ফেসবুক পোস্ট দিয়ে কি বোঝাতে চাইছেন বুবলী?

ঢালিউডের আলোচিত দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেন এক অনুচ্চারিত, তবে স্পষ্ট বিরোধ অব্যাহত রয়েছে। সরাসরি কারো নাম না নিলেও, ফেসবুক পোস্ট ও ছবির ক্যাপশনে তারা একে অপরকে উদ্দেশ্য করে ছুঁড়ে দিচ্ছেন কৌশলী মন্তব্য—যা ঘিরে আলোচনার ঝড় উঠেছে নেট দুনিয়ায়।

শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে নিজের ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন শবনম বুবলী। সেই ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন:

"যখন মানুষ তোমার কাজ নকল করতে শুরু করে, তখনই বুঝে নিও—তারা তোমার প্রতিভায় ঈর্ষান্বিত। তাই উপেক্ষা করো, আর নিজের সময়টা উপভোগ করো।"

নেটিজেনদের ব্যাখ্যায়, এই বার্তা সরাসরি কারও নাম না নিলেও মূল টার্গেট যে অপু বিশ্বাস—তা বেশ পরিষ্কার। কারণ তার আগেই দুজনের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তীব্র আলোচনা শুরু হয়।

বুবলীর এই পোস্টের পেছনে প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল গত মঙ্গলবার। ওই দিন দুপুরে তিনি চিত্রনায়ক শাকিব খান ও তাদের সন্তান শেহজাদের একটি ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেখানে ক্যাপশন ছিল—"পরিবার—যেখান থেকে জীবন শুরু হয় এবং ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না।"

কিন্তু বুবলীর পোস্টের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পাল্টা পোস্ট দেন অপু বিশ্বাস। তিনি শাকিব খান ও তাদের ছেলে আব্রাহাম খান জয়ের একান্ত কিছু মুহূর্তের ছবি শেয়ার করে লেখেন—"বাবা এমন একটি শব্দ, যার সঙ্গে সন্তানের বন্ধন কথায় কথায় প্রমাণ দেওয়ার কিছুই নেই। তাও বাবা–ছেলের প্রতিদিনের এই খুনসুটি আর মমত্ববোধ চলতেই থাকবে আর মুহূর্তগুলো ফ্রেমে আটকে থাকবে।"

এই পোস্টেই স্পষ্ট ছিল, বুবলীর পোস্টের একটি ‘সাবলীল’ জবাব দিতে চেয়েছেন অপু।

সামাজিক মাধ্যমে এই দুই তারকার ‘ঠান্ডা লড়াই’ ঘিরে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেক অনুরাগী নিজ নিজ পছন্দের তারকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তবে অধিকাংশ দর্শক এই আচরণকে অপ্রয়োজনীয় ও ‘বিব্রতকর’ হিসেবে উল্লেখ করছেন।

নেটিজেনদের মতে, সন্তানের বাবা শাকিব খান ও তাদের পারিবারিক সম্পর্ককে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ধরনের ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতা ‘বিষয়টিকে হাস্যকর ও ক্লান্তিকর করে তুলছে’।

এই দ্বন্দ্ব কি শুধুই ব্যক্তিগত? নাকি এর পেছনে আরও গভীর মানসিক সংঘাত কিংবা ইন্ডাস্ট্রির প্রতিযোগিতা কাজ করছে? যদিও অপু ও বুবলী কেউই এখনো কারও নাম উল্লেখ করে কিছু বলেননি, কিন্তু তাদের পোস্টের সময়কাল, ভাষা ও প্রেক্ষাপট থেকেই দুই তারকার অভ্যন্তরীণ সম্পর্কের সংকট যে অব্যাহত আছে, তা স্পষ্ট।