বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫% কর আদায়: শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে উত্তাল রাজধানী

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৮ ১৮:১৬:০৭
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫% কর আদায়: শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে উত্তাল রাজধানী

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায়ের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি—শিক্ষা কোনও ব্যবসা নয়, তাই একে বাণিজ্যিকীকরণ করা চলবে না।

বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটপূর্ণ অবকাঠামো ও আসন সীমাবদ্ধতার কারণে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। অথচ সেখানে সরকার নতুন করে কর আরোপ করে উচ্চশিক্ষাকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলছে।

তাদের মূল দাবি—

অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের আড়ালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মুনাফা তদন্ত করে অবৈধ আয় বাজেয়াপ্ত করা,

টিউশন ফি কমানো ও অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে ছাত্র-শিক্ষাবিদ-জ্ঞাত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন,

ইউজিসি ও সরকারের উচ্চশিক্ষা মান বজায় রাখতে কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “যদিও বলা হচ্ছে কর শিক্ষার্থীদের ওপর বর্তাবে না, কিন্তু বাস্তবে তা ফি বাড়িয়ে আমাদের কাছ থেকেই আদায় করা হবে। এতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা আরও বঞ্চিত হবেন।”

আইনি প্রেক্ষাপট২০০৭ ও ২০১০ সালে দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীরা মোট ৪০টির বেশি রিট করে। ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট কর আদায়ের ওই দুটি প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন এবং ইতোমধ্যে আদায় করা অর্থ ফেরতের নির্দেশ দেন।

তবে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আপিল বিভাগ ২০২3 সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত রায়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে এবং এনবিআরের দুই প্রজ্ঞাপন বহাল রাখে, যার ফলে কর আদায়ের পথ আবারও উন্মুক্ত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট নেটওয়ার্কের সংগঠক নাবিন আবতাহির, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের তাসফিরুল কাব্য, ইউল্যাবের ফাত্তাহ সিয়াম ও তারমিন তিশা প্রমুখ। বক্তারা বলেন, “এই কর আদায়ের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল না করা হলে দেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য করা হবে।”

—আশিক নিউজ ডেস্ক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত