টানা পরাজয়ে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তানের কাছে সিরিজও হাতছাড়া

আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারার হতাশা এখনো কাটেনি, এর মধ্যেই নতুন করে ধাক্কা খেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরে টানা দ্বিতীয় পরাজয়ের মুখ দেখল টাইগাররা। ফলে আগেভাগেই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গেল লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দলের জন্য।

শুক্রবার (৩০ মে) লাহোরে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে দলটি তোলে ২০১ রান। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান, যিনি মাত্র ৪০ বলে ৭৪ রান করেন, স্ট্রাইকরেট ছিল ১৮০-এর বেশি। এছাড়া হাসান নাওয়াজ ৩৩ বলে করেন ৫১ রান, মোহাম্মদ হারিস ২৫ বলে ৪১ রান ও সালমান আগা ১৯ রান যোগ করেন।বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন পেসার হাসান মাহমুদ ও তরুণ তানজিম হাসান সাকিব।

২০২ রানের বিশাল লক্ষ্য সামনে রেখে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা ছিল কিছুটা আশা জাগানিয়া; ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ১৯ বলে ৩৩ রান করে ফিরে যান। তবে এরপর ব্যাটিং ধস নামে টাইগার শিবিরে। পরপর উইকেট হারাতে থাকে দলটি। পারভেজ ইমন, অধিনায়ক লিটন দাস এবং জাকের আলির ব্যর্থতা দলের উপর চাপ বাড়িয়ে তোলে।

শেষদিকে কিছুটা লড়াই করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানজিম সাকিব। মিরাজ করেন ২৩ রান, আর সাকিব ৩১ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ৫০ রানে। তবে তা ম্যাচ বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। ১৯ ওভার ৪ বলে ১৪৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন আবরার আহমেদ, যিনি তিনটি উইকেট তুলে নেন মাত্র ২৭ রান খরচায়।

এই ম্যাচে হারের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান, ফলে সিরিজ আগেই হারল বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হবে আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

বারবার ব্যাটিং ব্যর্থতা এবং মিডল অর্ডারের ভঙ্গুরতা দলের মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তরুণদের অভিজ্ঞতার অভাব এবং সিনিয়রদের দায়িত্বহীন ব্যাটিং নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সিরিজের শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস আরও ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।