কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামীর মৃত্যুর আগে রহস্যময় পোস্ট ঘিরে জল্পনা!

বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুরের আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে সমগ্র বিনোদন জগত ও নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে পোলো খেলার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তবে মৃত্যুর পেছনে যেই ঘটনা সবচেয়ে বেশি বিস্ময় ও রহস্য তৈরি করেছে, তা হলো সঞ্জয়ের গালে এক মৌমাছি ঢুকে যাওয়া। খবর অনুযায়ী, মৌমাছিটিকে বের করার চেষ্টা করতে গিয়ে সঞ্জয় আতঙ্কিত হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন, যা তার মৃত্যু অনিবার্য করে তোলে।

এই ঘটনাটি ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে এবং তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন মতামত ও জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এমন ছোট্ট একটা ঘটনায় কীভাবে একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু হলো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্ভবত সঞ্জয়ের হৃদযন্ত্র আগে থেকেই দুর্বল ছিল, আর সেই মুহূর্তের আতঙ্ক তার ওপর বিরাট প্রভাব ফেলেছিল।

তবে বিষয়টি আরও জটিল হয়েছে সঞ্জয়ের মৃত্যুর ঠিক তিন দিন আগে একটি ফেসবুক পোস্টের কারণে। পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “এই পৃথিবীতে তোমার সময় খুব সীমিত। তাই ‘যদি’ নিয়ে দার্শনিক হওয়ার বদলে নিজেকে প্রশ্ন করো, কেন তুমি কাজটা করছ না?” এই মর্মস্পর্শী ও অর্থবহ উক্তিটি নিয়ে নেটিজেনরা ব্যাপক আলোচনা শুরু করেছেন। অনেকে মনে করছেন, হয়তো সঞ্জয় নিজের অস্থির শারীরিক বা মানসিক অবস্থার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা বুঝতে পেরেছিলেন।

সেই একই দিনে ভারতে আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার খবরে শোক প্রকাশও করেন সঞ্জয়। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি লিখেছিলেন, “ভয়ানক একটা খবর। এই কঠিন সময়ে সৃষ্টিকর্তা তাদের সহায় হোন।” মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই এই দুই ঘটনাকে পারস্পরিক সংযুক্ত মনে করছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, হৃদরোগের সঙ্গে সাথে মানসিক চাপ, আতঙ্ক ও দুঃখ-কষ্ট মিলিতভাবে সঞ্জয়ের মৃত্যুর পেছনে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত, নিজের জীবনের শেষ সময় সম্পর্কে সচেতনতা ও অবসাদ এমন পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।

সঞ্জয়ের এই আকস্মিক মৃত্যু বলিউডের মধ্যে শোকের ছায়া ফেলেছে, পাশাপাশি এক নতুন প্রশ্ন তুলেছে কি কোনো অজানা বা অবহেলিত স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল যা সময়মতো খেয়াল করা হয়নি? এই ঘটনাটি মনে করিয়ে দিয়েছে যে, জীবনের ক্ষণস্থায়ীতা ও শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার যত্ন নেওয়া কতটা জরুরি।

সর্বশেষ, সঞ্জয়ের মৃত্যু রহস্য ঘনীভূত হওয়ায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে এবং তার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনাও তীব্র হচ্ছে। তার পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীরা এখনও এই শোকের মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে সংগ্রাম করছেন।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক