আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ দুর্ঘটনা, নরেন্দ্র মোদির গভীর শোক

গুজরাটের আহমেদাবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বিধ্বস্ত হলে মুহূর্তেই মৃত্যু ও ধ্বংসের বিভীষিকা ছড়িয়ে পড়ে।

মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (প্রাক্তন টুইটার) প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, “আহমেদাবাদের এই দুর্ঘটনা আমাদের হতবাক ও শোকাহত করেছে। এটি এমন এক হৃদয়বিদারক ঘটনা, যা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।” তিনি নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে আরও বলেন, “আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি এবং উদ্ধার তৎপরতা ও সহায়তার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।”

বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি গুজরাট থেকে লন্ডনগামী একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছিল, যাতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। সূত্র জানায়, বিমানটি উড্ডয়নের কিছু সময় পরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাছাকাছি একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় বহু যাত্রী ও ছাত্রাবাসের বাসিন্দা এমবিবিএস শিক্ষার্থীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিমানের ধাক্কায় ছাত্রাবাসের একটি বড় অংশ ধসে পড়ে এবং মুহূর্তেই বিশৃঙ্খল ও হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আগুন ও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া আহতদের উদ্ধারে কাজ করছে দমকল, এনডিআরএফ ও স্থানীয় উদ্ধারকারী দল। এ পর্যন্ত একাধিক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেলেও, সরকারিভাবে হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

স্থানীয় এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুর্ঘটনাকে ‘আহমেদাবাদের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দিন’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “আমরা বহু তরুণ প্রাণ হারিয়েছি। এই শোক ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।”

বর্তমানে আহতদের চিকিৎসা চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে। প্রধানমন্ত্রীসহ গোটা দেশ শোকাহত এই অকাল মৃত্যুর মিছিলে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা গোটা জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া, আর এক প্রশ্নই বারবার ফিরে আসছে প্রযুক্তির এ উৎকর্ষতার যুগে এমন বিপর্যয় কিভাবে ঘটে চলেছে বারবার?

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক