পুকুরে জলকেলি,পরীমণির ভিডিও ঘিরে নেটদুনিয়ায় বিতর্ক

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত তারকা পরীমণি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করে আবারও নেটিজেনদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি তার শৈশবের স্মৃতিমাখা একটি পুকুরে জলকেলিতে মেতে উঠেছেন, আর সঙ্গে ছিল তার স্বতঃস্ফূর্ত হাস্যরস ও স্মৃতিচারণা।

ভিডিওটির ক্যাপশনে পরীমণি লেখেন, “এখানেই আমার সমস্ত শৈশব! এখানে আসলেই আমি ছোটবেলায় ফিরে যাই। এই একটা ছোট্ট পুকুরে আমরা এত জন মিলে পুকুরের পানি সব ঘোলা করে ফেলেছি হিহি।” এই আন্তরিক ও আবেগময় বয়ানে অনেকেই তার শৈশবের মায়াবি স্মৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছেন।

তবে ক্যাপশনের শেষাংশেই তৈরি হয়েছে মতভেদ। তিনি লেখেন, “কয়েকদিন পর এইখানে এই পুকুরটা থাকবে না। এখানে একটা কাঁচের বাড়ি বানাবো ইনশাআল্লাহ।” এই ঘোষণাই মূলত আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

নেটিজেনদের একাংশ পরীমণির শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত স্থান রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, এত আবেগময় স্মৃতি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তিনি সেই জায়গাকে বিলুপ্ত করে নতুন কিছু নির্মাণে এগোতে পারেন?

একজন মন্তব্য করেন, “স্মৃতির জায়গা তো সংরক্ষণেরই দাবি রাখে। স্মৃতিকে মুছে দিয়ে নতুন ভবন গড়ার এই সিদ্ধান্ত হৃদয়ছোঁয়া নয় বরং বেদনাদায়ক।”

অন্যদিকে, ভক্তদের একটি অংশ পরীমণির ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে তাকে সমর্থন করেছেন। তাদের মতে, শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি ভবিষ্যতের স্বপ্নপূরণও একান্তভাবে তার ব্যক্তিগত অধিকার।

পরীমণির পুরো ক্যারিয়ারে যেমন রয়েছে স্পষ্টবাদিতা ও আত্মপ্রকাশের সাহস, তেমনি তার প্রতিটি বক্তব্য ও সিদ্ধান্তে সামাজিক প্রতিক্রিয়া বরাবরই তীব্র হয়ে ওঠে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে শুধু একজন তারকার আবেগ নয়, ব্যক্তি জীবনের স্মৃতি ও আধুনিকায়নের দ্বন্দ্বও ফুটে উঠেছে। এটি একান্তই পরীমণির গল্প হলেও, এর ভেতরে জড়িয়ে আছে আরও বড় এক প্রশ্ন আমরা কি আমাদের শিকড়কে ধরে রাখতে পারি, নাকি স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অতীতকে বিসর্জন দিই?

-অনন্যা, নিজস্ব প্রতিবেদক