ফাঁকি দেইনি।" তিনি আরও বলেন, "দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে, আমার শ্রমের মর্যাদা দিয়েছে। রাজপথের কর্মী, রাজপথের শ্রম যে বৃথা যায় না, দলের এই মূল্যায়ন তারই একটি বার্তা।" তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং স্থায়ী কমিটির সদস্যদের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


আইনজীবীর দাবি: অহেতুক হয়রানি করতেই কোমলমতি বর্ষাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১৬:৪০:৫৬
আইনজীবীর দাবি: অহেতুক হয়রানি করতেই কোমলমতি বর্ষাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
বার্জিস শাবনাম বর্ষা। ছবি : সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার ১৫ দিনের মাথায় ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদনটি নামঞ্জুর করেন।

জামিন আবেদনে যা বললেন আইনজীবী

গ্রেপ্তারকৃত বর্ষার আইনজীবী মাহমুদুল হাসান শহীদ জামিন আবেদনে উল্লেখ করেন, আসামি বর্ষা এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ অহেতুক হয়রানি করার জন্য গত ২১ অক্টোবর বর্ষাকে গ্রেপ্তার করে। আইনজীবী আরও দাবি করেন, এজাহারে আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তিনি বর্ষাকে একজন কোমলমতী শিক্ষার্থী ও কিশোরী হিসেবে উল্লেখ করে তাঁর জামিন মঞ্জুরের প্রার্থনা জানান।

রাষ্ট্রপক্ষের বিরোধিতা ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

তবে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা চৌধুরী সুমন জামিনের ঘোর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, এই আসামি একটি হত্যা মামলার আসামি এবং সে নিজেই দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি বলেন, তাকে জামিন দেওয়ার কোনো কারণ নেই, কারণ জামিন পেলে তিনি পলাতক হতে পারেন।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর বর্ষাসহ এই মামলার আরও দুজন আসামি—বর্ষার প্রেমিক মো. মাহির রহমান এবং মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়লান নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ছাড়া প্রীতম নামে আরেকজন ঘটনার সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন।

প্রেমের সম্পর্ক ও হত্যার পরিকল্পনা

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মাহিরের সঙ্গে বর্ষার প্রায় দেড় বছর আগে থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জোবায়েদ প্রায় এক বছর আগে থেকে বর্ষাকে টিউশন করাতেন এবং এই সূত্রেই শিক্ষকের সঙ্গে বর্ষার একটি প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে মাহির ও বর্ষার মধ্যে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। ঘটনার এক মাস আগে মাহির যখন জোবায়েদের সঙ্গে বর্ষার প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন, তখন তিনি তা মেনে নিতে পারেননি। একপর্যায়ে বর্ষাও মাহিরকে জোবায়েদকে হত্যা করার জন্য অনুরোধ করেন, এবং বলেন যে তিনি জোবায়েদকে আর সহ্য করতে পারছেন না।

এরপর মাহির ও বর্ষা জোবায়েদকে হত্যা করার জন্য একাধিক পরিকল্পনা করেন। জোবায়েদ কখন বাসায় পড়াতে আসেন এবং কখন চলে যান, বর্ষা নিয়মিতভাবে সে তথ্য মাহিরকে জানাতেন। মাহির তার বন্ধু আয়লানের সঙ্গে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং আগানগর বউ বাজার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে একটি সুইচ গিয়ার চাকু কেনেন।

যেভাবে শুরু মামলার সূত্রপাত

গত ২১ অক্টোবর জোবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বাদী হয়ে রাজধানীর বংশাল থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মো. জোবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করাতেন। প্রতিদিনের মতো তিনি ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বংশাল থানাধীন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর বক্স লেনের ১৫ নম্বর হোল্ডিং রৌশান ভিলায় পড়ানোর জন্য যান।

একই তারিখে সন্ধ্যা প্রায় ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে ওই ছাত্রী জোবায়েদ হোসাইনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে জানান, জোবায়েদ স্যার খুন হয়ে গেছেন এবং কে বা কারা তাকে খুন করেছে।

এ বিষয়টি ওই দিন রাত আনুমানিক ৭টার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. কামরুল হাসান, ভুক্তভোগী জোবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেনকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান। খবর পেয়ে এনায়েত তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলায় পৌঁছান। ভবনের নিচতলা থেকে ওপরে ওঠার সময় তিনি সিঁড়ি এবং দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পান। ভবনের ৩য় তলার রুমের পূর্ব পার্শ্বে সিঁড়িতে গেলে সেখানে সিঁড়ির ওপর জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উপুড় অবস্থায় দেখতে পান।


ফ্যাসিস্ট খুনি' শেখ হাসিনার বিচারের রায় আসছে: তথ্য উপদেষ্টার ঘোষণা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১৪:০৮:৫৪
ফ্যাসিস্ট খুনি' শেখ হাসিনার বিচারের রায় আসছে: তথ্য উপদেষ্টার ঘোষণা
রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। ছবি : কালবেলা

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, আগামী সপ্তাহেই "ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচারের রায় হবে"। এই রায়ের মাধ্যমে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবার কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে এবং তাদের দীর্ঘদিনের কষ্টের অবসান ঘটবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিচারের মুখোমুখি করা হবে খুনিদের

মাহফুজ আলম বলেন, "অনেকের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলছে। যারা অতীতে আমাদের ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে, গুম-খুনে জড়িত ছিল, তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।"

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেক দূর এগিয়েছে এবং "জুলাই সনদে সাক্ষর করার মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে।" তিনি জোর দিয়ে বলেন, "শেখ হাসিনাকে উৎখাত করে আমরা একটি নতুন সরকার গঠন করেছি।" এই সরকারের মূল কাজ হলো দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, যাতে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা বলেন, তাঁরা এমন একটি বাংলাদেশ চান যেখানে সবার মতামতের মূল্য থাকবে, ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। ভবিষ্যতে গুম-খুনের মতো কালো অধ্যায় যেন আর ফিরে না আসে, সেই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে।

উপজেলা প্রশাসনের সংবর্ধনা ও অন্যান্য কর্মসূচি

এর আগে রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার, পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেনসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম রবীন শীষ, ওসি আবদুল বারী, উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতের নেতাসহ বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দুপুরে তিনি সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী মরহুম জিয়াউল হক জিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ সময় তার বাবা ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা এবং বড় ভাই জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আজ মঙ্গলবার ঢাকার কোথায় দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ০৯:০০:৩৩
আজ মঙ্গলবার ঢাকার কোথায় দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে
ছবি: সংগৃহীত

কেনাকাটা করার জন্য প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মানুষ যাতায়াত করেন। তবে জ্যাম, ভোগান্তি ও সময় ব্যয় করার পর অনেক ক্রেতা গন্তব্যে পৌঁছে দেখেন, দোকানপাট বা মার্কেট বন্ধ। এর ফলে শুধু কাজই হয়নি, বরং মূল্যবান সময়ও নষ্ট হয়ে যায়। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে জানা গুরুত্বপূর্ণ, আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কোন কোন এলাকায় দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।

আজ বন্ধ থাকবে নিম্নোক্ত এলাকার দোকানপাট:

কাঁঠালবাগান, হাতিরপুল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, রাজাবাজার, মনিপুরীপাড়া, তেজকুনীপাড়া, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, নীলক্ষেত, কাঁটাবন, এলিফ্যান্ট রোড, শুক্রাবাদ, সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, জিগাতলা, রায়েরবাজার, পিলখানা, লালমাটিয়া।

আজ বন্ধ থাকবে নিম্নোক্ত মার্কেট ও শপিং সেন্টার:

বসুন্ধরা সিটি, মোতালিব প্লাজা, সেজান পয়েন্ট, নিউমার্কেট, চাঁদনী চক, চন্দ্রিমা মার্কেট, গাউছিয়া, ধানমন্ডি হকার্স, বদরুদ্দোজা মার্কেট, প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার, গাউসুল আজম মার্কেট, রাইফেলস স্কয়ার, অর্চাড পয়েন্ট, ক্যাপিটাল মার্কেট, ধানমন্ডি প্লাজা, মেট্রো শপিংমল, প্রিন্স প্লাজা, রাপা প্লাজা, আনাম র‍্যাংগস প্লাজা, কারওয়ান বাজার ডিআইটি মার্কেট, অর্চিড প্লাজা।

শহরের ক্রেতাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যাতে তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী কেনাকাটা করতে পারেন এবং অবাঞ্ছিত সময়ের ক্ষতি এড়াতে পারেন। বিশেষ করে, বড় মার্কেট ও ব্যবসায়িক কেন্দ্রে যাওয়ার আগে এই তালিকা দেখে নেওয়া জরুরি, যাতে ভোগান্তি ও সময় নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

-শরিফুল


সেই কালামের পরিবারকে দেওয়া অর্থ নিয়ে যা বলল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৪:০৯:২৫
সেই কালামের পরিবারকে দেওয়া অর্থ নিয়ে যা বলল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ
মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো পথচারী আবুল কালাম (ইনসেটে), ও তার স্ত্রী আইরিন/ফাইল ছবি

গত ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে দুর্ঘটনায় নিহত পথচারী আবুল কালাম আজাদের পরিবারকে দেওয়া ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়ে যে সমালোচনা শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ। তিনি বলেছেন, “এটি জীবনের মূল্য নয়, তাৎক্ষণিক সাহায্য হিসেবে দেওয়া হয়েছে।”

আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ব্যাখ্যা দেন।

আবুল কালাম আজাদের পরিবারকে দেওয়া ৫ লাখ টাকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা চলছিল। এই বিষয়ে মো. ফারুক আহমেদ বলেন:

“অনেকে এটাকে জীবনের মূল্য বলছেন, আসলে এটা জীবনের মূল্য হিসেবে দেওয়া হয়নি। ওটা তাকে ইমিডিয়েট সাহায্য হিসেবে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর মরদেহ হাসপাতাল নেওয়া থেকে শুরু করে জানাজা পর্যন্ত ডিএমটিসিএল এবং মন্ত্রণালয় উভয়ে মিলে সবকিছুর ব্যবস্থা করেছে। কিছু সাহায্য হিসেবে উপদেষ্টা স্যার মন্ত্রণালয় থেকে দিয়েছেন।

ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, তারা নিহতের পরিবারকে স্থায়ীভাবে সাহায্য করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজেছেন।

চাকরির ব্যবস্থা মো. ফারুক আহমেদ বলেন, “ওনার ওয়াইফের সঙ্গে গত সপ্তাহে আমার মিটিং হয়েছে। ওনার যোগ্যতা অনুযায়ী ইমিডিয়েট একটা চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে।” নিহত আবুল কালামের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া বর্তমানে অনার্সে পড়ছেন।

ভবিষ্যৎ পদোন্নতি তিনি বলেন, “ওনার হয়ত আরও ছয় মাস লাগবে অনার্স কমপ্লিট করতে। অনার্স কমপ্লিট করলে, ওই যোগ্যতা অনুযায়ী যতটুকু চাকরিতে তাকে পদোন্নতি দেওয়া যায় বা করা যায়, ওই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, প্রভিশন রাখা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

পাঠকের মতামত:

গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত

গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পাঠদান, দীর্ঘদিন ধরে পাঠ্যপুস্তকনির্ভর শিক্ষা ও পরীক্ষাকেন্দ্রিক মূল্যায়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এই ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের... বিস্তারিত

হৃদরোগের ঝুঁকি কম বয়সে: হার্টের রক্তনালী বন্ধ হওয়ার ৭টি প্রাথমিক লক্ষণ চিনে সতর্ক হোন

হৃদরোগের ঝুঁকি কম বয়সে: হার্টের রক্তনালী বন্ধ হওয়ার ৭টি প্রাথমিক লক্ষণ চিনে সতর্ক হোন

বর্তমানে কম বয়সের মধ্যেই হৃদরোগের প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, তীব্র মানসিক চাপ এবং অপর্যাপ্ত শারীরিক চলাফেরার মতো কারণগুলো... বিস্তারিত